২১ জুন ২০১৯, জামাতের কারগুজারী
জুমার আগে জামাত জিয়া হল এর মসজিদে উঠে। জুমার নামাযের পর থেকেই আত্র হল ছাড়াও অন্যান্য হলের ছাত্র ভাইদের আনাগোনা শুরু হয়। আছরের আগ পর্যন্ত ছাত্রদের বিভিন্ন প্রশ্নবাণ থাকলেও আচরণে উগ্রতা ছিল না। একপর্যায়ে তারা জিজ্ঞাসা করে,
★ আপনারা কাদের সাথে জুড়বেন? উত্তরে জামাতের সাথীরা জানিয়ে দেয় যে, এতয়াদীদের সাথে জুড়ার কোন প্রশ্নই নেই। আমরা ওলামায়ে কেরামের সাথে আছি।
★ আপনারা থাকলে আমাদের উপর চাপ আসবে! জামাতের সাথি জিজ্ঞাসা করে, কারা চাপ দিবে? উত্তরে ছাত্র ভাই জানায় যে, যেসব শিক্ষক ওলামা হযরতদের সাথে আছেন, তিনি।
আছরের নামাযের ঠিল আগ মুহুর্তে আসাদ সহ বেশকিছু সাথীরা এসে জামাতের জিম্মাদার ভাইকে জানিয়ে দেয় যে,
“বিনাশর্তে আপনাদেরকে এখান থেকে চলে যেতে হবে”।
জামাতের জিম্মাদার কথাবার্তা বলতে থাকলে একপর্যায়ে ছাত্র ভাই আসাদ বেশ উত্তপ্ত হয়ে যায় এবং উগ্র আচরণ করতে থাকে। অন্যান্যরা নরমাল থাকলে সে এলাকার স্থানীয় একথা বলতে থাকে।
মাগরীবের নাযের আগে পরে সংখ্যাধিক সাথীর সমাবেশ চলতে থাকে।
রাতের বেলা ভার্সিটির সিকিউরিটির এক ভাই এসে নিরাপত্তা জনিত কারণ দেখিয়ে বলেন যে, “আমরা আপনাদের এখানে থাকা নিরাপদ মনে করছি না। আপনাদেরকে সেন্ট্রাল মসজিদে নিয়ে যেতে চাই এবং রাতে আমরা আপনাদেরকে পাহারা দিব। আপনাদের উপর হামলার আশংকা করছি। আমাদের জিম্মাদারিতে আপনারা থাকবেন”।
সারা রাত ৩ জন সিকিউরিটি ভাই জামাতের পাহারায় থাকেন।
২২জুন ২০১৯ সকাল ১০টার দিকে জানানো হয় যে, প্রশাসন থেকে ভিসি এবং প্রক্টর জানিয়েছেন, আপনারা ক্যাম্পাসে থাকতে পারবেন না। জামাত পরবর্তী রোখে চলে যায়।
উল্লেখ্যঃ
ভার্সিটিতে এতয়াদী এবং ওলামাদের অনুসারী সাথীরা পৃথকভাবে মেহনত করে থাকে। জামাতকে মসজিদ থেকে বের করার জন্য যারা এসেছিল এদের সবাই ওলামায়ে কেরামের সাথে থাকার দাবীদার। অধিকাংশ ছাত্রদের দাবী যে, তারা ওলামা হযরতদের সাথে আছেন।
#SaveTabligh