আক্বীদাগত ভিন্নতার অজুহাত দেখিয়ে বাংলাদেশের অনেকে দারুল উলূম দেওবন্দের সেই ফতোয়াকে 'বাতিল' ও 'অচল' বলে প্রত্যাখ্যান করেন। তারা মনে করেন থাকেন যে, বাংলাদেশের কথিত 'এতাআতি' সাথীদের মত ভারতের 'এতাআতি' সাথীদের আক্বীদাগত অশুদ্ধতা অতোটা ভয়াবহ নয়। তাই, মসজিদ থেকে জামাতকে বের করে দেয়ার বিরুদ্ধে দারুল উলূম দেওবন্দের সেই ফতোয়াকে তারা বাংলাদেশের জন্য 'অপ্রযোজ্য' বলে মনে করেন।
এতোগুলো বছর দৌড়ঝাঁপ ও খুটিনাটি ঘাটাঘাটি করে শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে একের পর এক 'ওয়াজাহাতনামা' প্রকাশকারী দারুল উলূম দেওবন্দ নিশ্চয় এই আক্বীদাগত বিষয় সম্পর্কে 'কম অবগত' নয়! আর যাকে কেন্দ্র করে এতো আক্বীদাগত বিষয় আলোচিত হচ্ছে, তার বাংলাদেশের অনুসারীদের চেয়ে কি তার নিজ দেশের অনুসারীরা আক্বীদাগত দিক দিয়ে অপেক্ষাকৃত 'শুদ্ধ' অবস্থানে আছে? দারুল উলূম দেওবন্দ কি এসব কিছু বিস্তারিত না জেনেই ফতোয়া দিয়েছে?
দারুল উলূম দেওবন্দ সবকিছু সম্পর্কে অবগত হয়েই মসজিদ থেকে জামাতকে বের করে দেয়ার বিরুদ্ধে ফতোয়া দিয়েছে। দারুল উলূম দেওবন্দ তাদের ফতোয়াতে দ্বীনের সার্বজনীন একটি আহকামকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। আর কতটুকু সীমা এই আহকামের আওতাধীন, সেটাও জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে।
এতোকিছুর পরেও কেন বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে দারুল উলূম দেওবন্দের এই ফতোয়াকে বাংলাদেশে আড়াল করে রাখা হচ্ছে?
(সমাপ্ত)
#SaveTabligh