২ টি জামাত পুরান ঢাকায় মেহনত করে।
জামাত নং-১
জামাত ২ টি মসজিদে মেহনত করে।
(১) লালবাগ শাহী মসজিদ, লালবাগ পুরান ঢাকা।
মাগরিবের সময় জামাত মসজিদে উঠে। নামাযের আগেই জামাতের ব্যপারে আলোচনা হতে থাকে। নামাযের পর মহল্লার ২৫-৩০ জন সাথী একসাথে মসজিদের ভিতরে জামাতের সাথীদের বেধড়ক পেটাতে থাকে। জামাতের সাথীদের গলার ঘেটি ধরে, কিল-ঘুষি দিয়ে ধাক্কাতে ধাক্কাতে মসজিদের বাহিরে নিয়ে আসে। জিম্মাদারকে সিড়ি থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। অন্যান্য অনেক সাথী এসব দেখে হাসতে থাকে। জামাতের সামানাপত্র মসজিদ থেকে ছুঁড়ে বাহিরে ফেলে দেয়। মহল্লার সাথিদের কিছু কথা-বার্তাঃ
★ তোরা মুসলমান না। মুসলমানদের আখলাক এরকম হয় না।
★ টংগী ময়দানে তোরাই আলেমদের মেরেছিস।
★ খোদার ক্বসম, আবার এখনে জামাতে আসলে কেউ পা নিয়ে ফিরে যেতে পারবি না।
★ এতয়াদীদের জামাত থাকতে পারে না, তোদের জামাতও থাকতে পারবে না।
★ তোদের স্যার তো চোর।
বিঃদ্রঃ
★ মহল্লার এসব সাথীদের এমন ভাব ছিল যে, তারা আলিমদের সাথে আছে।
★ ইমাম সাহেব পরবর্তীতে দুঃখ ভারাক্রান্ত কণ্ঠে বলেন; এভাবে কখনো জামাতকে মসজিদ থেকে বের করে কি?
(২) আশরাফ মিস্কিন জামে মসজিদ, লালবাগ।
ঈশার নামাযের আগে জামাত মসজিদে উঠে। নামাযের পর কিছু মাস্তান টাইপের যুবকদের ডেকে আনা হয়। তারা জামাতকে মাসজিদ বকা ঝকা এবং ধাক্কাতে থাকে। ইমাম সাহেব আসার পর তারা থেমে গেলেও জামাতকে মসজিদ থেকে বের করে দেয়।
পরবর্তীতে ইমামা সাহেব বলেন; জামাত চলতে গেলে একটা সিস্টেম এর মাঝে চলতে হয়।
জামাত নং-২
জিন্দা বাহার জামে মসজিদ, নয়া বাজার, পুরান ঢাকা।
জামাত মসজিদে উঠার আগেই অন্য একটি জামাত মসজিদে ছিল। মহল্লার সাথীরা জামাতকে জানান যে, আপনারা পরামর্শ করুন। এরপর জামাত ফায়সালা করে যে, তারা মসজিদে থাকবে। আজ সকালে জামাত অন্য মসজিদে চলে যায়।
উল্লেখ্য যে, অত্র মসজিদ তথাকথিত এতয়াদীদের নিয়ন্ত্রণে আছে। পূর্বের ন্যায় জামাত মসজিদ থেকে বের করার জন্য তারা কোন ফিকির করে নি।
মন্তব্যঃ ভয়াবহ রূপধারণকারী এসব ভাইয়েরা কতটুকু ওলামা হযরতদের তত্বাবধানে আছে বিরাট প্রশ্ন জাগে? এসব সাথী আগেও ওয়াসিফুল ইসলাম এর নীতগ কাজ করেছে এখনও করছে! মসজিদ থেকে দ্বীনের জামাত বের করে দেয়া ওলামায়ে কেরামের ফায়সালা নয়। সাথীদের এখনো অশুদ্ধ চেতনায় ধাবিত করা হচ্ছে। এই চেতনাকে শুদ্ধতার দিকে ধাবিত করার জিম্মাদারি কার?
“ মহাসংকট এ বাংলাদেশ তাবলীগ জামাত”
#SaveTabligh