‘শৈবালিনী’ কিন্তু মাসুদ খানের বিখ্যাত দক্ষতার স্মারক। অটোগ্রাফ। তিনি আর কাজল শাহনেওয়াজ ছাড়া আশির দশকের সচল কবিদের আর কার বিষয়েই বা আমরা এখন পর্যন্ত ইতিবাচক ভাবনা ভাবতে পারি?এই বিষয়ে কবিসভার পুরা আলোচনাটি এটাচমেন্টে থাকল
কবি সুমন রহমান গালিব ও আমার নামে 'মিথ্যুক' অপবাদ দিয়ে কবিতাকথার
অডিয়েন্সের কাছে নিজের সম্মান বাঁচিয়েছিলেন। সম্মানী লোক নিজের সম্মান
বাঁচাবার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেনই। তাতে আমাদের মতো 'সাবঅল্টার্ন'দের মানে
একটু টান পড়লে পড়তেই পারে, তাকে অত বড়ো কিছু বলে গণ্য করলে চলে না। আমরা
তা করিও নি।
কিন্তু এটি বড়োই নির্মম যে, তারিখসহ নামস্বাক্ষরওয়ালা এই সংযুক্তিটি
নিজেই এখন সুমন রহমানকে মিথ্যুক প্রমাণ করতে চাচ্ছে!
সুমন ভাই কী বলেন?
মুজিব মেহদী,সুমন ভাইয়ের স্খলন নিয়ে কী বলবো, আমি এই চিঠি পড়ি আর হাসি পায়। মানুষ কত বড় ভন্ড হতে পারে! ... এর গলা কত্ত বড় হতে পারে। আমার মনে হয় এখন এই চিঠি ও তথাকথিত গ্রুপত্যাগের চিঠিটার নানা বক্তব্য নিয়ে তাঁর কাছে আপনি স্পষ্ট ব্যাখ্যা চাইতে পারেন। গালিব ও পারেন।
যদি "প্রামাণ্য বাক্য উৎকলন" নাইই করতে পারেন, তবে সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ-র কবিতা সম্পর্কে আমি উচ্চ ধারণা পোষণ করি না... এমন একটি ধারণা কিসের ভিত্তিতে জনসমক্ষে ব্রডকাস্ট করলেন? এখন আমি যদি বলি সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ বাংলা সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য কবি (এবং তিনি তাইই) তখন আপনার এই আন্দাজনির্ভর বিবৃতির ভবিতব্য কী দাঁড়াবে? একটা আলোচনাচক্রের মডারেটর হিসেবে এ ধরনের আলটপকা মন্তব্য করা আপনার জন্য কতটুকু শোভন? এসব বাখোয়াজির ডাইজেস্ট বানানোর জন্যই তাহলে এই গ্রুপ খুলেছেন?
আন্দাজনির্ভর বিবৃতি না দেয়াই ভাল: বিশেষ করে সংবেদনশীল বিষয়ে।
সুমন রহমান
আমি শুধু এটুকু বলতে চাই, কাউকে জনসমক্ষে ন্যাংটো করলে নিজেরও ন্যাংটো হবার সম্ভাবনা থেকে যায়।
শেষ কথা বলি কী, কবিরাও সাধারণ মানুষ, তাই তাঁরাও সাধারণ মানুষের মতো ন্যাংটো হতে/করতে ভালোবাসেন। জয়তু কবিত্ব।
|
|
একজন লেখকের অন্য কোনো লেখকের লেখালেখি সম্পর্কে ধারণা সময়ে পালটাতেই
পারে, এটা বিস্ময়কর কিছু নয়। সেটা সততার সাথে স্বীকার করে নেয়ায় কোনো দোষ
আছে বলেও আমি মনে করি না। কিন্তু আমরা দেখেছি, সুমন রহমান তাঁর বরাত দিয়ে
গালিব কর্তৃক উদ্ধৃত ও আমার দ্বারা পরোক্ষভাবে সমর্থিত একটা তথ্যকে
আন্দাজনির্ভর অভিধা দিয়ে ফোরামটিকে 'বাখোয়াজির ডাইজেস্ট' সম্বোধন করে
যেদিকে বৃষ্টি সেদিকেই ছাতা উঠিয়ে ধরেছেন।
সুমন রহমান ঘোষণা দিয়ে বিদায় হলেও কার্যত এখনো কবিতাকথার সদস্য আছেন (আমি
চাই এরপরও তিনি কবিতাকথার সক্রিয় সদস্যই থেকে যাবেন), সেটা সুব্রতদার
মন্তব্যের জবাবে করা তাঁর টিপ্পনীতেই প্রতিফলিত। সুতরাং আমরা ধরে নিতেই
পারি যে, তিনি টুকুর এই পোস্টটা ঠিকঠাক ফলো করছেন এবং অচিরেই কথা বলে
উঠবেন।
তবু 'ভণ্ড' শব্দটা এই প্রেক্ষিতে তারিক টুকু উল্লেখ না করলেও পারতেন। এ
ধরনের শব্দপ্রয়োগকে কবিতাকথা উৎসাহিত করে না, কারণ তা প্রায়শই ব্যক্তিগত
আক্রমণের দিকে যায়। যদিও তখন উত্তেজনার বশে আমি শব্দটার প্রয়োগ নিয়ে কথা
বলতে পারি নি, সম্ভবত নিজেও এই নোটে বাদীপক্ষের প্রতিনিধি হয়ে রয়েছি বলে।
কবি সুমন রহমান, আপনি কবিতাকথায় আপনার নিজস্ব ওজন ও আওতা নিয়েই থাকবেন।
যে ফোরামে সবাই পিঠ চাপড়ানো বন্ধু, সেখানে তো যুক্তিবাদীর স্বস্তি পাবার
কথা না। যুক্তি খুঁজে পালটা যুক্তি, তাতেই ঘটে যুক্তির মুক্তি।
কবিতাকথা সবাইকে নিয়েই সামনে এগোবে।
এই বিতর্কের কেন্দ্রে ছিল কবি সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ ও তাঁর কবিতা।
সুতরাং এটি যে মূলেই অসাহিত্যিক বিতর্ক ছিল তা সম্ভবত নয়, কিন্তু ক্রমশ
তা এমন একটা পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে, যেটি সাহিত্যিক বিতর্ক হিসেবে বিবেচিত
হবার প্রায় সকল যোগ্যতাই হারিয়ে ফেলেছে। আমরা এরকম একটি বিতর্কে অযথাই
সময়ক্ষেপণ কেন করতে যাব? এ পরিস্থিতিতে আপনি আপনার অবস্থানটি স্পষ্ট করে
খুবই ভালো করলেন।
মঙ্গল হোক আপনার, মঙ্গল হোক সুমন রহমানের। মঙ্গল হোক গালিব ও টুকুর।
ভালো থাক কবিতাকথা।