সুত্রঃ অনুসন্ধিৎসু পেইজ।
https://www.facebook.com/TruthSeeker.Bn
প্যারাসাইট। বাংলায় আমরা বলি পরজীবি। এমন কোন প্রান যা জীবন ধারনের জন্য উপকরণ অন্য কোন জীবের দেহ থেকে গ্রহন করে। এতে পরজীবি লাভবান হয়। কিন্তু পরজীবি যার দেহে ঘাঁটি গাড়ে (host) সে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
.
সাধারণ পরজীবি host এর শরীরের লুকিয়ে থাকে। পরজীবি host এর ক্ষতির কারন হলেও খুব কম ক্ষেত্রে প্যারাসাইট সরাসরি মৃত্যুর কারন হয়। কিন্তু কিছু অত্যন্ত দুর্লভ ক্ষেত্রে প্যারাসাইট হোস্টকে নিয়ন্ত্রন করা শুরু করে। একটা অতি পরিচিত উদারহন হল র্যাবিস বা জলাতঙ্ক।
.
জলাতঙ্ক আক্রান্ত পশুরর শরীর থেকে বুলেটের মতো দেখতে রেবিস ভাইরাস মানুষের শরীরের ঢুকে। শরীরের রক্তপ্রবাহে ঢুকে কোষের নিয়ন্ত্রন নিয়ে ফেলার পর পর এই ভাইরাস এক একটা কোষকে রেবিস তৈরির কারখানায় পরিণত করে। যখন এই ভাইরাস সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম বা সহজ ভাষায় ব্রেইন পৌছায়। তারপর মস্তিস্কের যে অংশগুলো স্মৃতি, আবেগ ও ভয়কে নিয়ন্ত্রন করে সেখানে ঘাঁটি গাড়ে।
.
আস্তে আস্তে মস্তিস্কের কেমিস্ট্রিকে মস্তিস্কের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা শুরু করে। আক্রান্ত মানুষের ভয়ের জায়গাটা উল্টে-পাল্টে যায়। আর তাই জলাতঙ্ক আক্রান্ত মানুষ পানি দেখলে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে কাপতে শুরু করে। পানির দিকে তাকাতেও পারে না।
.
যদি ভাইরাস টিকে থাকে তাহলে আক্রান্ত মানুষের মস্তিস্ক বিভ্রান্তিতে আরো তলিয়ে যেতে থাকে। হ্যালুসিনেশান শুরু হয়। ভয়, রাগ, বেড়ে যায়। ঘুম বন্ধ হয়ে যায়, একসময় প্রায় প্যারালাইযডের মতো হয়ে কোমায় চলে যায় এবং মারা যায়।
.
একবার রেবিস কোষকে আক্রান্ত করে ফেললে বাঁচা প্রায় অসম্ভব। একারনে জলাতঙ্ক আক্রান্ত কুকুরকে মেরে ফেলতে হয়। যদিও কুকুর হল host যার শরীরে রেবিস ভাইরাস বাসা বেধেছে তবুও কুকুরকেই মারতে হয় কারন কুকুরকে মারা ছাড়া কুকুরের মাঝে লুকিয়ে থাকা ভাইরাসকে থামানো সম্ভব। কোন ঘৃণা বা ক্রোধ থেকে না। নিছক দরকারের খাতিরেই, বৃহত্তর কল্যানের স্বার্থেই তা করতে হয়।
.
প্রকৃতিতে প্যারাসাইট দ্বারা host নিয়ন্ত্রিত হবার উদাহরন কম হলেও, মানব ইতিহাসে এমন উদাহরণ প্রচুর। আর এর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর উদাহরণ হল অ্যামেরিকা নামক host এবং ইজরায়েল নামক প্যারাসাইটের উদাহরণ।
আধুনিক ইতিহাসের এই ভয়ঙ্কতম প্যারাসাইটিক সম্পর্কে নিয়ে অনুসন্ধিৎসুর প্রথম ভিডিওঃ
"অ্যামেরিকা=ইজরায়েল"
.
.
Youtube এ দেখুনঃ
www.youtube.com/watch?v=crDQGap-RRg
#অনুসন্ধিৎসু