স্বাধীন ভাবে বাঁচার খরচ ও স্বাধীনতার সুরক্ষায় স্ট্রাটেজিক বিষয়

4 views
Skip to first unread message

Firoz Kamal

unread,
Nov 9, 2025, 2:53:32 PMNov 9
to

                                            স্বাধীন ভাবে বাঁচার খরচ ও স্বাধীনতার সুরক্ষায় স্ট্রাটেজিক বিষয়

ফিরোজ মাহবুব কামাল

www.drfirozmahboobkamal.com/blog/স্বাধীন-ভাবে-বাঁচার-খরচ-ও-2/

 

 

সর্বাধিক খরচ স্বাধীন ভাবে বাঁচায়                                                        

 

বিদেশী শক্তির গোলাম রূপে বাঁচা কোন খরচ নাই। গোলামকে পানাহারে বাঁচিয়ে রাখার দায়টি খোদ দখলদার শক্তিই বহন করে -মনিব যেমন বাঁচিয়ে রাখে তার নিজের পোষা গরু-ছাগল ও কুকুর-বিড়ালকে। আফ্রিকা থেকে যে লক্ষ লক্ষ কৃষ্ণাঙ্গদের জাহাজে করে আমেরিকায় নিয়ে যায়, তাদেরকে পানাহারে বাঁচিয়ে রাখা হয় দাস রূপে ব্যবহারের জন্য। দাসরা মারা গেলে তো আর্থিক ক্ষতি।

 

গোলামদের জীবনে শুধু গোলামীই থাকে; স্বাধিনতা তাদের জন্য নয়। গোলামগণ বাঁচে কেবল তার মালিকের এজেন্ডা পূরণের লক্ষ্যে। এমন দাসদের নিজেদের জীবনে অন্য কোন এজেন্ডা থাকে নাআমৃত্যু বাঁচতে হয় শুধু গোলামী, গ্লানি ও অপমান নিয়েগোলামের জীবনে তার নিজের জন্য কোন যুদ্ধ থাকে না, বরং মনিবের যুদ্ধই তার নিজের যুদ্ধে পরিণত হয়। মনিবকে বিজয়ী করতে এমন কি তার নিজের জীবনকেও বিলিয়ে দিতে হয়। সেটির প্রমাণ, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশদের বিজয়ী করতে আড়াই লাখ ভারতীয় ও ১০ লাখ আরব মুসলিম সৈনিক যুদ্ধ করেছে এবং বহু হাজার মুসলিম সৈনিক প্রাণও দিয়েছে।

 

কিন্ত স্বাধীন ভাবে বাঁচার খরচটি বিশালতখন জালেম শাসককে হটাতে রক্তাক্ত লড়াই লড়তে হয়। আরাম-আয়েশ ছেড়ে শ্রম, সময়, অর্থ ও জানের কুরবানী  দিতে হয়। অধিকার ও ইজ্জত নিয়ে বাঁচার এ ছাড়া কোন বিকল্প পথ নাই। ইসলামে এটিই পবিত্র জিহাদ। এখানেই ঈমানের  বড় পরীক্ষা হয়। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সেরূপ সভ্য ভাবে বাঁচায় বাংলাদেশীদের কি রুচি আছে? মহান আল্লাহ তায়ালা চান, তাঁর ঈমানদার বান্দাগণ স্বাধীনতা, নিরাপত্তা, ইজ্জত ও শক্তি সামর্থ্য নিয়ে বসবাস করুক। নামাজ-রোজা ও হজ্জ-যাকাত এমন কি বহু ঘুষখোর, সূদখোরও পালন করতে রাজী। কিন্তু তারা শত্রু শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামতে রাজী নয়। মহান আল্লাহ তায়ালা সেটি জানেন। অথচ তাঁর নিজ ভূমিতে কতটা প্রতিষ্ঠা পাবে তাঁর সার্বভৌমত্ব ও শরিয়তী আইন, কতটা নির্মূল হবে দুর্বৃত্তি, কতটা প্রতিষ্ঠা পাবে সুবিচার এবং কতটা প্রতিষ্ঠা পাবে মুসলিম উম্মাহর স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা -সে বিষয়গুলি দেশে কতজন নামাজী, রোজাদার ও হাজীর বসবাস করে -তার উপর নির্ভর করে না। বরং নির্ভর করে কতজন জান ও মাল দিয়ে সে লক্ষ্য সাধনে জিহাদ করলো -তার উপর। ইসলামে সে গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধহলো পবিত্র জিহাদ।

 

 

জিহাদই স্বাধীনতা বাঁচানোর মূল হাতিয়ার

 

অন্যান্য ইবাদতগুলি যতই পালিত হোক, জিহাদ পালিত না হলে মুসলিমদের স্বাধীনতা, নিরাপত্তা ও  ইজ্জত বাঁচেনা। এজন্যই জিহাদই হলো সর্বোচ্চ ইবাদত। জিহাদই স্বাধীনতা বাঁচানোর হাতিয়ার। যারা সে জিহাদে নাই, বুঝতে হবে তারা মুসলিমদের স্বাধীনতা, নিরাপত্তা ও ইজ্জত নিয়ে ভাবে না। এমন নির্লিপ্ত ও নিষ্ক্রিয় মুসলিমদের জন্য মুসলিম ভূমিতে বিজয় পায় শয়তানের বাহিনী। এ কারণেই বাংলাদেশের মত অধিকাংশ মুসলিম দেশ নবীজী (সা:)’র প্রতিষ্ঠিত ইসলাম বেঁচে নাই। নবীজী (সা:) ইসলাম বাঁচলে তো তার শরিয়তী আইন বাঁচতো। তখন প্রতিষ্ঠা পেত ইসলামী রাষ্ট্র।

 

মহান আল্লাহতায়ালার কাছে তারাই সবচেয়ে প্রিয় হলো যারা বাঁচে তাঁর এজেন্ডাকে বিজয়ী করার জিহাদ নিয়ে। সেটির ঘোষণা এসেছে সুরা সাফ’য়ের ৪ নম্বর আয়াতে। অথচ আজকের মুসলিমদের এখানেই সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা। মুসলিমদের জীবনে যুদ্ধ আছে। তবে সে যুদ্ধগুলি ইসলামকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে হয়নি; সেগুলি হয়েছে ভাষা, দল, ব্যক্তি, ভূগোলভিত্তিক স্বার্থ হাছিলের লক্ষ্যে। এমন কি ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ ও হিন্দুত্ববাদী ভারতের বিজয় বাড়াতেও তারা যুদ্ধ করেছে ও রক্ত দিয়েছে -যেমনটি দেখা গেছে ১৯১৭ ও ১৯৭১’য়ে।  কিন্তু তারা নাই মুসলিম উম্মাহর সুরক্ষা ও বিজয় বৃদ্ধির জিহাদে। তাই মুসলিমদের সংখ্যা বিপুল হারে বাড়লেও মুসলিমদের শক্তি, স্বাধীনতা, নিরাপত্তা ও গৌরব বাড়েনি।

মুসলিমদের ব্যর্থতার মূল কারণ, গৌরব যুগের মুসলিমদের ন্যায় তারা সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত তথা জিহাদ নিয়ে বাঁচে না। তারা নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাত, দোয়া-দরুদ পালনে রাজি; রাজি পবিত্র কুর’আনকে বিশুদ্ধ ভাবে পড়তে ও মুখস্থ করতে; তারা রাজি হাজার হাজার মসজিদ-মাদ্রাসা নির্মাণে এবং রাজি তাবলিগী ইজতেমা ও ওয়াজ মহফিলে লাখে লাখে হাজির হতে। কিন্তু তারা রাজি নয় কুর’আন বুঝতে এবং জিহাদে নিজ জান, মাল ও মেধার বিনিয়োগে। গৌরব যুগের মুসলিমদের সাথে আজকের মুসলিমদের মূল পার্থক্য বস্তুত এখানেই। অথচ ব্যক্তির ঈমান ও আমলের মূল পরীক্ষা হয় জিহাদে। গৌরব যুগের মুসলিমগণ সে পরীক্ষায় উচ্চ নম্বর নিয়ে পাশ করলেও আজকের মুসলিমগণ ফেল করছে শূন্য নাম্বার নিয়ে।

 

সেক্যুলার আইনের বিচার বনাম শরিয়া আইনের বিচার

ঈমানদারদের থেকে সেক্যুলারিস্টদের রাজনীতি যেমন ভিন্ন, তেমনি ভিন্ন হলো তাদের হারাম-হালালের বিচার। সেক্যুলারিস্টদের কাছে বিবাহবহির্ভুত যৌন জীবন তথা ব্যভিচার প্রেম রূপে নন্দিত হয়। ইসলামে সেটি জ্বিনা। জ্বিনাকারী বিবাহিত হলে শাস্তি হলো পাথর মেরে হ্ত্যা; অবিবাহিত হলে জনসম্মুখে ১০০টি বেত্রাঘাত।  তেমনি তাদের কাছে ভাষা, বর্ণ ও অঞ্চলের ভিত্তিকে মুসলিম দেশকে খণ্ডিত করাটি স্বাধীনতার যুদ্ধ রূপে গণ্য হয়। এবং সে হারাম যুদ্ধের নায়কগণ তাদের কাছে বীরের মর্যাদা পায়। কিন্তু দেশে আল্লাহর শরিয়তী আইন থাকলে তাদের পিঠে চাবুকের আঘাত পড়তো। সেরূপ শাস্তিই দেয়া হয়েছে নবীজী (সা:)’র আমলে। কারণ, তাদের অপরাধটি একটি মুসলিম দেশকে বিভক্ত করার। ইসলামে এটি হারাম -যেমন হারাম হলো জ্বিনা ও মদ্যপান। আসাবিয়াতের হারাম চেতনা মুসলিমদের জন্য কখনোই কোন রহমত বয়ে আনে না। বরং আনে প্রতিশ্রুত আযাব। সেটি যেমন ১৯১৭ সালে আরবদের জীবনে এনেছে, তেমনি ১৯৭১ সালে এনেছে বাঙালি মুসলিমদের জীবন। সেটি এসেছে ভারতীয় অধিকৃতি, দুর্ভিক্ষ, ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন রূপে।  তাই ফিরে যেতে হবে ১৯৪৭’য়ের কালেমা সমৃদ্ধ ইসালমী চেতনার দিকে।

 

ভারত কখনোই বন্ধু হবে না

নেকড়ে কখনোই পোষ মানে না, তেমনি পৌত্তলিক কাফিরও কখনো মুসলিমের বন্ধু হয় না। মুসলিমদের বন্ধু হওয়াটাই তাদের স্বভাব বিরুদ্ধ। তারা বন্ধু হয় একমাত্র তাদের, যারা মুসলিম দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে তাদের সামনে হাজির হয় -যেমনটি হাজির হয়েছিল শেখ মুজিব, মেজর জিয়া ও শেখ হাসিনা। তারা হিন্দু কাফিরদের দরবারে হাজির হয়েছিল মুসলিমদের রক্তে নিজ হাত রঞ্জিত করে।

ইসলামের বিরুদ্ধে পৌত্তলিকদের এ মানসিকতাটি সর্বজ্ঞানী মহান আল্লাহ তায়ালার চেয়ে আর কে ভাল জানেন? তাই তিনি তাদের সাথে বন্ধুত্বকে চিরকালের জন্য হারাম করে দিয়েছেন। এ বিষয়ে নির্দেশ এসেছে সুরা আল ইমরানের ২৮ নম্বর এবং সুরা মুমতাহানার ১ নম্বর আয়াতে। বাঙালি মুসলিমদের মূল শত্রু হলো হিন্দুত্ববাদীদের শাসিত ভারত। ভারতীয় পৌত্তলিক হিন্দুত্ববাদীরা অতীতে কখনোই বাঙালি মুসলিমের বন্ধু ছিল না। আজও বন্ধু নয়। এবং ভবিষ্যতেও বন্ধু হবে না। কারণ, মুসলিমের বন্ধু হওয়াই তাদের জন্য অসম্ভব। নানা দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ মুসলিম হলেও ইসলামের সত্য বাণী তাদের হৃদয় স্পর্শ করে না। তারা মানব ইতিহাসের সবচেয়ে সনাতন মিথ্যাকে ছাড়তে রাজি নয়। সে মিথ্যা নিয়ে বাঁচাই তাদের ধর্ম। এ আধুনিক যুগেও তারা বাঁচছে মুর্তি পূজা, গরু পূজা, লিঙ্গ পূজা ও সর্প পূজার ন্যায় বর্বর আদিম অনাচার নিয়ে। সত্যের প্রতি প্রবল অবজ্ঞাই তাদেরকে মিথ্যার পূজারী বানিয়েছে। সত্য আবিষ্কারে আগ্রহ ও সামর্থ্য তারা হারিয়ে ফেলেছে।

১৯৪৭’য়ে এই বাঙালি হিন্দুরাই প্রতিবেশি মুসলিমদের সঙ্গ ছেড়ে এবং অখণ্ড বাংলাকে বিভক্ত করে ভারতের অবাঙালি হিন্দুদের সাথে একাত্ম হয়েছিল। এমন গভীর ঘৃণাপূর্ণ মুসলিম বিদ্বেষ নিয়ে হিন্দুত্ববাদীরা কি কখনো বাঙালি মুসলিমদের বন্ধু হতে পারে? সেটি অসম্ভব। এ ঐতিহাসিক সত্যটি যতদিন বাঙালি মুসলিমরা না বুঝবে, ততদিন তাদের বিপদ থেকেই যাবে। বুঝতে হবে, ভারতপ্রেম নিয়ে কখনোই বাংলাদেশের স্বাধীনতা বাঁচানো যাবে না। যারা বাংলাদেশ সীমান্তের বেড়া দেয়, যারা পানি কেড়ে নিয়ে হত্যা করছে বাংলার নদী, বিল ও হাওরগুলিকে, তারা শুধু বাংলার মুসলিমদেরই শত্রু নয়, শত্রু দেশটির জলবায়ু, আলোবাতাস ও ভূ-প্রকৃতিরও। ১৯৭১ থেকেই সেক্যুলার বাঙালির ভারতপ্রেম গোলামী, লুণ্ঠন ও ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই অর্জন করেনি

 

স্বাধীনতা বাঁচাতে হলে শক্তিশালী বন্ধু খুঁজতেই হবে

নানা ভাষা, নানা বর্ণ ও নানা রাজ্যের হিন্দুরা বিশাল ভারত ভূমিতে একতাবদ্ধ। সংখ্যায় তারা ১২০ কোটির অধিক। তারা যুদ্ধাংদেহী। বার বার দেশটির উগ্র হিন্দুত্ববাদী নেতারা বাংলাদেশ দখলের হুমকি দিচ্ছে। তাদের আগ্রাসনের মুখে বাংলাদেশের একার পক্ষে স্বাধীনতা বাঁচানো অসম্ভব। বুঝতে হবে, বাংলাদেশ জার্মানি, ফ্রান্স, স্পেন ও ইতালির চেয়ে শক্তিশালী নয়। কিন্তু এরপরও স্বাধীনতা বাঁচানোর তাগিদে ইউরোপের শক্তিশালী এই দেশগুলি একতাবদ্ধ হয়েছে ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন‌ গঠন করেছে। এটিই হলো তাদের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা। সে প্রজ্ঞার পথ ধরতে হবে বাংলাদেশকেও। স্পেনের মুসলিমগণ বন্ধু খুঁজতে ব্যর্থ হয়েছিল বলেই স্পেন থেকে তারা নির্মূল হয়েছে। বাংলাদেশীরা যদি বন্ধু খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয় তবে তাদেরও একই পরিণতি হবে। ১৯৪৭’য়ের বাঙালি মুসলিম নেতাগণ বিশ্বস্ত বন্ধু খুঁজে নিতে সফল হয়েছিলেন বলেন সে সময় বাঙালি মুসলিমের স্বাধীনতা বেঁচেছিল। কাশ্মীরের নেতা শেখ আব্দুল্লাহ কায়েদে আজমকে বাদ দিয়ে কাফির নেহেরুকে বন্ধু রূপে গ্রহণ করেছিল বলেই আজও কাশ্মীরীগণ নৃশংস গোলামীর দিন গুনছে। একাত্তরে একই গোলামীর পথ বেছেনিয়েছিল শেখ মুজিব। ফলে বাংলাদেশীরা পেয়েছিল বাকশালী ফ্যাসিবাদ, গুম, খুন, গণহত্যা, দুর্ভিক্ষ, ফাঁসি, আয়না ঘর এবং হিন্দুত্ববাদী ভারতের গোলামী।   

তাই স্বাধীনতা বাঁচাতে হলে সত্বর বিশ্বস্ত মুসলিম দেশকে বন্ধু রূপে বেছে নিতে হবে এবং তাদের সাথে বলিষ্ঠ একতা গড়তে হবে। এক্ষেত্রে দেরি করলে বিপদ ঘিরে ধরবে। এমন একতা ফরজ। এ ফরজ পালন না করলে স্বাধীনতা হারাতে হবে। তখন আল্লাহর পক্ষ থেকেও প্রতিশ্রুত আযাব নেমে আসবে। সে আযাব আসতে পারে এমন কি পরাধীনতা রূপে। বুঝতে হবে বিভক্তি গড়ার শাস্তি ভয়ানক -সে শাস্তির প্রতিশ্রুতি এসেছে সুরা আল ইমরানের ১০৫ নম্বর আয়াতে। বাঙালি জীবনে সে কঠোর শাস্তি  ১৯৭১’য়ে পাকিস্তান থেকে বিভক্তির পর দেখা গেছেসে শাস্তি আবারো আসবে যদি আমরা একতার পথ বেছে নিতে ব্যর্থ হই।

সামরিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা মূলক মজবুত বন্ধুত্ব গড়তে হবে পাকিস্তান ও তুরস্কের ন্যায় সামরিক দিক দিয়ে শক্তিশালী মুসলিম দেশগুলির সাথে। বন্ধুত্ব গড়তে হবে চীনের সাথেও। প্রয়োজনে ভাতৃপ্রতিম মুসলিম দেশের সাথে ইউনিয়ন বা কনফেডারেশন গড়তে হবে। এটি শুধু  রাজনৈতিক প্রয়োজন নয়, শরীয়তের দিক দিয়ে মুসলিম দেশগুলির সাথে রূপ একতা ও সহযোগিতা ফরজ। এমন একতা গড়লে মহান আল্লাহ তায়ালা খুশি হন। কারণ তিনি মুসলিমদের মাঝে একতা পছন্দ করেন। মুসলিমদের জন্য কিসে বিপদ সেটি তাঁর চেয়ে আর কে ভাল জানেন? এজন্যই তিনি মুসলিমদের মাঝে একতা ও সহযোগিতাকে  ফরজ করেছেন এবং বিভক্তিকে হারাম করেছেন।

অপরদিকে শয়তান চায় বাঙালি মুসলিমগণ যেন অন্য মুসলিম রাষ্ট্রগুলি থেকে বিচ্ছিন্ন থাকে। সেটি চায় শত্রু দেশ  ভারতও। কারণ, তাতে বাংলাদেশকে দখলে রাখার কাজটি সহজ হয়। এজন্যই মুজিব-হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশ কোন মুসলিম দেশের সাথে সামরিক চুক্তি করেনি।  বাঙালি মুসলিমদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কি সর্বশক্তিমান আল্লাহকে খুশি করবে, না পৌত্তলিক কাফেরদের ও তাদের বন্ধু সেকুলার বাঙালি কাপালিকদের খুশি করবে। ভারতকে খুশি করার পথটি হলো শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার ন্যায় দুর্বৃত্ত ফ্যাসিস্টদের পথ। এ পথটি স্বাধীনতার পথ নয়, বরং পরীক্ষিত গোলামীর পথ।

বন্ধু দেশের সাথে সামরিক চুক্তি ও সর্বাত্মক সামরিক প্রস্তুতির সাথে আত্মরিশ্বাসেও বলীয়ান হতে হবে। ভীরুরা মৃত্যুর আগেই বহু বার মারা যায়; তাদের যুদ্ধের সামর্থ্য থাকে না। বুঝতে হবে, বাংলাদেশ আফগানিস্তানের চেয়ে ক্ষুদ্রতর নয়। আর ভারত শক্তিশালী নয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত রাশিয়ার চেয়ে। এবং বাংলাদেশে অর্থনীতি পাকিস্তানের চেয়ে দুর্বল নয়। তাই স্বাধীনতা বাঁচাতে হলে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী গড়তে হবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর চেয়ে অধিক শক্তিশালী করেআর মজবুত সেনাবাহিনী গড়া এবং যুদ্ধের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়া ইসলামে ফরজ। এবং হারাম হলো সেনাবাহিনীকে দুর্বল রাখা। শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অনাগ্রহ হলো মহান আল্লাহ তায়ালার সে হুকুমের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ -যা নাযিল হয়েছে সুরা আনফালের ৬০ নম্বর আয়াত। কোন ঈমানদার কি বিদ্রোহের সে পথ বেছে নিতে পারে?   

 

Reply all
Reply to author
Forward
0 new messages