ক্রিসমাস!!

10 views
Skip to first unread message

arko shahriyar

unread,
Dec 24, 2016, 12:58:24 AM12/24/16
to students...@googlegroups.com
সুত্রঃ: www.facebook.com/KnowYourDeenBD

ইউটিউব লিঙ্কঃ youtu.be/1IyFLCRg8Ok

প্রত্যেকর বিদ’আ বা নবউদ্ভাবিত বিষয়ের টিকে থাকার জন্য ঔদ্ধত্য এবং অজ্ঞানতা অপরিহার্য। যারা মুসলিম হয়েও ক্রিসমাস উইশ করেন তাদের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন অনুপাতে দুটোই বিদ্যমান।
.
ক্রিসমাস উইশ করতে সমস্যা কি, এটা যারা বুঝতে পারছেন না তাদের জন্য দুটি তথ্য যথেষ্ট, যদি আসলেই সত্য গ্রহণ করার, স্বীকার করার, স্রোতের বিপরীতে যাবার মতো মানসিকতা ও সাহস থাকে। আজ আমরা প্রথম তথ্যটা নিয়ে আলোচনা করবো।
.
সাইয়্যেদিনা ‘ঈসা আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালামের জন্মের হাজারো বছর আগে থেকেই প্যাইগানরা [মুশরিকীন] ২৫শে ডিসেম্বর সূর্য দেবতার জন্মদিন পালন করে আসছে। আর ৩২৪ খ্রিষ্টাব্দের আগে খোদ খ্রিষ্টানরাই ২৫শে ডিসেম্বর “ঈসা আলাইহিস সালামের জন্মদিন পালন করতো না। ২৫শে ডিসেম্বর দিনের ইতিহাসটা আরো পুরনো, এবং এর সাথে ‘ঈসা আলাইহিস সালামের আসলে সম্পর্কই নেই। আসিরিয়ান, ব্যাবলোনিয়ান, পারসিয়ানরা তাম্মুয আর মিথ্রাস-এর পুনরুত্থান দিবস হিসেবে এই দিনে উৎসব করতো। গ্রেকো-রোমানদের মধ্যে এটা রূপ নেয় অ্যাপোলো আর ডাইওনাইসাসের (ব্যাকাস) উৎসব হিসেবে। বিভিন্ন সভ্যতা, বিভিন্ন নামে, বিভিন্ন দেবতার সম্মানে এই উৎসব পালন করলেও, সবক্ষেত্রেই কিছু কমন বৈশিষ্ট্য ছিলঃ
.
১. এই সবগুলো সভ্যতা কোন না কোন ভাবে সূর্যের উপাসনা করতো। এজন্য স্থা-কাল-পাত্র ভেদেও ২৫শে ডিসেম্বর তারিখটি পরিবর্তিত হয় নি, কারণ ২৫শে ডিসেম্বর, অ্যানুয়াল সোলার সাইকেলের সাথে সম্পর্কিত
.
২. প্রতিটি সভ্যতা, বিশ্বাসের দিক দিয়ে ছিল মুশরিক
.
৩. প্রতিটি ক্ষেত্রেই এই দিনে উৎসবের সাথে তারা এমন এক দেবতাকে যুক্ত করতো যে ছি, তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী মৃত্যুর পর পুনরুত্থিত [slain and resurrected] [এ নিয়ে আরো পড়ার ইচ্ছে থাকলে দেখতে পারেন The Two Babylons – Alexander Hislop]
.
আর আপনি যদি বর্তমান খ্রিষ্টানদের বিশ্বাস এবং আচার-অনুষ্ঠানের দিকে তাকান তাহলে এটা পরিষ্কার হয়ে যায় যে তারা প্রকৃতপক্ষে হাজারো বছরের পুরনো প্যাইগান আচার-অনুষ্ঠান এবং বিশ্বাসগুলোকে অন্য নামে চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি “ক্রিসমাস ট্রি” থেকে শুরু করে এই উৎসবের সাথে যেসব সিম্বোলজি ব্যবহৃত হয় তার সবকিছুই প্যাইগান অরিজিনের। মডার্ন ক্রিশ্চিয়ানটি শুধুমাত্র রিসাইকেল করে এই হাজার বছরের পুরনো রদ্দি শিরককে নতুন নামে উপস্থাপন করছে।
.
আশা করা যায়, এ লেখা যাদের চোখে পড়বে তাদের ক্ষেত্রে আর অজ্ঞানতার দোহাই প্রযোজ্য হবে না। যদি আপনি ধরে নেন, এই উৎসবের শুরু হাজার বছরের পুরনো ঐতিহাসিক সূর্য উপাসনা থেকে তাহলেও এটা কুফর এবং শিরক। আর যদি আপনি মনে করেন এটা হল “ঈসা আলাইহিস সালামের ব্যাপারে খ্রিষ্টানদের যে বিশ্বাস, সেটা অনুযায়ী পালিত একটি উৎসব, তাও এটি কুফর এবং শিরক এবং আল্লাহ্‌ আযযা ওয়া জালের প্রতি জঘন্য মিথ্যাচার। যেভাবেই দেখুন, ক্রিসমাস পালনের শেকড় প্রোথিত কুফর এবং শিরকে।তাই কোনভাবেই একজন মুসলিমের জন্য ক্রিসমাসের শুভেচ্ছা জানানো জায়েজ না। এ ব্যাপারে আরো জানার জন্য দেখতে পারেনঃ https://islamqa.info/en/145950
.
অজ্ঞানতা অজুহাত হিসেবে অনেক সময় গ্রহণযোগ্য হলেও ঔদ্ধত্য কখনোই না। যদি জেনেবুঝেও কেউ জেদ ধরে বসে থাকেন তিনি “ক্রিসমাস” পালন করবেনই, “মেরি ক্রিসমাস” বলবেনই – তবে তার এই ব্যাপারে আল্লাহ্‌ আযযা ওয়া জালের সামনে দাঁড়িয়ে জবাব দেবার প্রস্তুতি নিয়েও রাখা উচিৎ। কালচার, সোসাইটি, সিভিলাযেইশান, “সভ্য মানুষরা”, কোন কিছুই সেদিন কারো পক্ষে ওজর পেশ করতে পারবে না, কারো কাজেও আসবে না, এটাও মনে রাখা দরকার। আমাদের তো শুধু এতোটুকুই সামর্থ্য যে আমরা এই ব্যাপারে মানুষকে সতর্ক করার চেষ্টা করতে পারি। আল্লাহ্‌ সাক্ষী আমরা চেষ্টা করেছি।
.
#KnowYourDeen

Reply all
Reply to author
Forward
0 new messages