মিছরির ছুরি। বাগধারাটির কথা সবাই জানেন। বাস্তব একটা উদাহরন নিয়ে কিছু কথা বলা যাক।
.
দীর্ঘসময় ধরে অপমান, অপরের নিয়ন্ত্রন ও তাচ্ছিল্যের মাঝে থাকার ফলাফল হিসেবে মানুষের মনোজগতে কিছু কাঠামোগত পরিবর্তন ঘটে। লম্বা একটা সময় ধরে এমন অবস্থায় থাকলে মানুষের স্বাভাবিক প্যারামিটারগুলো বদলে যায়। যে মাপকাঠি দিয়ে সে দুনিয়াকে বিচার করে তা আঁকাবাঁকা, এলেমেলো হয়ে যায়।
.
সুদীর্ঘ সময় ধরে অনিয়মের মাঝে থাকতে থাকতে একসময় মানুষ অনিয়মকে নিয়ম হিসেবে মেনে নেয়। অনিয়মকেই অমোঘ সত্য হিসেবে ধরে নিয়ে সে নিয়মের একটা বিকৃত সংজ্ঞা তৈরি করে। মুসলিম জাতির ক্ষেত্রে বোধ করি এমনটাই হয়েছে।
.
ক্রমাগত আক্রান্ত, নির্যাতিত এবং ইসলামে বিশ্বাসের কারনে পশ্চিমা বিশ্বের কাছ থেকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য, টিটকারী শুনতে শুনতে অধিকাংশ মুসলিমের অবস্থা আত্মবিশ্বাসহীন, চিরনার্ভাস, হীনমন্যতায় ভোগা স্নায়ুরোগীর মতো হয়ে গেছে। পাছে কাফির কিছু বলে- এই চিন্তায় স্বাভাবিক কোন কাজ করা, কোন কথা বলা আগে সে দশবার ভাবে। ভাবে, তারপর আবার ভাবে। আর তারপর ভেবে ভেবে হাপিয়ে উঠে।
.
আর পশ্চিমের কাছ থেকে কিছু সান্ত্বনা, কিছু প্রশংসা, কিছুটা মনযোগ পেলেই ধন্য হয়ে যায়। আর ঠিক এই সুযোগটাই নেয় পশ্চিমারা। এই হীনমন্যতার সুযোগ নিয়ে তারা পরাজিত মানসিকতার মানুষগুলোকে আস্তে আস্তে নিজেদের ইচ্ছে অনুযায়ী পরিচালিত করা শুরু করে। মিষ্টি কথা, প্রশংসা আর গুরুত্ব দেয়ার ভান করে আস্তে আস্তে হীনমন্যতায় ভোগা মানুষগুলোর মাথায় নিজেদের আদর্শ সম্পূর্ণ ভাবে বসিয়ে দেয়। আর দিকভ্রান্ত মানুষগুলোকে পশ্চিমের চোখে মর্যাদাসম্পন্ন হওয়া গেছে, সভ্যতার পরীক্ষায় পাশ করা গেছে – এই ভেবে আত্মতুষ্টিতে ভুগতে শুরু করে। আর তারপর পশ্চিমারা যা কিছুই করে
.
মিষ্টি কথার জাল বুনে মুসলিমদের গলায় নির্বিকার ভাবে ছুরি চালিয়ে রক্তের নদী প্রবাহিত করার সবচেয়ে সফল এবং লেটেস্ট উদাহরন স্থাপন করা ব্যক্তিটি একজন নোবেল শান্তি বিজয়ী। একজন শান্তিকামী। একজন যুদ্ধাপরাধী। আর পশ্চিমা লেন্স আঁটা মুসলিমদের কাছে পশ্চিমা উদারতার মানবমূর্তি।
.
দেখুন Truthseeker - অনুসন্ধিৎসু –র পঞ্চম ভিডিও 'শান্তিকামী যুদ্ধাপরাধী'
#অনুসন্ধিৎসু
ভিডিও লিংকঃ www.facebook.com/TruthSeeker.Bn/videos/vb.237114906720942/269301663502266