কথা হচ্ছিলো মধ্যপ্রাচ্যের ক্যান্সার...না আধুনিক মানবসভ্যতার ক্যান্সার যায়নিস্ট রাষ্ট্র ইস্রাইলকে নিয়ে। বর্তমান বিশ্বের প্রেক্ষাপটকে বোঝার জন্য, মিডিয়ার মায়াজাল ছিড়ে বাস্তবতাকে অনুধাবন করার জন্য ইস্রাইলের সম্পর্কে জানাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কেন?
.
কারন - বনী ইস্রাইলের ইতিহাসে এই রাষ্ট্র গঠন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পর্যায়ের সূচনাকে চিহ্নিত করে। যায়নিস্টরা এবং পশ্চিমের অনেক খ্রিষ্টানরা এই রাষ্ট্রের গঠনকে প্রতিশ্রুত মাসীহর আগমনের একটি চিহ্ন বলে বিশ্বাস করে। ইহুদী, খ্রিষ্টান, মুসলিম - এই তিনটি একেশ্বরবাদী ধর্মই বিশ্বাস করে যে কেয়ামতের আগে এই ভূমি থাকবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাপ্রবাহের কেন্দ্রে।
.
কারন – বর্তমান বিশ্বব্যবস্থার মূল কেন্দ্রকে বুঝতে হলে, মূল কাঠামোকে বুঝতে হলে, সত্যিকারভাবে বিশ্ব রাজনীতি, অর্থনীতি ও মিডিয়াকে কিভাবে নিয়ন্ত্রন করা হয় তা বুঝতে হলে, যায়নিযমকে বুঝা দরকার।
.
কিন্তু তার চেয়েও বড় কারন হল শতাব্দীর পর শতাব্দী আল-আক্বসার এই পবিত্র ভূমি মুসলিমদের হৃদয়ে আসন গেড়ে আছে। ইসলামের প্রথম কেবলা, আল ইসরা ওয়াল মিরাজের রাতের বরকতময় জামাতের স্থান, উমর রাদিয়াল্লাহু আনহুর বিজয়ের, সালাহ-উদ-দীনের প্রতিশ্রুতি পূরণের এই পবিত্র ভূমির প্রতি টান এ উম্মাহর অস্তিত্বের সাথে মিশে আছে। আর তাই তো দামাস্কাস কিংবা খুরাসান, সোমাল কিংবা জাযিরা মুওয়াহিদিন শারীরিক ভাবে যেখানেই অবস্থান করুন না কেন তাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ থাকে আক্বসার প্রতি।
.
১৯১৭ সালে পবিত্র এই ভূমি দখল করার পর ব্রিটিশ ক্রুসেডার ফিল্ড মার্শাল অ্যালেনবি বলেছিল – “আজ ক্রুসেডের শেষ হল!”
.
কিন্তু ঠিক কিভাবে শুরু হয়েছিল পবিত্র ভূমিকে ঘিরে এই সংঘাতের?
জানার জন্য দেখুন অনুসন্ধিৎসুর তৃতীয় ভিডিওঃ
.
পবিত্র ভূমির সংঘাতের ইতিহাস – পর্ব ১
ইউটিউব লিঙ্কঃ https://youtu.be/cUfBUs6xDJE
.
#অনুসন্ধিৎসু