মদিনার মুনাফিক ও বাংলার মুনাফিক
ফিরোজ মাহবুব কামাল
www.drfirozmahboobkamal.com/blog/মদিনার-মুনাফিক-ও-বাংলার-ম/
মুনাফিকের পরিচয় এবং বাঙালি মুনাফিক
যে ভূমিতে গাছ জন্মায়, সে ভূমিতে আগাছাও জন্মায়। তেমনি যে দেশে মুসলিম থাকে, সে দেশে অবশ্যই মুনাফিক থাকে। তাই মুনাফিক যেমন নবীজী (সা:)’র আমলে মদিনার ভূমিতে ছিল, তেমনি বিপুল সংখ্যায় ছিল এবং আজও আছে বাংলার ভূমিতেও। মুসলিম মাত্রই মহান আল্লাহর তায়ালার সৈনিক; আল্লাহ তায়ালার এজেন্ডাকে বিজয়ী করাই তাদের এজেন্ডা। সে এজেন্ডার মধ্যে এসে যায় তাঁর সার্বভৌমত্ব ও তাঁর শরিয়ার প্রতিষ্ঠা। এসে যায় দুর্বৃত্তির নির্মূল ও সুবিচারের প্রতিষ্ঠা। আর মুনাফিক মাত্রই শয়তানের সৈনিক; শয়তানের এজেন্ডাই তাদের এজেন্ডা। সে এজেন্ডার মূল কথা হলো, ইসলামে পরাজিত রাখা। ভাষা,বর্ণ, অঞ্চল ভিত্তিক পরিচয়ের সূত্র ধরে মুসলিমদের মাঝে বিভক্তি গড়া ও ইসলামের পথ থেকে তাদের সরিয়ে দেয়া। এভাবে মানব সন্তানদের জাহান্নামে নেয়ার শয়তানী এজেন্ডাকে বিজয়ী করা। একটি দেশের আদালতে শরিয়ার বিলুপ্তি এবং রাজনীতিতে দুর্বৃত্তদের বিজয় দেখে নিশ্চিত বলা যায় সে দেশে শয়তানের বিজয় কতটা বিশাল।
তবে মুনাফিকদের মুখোশটি মুসলিমের। ঈমানদারের বন্ধুত্ব নানা ভাষা, নানা অঞ্চল ও নানা বর্ণের মুসলিমের সাথে। আর মুনাফিকের বন্ধুত্ব নানা পরিচয়ের কাফিরদের সাথে। একাত্তরে বাঙালি মুনাফিকদের বিদেশী বন্ধু ছিল ভারতের পৌত্তলিক কাফিরগণ এবং সোভিয়েত রাশিয়ার কম্যুনিস্টগণ। অভিন্ন নাশকতার এজেন্ডা নিয়ে তাদের সেদিন একত্রে দেখা গেছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজনীতিতে তাদের যুদ্ধ ছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদ, সেক্যুলারিজম, কম্যুনিজম ও হিন্দুত্ববাদের ব্যানারে। বাংলাদেশের মাটিতে আজও তাদের অভিন্ন এজেন্ডা নিয়ে যুদ্ধ। মুনাফিকদের সহজে চেনা যায় তাদের রাজনীতিতে ইসলামের বিরুদ্ধে এরূপ অবিরাম যুদ্ধ দেখে। বাংলাদেশের রাজনীতি বাঙালি মুনাফিকদের আজও সেই একই নীতি। যেখানেই ইসলাম, সেখানেই তারা সম্মিলিত ভাবে হাজির হয় যুদ্ধ নিয়ে।
মদিনার মুনাফিকদের এজেন্ডা ছিল আরবের পৌত্তলিক কাফিরদের সাথে কোয়ালিশন করে নবীজী (সা:)’র নেতৃ্ত্ব প্রতিষ্ঠিত ইসলামী রাষ্ট্রকে অঙ্কুরেই বিনষ্ট করা। আর বাঙালি মুনাফিকদের এজেন্ডা ছিল ভারতীয় পৌত্তলিক কাফিরদের সাথে কোয়ালিশন করে বিশ্বের সর্ববৃহৎ মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তানকে ধ্বংস করা। কারণ যেখানেই মুসলিমের পরাজয় ও ক্ষতি -সেখানেই তাদের ও তাদের মিত্র পৌত্তলিক কাফিরদের বিজয়। মদিনার মুনাফিকগণ সফল হয়নি, কিন্তু বাংলার মুনাফিকগণ সফল হয়েছে। ফলে যে পাকিস্তান হতে পারতো চীন ও ভারতের পর ৪২ কোটি জনসংখ্যার বিশ্বের তৃতীয় বৃহ্ত্তম রাষ্ট্র ও গুরুত্বপূর্ণ পারমানবিক শক্তি -সেটি আজ বেঁচে নাই। তাই একাত্তরের বিজয় নিয়ে ভারতের পৌত্তলিক কাফিরদের সাথে মিলে এই বাঙালি মুনাফিকদের এতো উৎসব। অথচ পাকিস্তান বাঁচলে সে রাষ্ট্রের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারতো বাঙালি মুসলিমগণ। উল্লেখ্য যে, অখণ্ড পাকিস্তানের ২৪ বছরে ৪ জন প্রধানমন্ত্রী হয়েছে বাঙালি মুসলিম। একাধিকবার রাষ্ট্র প্রধান, স্পীকার, প্রধান বিচারপতি এবং বহু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছে বাঙালি। কিন্তু বাঙালি মুসলিমদের এ মর্যাদা ভারতী পৌত্তলিক কাফিরদের যেমন ভাল লাগেনি, তেমনি ভাল লাগেনি তাদের দোসর বাঙালি মুনাফিকদের।
শত্রুদের চেনা ও জিহাদ নিয়ে বাঁচাটি ফরজ
ঈমানদারকে শুধু বাঘ-ভালুক-সিংহের ন্যায় হিংস্র পশুদের চিনলে চলে না, চিনতে হয় কাফির-মুনাফিকদেরও। কারণ তারা যেমন আল্লাহতায়ালার শত্রু, তেমনি শত্রু মুসলিমদেরও। ফলে তাকে শুধু হিংস্র পশুদের বিরুদ্ধে লড়াই করলে চলেনা, লড়াই করতে হয় কাফির, মুনাফিক ও জালেমদের বিরুদ্ধেও। এ লড়াইটি ইসলামে ফরজ। বাঘ-ভালুকের নির্মূলে যুদ্ধে না নামলে কেউ কাফির হয়না। কিন্তু মুসলিম ভূমিতে কাফির, মুনাফিক ও জালেমদের পক্ষ থেকে হামলা হলে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে না আমলে কাফির বা মুনাফিক হতে হয়। আব্দুল্লাহ বিন উবাই ও তার ৩ শত সহচর মুনাফিক রূপে আখ্যায়ীত হয়েছিল কাফিরদের হামলার মুখে যুদ্ধে যোগ না দেয়ার অপরাধে। সে অপরাধ তাদের জাহান্নামে সবচেয়ে নিকৃষ্ট স্থানে হাজির করবে -সে প্রতিশ্রুতি এসেছে পবিত্র কুর’আনে। বিষয়টি অতি গুরুত্বপূর্ণ। তাই এটি যেমন ভাববার বিষয়, তেমনি তা থেকে শিক্ষা নেয়ার বিষয়ও।
মুনাফিকদের চেনার সহজ উপায় হলো, এদেরকে নামাজ-রোজা ও হজ্জ-যাকাত পালনে দেখা গেলেও তারা কখনো কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগ দেয়না। আব্দুল্লাহ বিন উবাই ও তার ৩ শহ সহচর তাই ওহুদের যুদ্ধে যোগ দেয়নি। অথচ ওহুদের যুদ্ধটি ছিল মুসলিমদের জন্য অতি সংকট কাল। মক্কার কাফিরদের পক্ষ থেকে এটি ছিল মুসলিম নির্মূলের যুদ্ধ। মদিনার মুনাফিকদের চেনা যায় ওহুদ যুদ্ধ কালে, আর বাংলার মুনাফিকদের চেনা যায় ১৯৭১’য়ে। ওহুদের যুদ্ধে হামলাকারী ছিল মক্কার পৌত্তলিকগণ; আর ১৯৭১’য়ের হামলাকারী ছিল ভারতীয় পৌত্তলিকগণ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ মুসলিম রাষ্ট্রটি ধ্বংসের লক্ষ্যে ভারতীয় পৌত্তলিক কাফিরগণ যখন হামলা করে তখন তাদের প্রতিরোধের যুদ্ধটি পূর্ব পাকিস্তানীদের উপর ফরজ হয়ে যায়। কিন্তু বাঙালি মুনাফিকগণ পাকিস্তানের পক্ষে না নেমে যোগ দেয় ভারতীয় কাফিরদের পক্ষে। মদিনার মুনাফিকগণ ওহুদের ময়দানে জিহাদে যোগ না দিলেও তারা কখনোই কাফির বাহিনীতে যোগ দেয়নি। কিন্তু বাঙালি মুনাফিকগণ এক্ষেত্রে শয়তানের পক্ষে এক ধাপ এগিয়ে যায়। তারা সেদিন বিশাল সংখ্যায় পৌত্তলিক কাফিরদের নিমক খেয়েছে, তাদের অর্থ ও অস্ত্র নিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছে ও তাদেরকে বিজয়ী করেছে। ইসলাম ও ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে তাদের সে যুদ্ধটি আজও অব্যাহত রয়েছে।
মুনাফিকগণ কাফিরদের বন্ধু এবং তারা শত্রু ইসলামের
অথচ মহান আল্লাহ তায়ালা কাফিরদের সাথে যুক্ত হয়ে যুদ্ধ করা দূরে থাক, তাদের সাথে বন্ধুত্ব করা এবং তাদেরকে নৈতিক ভাবে সমর্থন করাও হারাম করেছেন। এবং তিনি স্পষ্ট ভাবে হুশিয়ার করেছেন, যারা সেটি করবে তাদের জন্য মহান আল্লাহ তায়ালা থেকে চাওয়া বা প্রত্যাশার কিছু নাই। আর যাদের সম্পর্ক ছিন্ন হয় আল্লাহ তায়ালার সাথে -তারাই তো শয়তানের পক্ষ। সে ঘোষণাটি এসেছে সুরা আল ইমরানে এবং সুরা মুমতেহানায়। বলা হয়েছে:
لَّا يَتَّخِذِ ٱلْمُؤْمِنُونَ ٱلْكَـٰفِرِينَ أَوْلِيَآءَ مِن دُونِ ٱلْمُؤْمِنِينَ ۖ وَمَن يَفْعَلْ ذَٰلِكَ فَلَيْسَ مِنَ ٱللَّهِ فِى شَىْءٍ إِلَّآ
অর্থ: “মুমিনগণ যেন মুমিন ছাড়া কাফিরদের বন্ধু না বানায়। আর যে ব্যক্তি এরূপ করবে তার সাথে আল্লাহর কোন সম্পর্ক নাই।” -(সুরা আল ইমরান, আয়াত ২৮ নম্বর)।
এবং মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে আরো হুশিয়ারি হলো:
يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ لَا تَتَّخِذُوا۟ عَدُوِّى وَعَدُوَّكُمْ أَوْلِيَآءَ
অর্থ: “হে ঈমানদারগণ, আমার শত্রু ও তোমাদের শত্রুদের বন্ধু রূপে গ্রহণ করো না।” –(সুরা মুমতেহানা, আয়াত ১) ।
যারা কাফির তারা যেমন আল্লাহর শত্রু, তেমনি মুসলিমের শত্রু। তারা মুসলিমদের কোন কল্যাণই চায়না। কোন শক্তিশালী মুসলিম রাষ্ট্র এ পৃথিবী পৃষ্ঠে বেঁচে থাকুক -সেটিও তারা চায়না। তাই ইউরোপীয় কাফির শক্তিগুলির এজেন্ডা ছিল যেমন খেলাফত ভাঙ্গা, তেমনি ভারতীয় পৌত্তলিক কাফিরদের এজেন্ডা ছিল খেলাফতের পর নির্মিত মুসলিমদের সর্ববৃহৎ মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তান ভাঙ্গা। কাফির-মুনাফিকদের এরূপ মতলব সম্পর্কে সর্বজ্ঞানী মহান রব’য়ের চেয়ে আর কে ভাল জানেন। তাই তিনি তাদের সাথে বন্ধুত্ব করাই হারাম করে দিয়েছেন। অথচ ১৯৭১’য়ে বাঙালি মুনাফিকগণ শুধু বন্ধুত্বই করেনি, তাদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছে, রক্ত দিয়েছে এবং পৌত্তলিক বাহিনীকে বিজয়ী করেছে। কাফির শত্রুর সাথে এভাবে কোয়ালিশন করে যুদ্ধ করা কখনোই কোন ঈমানদারের কাজ হতে পারেনা। যারা সেটি করে তারা হয় কাফির অথবা মুনাফিক। এ কাফির ও মুনাফিকগণ বাংলাদেশের রাজনীতিতে আজও এরা ইসলামের শত্রু পক্ষ।
জিহাদ থেকে দূরে থাকাই মুনাফিকি
অতীতে মুসলিমদের বড় বড় ক্ষয়-ক্ষতিগুলি হিংস্র পশুদের হাতে হয়নি, হয়েছে কাফির, মুনাফিক ও জালেমদের হাতে। তাদের চেনার কাজটি সহজ করতে তাদের পরিচয় যেমন পবিত্র কুর’আনে বার বার দেয়া হয়েছে, তেমনি দেয়া হয়েছে হাদীসের কিতাবে। নবীজী (সা:)’র প্রসিদ্ধ হাদীস: “যে কোন দিন জিহাদে যায়নি এবং জিহাদের নিয়তও করেনি সে মুনাফিক।” মদিনার মুনাফিকগণ মসজিদে নববীতে নবীজী(সা:)’র পিছনে নামাজ পড়েছে এবং রোজাও রেখেছে। কিন্তু তারা জিহাদে যায়নি। জিহাদই তখন ঈমানদারকে মুনাফিকদের থেকে পৃথক করেছে। মুনাফিকের জীবনে নামায়-রোজা থাকতে পারে, কিন্তু তাদের জীবনে জিহাদ যে স্থান পায় না -সেটি নবীজী(সা:)’র যুগেও দেখা গেছে। তাদের সংখ্যাটিও সেদিন কম ছিল না। ওহুদের যুদ্ধে নবীজী(সা:)’র প্রস্তুতি ছিল এক হাজার সৈন্য সংগ্রহের। কিন্তু তাদের মধ্য থেকে ৩০০ জনই ছিটকে পড়ে। অর্থাৎ শতকরা ৩০ ভাগ। এরাই পরিচিতি পায় মুনাফিক রূপে। নবীজী(সা:)’র যুগেই যখন এ অবস্থা, মুনাফিকদের দল আজ যে কতটা ভারি -সেটি সহজেই অনুমেয়। এরাই ইসলামের ঘরের শত্রু। মুসলিম ও ইসলামের বিরুদ্ধে তাদের নাশকতাটি বিশাল। দেশে দেশে তারাই অসম্ভব করে রেখেছে ইসলামের বিজয়কে। এরূপ ঘৃণ্য কর্মের জন্য জাহান্নামে তাদের স্থানটি হবে কাফেরদের চেয়েও নিকৃষ্ট স্থানে।
পবিত্র কুর’আনে মহান আল্লাহ তায়ালার ঘোষণা,
۞ أَجَعَلْتُمْ سِقَايَةَ ٱلْحَآجِّ وَعِمَارَةَ ٱلْمَسْجِدِ ٱلْحَرَامِ كَمَنْ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَٱلْيَوْمِ ٱلْـَٔاخِرِ وَجَـٰهَدَ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ ۚ لَا يَسْتَوُۥنَ عِندَ ٱللَّهِ ۗ وَٱللَّهُ لَا يَهْدِى ٱلْقَوْمَ ٱلظَّـٰلِمِينَ
“তোমরা কি হাজিদের পানি পান করানো এবং ক্বাবার খেদমতকে সে ব্যক্তির সমান মনে করো -যে ঈমান এনেছে আল্লাহ ও আখেরাতের উপর এবং জিহাদ করেছে আল্লাহর রাস্তায়। আল্লাহর কাছে তারা কখনোই সমান নয়। আল্লাহ কখনোই জালেমদের হিদায়েত দেন না।” – (সুরা তাওবা, আয়াত ১৯ )।
জিহাদ-বিমুখ লোকগুলি যে জালেম এবং তারা যে হিদায়েতের অযোগ্য -মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে সে ভয়ানক ঘোষণাটি এসেছে উপরিউক্ত আয়াতে।
অপরদিকে যারা ঈমান এনেছে এবং আল্লাহ তায়ালার দ্বীনকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে হিজরত ও জিহাদ করেছে -তাদের বিজয় ও মর্যাদা যে অতি বিশাল, সেটির বর্ণনা এসেছে সুরা তাওবার ২০ নম্বর আয়াতে। বলা হয়েছে:
ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟
وَهَاجَرُوا۟ وَجَـٰهَدُوا۟ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ بِأَمْوَٰلِهِمْ وَأَنفُسِهِمْ
أَعْظَمُ دَرَجَةً عِندَ ٱللَّهِ ۚ وَأُو۟لَـٰٓئِكَ هُمُ ٱلْفَآئِزُونَ
অর্থ: “যারা ঈমান এনেছে, হিজরত করেছে এবং নিজেদের সম্পদ ও জান দিয়ে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করেছে, আল্লাহর কাছে তাদের মর্যাদা সুউচ্চ এবং তারাই হলো বিজয়ী।”
জিহাদ না থাকলে মহান রব’য়ের সার্বভৌমত্ব, তাঁর শরিয়া এবং তাঁর সামাজিক, বৈচারিক ও মানুষকে জান্নাতে নেয়ার এজেন্ডা শুধু কিতাবেই থেকে যায়। এবং তাঁর নিজ ভূমির উপর থেকে নির্মূল হয় না শয়তানের দখলাদারি। একমাত্র জিহাদের মাধ্যমেই তাঁর সে এজেন্ডা বিজয়ী হয়। এজন্য যারা নিজেদের অর্থ, সময়, মেধা ও রক্ত দিয়ে তার এজেন্ডাাএ প্রতিষ্ঠা দেয়, তাদের মর্যাদা তাঁর কাছে এতো অধিক। উপরিউক্ত আয়াতে সেটিই জানিয়ে দেয়া হয়েছে। আল্লাহ তায়ালার এজেন্ডাকে বিফল করার জন্য শয়তানের খলিফাগণ বাংলাদেশেও একতাবদ্ধ ও সক্রিয়; কিন্তু প্রশ্ন হলো এ শত্রু শক্তির প্রতিরোধে কতটা একতাবদ্ধ ও সক্রিয় আল্লাহ তায়ালার খলিফাগণ? বাঙালি মুসলিমগণ কি একাত্তরের ন্যায় বার বার ব্যর্থই হতে থাকবে?