মানবজাতির সর্বপ্রথম দায়িত্ব/বাধ্যবাধকতা/মানবজাতির উপর প্রথম ফারযিয়্যাতঃ
.
আল্লাহ আপনার উপর রহম করুন, অবগত হোন আল্লাহ আদম সন্তানের উপর সর্বপ্রথম যে বিষয়টি বাধ্যতামূলক করেছেন তা হল ত্বগুতকে পরিত্যাগ, প্রত্যাখ্যাল করা ও আল্লাহর উপর বিশ্বাস স্থাপন করা। এর দলীল হল , আল্লাহ আযযা ওয়া জাল এর এই আয়াত -
.
“প্রত্যেক জাতির কাছে আমি রসূল পাঠিয়েছি (এ সংবাদ দিয়ে) যে, আল্লাহর ‘ইবাদাত কর আর তাগুতকে বর্জন কর। অতঃপর আল্লাহ তাদের মধ্যে কতককে সৎপথ দেখিয়েছেন, আর কতকের উপর অবধারিত হয়েছে গুমরাহী, অতএব যমীনে ভ্রমণ করে দেখ, সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের পরিণতি কী ঘটেছিল!” [সূরা আন নাহল ৩৬]
.
আল ইমাম ওয়াল মুজাদ্দিদ শায়খ মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল ওয়াহ্হাব রাহিমাহুল্লাহ
.
সুতরাং সর্বপ্রথম কাজ হল ত্বগুতকে প্রত্যাখ্যান করা ও এতে অবিশ্বাস করা; ত্বগুত হল– আল্লাহ ব্যাতীত এমন সব কিছু যাকে বা যাদেরকে উপাসনা করা হয় ও তারা সেই উপাসনায় সন্তুষ্ট হয়। ত্বগুতকে প্রত্যাখ্যান করা ও এতে অবিশ্বাস করার অন্তর্ভুক্ত হলঃ আল্লাহ ব্যতীত আর যা কিছুর উপাসনা করা হয়, যেমন কোন গাছ, পাথর, চাঁদ, সূর্য, কোন ফেরেশতা, কোন মানুষ ইত্যাদির অপসারণ করা। এদের আল্লাহর পাশাপাশি উপাসিত হবার কোন অধিকার নেই, কেননা সৃষ্টিজগতের উপর এদের কোন ক্ষমতাই নেই।
.
এরপরে আসে নিজের দ্বীনকে কেবলমাত্র আল্লাহর জন্যই নির্দিষ্ট করা। কেবলমাত্র আল্লাহরই উপাসনা করা আর উপাসিত হবার ক্ষেত্রে একমাত্র তাঁর অধিকারকেই স্বীকার করে নেয়া। ত্বগুতকে অবিশ্বাস ও প্রত্যাখ্যান করা ও আল্লাহ্র উপর বিশ্বাস অর্থাৎ কুফর বিত ত্বগুত ওয়া ঈমান বিল্লাহ -এর এই আবশ্যকতাই হল ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”র প্রকৃত অর্থ (আল্লাহ ব্যতীত আর কোন স্বত্তার উপাসিত হবার অধিকার নেই।)
.
কিন্তু যদি এটা মানবজাতির সর্বপ্রথম দায়িত্ব হয়, যদি এটাই আম্বিয়ায়ে কেরামের আলাইহিমুস সালাতু ওয়াস সালামের দাওয়াহ হয়ে থাকে - তাহলে বর্তমানের আলেমরা কেন এই ব্যাপারে নিশ্চুপ? কেন তারা আমাদের ত্বগুত সম্পর্কে অবহিত করেন না? কেন তারা ত্বগুতে পরিচয় আমাদের সামনে স্পষ্ট করেন না? কেন তারা ত্বগুত বর্জনের কথা বলেন না? নববী দাওয়াহকে ছেড়ে দিলে কিভাবে কারো পক্ষে নবীদের ওয়ারিশ হওয়া সম্ভব? কিভাবে ত্বগুতের আনুগত্যের প্রতি আহবানকারীরা "সহীহ" কিংবা "হাক্কানী" হতে পারে?
.
নববী দাওয়াত আজ কোথায়? নবীদের প্রকৃত ওয়ারিশগণ কোথায়?
.
...তারা আছেন। আজো ত্বগুতের সামনে নিঃসঙ্কোচে, নির্ভয়ে, দৃঢ়ভাবে সত্যে ঘোষণা করার মতো মানুষরা আছেন। নবীদের ওয়ারিশগণ আজো আছেন। কিন্তু আমরা কি তাদের খোজ করি? নাকি অপ্রিয় ও বিপদজনক সত্য সম্পর্কে উদাসীন থাকাকেই বেছে নেই?
.
দেখুন শায়খ আল-মুয়াওয়াহিদিন আবু মুহাম্মাদ আসিম আল মাকদিসী হাফিযাহুল্লাহর বয়ানঃ
"তাগুতের প্রতি বার্তা"
ইউটিউবঃ https://youtu.be/KNui2CGJk-Y
.
.
সত্য প্রকাশিত হবার প্রকৃত সত্যান্বেষীদের একটিই করণীয় থাকে...সত্যের অনুসরণ।
আল্লাহ রাব্বুল ইযযাহ আমাদের যেন তাউফিক দান করেন হককে চেনার এবং দৃঢ়ভাবে হকের অনুসরণ করার। আমীন
.
#তাওহিদের_পতাকা
#FlagOfTawheed