মসজিদ থেকে জামাতকে বের করে বিরুদ্ধে হযরত মাওলানা যায়দ মাযাহেরি সাহেব (দা.বা.)-এর ফতোয়াকে যখন প্রচার করা হল, তখন আমাদের কিছু ভাই এই 'যুক্তি'তে উনার ফতোয়াকে বাংলাদেশের জন্য 'অপ্রযোজ্য'(!) বলে প্রত্যাখ্যান করতে থাকলেন যে,
(১) মাওলানা যায়দ মাযাহেরি সাহেব ভারতের লোক।
(২) উনি বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে পুরোপুরি অবগত নন।
এরপর যখন একই নির্দেশনা সম্বলিত দারুল উলূম দেওবন্দের ফতোয়া প্রচার করা হল, তখন সেই ভাইয়েরা 'যুক্তি' দিতে থাকলেন যে,
(৩) দারুল উলূম দেওবন্দের ২০১৭ সালের এই ফতোয়া ২০১৯ সালে 'অচল'।
(৪) টঙ্গী ময়দানের ১লা ডিসেম্বরের রক্তাক্ত ঘটনার পর থেকে এই ফতোয়া 'বাতিল' হয়ে গেছে।
সর্বশেষ, একই নির্দেশনা সম্বলিত হযরত মাওলানা আবদুল মালেক সাহেব (দা.বা.)-এর বক্তব্যকে প্রচার করা হয়। কিন্তু উনার এই নির্দেশনার ব্যাপারে উপরে উল্লিখিত ৪টি 'অজুহাত' দেখানোর কোন সুযোগ নেই, কারণ-
(ক) মাওলানা আবদুল মালেক সাহেব বাংলাদেশের নাগরিক।
(খ) উনি বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে পুরোপুরিভাবে অবগত। (বাংলাদেশের ওয়াজাহাতি জোড়গুলোতে উনি বক্তব্য পেশ করে থাকেন। এগুলোর বাইরেও উনি ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন জায়গায় ছুটে বেড়াচ্ছেন, এবং চলমান সংকট সম্পর্কে বিভিন্ন মজমায় মোযাকারা করছেন।)
(গ) উনার সেই বক্তব্যটি ২০১৯ সালে দেয়া। তাও বাংলাদেশে (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে) বসেই।
(ঘ) আর বক্তব্যটি টঙ্গীর রক্তাক্ত ঘটনার প্রায় ৪ মাস পর (৩১শে মার্চ ২০১৯) প্রদান করা হয়েছে।
এখন, মসজিদ থেকে মুসলমানকে বের করে দেয়ার বিরুদ্ধে এতোগুলো নির্দেশনা সম্পর্কে জানার পর যেই ভাইয়েরা এ ধরণের কাজে লিপ্ত, তাদের সবাই যে খুব সহজেই এই নির্দেশনাকে মেনে নিবেন -ব্যাপারটা এরকম নাও হতে পারে (আল্লাহ না করুক)। তারা হয়তোবা আরো 'অজুহাত' দেখাবেন। এ ব্যাপারে তারা নিজে থেকে আর কোন 'অজুহাত' খুঁজে না পেলে, উলামাদের উপরোক্ত নির্দেশনাগুলোকে যারা গোপন করে রেখেছিলেন তারা এই ভাইদেরকে সেই 'অজুহাত' শিখিয়ে দিবেন।
তবে আশা করা যায়, যারা সৎ, যারা দ্বীনকে সামনে নিয়ে চলতে চান, তারা উলামায়ে কেরামের উপরোক্ত নির্দেশনাগুলো থেকে ফায়দা পাবেন।
#SaveTabligh