(পর্ব-২) দারুল উলূম দেওবন্দের একটি ফতোয়া এবং প্রাসঙ্গিক কিছু কথা
13 views
Skip to first unread message
Saad Bin Jubaer
unread,
Jun 18, 2019, 8:13:23 AM6/18/19
Reply to author
Sign in to reply to author
Forward
Sign in to forward
Delete
You do not have permission to delete messages in this group
Copy link
Report message
Show original message
Either email addresses are anonymous for this group or you need the view member email addresses permission to view the original message
to Save Kakrail
মসজিদ থেকে জামাতকে বের করে দেয়ার বিরোধিতা করে দারুল উলূম দেওবন্দের দেয়া সেই ফতোয়াকে যারা 'বাতিল' ও 'অচল' বলে প্রত্যাখ্যান করেন, তাদের অনেক অজুহাতের মধ্যে এই অজুহাত থাকে যে, ভারতের কথিত 'এতাআতি' সাথীরা বাংলাদেশের 'এতাআতি' সাথীদের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম ভয়াবহ ও কম 'সন্ত্রাসী' বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। মানে তারা বলতে চান যে, দেওবন্দের সেই ফতোয়াটি শুধুমাত্র (অপেক্ষাকৃত কম উগ্র) ভারতের 'এতাআতি' সাথীদের জন্য প্রযোজ্য; বাংলাদেশের 'এতাআতি' সাথীদের জন্য নয়। বাংলাদেশের জন্য এই ফতোয়াকে তারা 'বাতিল' ও 'অচল' বলে মনে করেন।
আসলেই কি ভারতের কথিত 'এতাআতি' সাথীরা অপেক্ষাকৃত কম 'সন্ত্রাসী' বৈশিষ্ট্যের অধিকারী? ফিরে দেখা যাক, ৩ বছর পেছনের দিকে। ২০১৬ সালের রমজানের (১৯শে জুন) নিজামুদ্দিন মারকাজের সেই রক্তাক্ত ঘটনা! যেদিন ইফতারের পর ওখানকার কথিত 'এতাআতি' সাথীরা দেশি-বিদেশি মেহমানদের সামনেই মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা সাহেব ও মাওলানা আহমাদ লাট সাহেব পন্থী উলামা ও সাথীদের ওপর বেধড়ক মারধর চালায় (http://bit.ly/2XRS9Hu)। মুরুব্বীদের কামরাগুলোতেও চালানো ব্যাপক তান্ডব। বহু সাথী ও উলামা সেদিন মারাত্মকভাবে আহত হতে হাসপাতালে ভর্তি হন; অনেকে ভর্তি হন হাসপাতালের ICU-তে। সেদিনের এই ভয়াবহ ঘটনার পর থেকেই মুরুব্বীরা আর মারকাজে ফিরে আসেননি। নিজামুদ্দিন মারকাজের রক্তাক্ত এই ঘটনা হয়তোবা টঙ্গী ময়দানের ১লা ডিসেম্বরের ঘটনার সমপরিমাণ ভয়াবহ নয়, তবে ঘটনাটি কি খুব হালকা করে দেখার মত কোন ঘটনা?
মারকাজের সেই ঘটনা ছাড়াও ভারতের বিভিন্ন এলাকায় মাওলানা সা'দ সাহেবের অনুসারী সাথীদের দ্বারা মাওলানা ইবরাহীম দেওলা সাহেব পন্থী সাথীদের জামাতকে মসজিদ থেকে বের করে দেয়ার ঘটনা বাংলাদেশের মতই অহরহ ঘটছে। এমনকি হযরতজী মাওলানা ইনামুল হাসান সাহেব রহ.-এর নাতী মাওলানা শোয়ায়েব উল হাসান সাহেব (দা.বা.)-এর জামাতকেও তারা মসজিদ থেকে বের করে দেয় (http://bit.ly/2RjYAk8)। এর দ্বারাও কি তাদের ভয়াবহ চেহারা প্রকাশ পায় না?
এছাড়া, বাংলাদেশের তাবলীগের মারকাজ কাকরাইল দুই পক্ষের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হলেও, ভারতের অবস্থা আরও খারাপ। দিল্লীর নিজামুদ্দিন মারকাজ এককভাবে মাওলানা সা'দ সাহেবের নিয়ন্ত্রণে। এমনকি প্রশাসনিকভাবেও তারা যথেষ্ট ক্ষমতাধর।
দারুল উলূম দেওবন্দ এই সাথীদের ভয়াবহ অবস্থা সম্পর্কে পুরোপুরি অবগত; সেই সাথে বাংলাদেশ সম্পর্কেও। অবগত আছেন দ্বীনের আহমাক সম্পর্কেও। প্রাসঙ্গিক সমস্ত হালত সম্পর্কে অবগত হয়েই উনারা মসজিদ থেকে জামাতকে বের করে দেয়ার বিরুদ্ধে ফতোয়া দিয়েছেন।