অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে অনেক নারীকে হঠাৎ করেই গর্ভনিরোধের চিন্তায় পড়তে হয়। ঠিক তখনই সমাধান হতে পারে ইমার্জেন্সি পিল। এটি এক ধরনের জন্মনিয়ন্ত্রণ ওষুধ যা মূলত অনিরাপদ যৌন সম্পর্ক বা কনট্রাসেপটিভ ব্যর্থ হলে ব্যবহার করা হয়। তবে মনে রাখা দরকার, এটি কেবলমাত্র জরুরি ব্যবহারের জন্য, নিয়মিত জন্মনিয়ন্ত্রণের বিকল্প নয়।
ইমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপটিভ পিল (ECP) হলো একটি হরমোনাল ওষুধ। এটি ডিম্বাণুর নিষিক্তকরণ প্রক্রিয়া থামিয়ে দেয় বা নিষিক্ত ডিম্বাণুকে জরায়ুতে বসতে বাধা দেয়। এর ফলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।
বাংলাদেশে যেসব ব্র্যান্ড বেশি জনপ্রিয়—
Postinor-2
NorLevo
ECP
ইমার্জেন্সি পিলের কার্যকারিতা অনেকটাই নির্ভর করে সময়ের উপর।
যৌন সম্পর্কের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে খেতে হবে।
যত তাড়াতাড়ি খাবেন, কার্যকারিতা তত বেশি।
Postinor-2 সাধারণত ২টি ট্যাবলেটের প্যাক আসে। প্রথমটি খাওয়ার ১২ ঘণ্টা পর দ্বিতীয়টি খেতে হয়।
NorLevo বা কিছু ব্র্যান্ডে ১টি ট্যাবলেটই যথেষ্ট।
খাওয়ার ২ ঘণ্টার মধ্যে বমি হলে নতুন করে আবার খেতে হবে।
ইমার্জেন্সি পিল সাধারণত নিরাপদ, তবে কিছু সাময়িক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে—
মাথা ঘোরা
বমি বমি ভাব
স্তনে ব্যথা
মাসিকের সময়ে পরিবর্তন (আগে বা পরে হতে পারে)
এগুলো সাধারণত কয়েক দিনের মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে যায়।
বাংলাদেশে ইমার্জেন্সি পিল খুব সহজেই ফার্মেসিতে পাওয়া যায়। গড় দাম—
Postinor-2 (২ ট্যাবলেট) → 120–180 টাকা
NorLevo (১ ট্যাবলেট) → 100–150 টাকা
ECP (১ ট্যাবলেট) → 100–120 টাকা
📌 দাম স্থানভেদে কিছুটা ভিন্ন হতে পারে।
ইমার্জেন্সি পিল বারবার খাওয়া উচিত নয়।
এটি শুধুমাত্র জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহার করতে হবে।
নিয়মিত জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য কন্ডোম, কনট্রাসেপটিভ পিল বা অন্য দীর্ঘমেয়াদি নিরাপদ পদ্ধতি ব্যবহার করা ভালো।
যদি বারবার ইমার্জেন্সি পিল খেতে হয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ইমার্জেন্সি পিল হলো গর্ভনিরোধের একটি কার্যকর উপায়, তবে এটি কেবলমাত্র অস্থায়ী সমাধান। সচেতন ব্যবহার, সঠিক সময়ে খাওয়া এবং দীর্ঘমেয়াদে নিরাপদ জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বেছে নেওয়াই সর্বোত্তম।
আপনি চাইলে আমি এখন এই আর্টিকেলটাকে SEO মেটা টাইটেল, ডিসক্রিপশন, কীওয়ার্ড সাজেশনসহ তৈরি করে দিতে পারি যাতে সরাসরি ব্লগে ব্যবহার করা যায়। চাইবেন কি?