আস্সালামুআলাইকুম,
কাহিনীটা অনেকটা সীমার আর এজিদের মতো। যতটুকু মনেহয় সোহরাওয়ার্দি সাহেব এখন সীমারের চরিত্র অবলম্বন করেছেন, কারন দেশ এখন দুইটি দলে বিভক্ত, মোদি আর সিপী, মাঝখানে দেশের খারাপি।
গত দশ বৎসর থেকে, দেশের সমুদ্র বন্দর গুলি ভারতীয় মালামালের জন্য অগ্রাধিকার পেয়ে আসছে, কিন্তু কোন পএিকা এব্যাপারে কোন শব্দ করেনি, তবে আজকে ডেইলি স্টার আওয়াজ তুলেছে যেটা এর প্রমান।
আল্লাহ আমাদের সহায় হউন।
Razzak A. Syed
Sent from my iPhone
> <image.png>
>
> <image.png>
>
> <image.png>
আস্সালামুআলাইকুম,
কাহিনীটা অনেকটা সীমার আর এজিদের মতো। যতটুকু মনেহয় সোহরাওয়ার্দি সাহেব এখন সীমারের চরিত্র অবলম্বন করেছেন, কারন দেশ এখন দুইটি দলে বিভক্ত, মোদি আর সিপী, মাঝখানে দেশের খারাপি।
গত দশ বৎসর থেকে, দেশের সমুদ্র বন্দর গুলি ভারতীয় মালামালের জন্য অগ্রাধিকার পেয়ে আসছে, কিন্তু কোন পএিকা এব্যাপারে কোন শব্দ করেনি, তবে আজকে ডেইলি স্টার আওয়াজ তুলেছে যেটা এর প্রমান।
আল্লাহ আমাদের সহায় হউন।
Razzak A. Syed
Sent from my iPhone
> On 20 Jul 2020, at 04:25, Mohamed Nazir <nazi...@gmail.com> wrote:
>
> হাসান সারওয়ার্দির ইন্টারভিউ, কয়েকটি না বলা কথা
> লে. জেনারেল হাসান সারওয়ার্দির একটি ইন্টারভিউ ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে। আলোচনা হওয়ার মত কথাও বলেছেন ইন্টারভিউতে। মানুষ এতদিন মনে যা পোষণ করে আসছে, সেটাই বলেছেন অকপটে। সেনাবাহিনীতে ইন্ডিয়ার আধিপত্য এবং সরকারের উচ্চ পদ গুলোতে ইন্ডিয়ার নজরদারির বিষয়টি এতদিন ছিল মানুষের মুখে মুখে। সাধারণ মানুষ বলাবলি করত এনিয়ে। সাবেক একজন উচ্চ পদস্থ সেনা কর্মকর্তার মুখে ইন্টারভিউতে বলার অনেক গুরুত্ব রয়েছে। বিষয়টি এখন একেবারে অফিসিয়াল সত্য হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হবে। সাহস করে এ গুলো বলেছেন, এজন্য তাঁকে ধন্যবাদ। তাঁর ইন্টারভিউ নেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই সাংবাদিক ড. কনক সারোয়ারকে। তবে, দু/একটি কথা না বললেই নয়। দেশ থেকে গণতন্ত্রকে চিরতরে বিদায় করার জন্য যত আয়োজন, সবই কিন্তু সোহরায়ার্দি সাহেবদের নেতৃত্বেই হয়েছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর ভোটার বিহীন নির্বাচনের কথা সবারাই জানা। সেনাবাহিনীর নেতৃত্বেই ওই নির্বাচনটি সম্পন্ন হয়। সেনাবাহিনীর পুরো সহযোগিতায় ছিল ২০১৪ সালের নির্বাচনে। তিনি তখন সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি। সেনা বাহিনীর তত্ত্বাবভাধানে দেশের গণতন্ত্র এভাবে ধ্বংস করা উচিত নয়, এটা কি তিনি একবারও অনুভব করেছিলেন তখন? ২০১২ সালের এপ্রিলে সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলীকে গুম করে আইন শঙ্খলা বাহিনী। এর আগে গুম করা হয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর চৌধুরী আলমকে। তখনো কিন্তু নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি তিনি। একাবরও কি বলেছেন, মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন এসব গুম করা ঠিক হচ্ছে না। তিনি যে বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন, সে বাহিনীর সদস্যরাই তো ডিজিএফআই এবং র্যাবে কর্ম করেন। তারাই তো এসব গুমের সাথে জড়িত। ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর ক্যান্টনম্যান্ট থানাকে নিরাপদ নির্যাতন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলে। নির্যাতনের নিরাপদ কেন্দ্র হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের গ্রেফতারের পর ক্যান্টনমেন্ট থানায় নেয়া হয়। কারন সেখানে নির্যাতন করা নিরাপদ। কর্মে থাকতে তিনি কি এবারও বলেছেন, ক্যান্টনমেন্ট থানাকে রাষ্ট্রীয় নির্যাতন কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহৃত হতে দেয়া উচিত নয়? একটি উদাহরণ দেই। ২০১০ সালের ১ জুন দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক শ্রদ্ধেয় মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। সরকার আমার দেশ বন্ধ করে দেয় সেদিনই। তাঁর বিরুদ্ধে ৪টি বানোয়াট মামলা দেয়া হয় গ্রেফতারের পর। এসব মামলায় রিমান্ড মঞ্জুর করে ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্ট। এক সাথে টানা ১৩ দিনের রিমান্ড। প্রথম দিন রাখা হয় কোতয়ালি থানায়। দ্বিতীয় রাতেই তাঁকে নেয়া হয় ক্যান্টনমেন্টে। বানোয়াট মামলা গুলোর কোনটির সাথে ক্যান্টনমেন্ট থানা সম্পৃক্ত নয়। কিন্তু তারপরও তাঁকে ক্যান্টনমেন্টে নেয়া হল। লক্ষ্য নির্যাতন করা। প্রথম রাতেই তাঁকে নির্যাতনের জন্য থানার বাইরের ফোর্স যায়। এক পর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। অজ্ঞান অবস্থায় তাঁকে রেখে আসতে চায় নির্যাতনকারীরা। কিন্তু থানার ডিউটি অফিসার এমন অবস্থায় তাঁকে রেখে আসতে দিচ্ছেন না। একটি জিডি করে রাখনে। পরবর্তী রাতে আবারো যায় নির্যাতনকারীদের দলটি। কিন্তু সে রাতে থানার সাধারণ সিপাইরা বাঁধা দেয়। তাদের আপত্তি থানার বাইরের কেউ এসে এখানে কাউকে নির্যাতন করতে পারে না। থানার বাইরে থেকে এসে নির্যাতন বন্ধের দাবীতে কঠোর অবস্থান নেন সাধারণ সিপাইরা। পরবর্তীতে এজন্য একজন এসআই-এর চাকুরিও চলে গিয়েছিল। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ক্যান্টনমেন্ট থানায় নিয়ে এরকম নির্যাতন করা হত। সারওয়ার্দি সাহেবরা তো তখন সেনাবাহিনীর বড় কর্তা। একবারও কি বলেছেন, ক্যান্টনমেন্ট থানাকে সরকারের টর্চারসেল বানানো উচিত নয়? গণতন্ত্র বিরোধী ফ্যাসিবাদী ও মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী সরকারের আস্থাভাজন হিসাবেই গুরুত্বপূর্ণ পদে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। নবম পদাতিক ডিভিশনের মত জায়গায় জিওসি হিসাবে কর্মরত থেকে সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের সহযোগিতা করেছেন। সরকারের অতি আস্থাভাজন লোকদেরই এই জায়গায় নিয়োগ দেয়া হয়। শুধু তাই নয়, এসএসএফ-এর ডিজি হিসাবে ইন্ডিয়ান ফর্মূলা অনুযায়ী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন। ফ্যাসিবাদী ও মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী সরকারের নিরাপত্তার পুরো দায়িত্বে ছিলেন সোহরাওয়ার্দি সাহেবরা।
> সেনা প্রধান হওয়ার জন্য অনেক দৌড়ঝাপ করেছেন। তখনই লিখেছিলেন, ‘সেনা প্রধান নিয়োগের দৌড়ে আজিজ এগিয়ে, সোহরাওয়ার্দি ইন্ডিয়ায়’। তখন তিনি ইন্ডিয়ায় গিয়েছিলেন সেনা প্রধান হওয়ার জন্য তদবীর করতে। সে নিউজ ওই সময়ই লিখেছিলাম। সুতরাং তিনিও কম দৌড়াননি ইন্ডিয়ার পেছনে।
> তারপরও তাঁকে ধন্যবাদ দিতে হয়। নিজের বঞ্চনা থেকে মনের ক্ষোভে কতগুলো সত্য কথা বলেছেন। এখন গ্রেফতার বা গুমের আশঙ্কা ব্যক্ত করে বিদেশী দূতাবাস গুলোতে ই-মেইল দিচ্ছেন। নিরাপত্তার জন্য দাবী জানাচ্ছেন। কিন্তু তারা যখন রাজনৈতিক কারনে ভিন্নমতের নেতাকর্মীদের গুম করেছিলেন, সেটা কেমন লাগে একটু হলেও অনুভব করছেন এখন!...ওহ, আরেকটি বিষয় না বললেই নয়। ২০১৩ সালের এপ্রিলে সাভারের রানাপ্লাজা ধ্বসে পড়েছিল। ওখানে আটকেপড়া গার্মেন্টস কর্মীদের উদ্ধারে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি হিসাবে। ওই সময় রেশমা নাটকের কথা কি মনে আছে আপনাদের? ওই নাকট তাঁর নেতৃত্বেই প্রজোযিত হয়েছিল!
> <image.png>
>
> <image.png>
>
> <image.png>