একাত্তরে ৩০ লাখ নিহতের মিথ্যা এবং মিথ্যাচারীদের অপরাধের রাজনীতি

2 views
Skip to first unread message

Firoz Kamal

unread,
Oct 9, 2025, 10:44:08 PMOct 9
to

একাত্তরে ৩০ লাখ নিহতের মিথ্যা এবং মিথ্যাচারীদের অপরাধের রাজনীতি

ফিরোজ মাহবুব কামাল

www.drfirozmahboobkamal.com/blog/একাত্তরে-৩০-লাখ-নিহতের-মি/

 

মিথ্যার প্লাবন বাংলাদেশে

বাংলাদেশীরা বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার, শিল্প, অর্থনীতি বা খেলাধুলায় ইতিহাস গড়তে ব্যর্থ হলেও ইতিহাস গড়েছে বিশাল মাপের মিথ্যা রটনায়। সেরূপ একটি মিথ্যা হলো, ১৯৭১’য়ের ৯ মাসের যুদ্ধে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হাতে ৩০ লাখ বাঙালির মৃত্যু। এটি এক অবিশ্বাস্য রকমের মিথ্যা। আলোচ্য নিবন্ধে আলোচনার মূল বিষয় হলো, বাঙালি মুসলিম জীবনে এ বিশাল মিথ্যার নাশকতা নিয়ে। এ মিথ্যা বয়ানের জনক হলো খোদ শেখ মুজিব। পাক আর্মির হাতে ৩০ লাখ নিহতের সংখ্যাটি উৎপাদনে মুজিবকে গ্রামে গঞ্জে নেমে তথ্য সংগ্রহ করতে হয়নি, সেটি উৎপাদিত হয়েছে তার উর্বর মগজে। যুদ্ধকালীন ৯ মাস শেখ মুজিবের দিন কেটেছে পাকিস্তানের কারাগারে।  ফলে তার সামান্যতম জ্ঞান ছিল না ৯ মাস যাবত দেশে কি ঘটেছে। একমাত্র দায়িত্ব জ্ঞানশূণ্য মানুষই না দেখে এবং না জেনে নিহতের সংখ্যা নিয়ে এরূপ বয়ান পেশ করতে পারে। বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তা, বুদ্ধিজীবী, লেখক, আদালতের বিচারপতি, শিক্ষক, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের কাজ হয়েছে মুজিবের জন্ম দেয়া সে মিথ্যা বয়ানকে দেশে ও বিদেশে ফেরি করা।

বাংলাদেশ এক বিচিত্র দেশ। এ দেশে চুরি-ডাকাতি ও খুন-ধর্ষণকে অপরাধ বলা হলেও মিথ্যা বলাকে অপরাধ মনে করা হয়না। সে জন্য কাউকে কোন শাস্তিও দেয়া হয়না। কেউ মিথ্যা বললে সেটির তদন্ত হয়না। এটিই বাঙালির গুরুতর নৈতিক অসুস্থতা। এ অসুস্থতা নিয়ে সভ্য মানুষ ও সভ্য সমাজ নির্মাণ অসম্ভব। এমন নৈতিক অসুস্থতা নিয়ে বিশ্বের ১৯৩টি দেশকে হারিয়ে দুর্বৃত্তিতে ৫ বার প্রথম হওয়াই কেবল সম্ভব। বাংলাদেশ সেটি এ শতাব্দীর শুরুতে প্রমাণও করেছে|। কিন্তু গৌরবময় কিছু করা অসম্ভব। দেশে মিথ্যা বলার জন্য কাউকে শাস্তি দেয়ার বিধান থাকলে সবচেয়ে বড় শাস্তিটি শেখ মুজিবের প্রাপ্য ছিল। কারণ, মিথ্যা রটনায় মুজিব রেকর্ড গড়েছে। এতো বড় মিথ্যা অন্য কেউ বলেনি। শরিয়া আইনের মিথ্যুকের শাস্তি হলো নগ্ন পিঠে চাবুকের আঘাত।

যে কোন সভ্য দেশে মিথ্যা বলাই শুধু ফৌজদারি অপরাধ নয়, অপরাধ হলো মিথ্যার প্রচার করাও। শরিয়ার দৃষ্টিতে উভয়ই অপরাধী। এক্ষেত্রে মুজিবের অনুসারীদের সফলতাটি বিশাল। সাংস্কৃতিক অঙ্গণে মুজিব একটি বিপ্লব এনেছে; সেটি অপসংস্কৃতির। সেটি মিথ্যা বলা ও মিথ্যা প্রচার করার। মুজির দেশের বিপুল সংখ্যাক মানুষকে শুধু মিথ্যুকে পরিণত করেনি, মিথ্যার প্রচারকেও পরিণত করেছে। অথচ কোভিডের ন্যায় প্রাণনাশী জীবাণুর চেয়ে মিথ্যার নাশকতা কি কম? জীবাণু প্রান নাশ করে; কিন্তু মিথ্যা ঈমানের মৃত্যু ঘটায়। রোগজীবাণু কাউকে জাহান্নামে নেয় না। বরং পাপীর প্রাণ নাশ ঘটিয়ে তার নিকট থেকে অপরাধ কর্মের সামর্থ্য কেড়ে নেয়। অথচ মিথ্যাচারিতা ঈমানের মৃত্যু ঘটিয়ে মিথ্যাবাদীর অপরাধের সামর্থ্য বাড়িয়ে দেয়। তখন মিথ্যাবাদী তার কর্মে শুধু পাপই প্রসব করতে থাকে। এভাবে সে পাপের বিস্তার ঘটায়। মিথ্যাচারী মুজিব ও তার অনুসারীরা এ ভাবেই দেশে পাপের প্লাবন এনেছে। 

মহান নবীজী (সা:) মিথ্যাচারিতাকে সকল পাপের জননী বলেছেন। অর্থাৎ যে ব্যক্তি মিথ্যাচারী হয়, সে প্রতিদিন বাঁচে নানারূপ দুর্বৃত্তি তথা পাপের জন্ম দিয়ে। এমন দেশের জনগণ শুধু মিথ্যার প্লাবনে ভাসে না, বরং ভাসে নানা রূপ পাপ তথা দুর্বৃত্তির প্লাবনেও। এমন দেশ দুর্বৃত্তিতে বার বার বিশ্বরেকর্ড গড়ে। দুর্বৃত্তিতে বাংলাদেশের ৫ বার প্রথম হওয়ার মূল কারণ তো সেটি মিথ্যাচারিতা। তাই মুজিব যে মিথ্যার বীজ রোপণ করেছিল, সে মিথ্যা সমগ্র বাংলাদেশকে গ্রাস করেছে। সে মিথ্যার উপর ভর করে গড়ে উঠেছে বাঙালি ফ্যাসিস্ট, বাঙালি সেক্যুলারিস্ট ও বাঙালি বামপন্থীদের নানা রূপ দুর্বৃত্তির বিশাল রাজনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিপত্তি এবং সে সাথে ভারত সেবার কপট রাজনীতি।

 

মিথ্যা বাঁচিয়ে সভ্য রাষ্ট্রের নির্মাণ অসম্ভব

সভ্য রাষ্ট্র নির্মাণের আগে সভ্য মানুষের নির্মাণ চাই। আর সভ্য মানুষের নির্মাণে চাই সত্যবাদী মানুষ। মিথ্যাবাদীরা কখনোই সভ্য, ভদ্র ও ঈমানদার মানুষ হতে পারে না। মিথ্যাবাদীরাই অপরাধী দুর্বৃত্ত মানুষ হয়। তাই সভ্য মানুষ ও সভ্য রাষ্ট্র নির্মাণের কাজের শুরুটি হতে হয় মিথ্যাচারিতা নির্মূলের মধ্য দিয়ে। সেটিই নবীজী (সা:)’র সূন্নত। অথচ বাংলাদেশে সেটি গুরুত্ব পায়না; বরং চেষ্টা হয় মিথ্যাকে বাঁচিয়ে রাখায়। তাই বাঙালির ইতিহাসের ৩০ লাখ নিহতের সবচেয়ে বড় মিথ্যাটিকে যেমন প্রবল ভাবে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে; তেমনি বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে মিথ্যাচারিতাকেও। বাংলাদেশের  হাজার হাজার রাজনৈতিক মঞ্চে ও আলোচনা সভায় বক্তৃতা দেয়া হয়েছে এবং শত শত বই লেখা হয়েছে ৩০ লাখের মিথ্যাকে বাঁচিয়ে রাখতে। নবীজী (সা:)’র জীবনীর উপর এতো বই লেখা হলে দেশে সৎ ও চরিত্রবান মানুষের জোয়ার সৃষ্টি হতো। মিথ্যাসেবা ও দেশসেবার কাজ কখনোই একত্রে চলে না। সুনীতি, সুশাসন ও সুবিচারের প্রতিষ্ঠা দিতে হয় মিথ্যার কবরের উপর। অথচ বাংলাদেশে গুরুত্ব পেয়েছে মিথ্যাকে প্রবল ভাবে বাঁচিয়ে রাখায়। সেটি যেমন মুজিব আমলে দেখা গেছে, তেমনি দেখা গেছে জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া এবং হাসিনার আমলে।       

যে কোন দুর্বৃত্তির ন্যায় মিথ্যাচারিতারও প্রেক্ষাপট থাকে; সেটি হাওয়ায় জন্ম নেয় না। বাঙালি ফ্যাসিস্ট দুর্বৃত্তদের একাত্তরের অপরাধের তালিকাটি বিশাল। গুরুতর অপরাধটি যেমন পাকিস্তান ভাঙার মধ্য দিয়ে মুসলিম উম্মাহর অপূরণীয় ক্ষতিসাধন ও বাঙালি মুসলিমের স্বপ্নভঙ্গ, তেমনি ভারতের ঘরে বিজয় তুলে দেয়ার। খেলাফত ভেঙে যাওয়ার পর বাঙালি মুসলিমগণই নেতৃত্ব দিয়েছিল বিশ্বের বুকে সর্ববৃহৎ মুসলিম রাষ্ট্রের নির্মাণে। বাংলা প্রদেশ ছিল সমগ্র ভারতের বুকে মুসলিম লীগের একমাত্র অপরাজেয় দুর্গ। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্য ছিল, দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিমদের জন্য স্বাধীনতা ও নিরাপত্তাকে সুনিশ্চিত করা এবং সে সাথে বিশ্ব রাজনীতিতে মুসলিম উম্মাহর স্বার্থের সুরক্ষায় বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখা। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানের ভারতসেবী বাঙালি ফ্যাসিস্টগণ সে স্বপ্নকে নস্যাৎ করে দেয়। তারা ভারতের এজেন্ডা পূরণে পাকিস্তানকে খণ্ডিত করে এবং বাংলাদেশকে ভারতের করদ রাজ্যে পরিণত করে।

শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশ সরকারের মূল কাজটি ছিল ভারতের এজেন্ডা পূরণ। কারণ, ভারতই তাদেরকে ক্ষমতায় বসিয়েছিল। ভারতীয় এজেন্ডা পূরণের প্রথম পর্ব ছিল ১৯৭১’য়ে পাকিস্তান ভাঙা। তবে পাকিস্তান ভাঙার মধ্য দিয়ে মুজিব ও তার অনুসারীদের ভারত সেবা শেষ হয়নি। বরং ১৯৭১’য়ে পাকিস্তান ভাঙার পর শুরু হয় দ্বিতীয় পর্ব। ভারতের স্বার্থ পূরণের কাজটি শেখ হাসিনা বরং ব্যাপকতর করেছে। হাসিনা তাই গর্বভরে বলেছিল, “ভারতকে যা দিয়েছি, ভারত তা কখনো ভুলতে পারবে না।” এটি হলো হাসিনার দিল্লির প্রতি দাসত্ব ও ভারত সেবার আত্মস্বীকৃতি।

হিন্দুত্ববাদী ভারতের লাগাতর যুদ্ধটি হলো ইসলাম ও মুসলিমের বিরুদ্ধে। তাই যেসব ভারতসেবী বাঙালি ভারত সেবা নিয়ে বাঁচতে চায়, তাদের রাজনীতিতে অবশ্যই যুদ্ধ থাকতে হয় ইসলাম ও মুসলিমের বিরুদ্ধে। তাই সেরূপ একটি লাগাতর যুদ্ধ ছিল হাসিনার রাজনীতিতেও। সে যুদ্ধে বহু নিরীহ ইসলামপন্থীকে জঙ্গি আখ্যায়ীত করে ক্রস ফায়ারে দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ২০১৩ সালে ৫ মে শাপলা চত্বরে হিফাজতের কর্মীদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, জামায়াত নেতাদের ফাঁসি, আলেমদের কারাবন্দী, তাফসিরের উপর নিষেধাজ্ঞা -এসবই ছিল সে যুদ্ধের অংশ। মুসলিম উম্মাহ -বিশেষ করে বাঙালি মুসলিমদের বিরুদ্ধে এগুলি হলো বাকশালী ফ্যাসিস্টদের গুরুতর অপরাধ। সে অপরাধের সাথে বাঙালি ফ্যাসিস্ট, সেক্যুলারিস্ট ও বামধারার নেতা-কর্মীদের আরেক নৃশংস বর্বরতা হলো, দুই লাখের বেশি বিহারী হত্যা, হাজার হাজার বিহারী মহিলাদের ধর্ষণ ও তাদের ঘর-বাড়ি, সম্পদ ও দোকানপাটের উপর জবর দখল।

 

মিথ্যাচারীদের অপরাধের রাজনীতি ও নাশকতা

মুসলিম উম্মাহ ও বাঙালি মুসলিমদের বিরুদ্ধে বাঙালি ফ্যাসিস্ট, সেক্যুলারিস্ট ও বামপন্থীদের অপরাধের মাত্রাটি বিশাল। সে অপরাধে বহু শত বছর পরও তাদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় তোলা হবে। কারণ, বর্তমান প্রজন্মকে ধোকা দেয়া সম্ভব হলেও তাদের অপরাধ নিয়ে আগামী প্রজন্ম প্রভাবমুক্ত মন নিয়ে ভাববে ও বিচারে বসবে। ফ্যাসিবাদ, জাতীয়তাবাদ, সেক্যুলারিজম ও কম্যুনিজমে আজ যে রকম অনেকে প্রলুব্ধ, সেদিন তা গণ্য হবে মানবতা বিনাশী বিষাক্ত মতবাদ রূপে। এরূপ নব্য জাহিলী মতবাদের সাথে সংশ্লিষ্টতা গণ্য হবে গুরুতর অপরাধ রূপে। নিজেদের কৃত সে অপরাধগুলি ঢাকতেই তারা নিজেদেরকে মজলুল রূপে জাহির করে। নিজেদের মজলুম রূপে দেখাতে তারা পাক বাহিনীর হাতে ৩০ লাখ নিহত ও ২ লাখ নারীর ধর্ষিত হওয়ার কিচ্ছা বাজারে ছেড়েছে।

নিজেদের ফেরি করা মিথ্যাকে বাঁচিয়ে রাখতেই তারা নিহতদের প্রকৃত তথ্য সংগ্রহে কোন রূপ আগ্রহ দেখায়নি। অথচ সে তথ্য সংগ্রহ করা আদৌ কোন অসাধ্য কাজ ছিলনা। সে সাথে লুকানোর চেষ্টা করেছে নিজেদের একাত্তর পরবর্তী  নৃশংস ও বীভৎস বর্বরতাগুলিকে। শেখ হাসিনা তাই লুকিয়েছে ২০১৩ সালে ৫ মে’র শাপলা চত্বরের নৃশংস নিষ্ঠুরতাকে। তারা গণহত্যা চালায়; কিন্তু কতজন হত্যা করলো সে সংখাটি কখনো বলে না। কারণ, তাদের কাছে জনগণ যন মশা মাছি। মশা মাছি মারলে যেমন সংখ্যা গণনা করা হয় না, তেমনি ফ্যাসিস্টরাও গণনা করে না গণহত্যায় নিহতদের লাশ।  

বসনিয়া গণহত্যা হয়েছে। সেখানে প্রতিটি ব্যক্তির লাশ বা কংকাল খুঁজে বের করা হয়েছে। তাদের সনাক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি নিহত মানুষের নামের তালিকে সেদেশে প্রকাশিত হয়েছে। এমন একটি তদন্ত কাজে বাংলাদেশে কি লোকবলের অভাব? অভাব লোকবলের নয়, বরং আন্তরিকতার। গণহত্যা হয়েছে আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডাতেও হয়েছে। সেখানেও লাশ খুঁজে বের করার চেষ্টা হয়েছে। অথচ সে কাজটি বাংলাদেশে হয়নি। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয়া পার্টি দীর্ঘ কাল ক্ষমতায় থেকেছে। কিন্তু নিহতের নাম ও কবর খুঁজে বের করার কোন চেষ্টাই করেনি।

তাদের অনাগ্রহের মূল কারণ, তারা মৃতদের মিথ্যা সংখ্যা নিয়ে রাজনীতি করতে চায়। তাই সে মিথ্যাকে তারা বাঁচিয়ে রাখতে চায়। সত্য আবিষ্কৃত হলে তাদের মিথ্যা বয়ান মারা পড়বে -এ জন্যই তারা নিহতদের অনুসন্ধানে নামেনি। তাদের রাজনীতির ভিত্তি হলো ৩০ লাখ নিহত ও ২ লাখ নারীর ধর্ষিত হওয়ার মিথ্যা বয়ান। নিহতের সঠিক সংখ্যাটি বরং তাদের মিথ্যানির্ভর রাজনীতির জন্য ক্ষতিকর । এজন্যই সত্য আবিষ্কারে তাদের আগ্রহ নাই।  ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, কিন্তু তাদের রটানো মিথ্যা বয়ান এখনো বেঁচে আছে। এখন সে মিথ্যা বয়ান নিয়ে রাজনীতি করছে বিএনপি।  

মিথ্যাই শয়তানের প্রধান হাতিয়ার। মিথ্যার সাহায্যেই শয়তান হযরত আদম (আ:) ও বিবি হাওয়াকে জান্নাত থেকে বের করেছে এবং আগামীতে বিপুল সংখ্যক মানুষকে জাহান্নামে নিবে। মিথ্যাবাদী মাত্রই শয়তানের সৈনিক। বাংলাদেশে শয়তানের এ সৈনিকদের বিজয়টি বিশাল। তারা যেমন পাকিস্তান ভেঙেছে, তেমনি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশেও ইসলামের বিজয়কে অসম্ভব করে রেখেছে। ফলে আল্লাহর নিজের সৃষ্ট এ জমিনে তাঁর নিজের সার্বভৌমত্ব যেমন স্থান পায়নি, তেমনি স্থান পায়নি তার শরিয়া। এবং এদেশের স্কুল কলেজে স্থান পায়নি তাঁর নিজের কালাম পবিত্র কুর’আন থেকে শিক্ষা দান। এসবই এসেছে একাত্তরে পৌত্তলিক ভারত ও তার সহযোগীদের বিজয়ের পথ ধরে। একটি মুসলিম দেশে কাফির শক্তির বিজয় যে কতটা বিপর্যয় ডেকে আনে -এ হলো তার নমুনা। বিস্ময়ের বিষয় হলো, এদেশে পৌত্তলিক ভারতের একাত্তরের বিজয় নিয়েও উৎসব হয়!

Reply all
Reply to author
Forward
0 new messages