চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষ

94 views
Skip to first unread message

Raza Mia

unread,
Mar 27, 2022, 12:28:42 PM3/27/22
to

চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষ


Pinaki Bhattacharya - পিনাকী ভট্টাচার্য


Inline image
ছবিতে চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষে লঙ্গরখানার সামনে নিরন্ন ক্ষুধার্ত অসহায় মানুষের দীর্ঘ সারি। ছবিটা তুলেছিলেন ফরাসি ফটোগ্রাফার মিশেল লোহ্যা

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগারগাওয়ে একনেকের এক মিটিংয়ে ভারচুয়ালি গিয়ে দেশবাসিকে বিরাট এক রাজনৈতিক গল্প শুনিয়েছেন।

তিনি “সব প্রকার ষড়যন্ত্র সম্পর্কে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, মানুষের জীবন-মান উন্নত হলে, তারা ভালো থাকলেই একটা আঘাত আসার আশংকা সৃষ্টি হয়”।

আরও বলেন যে, “যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন করে শেখ মুজিব যখন দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখনই দেশে ১৫ আগস্টের বিয়োগান্তক অধ্যায় সংঘটিত হয়”।

তাজ্জব কথাই বটে। আজকের তরুণ সম্প্রদায়ের মনে হতে পারে যে ১৯৭২-১৯৭৫ সালে নিশ্চয়ই হাতিশালে হাতি ঘোড়াশালে ঘোড়া পুকুর ভরা মাছ আর গোলাভরা ধান ছিলো। মনে হতেই পারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আমলে বোধ হয় দেশ সমৃদ্ধির পথে এগুচ্ছিলো।

বঙ্গবন্ধুশেখ মুজিবের আমলে ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ হলো স্মরণকালের সবচেয়ে বড় দুর্ভিক্ষ। সরকারী হিসেব অনুসারেই সেই দুর্ভিক্ষে ২৭,০০০ মানুষ অনাহারে মৃত্যুবরণ করে। বেসরকারি হিসেবে অনুমানিক ১,০০,০০০ থেকে ৪,৫০,০০০ জন প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে মৃত্যুবরণ করে। সারা দুনিয়া জানে বাংলাদেশ কী মাজুল অবস্থায় ছিলো। সেই দুর্ভিক্ষ নিয়ে গবেষণা করে অমর্ত্য সেন নোবেল প্রাইজ পর্যন্ত পেলো।

’৭২ থেকে ’৭৫, স্বাধীন দেশের প্রথম তিন-চারটি বছর, শুধু যে আইনশৃঙ্খলার ভয়াবহ এবং ভয়ঙ্কর রকম অবনতিশীল অবস্থা বিরাজ করছিল তা নয়, সর্বব্যাপী অনিয়ম আর নৈরাজ্য তখন জাতীয় অস্তিত্বকে গ্রাস করতে উদ্যত। আর এসব নেতিবাচক সমস্ত ধারা ও সূচকের পেছনে কুশীলব ক্ষমতাসীন দল ও মহল, তাদের আশীর্বাদপুষ্ট ব্যক্তি ও গোষ্ঠী এবং তাদেরই দেশি-বিদেশি রক্ষক ও পৃষ্ঠপোষক। জাতীয় অর্থনীতির অভাবনীয় মাত্রার অব্যাহত সংকট ও দুর্দশা জাতির দেহের মেদ-মাংস সাবাড় করার পর এর অস্থিমজ্জা শুষে নিচ্ছিল। নগরকেন্দ্রিক মধ্যবিত্ত সমাজে তখন ত্রাহি! ত্রাহি!! রব। কিন্তু পল্লী-প্রধান বাঙলার দূর আর প্রত্যন্ত পল্লীজীবনের খবর কতটুকুই-বা এসে পৌঁছতো সেদিনের গণমাধ্যম অর্থাৎ, সংবাদপত্রের কাছে। সংকট-দুর্দশার বিরুদ্ধে নগরজীবনে দাবি উত্থাপন আর প্রতিবাদ জ্ঞাপনের যে আচার-সংস্কৃতি, সেদিনের অতি পশ্চাদ্পদ গ্রামীণ জীবনে তা ছিল অনুপস্থিত। খাদ্য সংকটে সারা দেশে মানুষ যখন দুর্ভিক্ষের শিকার, হাজার হাজার কঙ্কালসার আদম সন্তান যখন পথের ধুলায় ধুঁকে মরছে, নিরন্ন-অনাহারী পল্লীবাসীর ঢল যখন বয়ে চলেছে শহর-নগর অভিমুখে, তখন তাদের বস্ত্র সংকটের বিষয় পেছনে পড়ে গিয়েছিল নিশ্চয়ই। উত্তরবঙ্গে পল্লীর বস্ত্র সংকটে জর্জরিত শত শত অর্ধ-উলঙ্গ নারী শহরে এসে প্রশাসনের দপ্তর ঘেরাও করেছিল। রংপুরের বন্যকবলিত জনপদে লজ্জা নিবারণের জন্য ‘বাসন্তী’ ও ‘দুর্গা’ নামে দুই যুবতী নারীর দেহে মাছ ধরার শতচ্ছিন্ন জাল জড়ানোর ছবি তখনকার প্রধানতম জাতীয় সংবাদপত্র ‘দৈনিক ইত্তেফাক’-এর প্রথম পাতায় ছাপা হয়েছিল। মানুষ উদগ্র ক্ষুধা নিরারণ করতে কচু, কলার থোড় সিদ্ধ করে খেতো। টাকার জন্য নারীরা দেহ শুধু নয় কোলের সন্তানকেও বিক্রি করে দিতো। ঢাকার পথে পথে পড়ে থাকতো নিরন্ন মানুষের কল্কালসার মৃতদেহ। এই চুয়াত্তরেই দুর্ভিক্ষের বদৌলতে ফুলে ফেপে ওঠে আওয়ামী লীগের নেতারা। দেশের জিডিপি গিয়ে ঠেকে স্মরণকালের সর্বোচ্চ মাত্রায়। অবিশ্বাস্যই বটে।

কিন্তু রাষ্ট্রযন্ত্রের অধিকর্তারা এতসবের পেছনে নিজেদের দায় স্বীকার করে নিতে চাননি। কবিরা উচ্চারণ করেছিলেন, ভাত দে হারামজাদা নইলে মানচিত্র খাবো। দেশের স্বাধীনতা ক্ষুধার কাছে তুচ্ছ হয়ে গিয়েছিলো।

আরেক চোখে দেখলে এতাই ছিল তাজউদ্দিনের “সমাজতন্ত্রের” ঠেলা। ফলে শেখ মুজিবের পক্ষে আর তার হাতে অর্থ, পাট ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় রাখতে পারেননি। পরে তিনি ক্ষমতা কেন্দ্রীভুত করে বাকশাল কায়েম করেছিলেন ।

তাহলে হাসিনা যেটাকে দেশের সমৃদ্ধি আসলেই এরপরে আগষ্টের “আঘাত আসার আশংকা সৃষ্টি” বলছেন তাতে পচাত্তরের আঘাত আসার আগে দুর্ভিক্ষের বাংলাদেশে কোন সমৃদ্ধি দেখতে পেলেন? দিবাস্বপ্নও তো এখন খারাপ হয় না!

আর আজকে সেই সময়কে শেখ হাসিনা সামনের দিকে দেশকে এগিয়ে নেয়া বলছে। আশ্চর্য কথাই বটে।

ছবিতে চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষে লঙ্গরখানার সামনে নিরন্ন ক্ষুধার্ত অসহায় মানুষের দীর্ঘ সারি। ছবিটা তুলেছিলেন ফরাসি ফটোগ্রাফার মিশেল লোহ্যা। চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষের উপরে বিদেশী সংবাদ মাধ্যমের ডকুমেন্টারিও আছে, ইউ টিউবে পাবেন।


zainul abedin

unread,
Mar 27, 2022, 1:00:50 PM3/27/22
to 'Raza Mia' via PFC-Friends
Assalamu-Alaikum, and thanks for sharing.


মুজিবের আমলে ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ হলো স্মরণকালের সবচেয়ে বড় দুর্ভিক্ষ। সেই দুর্ভিক্ষ নিয়ে গবেষণা করে অমর্ত্য সেন নোবেল প্রাইজ পর্যন্ত পেলো।

May also see, these starving poor people even did not have clay-plates. 

Along with that, we also need to understand how western-imposed wars have been killing people for centuries.

“Body Count. Global avoidable mortality since 1950”: Ukraine War & US Killing By War & Sanctions in World — by Dr Gideon Polya — 26/03/2022. countercurrents.org

 

The Western world rightly deplores the war criminal Russian invasion of Ukraine but  simultaneously ignores the horrendous impact of (a) bloody US invasions of 52 countries since WW2,  and (b) the  US application of deadly sanctions against numerous countries. The most shocking victims today of this US-imposed mass murder are starving Afghanistan and starving Yemen, but the Developing World faces famine from wheat price rises from the US-provoked Ukraine War.



Zainul Abedin
On Sunday, March 27, 2022, 11:28:46 AM CDT, 'Raza Mia' via PFC-Friends <pfc-f...@googlegroups.com> wrote:


চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষ


Pinaki Bhattacharya - পিনাকী ভট্টাচার্য


Inline image
ছবিতে চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষে লঙ্গরখানার সামনে নিরন্ন ক্ষুধার্ত অসহায় মানুষের দীর্ঘ সারি। ছবিটা তুলেছিলেন ফরাসি ফটোগ্রাফার মিশেল লোহ্যা

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগারগাওয়ে একনেকের এক মিটিংয়ে ভারচুয়ালি গিয়ে দেশবাসিকে বিরাট এক রাজনৈতিক গল্প শুনিয়েছেন।

তিনি “সব প্রকার ষড়যন্ত্র সম্পর্কে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, মানুষের জীবন-মান উন্নত হলে, তারা ভালো থাকলেই একটা আঘাত আসার আশংকা সৃষ্টি হয়”।

আরও বলেন যে, “যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন করে শেখ মুজিব যখন দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখনই দেশে ১৫ আগস্টের বিয়োগান্তক অধ্যায় সংঘটিত হয়”।

তাজ্জব কথাই বটে। আজকের তরুণ সম্প্রদায়ের মনে হতে পারে যে ১৯৭২-১৯৭৫ সালে নিশ্চয়ই হাতিশালে হাতি ঘোড়াশালে ঘোড়া পুকুর ভরা মাছ আর গোলাভরা ধান ছিলো। মনে হতেই পারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আমলে বোধ হয় দেশ সমৃদ্ধির পথে এগুচ্ছিলো।

বঙ্গবন্ধুশেখ মুজিবের আমলে ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ হলো স্মরণকালের সবচেয়ে বড় দুর্ভিক্ষ। সরকারী হিসেব অনুসারেই সেই দুর্ভিক্ষে ২৭,০০০ মানুষ অনাহারে মৃত্যুবরণ করে। বেসরকারি হিসেবে অনুমানিক ১,০০,০০০ থেকে ৪,৫০,০০০ জন প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে মৃত্যুবরণ করে। সারা দুনিয়া জানে বাংলাদেশ কী মাজুল অবস্থায় ছিলো। সেই দুর্ভিক্ষ নিয়ে গবেষণা করে অমর্ত্য সেন নোবেল প্রাইজ পর্যন্ত পেলো।

’৭২ থেকে ’৭৫, স্বাধীন দেশের প্রথম তিন-চারটি বছর, শুধু যে আইনশৃঙ্খলার ভয়াবহ এবং ভয়ঙ্কর রকম অবনতিশীল অবস্থা বিরাজ করছিল তা নয়, সর্বব্যাপী অনিয়ম আর নৈরাজ্য তখন জাতীয় অস্তিত্বকে গ্রাস করতে উদ্যত। আর এসব নেতিবাচক সমস্ত ধারা ও সূচকের পেছনে কুশীলব ক্ষমতাসীন দল ও মহল, তাদের আশীর্বাদপুষ্ট ব্যক্তি ও গোষ্ঠী এবং তাদেরই দেশি-বিদেশি রক্ষক ও পৃষ্ঠপোষক। জাতীয় অর্থনীতির অভাবনীয় মাত্রার অব্যাহত সংকট ও দুর্দশা জাতির দেহের মেদ-মাংস সাবাড় করার পর এর অস্থিমজ্জা শুষে নিচ্ছিল। নগরকেন্দ্রিক মধ্যবিত্ত সমাজে তখন ত্রাহি! ত্রাহি!! রব। কিন্তু পল্লী-প্রধান বাঙলার দূর আর প্রত্যন্ত পল্লীজীবনের খবর কতটুকুই-বা এসে পৌঁছতো সেদিনের গণমাধ্যম অর্থাৎ, সংবাদপত্রের কাছে। সংকট-দুর্দশার বিরুদ্ধে নগরজীবনে দাবি উত্থাপন আর প্রতিবাদ জ্ঞাপনের যে আচার-সংস্কৃতি, সেদিনের অতি পশ্চাদ্পদ গ্রামীণ জীবনে তা ছিল অনুপস্থিত। খাদ্য সংকটে সারা দেশে মানুষ যখন দুর্ভিক্ষের শিকার, হাজার হাজার কঙ্কালসার আদম সন্তান যখন পথের ধুলায় ধুঁকে মরছে, নিরন্ন-অনাহারী পল্লীবাসীর ঢল যখন বয়ে চলেছে শহর-নগর অভিমুখে, তখন তাদের বস্ত্র সংকটের বিষয় পেছনে পড়ে গিয়েছিল নিশ্চয়ই। উত্তরবঙ্গে পল্লীর বস্ত্র সংকটে জর্জরিত শত শত অর্ধ-উলঙ্গ নারী শহরে এসে প্রশাসনের দপ্তর ঘেরাও করেছিল। রংপুরের বন্যকবলিত জনপদে লজ্জা নিবারণের জন্য ‘বাসন্তী’ ও ‘দুর্গা’ নামে দুই যুবতী নারীর দেহে মাছ ধরার শতচ্ছিন্ন জাল জড়ানোর ছবি তখনকার প্রধানতম জাতীয় সংবাদপত্র ‘দৈনিক ইত্তেফাক’-এর প্রথম পাতায় ছাপা হয়েছিল। মানুষ উদগ্র ক্ষুধা নিরারণ করতে কচু, কলার থোড় সিদ্ধ করে খেতো। টাকার জন্য নারীরা দেহ শুধু নয় কোলের সন্তানকেও বিক্রি করে দিতো। ঢাকার পথে পথে পড়ে থাকতো নিরন্ন মানুষের কল্কালসার মৃতদেহ। এই চুয়াত্তরেই দুর্ভিক্ষের বদৌলতে ফুলে ফেপে ওঠে আওয়ামী লীগের নেতারা। দেশের জিডিপি গিয়ে ঠেকে স্মরণকালের সর্বোচ্চ মাত্রায়। অবিশ্বাস্যই বটে।

কিন্তু রাষ্ট্রযন্ত্রের অধিকর্তারা এতসবের পেছনে নিজেদের দায় স্বীকার করে নিতে চাননি। কবিরা উচ্চারণ করেছিলেন, ভাত দে হারামজাদা নইলে মানচিত্র খাবো। দেশের স্বাধীনতা ক্ষুধার কাছে তুচ্ছ হয়ে গিয়েছিলো।

আরেক চোখে দেখলে এতাই ছিল তাজউদ্দিনের “সমাজতন্ত্রের” ঠেলা। ফলে শেখ মুজিবের পক্ষে আর তার হাতে অর্থ, পাট ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় রাখতে পারেননি। পরে তিনি ক্ষমতা কেন্দ্রীভুত করে বাকশাল কায়েম করেছিলেন ।

তাহলে হাসিনা যেটাকে দেশের সমৃদ্ধি আসলেই এরপরে আগষ্টের “আঘাত আসার আশংকা সৃষ্টি” বলছেন তাতে পচাত্তরের আঘাত আসার আগে দুর্ভিক্ষের বাংলাদেশে কোন সমৃদ্ধি দেখতে পেলেন? দিবাস্বপ্নও তো এখন খারাপ হয় না!

আর আজকে সেই সময়কে শেখ হাসিনা সামনের দিকে দেশকে এগিয়ে নেয়া বলছে। আশ্চর্য কথাই বটে।

ছবিতে চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষে লঙ্গরখানার সামনে নিরন্ন ক্ষুধার্ত অসহায় মানুষের দীর্ঘ সারি। ছবিটা তুলেছিলেন ফরাসি ফটোগ্রাফার মিশেল লোহ্যা। চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষের উপরে বিদেশী সংবাদ মাধ্যমের ডকুমেন্টারিও আছে, ইউ টিউবে পাবেন।


--
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "PFC-Friends" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to pfc-friends...@googlegroups.com.
To view this discussion on the web visit https://groups.google.com/d/msgid/pfc-friends/1952125177.749220.1648398508406%40mail.yahoo.com.

RANU CHOWDHURY

unread,
Mar 27, 2022, 3:24:09 PM3/27/22
to 'Raza Mia' via PFC-Friends, na...@googlegroups.com, la-dis...@googlegroups.com
চুয়াত্তরে অনেক গল্প চুটকি ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। অধিকাংশ দেশের সার্বিক অবনতি ও দুর্ভিক্ষ নিয়ে। যারা তখন দেশে বাস করেছেন, তারা নিশ্চয়ই জানেন। একটা চুটকি নয়, সত্য গল্প বলছি।

চুয়াত্তরের মাঝামাঝি দিকে আমরা গোটা চারেক সেনা কর্মকর্তা (চট্টগাম থেকে) চাঁদপুর গিয়েছিলাম হপ্তাভর একটা কাজে। থাকতাম স্থানীয় সার্কিট হাউসে, থাকা খাবার ভাড়া চুকাতে হতো আমাদের। একদিন সন্ধ্যাবেলা স্থানীয় একজন সাংসদের আগমন। সান্ধ্য ভোজনের সময় তাই আমাদের কর্তা ব্যাক্তি (কর্নেল এস আর চৌধুরী) তাকে খাবার টেবিল আমন্ত্রণ জানালেন। এমন ভাবে রাজি হয়ে গেলেন যে কথা বাড়ালে হয়ত খানাটা হাতছাড়া হয়ে যায়। আর এমন ভাবে খাচ্ছিলেন মনে হল দু'চারদিন পেটে কিছু পড়েনি, অথচ বপুখানা মাশাআল্লাহ বেশ নাদুস নুদুস। খেতে খেতে বললেন। "আমাদের দেশে চালের দাম নিয়ে লোকে এত হইচই করছে, অথচ তারা জানে বিলাতে চালের দাম কত ? আমাদের চাইতে অনেকগুন বেশি।" যেহেতু তিনি খানায় মুগ্ন, আমাদের মুখ টিপা হাসি দেখেন নি।  

From: 'zainul abedin' via PFC-Friends <pfc-f...@googlegroups.com>
Sent: Sunday, March 27, 2022 10:00 AM
To: 'Raza Mia' via PFC-Friends <pfc-f...@googlegroups.com>
Subject: Re: {PFC-Friends} চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষ
 
Reply all
Reply to author
Forward
0 new messages