(পর্ব-১) দারুল উলূম দেওবন্দের একটি ফতোয়া এবং প্রাসঙ্গিক কিছু কথা

19 views
Skip to first unread message

Saad Bin Jubaer

unread,
Jun 18, 2019, 8:12:23 AM6/18/19
to Save Kakrail
২০১৫ সাল থেকে কাকরাইলের পর্চা ছাড়া জামাত চলা শুরু হয়। পর্চা না থাকার অজুহাত দেখিয়ে তখন থেকেই বিভিন্ন মহল্লার 'ওয়াসিফ মতাদর্শী' সাথীরা এই জামাতের ওপর মসজিদে মসজিদে নির্মম সন্ত্রাসী আক্রমণ চালিয়ে মসজিদ থেকে বের করে দিতে থাকে।

মসজিদ থেকে বের করে দেয়ার ঘটনা তখন ব্যাপক আকার ধারণ করা শুরু করলে সেই বছরই (২০১৫ সালে) দারুল উলূম দেওবন্দের কাছে এ ব্যাপারে ফতোয়া চাওয়া হয়। ফতোয়া চাওয়ার প্রেক্ষিতে ঐ সময় দারুল উলূম দেওবন্দের পক্ষ থেকে অনেকটা 'নিরুপায়'-এর সুরে মৌখিকভাবে জানানো হয় যে, "মসজিদ থেকে বের করে দেয়ার বিরুদ্ধে ফতোয়া দিলেও যারা বের করে দিচ্ছে তারা এই ফতোয়াকে মানতে পারবে না। বরং, এখন তারা মসজিদ থেকে বের করে দেয়ার অপরাধে অপরাধী হচ্ছে, আর ফতোয়া দেয়ার পর সেটা না মানলে ফতোয়া না মানার অপরাধে শামিল হবে"।

যদিও, পরবর্তীতে সংকটের ব্যাপকতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে মাওলানা সা'দ সাহেব সংক্রান্ত ইস্যূ শুরু হবার পর ২০১৭ সালের দিকে দারুল উলূম দেওবন্দ বাধ্য হয়েই মসজিদ থেকে জামাত বের করে দেয়াকে 'সহীহ নয়' বলে আখ্যায়িত করে ফতোয়া দেয়। এমনকি কোন জামাত যদি সা'দ সাহেবের নিজামুদ্দিন মারকাজের অনুসারী হয় তাদেরকেও বের করে দেয়াকে 'সহীহ নয়' বলে ফতোয়া দেয়।

দারুল উলূম দেওবন্দের সেই আশংকাই আজ সত্যি হল। দারুল উলূম দেওবন্দের তাবলীগ সংক্রান্ত অন্য সব ফতোয়াকে বাংলাদেশে মানা হলেও, উল্লিখিত ফতোয়াকে অনেকে 'বাতিল' ও 'অচল' বলে মনে করে। দেওবন্দের তরফ থেকে তাবলীগ সংক্রান্ত এ পর্যন্ত যতগুলো নির্দেশনা বেরিয়েছে, তার সবগুলোই ব্যাপকভাবে প্রচার পেয়েছে, এবং সেগুলো সম্পর্কে আমরা সবাই-ই বেশ ভালভাবে অবগত, কিন্তু মসজিদ থেকে বের করে দেয়া সংক্রান্ত নির্দেশনা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না।

আর যখন এই ফতোয়াকে প্রচার করা হয়, তখন কেউ কেউ এটাকে বাংলাদেশের জন্য ও ২০১৯ সালের জন্য 'বাতিল' ও 'অচল' বলে প্রত্যাখ্যান করেন। যারা 'পরিবর্তিত হালতের' দোহাই দিয়ে এই ফতোয়াকে ২০১৯ সালের জন্য 'অচল' মনে করে প্রত্যাখ্যান করছেন, তারা সেই ২০১৭ সালেও এই ফতোয়াকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

চলবে...

#SaveTabligh  
Reply all
Reply to author
Forward
0 new messages