আধুনিক পশ্চিমা ন্যারেটিভ অনুযায়ী বর্তমানের মতো আর কখনো মানবজাতি এতো সুখে, স্বাচ্ছন্দ্যে ছিল না। মানুষের গড় উপার্জন বাড়ছে, গড় আয়ু বাড়ছে, প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। মানুষের হাতে হাতে এখন মোবাইল ফোন, পৃথিবীর বিভিন্ন কোণায় পৌছে গেছে ইন্টারনেট। মানবাধিকার নিশ্চিত হয়েছে। জীবন খুব সহজ হয়ে গেছে। মানুষ খুব ভালো আছে...
.
কিন্তু গড় হিসাবের ব্যাপারটা একটু গোলমেলে। আমার কাছে যদি ১০০ টাকা থাকে আর আপনার কাছে যদি ০ টাকা থাকে তাহলে আমাদের প্রত্যেকের কাছে আছে ৫০ টাকা। এধরনের হিসেব নিজেদের মধ্যম আয়ের দেশ প্রমান করার ক্ষেত্রে বেশ কাজে লাগলেও, বাস্তবতাকে ফুটিয়ে তোলার ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময়ই পথ দেখানোর পরিবর্তে বিভ্রান্ত করে। পার ক্যাপিটা ইনকামের হিসাবের মারপ্যাঁচে যে সত্যটা হারিয়ে যায় তা হল উপার্জন যতো বেড়েছে তার চেয়ে অনেক গুনে বেশি বেড়েছে বৈষম্য।
.
বর্তমানে পৃথিবীতে যে পর্যায়ের বৈষম্য আছে ইতিহাসে আর কখনো এই পর্যায়ে মানবজাতির মধ্যে বৈষম্য ছিল বলে জানা যায় না। আর এই বৈষম্য বাড়ছে। ক্রমাগত ধনীরা আরো ধনী হচ্ছে, গরীবেরা আরো গরীব। ধনীদের এবং গরীবদের মধ্যে ব্যবধান দিন দিন বাড়ছে। এটা হচ্ছে সামাজিক পর্যায়ে এবং বৈশ্বিক পর্যায়ে। আর এমন অবস্থা আপনাআপনি হয়ে যায় নি।
.
পশ্চিমা শক্তিগুলো, বিশ্বের মোড়ল হয়ে বসা জমিদারেরা বলবে সম্পদের বন্টনের ক্ষেত্রে যেটুকু ভারসাম্যহীনতা আছে তার কারন হল তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর (নাকি "নিম্ন আয়ের দেশ") দুর্নীতি, সুশাসনের অভাব, শক্তিশালী অবকাঠামো ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান না থাকা, জবাবদিহিতার অভাব, রাজনোতিক অস্থিতিশীলতা ইত্যাদির কারনে। পশ্চিমাদের চাকর পর্যায়ের নানা অ্যাকাডেমিক, থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক এবং এনজিও গুলোও একই ধরনের মুখস্থ কথাই বলে। সাথে তারা আরো যোগ করে - উন্নত বিশ্বের উন্নত মনের দেশগুলো নানা ভাবে এই ভারসাম্যহীনতাকে দূর করার চেষ্টা করছে।
.
কিন্তু আরো কোন কথা মনে হয় সত্য থেকে এতোটা দূরবর্তী না।
.
আপনি কি সত্যটা জানতে চান? জানতে চান কেন আসলে ধনী দেশ আর গরীব দেশগুলোর মধ্যে ব্যবধান প্রতিনিয়ত বাড়ছে? জানতে চান আসলে সমস্যাটা কোথায়? মুখস্থ ধরাবাঁধা পলিসি সাজেশান আর বিবৃতির পর্দা সরিয়ে সত্যটাকে দেখতে চান?
.
জানতে চান সম্পদের এই ভারসাম্যহীনতার প্রকৃত রূপ এবং কারন সম্পর্কে?
দেখুন অনুসন্ধিৎসু পাঠক ও দর্শকদের জন্য Truthseeker - অনুসন্ধিৎসু -এর ষষ্ঠ ভিডিও -
.
'সম্পদের বৈষম্য'
.
ইউটিউব লিঙ্কঃ https://youtu.be/UbGt69BqHUc
.
#অনুসন্ধিৎসু