কবিয়াল স্বরূপেন্দু সরকার আর নেই

73 views
Skip to first unread message

তপন বাগচী

unread,
May 19, 2009, 3:29:48 AM5/19/09
to কবিতাকথা, Swarocish Sarker, Dr. Swarochish Sarker, utpal biswas
প্রখ্যাত কবিয়াল স্বরূপেন্দু সরকার আর নেই
প্রখ্যাত কবিয়াল স্বরূপেন্দু সরকার আর নেই। আজ সকালে তিনি রাজশাহীতে
মৃত্যুবরণ করেছেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবিএস-এর অধ্যাপক ডক্টর
স্বরোচিষ সরকার তাঁর পুত্র। জন্মসূত্রে বাগেরহাট জেলার বাসিন্দা হলেও
শেষ দিনগুলিতে তিনি পুত্রের বাসায় অবস্থান করতেন। স্বরপেন্দু সরকার ষাটের
দশকে ‘ভাটির নাইয়া’ নামের একটি ভাটিয়ালী গানের বই লিখে খ্যতি অর্জন করেন।
সত্তর ও আশির দশকে বাংলাদেশের প্রায় সকল জেলায় তিনি কবিগান পরিবেশন
করেছেন। বাংলা একাডেমী মঞ্চেও তিনি কবিগান পরিবেশন করেন। বিজয় সরকার,
নিশিকান্ত সরকার, রাজেন সরকার, অনাদি সরকার, নকুল সরকার, স্বরূপেন্দু
সরকার ছিলেন একটি সময়ের প্রতিনিধি। তাঁর মৃত্যুতে কবিগানের একটি যুগের
সমাপ্তি হলো। তিনিই ছিলেন কবিগানের সেই উজ্জ্বল যুগের শেষ প্রতিনিধি।
তাঁর মৃত্যুতে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি।
তপন বাগচী

মুজিব মেহদী

unread,
May 19, 2009, 4:15:02 AM5/19/09
to কবিতাকথা
লোকগবেষক অধ্যাপক স্বরোচিষ সরকার যে প্রয়াত স্বরূপেন্দু সরকারের পুত্র
এটি জানা ছিল না। তথ্যের জন্য ধন্যবাদ জানবেন। প্রয়াত স্বরূপেন্দু
সরকারের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।

তপনদার কি জানা আছে কত বছর বয়সে স্বরূপেন্দু সরকারের প্রয়াণ ঘটল?

আমার মনে হয়, 'তাঁর মৃত্যুতে কবিগানের একটি যুগের সমাপ্তি হলো। তিনিই
ছিলেন কবিগানের সেই উজ্জ্বল যুগের শেষ প্রতিনিধি।'-- আপনার পোস্টের এই
অংশের বক্তব্য সারাদেশের প্রেক্ষিতে সঠিক না-ও হতে পারে। আমি
ব্যক্তিগতভাবে দুজন কবিয়ালকে চিনি, যাঁরা এখনো জীবিত। এই দুজনের মধ্যে
সবচেয়ে খ্যাতিমান ও বর্ষীয়ান হলেন মদন মোহন আচার্য। তিনি মদন আচার্য ও
মদন ঠাকুর নামেও পরিচিত। ১৯১৭ সালে জন্মগ্রহণকারী এই কবিয়াল বসবাস করেন
তাঁর জন্মভিটা নেত্রকোনা জেলার সিংহেরবাংলা ইউনিয়নের সহিলপুর গ্রামে।
তাঁর মেয়ে বিভা চক্রবর্তী (১৯৫২) রামমঙ্গল গানের বিখ্যাত শিল্পী।

Tapan Bagchi

unread,
May 19, 2009, 6:17:17 AM5/19/09
to kobit...@googlegroups.com
মুজিব,
আপনার তথ্য অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। নেত্রকোণার মদন আচার্যের কথা ভুলে গিয়েছিলাম। নড়াউলের রসময় সরকার, মানিকগঞ্জের সাইদুর রহমান বয়াতী এখনো জীবিত আছেন। এ তথ্র আমার জানা। এঁরা ভিন্ন ধারার কবিয়াল। সাইদুর রহমান বয়াতী কবিগান ছেড়ে বিচারগানে স্থিত হন এবং প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। রসময় সরকার যাত্রা ও জারি গানের দিকে ঝুঁকে পড়েন। মদন আচার্য কবিগানের চর্চা চালিয়ে যান। কিন্তু কবিরসরাজ তারক সরকার (তারক কাড়ার, শ্রীশ্রীহরিলীলামৃত-র লেখক), বিজয় সরকার এবং এবং যাঁদের নাম বলেছি, তাঁরা কবিগাসেন টপ্পা, মালসী, উপর, চাতান, খেউড়ের পাশাপাশি ছুটা গান গেয়ে নতুন ধারা সৃষ্টি করেছেন। রমেশ শীল প্রমুখ কবিয়ালদের থেকে এঁরা পৃথক ধারার সৃষ্টি করেছিলেন। তারক সরকার কাহিনীকাব্য ও মতুয়াসঙ্গীত লিখেছেন। বিজয় সরকার লিখেছেন 'পোষাপাখি উড়ে যাবে সজনী একদনি ভাবি নাই মনে' প্রভৃতি গান যা বিচ্ছেদী গান নামে পরিচিত। স্বরূপেন্দু সরকার লিখেছেন ‌ভাটির নাইয়া' নামে ভাটিয়ালী গান। মদন আচার্যের কবিগানের পাশাপাশি স্বতন্ত্র কোনো অবদান আছে কিনা আমার জানা নেই। জানার আগ্রহ রইল। যতীন সরকার এঁদেরকে মূলধারার কবি বলেন। জালালউদ্দিন খাঁকেও তিনি মূলধারার কবি বলে অভিহিত করেছেন। আমরা এই মূল ধারার কবিদের নিয়ে আলোচনা করতে চাই। মদন আচার্যকে নিয়ে দৈনিক সংবাদের মফঃস্বল পৃষ্ঠায় ফিচার পড়েছি। এর বাইরে তেমন জানার সুযোগ পাই নি। ড. স্বরোচিষ সরকার ইউজিসি-র ফেলোশিপ নিয়ে বাংলাদেশের কবিগান নিয়ে গবেষণা করেছেন। বেশ কিছু উপাত্ত দিয়ে আমিও সহযোগিতা করেছি। তিনি প্রায় সাড়ে ৫শ' কবিয়ালের সন্ধান পেয়েছেন। মদন আচার্যের কথাও সেখানে আছে। আমি তালিকাটি দেখেছি। ড. স্বরোচিষের গবেষণাগ্রন্থ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ওটি প্রকাশিত হলে আমাদের গৌরবের একটি অধ্যায় প্রকাশিত হবে।
তপন বাগচী

 
Reply all
Reply to author
Forward
0 new messages