ভারতীয় চ্যালেঞ্জ এবং স্বাধীন বাংলাদেশ নির্মাণের দায়

2 views
Skip to first unread message

Firoz Kamal

unread,
Oct 20, 2025, 7:28:13 PMOct 20
to

ভারতীয় চ্যালেঞ্জ এবং স্বাধীন বাংলাদেশ নির্মাণের দায়

ফিরোজ মাহবুব কামাল

www.drfirozmahboobkamal.com/blog/ভারতীয়-চ্যালেঞ্জ-এবং-স্ব/

 

ভারতীয় এজেন্ডা

স্বাধীন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসী ভারতের ষড়যন্ত্র প্রতিদিন ও প্রতি ঘন্টা জুড়ে। বাঙালি মুসলিমের জীবনে এখন প্রতিদিন একাত্তর। আর একাত্তর আসলেই আসে ভারতীয় ষড়যন্ত্র, যুদ্ধ, সীমাহীন লুণ্ঠন, মুজিবের বাকশাল, গণতন্ত্রের কবর, দুর্ভিক্ষ, রক্ষিবাহিনীর জুলুম ও গণহত্যা। বাংলাদেশ জুড়ে সৃষ্টি হতে চলেছে ভারতীয় আগ্রাসনের নতুন ক্ষেত্র। একাত্তরে ভারত পাকিস্তানকে ভেঙেছিল। কিন্তু ভারতের যুদ্ধ পাকিস্তান ভাঙাতে শেষ হয়নি। তারা এবার ১৯৪৭’য়ের পাকিস্তান থেকে বেরিয়ে আশা বাংলাদেশেরও কোমর ভাঙতে চায়। কারণ, তাদের বিশ্বাস, পাকিস্তানের বীজ বাংলাদেশেও রয়ে গেছে। কারণ তারা জানে, পাকিস্তান শুধু একটি দেশের নাম ছিল না, বরং ছিল এটি একটি আদর্শ, স্বপ্ন, ভিশন ও মিশনের নাম। সেটি পৃথিবী পৃষ্ঠে ইসলামের বিজয় কেতন উড়িয়ে স্বাধীন ভাবে বেড়ে উঠার নাম।

ভারতীয় হিন্দুত্বাবাদীদের বিশ্বাস, ১৯৭১’য়ে পাকিস্তান ভেঙে গেলেও পাকিস্তানী চেতনা রয়ে গেছে। কারণ, দেশ ভাঙলেও চেতনাকে ভাঙা যায়না। তাদের সে বিশ্বাস বদ্ধমূল হয়েছে ২০২৪’য়ের আগস্ট বিপ্লবে ভারতসেবী হাসিনা সরকারের পতন ও ইসলামপন্থীদের উত্থান দেখে। ভারতের রয়েছে প্রচণ্ড ইসলাম ভীতি। তাদের সে ভয় আরো বেড়েছে বাংলাদেশে ইসলামপন্থীদের জনসমর্থন আজকের পাকিস্তানের চেয়েও অধিক দেখে। ভারতের সে ইসলাম ভীতি আরো বেড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়, চটগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় বাংলাদেশের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ইসলামী ছাত্র শিবিরের ভূমিধ্বস বিজয়ে দেখে। ভবিষ্যতে এমনটি হবে ভারত একাত্তরে তা কল্পনাও পারিনি। প্রয়াত বিজিপি নেতা এবং ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর ন্যায় এখন অনেক ভারতীয় বলতে শুরু করেছে ভারত এক পাকিস্তানকে ভেঙে দুই পাকিস্তানে পরিণত করেছে। তবে তারা ভুলে যায়, ১৯০৬ সালে মুসলিম লীগের জন্ম থেকে ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশী ভূমিকা রেখেছিল এই বাঙালি মুসলিমরাই।

ভারতই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের মূল শত্রু। তাই ১৯৭১’য়ে বাংলাদেশের উপর ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিজয়ের পর থেকে ভারত পরিকল্পিত ভাবে বাংলাদেশের বুকে গণতন্ত্র চর্চা হতে দেয়নি। স্বাধীন ভাবে বাংলাদেশকে বেড়ে উঠতেও দেয়নি। একাত্তরের ২১ নভেম্বর ভারতীয় বাহিনীর পক্ষ থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরুর আগে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী তাজুদ্দীন আহমেদকে দিয়ে যে ৭ দফা চুক্তি স্বাক্ষর করিয়ে নেয় সেখানে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণের কোন কথাই ছিল না। বরং ছিল ভারতের অধীনত এক গোলাম বাংলাদেশের কথা। চুক্তিতে ছিল, বাংলাদেশে থাকবে না কোন সেনাবাহিনী। থাকবে না কোন স্বাধীন পররাষ্ট্র নীতি। ভারতের সামরিক নীতি ও পররাষ্ট্র নীতিই হবে বাংলাদেশের সামরিক নীতি ও পররাষ্ট্র নীতি। ভারতের বিজয়ের পর ভারতের সমর্থন নিয়ে চেপে বসেছে শেখ মুজিবের বাকশালী ফ্যাসিবাদ, জেনারেল এরশাদের সামরিকতন্ত্র এবং ভোটডাকাত হাসিনার আয়না ঘরের নৃশংস ফ্যাসিবাদ। স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন স্থান পায় কবরস্থানে।

 


 

বাতিল হয়নি তাজুদ্দীনের ৭ দফা চুক্তি

ভারতের সাথে মুজিবের ২৫ সালা চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেও তাজুদ্দীনের স্বাক্ষরিত ৭ দফা চুক্তি বাতিল হয়নি। ভারত চায়, বাংলাদেশের প্রতিটি সরকার বাঁচুক সে ৭ দফা চুক্তির প্রতিটি শর্ত মেনে হাসিনার ন্যায় ভারতীয় এজেন্ডার পূর্ণ বাস্তবায়ন নিয়ে। সে সরকারগুলি হাসিনার ন্যায় ভারতকে করিডোর দিবে, সমুদ্র ও নদী বন্দরের সুবিধা দিবে, মুক্ত বাজার দিবে, কেড়ে নিবে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার, মুসলিমদের দূরে সরাবে ইসলাম থেকে, মূর্তি নির্মাণ ও মূর্তিপূজাকে বাঙালি মুসলিমের সংস্কৃতি বানাবে  এবং বিরোধীদের আয়না ঘরে বন্দী রাখবে। এবং এভাবেই দাবিয়ে রাখবে বাঙালি মুসলিমদের স্বাধীন ভাবে বেড়ে উঠার স্বপ্ন। বাংলাদেশ সে পথে চললে ভারত সরকার এমন বাংলাদেশের পক্ষে সারা বিশ্ব ব্যাপী সুনাম গাইতে রাজী -যেমন সুনাম গেয়েছে ফ্যাসিস্ট হাসিনার। হাসিনা ভোট ডাকাতি করলে, এক দলীয় নির্বাচন করলে বা শাপলা চত্বরে গণহত্যা করলেও ভারতীয় দূতাবাসগুলি হাসিনার পক্ষে বিশ্বের বিভিন্ন সরকারের কাছে ওকালতি করেছে। বিদেশীদের সে কথাও শুনিয়েছে, হাসিনা না থাকলে বাংলাদেশ ইসলামী জঙ্গীদের কবলে পড়বে। কিন্তু ভারত সরকার আজ প্রচারে নেমেছে ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে। প্রফেসর ইউনুসের অপরাধ, ফ্যাসিস্ট হাসিনার ন্যায় সে ভারতের গোলাম নয়; বরং বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র রূপে খাড়া করতে চায়।

এ থেকে বুঝা যায়, ভারতের হিন্দুত্ববাদী শাসক গোষ্ঠি বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা দিতে রাজী নয়। বাংলাদেশের স্বাধীন পররাষ্ট্র নীতিকে ভারত দেখে ভারত বৈরীতা রূপে। ভারত ইসরাইলসহ যে কোন দেশের সাথে বন্ধুত্ব কবতে পারবে -সেটি তাদের স্বাধীনতা। কিন্তু বাংলাদেশ পাকিস্তান, তুরস্ক ও চীনের সাথে বন্ধুত্ব করলে -সেটি গণ্য হয় ভারত বিরোধী নীতি রূপে।  ভারত রাশিয়া, ফ্রান্স, ইসরাইল থেকে অস্ত্র কিনলে সেটি দোষের নয়। কিন্তু ভারতের কাছে অসহ্য হলো, বাংলাদেশ যদি চীন, তুরস্ক ও পাকিস্তান থেকে অস্ত্র ক্রয় করে। ভারতের জন্য সেটি বিপদ রূপে চিহ্নিত হয়। মুজিব, এরশাদ ও হাসিনার আমলেও ভারত তাই বাংলাদেশকে অস্ত্র ক্রয় করতে দেয়নি। অথচ শক্তিশালি সেনাবাহিনী ছাড়া কি স্বাধীনতা বাঁচে? ভারত বুঝিয়ে দিয়েছে, স্বাধীন বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য দেশটি ১৯৭১’য়ে যুদ্ধ করেনি। একাত্তরে ভারত কি জন্য যুদ্ধ করেছিল সেটি বুঝা যায় তাজুদ্দীনের স্বাক্ষরিত ৭ দফা চুক্তির দিকে নজর দিলে।

 

মূল যুদ্ধটি ভারতের বিরুদ্ধে

বাংলাদেশের মূল যুদ্ধটি হাসিনাপন্থী, এরশাদপন্থী বা মুজিবপন্থীদের বিরুদ্ধে নয়, বরং সেটি হলো তাদের প্রভু ভারতের বিরুদ্ধে। ভারতীয় আধিপত্য রুখবার যুদ্ধই হলো বাঙালি মুসলিমের আজকের এবং আগামী দিনের রাজনীতি। সে রাজনীতি হলো বস্তুত স্বাধীনতা বাঁচানোর পবিত্র জিহাদ। মুসলিম হওয়ার অর্থই হলো প্রতিক্ষণ এমন একটি জিহাদ নিয়ে বাঁচা -যেমনটি বেঁচেছিলেন নবীজী (সা:) ও তাঁর সাহাবাগণ। বুঝতে হবে, ঈমানদারের উপর ফরজ শুধু নামাজী ও রোজাদার হওয়া ফরজ নয়, বরং ফরজ হলো মহান আল্লাহ তায়ালার আনসার তথা সৈনিক হওয়া -যার নির্দেশ এসেছে সুরা সাফ’য়ের ১৪ নম্বর আয়াতে। ঈমানদারকে হুকুম করা হয়েছে:

يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ كُونُوٓا۟ أَنصَارَ ٱللَّهِ

অর্থ: “হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহর সাহায্যকারী হয়ে যাও।”

ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্র পাল্টানোর লক্ষ্যে মহান আল্লাহ তায়ালার সুস্পষ্ট এজেন্ডা রয়েছে। সে এজেন্ডা পূরণে তিনি সাহায্যকারী চান। সর্বশক্তিমান মহান রব একাজটি তাঁর ফিরেশতাদের দিয়েও করিয়ে নিতে পারতেন। “কুন, ফা ইয়াকুন” এমন নির্দেশের মধ্য দিয়েও করিয়ে  নিতে পারতেন। কিন্তু সে বিশেষ দায়টি তিনি বরাদ্দ রেখেছেন একমাত্র তাঁর প্রিয় বান্দা ঈমানদারদের জন্য। কারণ এ কাজের পুরষ্কার সর্বাধিক।  তিনি চান, প্রতিটি ঈমানদার হবে একাজে তাঁর সাহায্যকারী। এবং অর্জন করবে সে কাজের বিশাল পুরষ্কার। তাই উপরিউক্ত আয়াতে প্রতিটি ঈমানদারকে সরাসরি নির্দেশ দেয়া হয়েছে, তারা যেন তাঁর আনসার তথা সাহায্যকারী হয়। কোন ঈমানদার কি তাঁর মহান প্রভুর এ হুকুম অমান্য করতে পারে? অমান্য করলে সে কি মুসলিম থাকে? প্রশ্ন হলো, ইবাদতকে শুধু নামাজ-রোজা, হজ্জ-যাকাত, দোয়া-দরুদে সীমিত রাখলে কি আনসারের দায়িত্ব পালন হয়?

মহান আল্লাহ তায়ালার আনসার হওয়ার অর্থ তাঁর এজেন্ডাকে বিজয়ী করার যুদ্ধ নিয়ে বাঁচা। যার জীবনে সে যুদ্ধ নাই, বুঝতে হবে সে শয়তানের আনসার। শয়তানের আনসারগণই রাজনীতিতে জাতীয়তাবাদী, ফ্যাসিবাদী, দলবাদী, বামপন্থী ও হিন্দুত্ববাদী হয়। শয়তানের আনসার তারাও যারা অফিস-আদালতে ঘুষ খোর, অর্থনীতিতে সূদখোর এবং দোকানদারীতে প্রতারক। পরিতাপের বিষয় হলো বাংলাদেশের রাজনীতি ও সমাজে বিশাল বিজয়টি শয়তানের আনসারদেরই। ফলে বিজয় পায়নি মহান রব’য়ের সার্বভৌমত্ব ও তার শরিয়া আইন। নির্মূল হয়নি দুর্বৃত্তি এবং নির্মিত হয়নি ইসলামী রাষ্ট্র -যেমনটি নির্মাণ করেছিলেন মহান নবীজী (সা:) ও তাঁর সাহাবাগণ।  

 

দায় নিতে হবে স্বাধীন বাংলাদেশ নির্মাণের   

মহান আল্লাহ তায়ালার এজেন্ডা হলো, প্রতিটি মানব সন্তান হবে একমাত্র তাঁর ইবাদতকারী খলিফা এবং তাদের দিয়ে নির্মিত হবে একটি শক্তিশালী মুসলিম উম্মাহ -যেমনটি নির্মাণ করেছিলেন নবীজী (সা:) ও তাঁর সাহাবীগণ। এবং সে রাষ্ট্র পরিণত হয় বিশ্বশক্তিতে এবং সে রাষ্ট্র কাজ করে মহান আল্লাহ তায়ালার সার্বভৌমত্ব, তাঁর খেলাফত ও তাঁর শরিয়া বিশ্বময় বিজয়ী করার হাতিয়ার রূপে। তাই নবীজী (সা:) ও তাঁর সাহাবাদের যুদ্ধের পর যুদ্ধ নিয়ে বাঁচতে হয়েছে। এমন কোন সাহাবী ছিলেন না যার জীবনে যুদ্ধ ছিল না। অর্ধেকের বেশি সাহাবা শহীদ হয়েছেন।

নবীজী (সা:) ও তাঁর সাহাবাদের জীবনী থেকে প্রতিটি বাঙালি মুসলিমদের শিক্ষা নিতে হবে। বাংলাদেশে একটি গ্রামে আজ যত মুসলিমের বসবাস, তার চেয়ে কম সংখ্যাক মুসলিম নিয়ে নবীজী (সা:) ইসলামী রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা দিয়েছিল। মাত্র ১০ বছরের মধ্যে সে রাষ্ট্রকে তিনি বাংলাদেশের চেয়ে ১৫গুণের বেশী বৃহৎ রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। সে রাষ্ট্র ভেঙে আজ ৬টি রাষ্ট্র। প্রশ্ন হলো ১৭ কোটি বাঙালি মুসলিমদের অর্জনটি কি? তারা নিজেদের নবীজী (সা:)’র উম্মত বলে জাহির করে, কিন্তু তারা অনুসরণ করেনা নবীজী (সা:)’র রাষ্ট্র নির্মাণ ও রাষ্ট্র পরিচালনার সূন্নত। তারা ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশকে মুজিব-হাসিনার ন্যায় ভারতের সেবাদাসদের দখলদারি থেকে বাঁচাতে।                                                                                            

ভারত ও তার সেবাদাসদের হামলা থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বাঁচাতে হলে বাঙালি মুসলিমদের শুধু নামাজ-রোজা ও হ্জ্জ-যাকাত নিয়ে বাঁচলে চলবে না। নবীজী (সা:) ও তাঁর সাহাবাদের ন্যায় জিহাদ নিয়ে বাঁচতে হবে। একমাত্র জিহাদই স্বাধীনতা বাঁচানোর হাতিয়ার -নামাজ-রোজা নয়। প্রস্তুতি থাকতে হবে একাজে শহীদ হওয়ার। অন্যদের জীবনে মৃত্যু জীবনের সমাপ্তি ঘটায়। আর শাহাদত শহীদদের জীবনকে প্রাণ দেয়। তাদেরকে মৃত্যুহীন জীবন দেয়। জিহাদের সে দিনগুলিতে আব্দুল্লাহ বিন উবাই’য়ের ন্যায় জিহাদ থেকে দূরে সরা সাহাবীদেরকে মুনাফিক বলা হয়েছে।

১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধ কালে বাঙালি মুসলিমগণ কাফির ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে জিহাদে নামেনি। ফলে মহান আল্লাহ তায়ালা ১৯০ বছরের গোলামী দিয়ে শাস্তি দিয়েছেন। জিহাদ থেকে দূরে থাকলে মাথাার উপর এভাবেই আযাব নেমে আসে। সেদিন দেশের স্বাধীনতা বাঁচানোর দায় শুধু নবাব সিরাজুদ্দৌলা ও তাঁর সেনাবাহিনীর ছিল না, সে দায় ছিল প্রতটি বাঙালি মুসলিমের। আজও ভারতীয় হামলা থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বাঁচানোর দায় প্রতিটি বাঙালি মুসলিমের। তাই সবাইকে অবশ্যই জিহাদ নিয়ে বাঁচতে হবে। প্রতিটি বাঙালি মুসলিম জীবনে তাই থাকতে হবে প্রতিক্ষণের জিহাদ। এ জিহাদ হতে হবে যেমন বুদ্ধিবৃত্তিক ও রাজনৈতিক অঙ্গণে, তেমনি সশস্ত্র রণাঙ্গণে। এ জিহাদে পরাজিত হলে হাসিনার ফ্যাসিবাদ ও ভারতীয় দখলদারি আবারো বাঙালি মুসলিম জীবনে ফিরে আসবে। তখন শুরু হবে নতুন গোলামী। বাংলাদেশ তখন আবার পরিণত হবে নতুন জেলখানায়। ২১/১০/২০২৫

 

Reply all
Reply to author
Forward
0 new messages