Google Groups no longer supports new Usenet posts or subscriptions. Historical content remains viewable.
Dismiss

মীর্জা আহমদ জান, গোলাম পীর ও মীর্জা আহমদ

25 views
Skip to first unread message

abu

unread,
Oct 14, 2022, 1:31:34 PM10/14/22
to
মীর্জা আহমদ জান, গোলাম পীর ও মীর্জা আহমদ

কিছু লোক মীর্জা আহমদ জান ও গোলাম পীরকে একলোক হিসাবে পচার করে। মীর্জা আহমদ জানকে আর্মেনিয়ান তাজির এলিয়াস আব্রাহাবের নালিশে পিট পাকরাও করে ১৭৭৭ সালে (ফেব্রুয়ারী ১)। আর তায়েশের তাওরারিখে ঢাকা ( ড: এ এম এম শরফুদ্দীনের অনুবাদ, ২য় মূদ্রণ, ২০১০) লিখছে গোলাম পীর ১২৮৩ হিজরীতে মারা যান। ১২৮৩ হিজরী শুরু হইছে ১৮৬৬ সালের মে মাসে।

সুতরাং এই দুইজনের এক লোক হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। ১৮২০ সালে ঢাকা কমেটি গড়া হইলে মীর্জা গোলাম পীর ওই কমেটির এক সদস্য হন। ১৮৪১ সালে ঢাকা জিলা বোর্ড গড়া হয়। মীর্জা গোলাম পীর ওইটারও মেম্বর আছিলেন। ইংরেজ ও গোলাম পীরের সুবাদ বেশী খারাপ আছিল না।

মীর্জা আহমদ জানকে আম্রা দখিণ শাহবাজপুরের জমিদার হিসাবে পাই। উনি ঢাকায় থাকতেন। ১৭৮০ সালে ইংরেজ সরকার মীর্জা আহমদ জানের দখিণ শাহবাজপুরের জমিদারীর ৭ আনা নিলাম দেয়। খাজা মাইকেল আরমেনী এইটা কিনে। আট বছর পর ঢাকার নূতন কালেক্টর ডগলাসের সহায় মীর্জা আহমদ জান ৩ আনা ১.৫ গণ্ডা ফিরা পায়।

ম্যাথু ডের লিখা একটা আবছা চিঠি ( জুন ২৩, ১৭৮৪) থিকা মনে হয় খাজা মাইকেলের ৭ আনায় একটা হাঙ্গামা হইছিল যার লাই ২৬ জন লোককে ডাকাত হিসাবে ধরা হয়। আসাদুল্লাহ নামে এক লোক সিপাইগো হাত থিকা পালাইয়া যায় ও কিছু সিপাইয়ের কোর্ট মার্শাল হয়। ধামাচাপা দেওয়া জরুরী কিনা তার ইশারা আছে।
চিঠিটা Sirajul Islam edited Bangladesh District Records Vol. 1 (Univ of Dhaka) তে আছে। তয় কলনিয়াল এবিউজ ও কলনিয়াল শাসনের আড়ে রোধের ইতিহাস সুবাদে এর তদন্ত করা হইছে কিনা জানি না।

কেউ কয় মীর্জা আহমদ জান আবু সাইদের মেয়ের ছেলে আছিলেন। এই কথা ভুল ভাবার কোন কারণ নাই। আবু সাইদ মহল্লায় আরমানিতোলা গড়া হয়। আবু সাইদ মহল্লা আরমানিতোলা থিকা মেলা বড় আছিল।

বাবুবাজারও মনে হয় আবু সাইদ মহল্লায় গড়া হইছিল। এইটা করছে গোকুল ঘোষালের মিরাশী ভুকৈলাশের জমিদার জয়নারায়ন ঘোষাল, ১৭৭১ থিকা ১৭৭৬ সালের কোন এক কালে। সুলতানী আমলে বাবুবাজারসহ আবু সাইদ মহল্লা পাকুড়তলীর পূবভাগ আছিল। মনে হয় পাকুড়তলী ও নিমতলী ঔষধী গাছের লাই সরকারের নিদিষ্ট করা বাগান আছিল। পরে পাকুড়তলীর একভাগ মোঘলটুলী হয় ও পাকুড়তলী মহল্লায় ভাগ হইয়া ছোট হয়।

কওয়া হয় বাবুবাজারের মসজিদ আবু সাইদ বানাইছিলেন। মেলা লোক ভাবে এই মসজিদের উঠানেই উনার কবর। তয় নাজির হোসেন কিংবদন্তীর ঢাকা নামের বইয়ে (পাতা ৭৪, ২ সংস্করণ ১৯৮১) লিখছেন যে কেউ কয় আরমানীটোলা লঙ্গরখানা মসজিদের কাছে তার কবর।

শাহবাজপুরের জমিদারিটা আছিল সারতাজ বিবির নামে। এই সারতাজ বিবি মনে হয় আবু সাইদের বিবি।

বেভেরিজ (The District of Bakarganj: Its History and Statistics, Bengali translation by Sikdar Abul Bashar, page 128-129) লিখছে আবু সাইদ আছিলেন একজন ফকির আর উনি দখিণ শাহবাজপুর পরগণা উনার বিবি সারতাজ বিবির নামে কিনছিলেন। হয়তবা কিনতে বাধ্য হইছিলেন। যট্টুকু বুঝা যায় আবু সাইদ একজন ইরানী তাজির ও সওদাগর আছিলেন। দখিণ শাহবাজপুরে উনার কারবার আছিল। সম্ভবত লবনের। জাহাজেরও থাকতে পারে।

১৭৫৯ সালে দখিণ শাহবাজপুর “ভাসানুল্লাহ” নামে একলোকের তাঁবে আছিল। তার সুবাদে আর কিছু জানা যায় না। মনে হয় নামটাও বিকার করা হইছে।

ইংরেজরা মীর জাফরকে চাটগার ফৌজদার আগা নিজামকে সরানের লাই লাগাতার চাপ দিতে আছিল। ১৭৬০ সালের আগস্ট-অক্টোবর মীর জাফর আগা নিজামকে সরাইয়া মীর মুহাম্মদ রেজা খানকে চাটগার ফৌজদার বানায়। পলাশীর পরে এই রেজা খান চাকরি ছাইড়া ঢাকাতে আছিল। মীর কাসেম ওকে ইংরেজগো নজরে আনে। ১৭৬১ সালের জানুয়ারী ৫ হ্যারি ভেরেল্স্ট চাটগার চীফ হিসাবে মীর মুহাম্মদ রেজা খানের কাছ থিকা দায়িত্ব নেয়। গোকুল ঘোষাল ভেরেল্স্টের বাণিয়া ও দেওয়ান হিসাবে আহে। মরার কলে ও ঢাকা ও চাটগায় ১৩টা জমিদারি রাইখা যায়।

কি দিয়া কি হইতেছে হালের বুদ্ধিজীবীগো মত ওইকালে দেশের লোক বুঝে নাই। হাতেগুণা যারা বুঝছে তাগোও ইতিহাস রাখা হয় নাই।

ড: এ এম এম শরফুদ্দীনের তরজমা করা তায়েশের তাওরারিখে ঢাকার শুরুতে (গ্রন্থ প্রসঙ্গে, পাতা এগারো, ২য় মূদ্রণ, ২০১০) আছে মীর্জা গোলাম পীর আবু সাইদের এক ছেলে। কথাটা মনে হয় ভুল। তারপর আছে গোলাম পীরের ছেলে মীর্জা মুহাম্মদ ও মীর্জা মুহাম্মদের ছেলে মীর্জা আহমদ। এই মীর্জা আহমদ তায়েশের কালের। ইনি মীর্জা আহমদ জান না। কিন্তু ১২০ পাতায় তায়েশের অনুবাদে লিখছেন গোলাম পীর আবু সাইদের এক দৌহিত্র আছিলেন।

আর্মেনিয়ান খাজা মাইকেল ও Kaworks কে দখিণ শাহবাজপুরে লবনের কারবারে ঢুকায় রিচার্ড বারওয়েল (Barwell) যে ১৭৭৪ সালের দিকে ঢাকার চীফ আছিল। এই লোকটার মেলা বদনাম আছিল ওইকালেরও হারামী পরিবেশে। পরিবেশের নজির পিট। ও একি সাথে অ্যাটর্নি অ্যাট ল ও ডেপুটি শেরিফ আছিল। বারওয়েলের নিজেরও লবনের কারবার আছিল।

তাই ভাবা যায় আর্মেনিয়ানরা মীর্জা আহমদ জানের সম্পত্তি দখল করতে আছিল। আর এমতেই আবু সাইদ মহল্লার বিরাট ভাগ হারাইয়া যায় ও আর্মানিতোলার পত্তন হয়। এইটা নোংড়াভাবেই করা হইছে যার ছবি দেখা যায় মীর্জা আহমদ জান ও মীর আবু সাইদ সুবাদে willy-nilly বয়ানে। যেমতে আবু সাইদকে একজন সফল তাজির না কইয়া শুধু ফকির কওয়া, ইতিহাস ঘোলা করা, মীর্জা আহমদ জানের পরচা ভেজাল করা ও ইতিহাস এমতে লিখা যাতে ভবিষ্যতের লেখকরা সহজেই ভুল করে।

আগেই কইছি গোলাম পীর ও মীর্জা আহমদ জানের একলোক হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। গোলাম পীর মীর্জা আহমদ জানের মেয়ের জামাই হইতে পারে। তাতে নামের ধরনের তফাৎও মিলে, কালটাও মিলে।

0 new messages