RE: [????????:651] Re: [????????:632] Re: ? ?? ??? ???????

62 views
Skip to first unread message
Message has been deleted
Message has been deleted

Gomes, Subrata Augustine

unread,
May 11, 2009, 11:13:34 PM5/11/09
to kobit...@googlegroups.com
Priyo Galib,
 
Apnake taRahuRay "Sohel" shombodhon kore phelechhi... onichchhakrito ei bhuler jonyo marjona chaichhi...
 
Bhalo thakben,
 
Subrata
 


From: Gomes, Subrata Augustine
Sent: Monday, 11 May 2009 12:59 PM
To: 'kobit...@googlegroups.com'
Subject: RE: [????????:651] Re: [????????:632] Re: ? ?? ??? ???????

Bar bar ek-i note post korbar jonyo dukkhito... network-e kichhu shomoshya hoyechhilo...


From: kobit...@googlegroups.com [mailto:kobit...@googlegroups.com] On Behalf Of Gomes, Subrata Augustine
Sent: Monday, 11 May 2009 12:44 PM
To: kobit...@googlegroups.com
Subject: [????????:656] FW: [????????:651] Re: [????????:632] Re: ? ?? ??? ???????

Priyo Sohel,
 
E niye ar torko korte bhalo lagchhe na amar... apnar ar amar, jake bole, point of departure-i alada... emon ashai korte pari na je kono concord ekhane ekebarei shombhobpor...
 
Apni amake bhul bujhchhen bar bar, naki ichchha kore amar kothar bhinno ortho korchhen ta ami jani na... ami kobe kokhon bollam je chhondo-dokSho kobimatroi shera kobi? Ami borong hoyto bolte partam je shera kobi-matroi chhondo-dokSho.
 
Ar... ta boltam jodi, to ami chhondo bolte Banglar tin britto bujhtam/bojhatam na nishchoyi...
 
Chhondo amar kachhe ekjon kobir "mode of expression". Shorboprokar kabyik uchcharoN-i chhonder ontorgoto... godyo-o... ar godyoke chhonder ontorbhukto korechhen khod shongskrito chhandoshikerai... shei kobe...
 
Ja chhondoboddho noy ta kobita noy...
 
Jemon, ja chhondoboddho noy ta gan noy... ba sthapotyo noy, ba bhashkorjo noy...
 
Gan-er chhondo jemon toblar bol noy, kobitar chhondo-o keboli "bejoRe bejoRe ga(n)tho joRe ga(n)tho joR" ei prokarer prathomik chhondogYan noy...
 
ei alochona theke ami biday nichchhi ekhon, apnar tola, amar duTo choroNer chhondo niye kora proshner jothashadhyo jobab diye:
 
1.
 
Fi moRe traffic light, ambulance-o aTke daey tara
 
"light" shobdoTa okShorbritte 2 matrar, kenona: okShorbritte, ruddhakShor (mane hoshonto/byanjonanto) okShor (syllable) 2 matrar, horof jotogulii thakuk, kajei "lai" jemon 2 matra, "lait"-o tai.
 
"aTke"-o  2 matrar, kenona, okShorbritte, shobder sheShe ba muktobhabe na thakle, ruddhakShor 1 matra. "onto" shobder "on" jemon 1 matra, "aTke"-er "aT"-o tai.
 
2.
 
bhangbe tomar ghum - uThbe ek onyo tumi jege
 
ekhane "bhangbe"-er prothom okShor "bhang"-ke 2 matra dhora hoyechhe. ETi okShorbritter bisheSh licence, je kokhono kokhono shobder shurur ba modhyer ruddhakShorke 2 matra nirdesh kora hoy. "uThbe"-er "uTh" abar okShorbritter shwabhabik niyomei 1 matra hoyechhe. "Bhang"-er 2 matra nirdesher aro ekTi uddeshyo chhilo, oi syllable-e bisheSh jor dewa... bhangaTa besh jordar hoy jate...
 
Alamati bistareNa...
 
Subrata
 
 
 


From: kobit...@googlegroups.com [mailto:kobit...@googlegroups.com] On Behalf Of Sohel Hasan Galib
Sent: Saturday, 9 May 2009 9:38 AM
To: kobit...@googlegroups.com
Subject: [????????:651] Re: [????????:632] Re: ? ?? ??? ???????

প্রিয় সুব্রতদা,

আপনি আমাকে ছন্দ-শত্রু হিশেবে দাঁড় করাচ্ছেন। আদতে তা নই যদিও, তবু্ এখানে নাহয় সে অবস্থানটাই নেয়া গেল। কারণ, ছন্দোবাক্যই কবিতা---এমন একটা সুধীন দত্তীয় সিদ্ধান্তের দিকে চলে যাচ্ছেন কি না ভয় হয়।

আপনার কথা মতো, ছন্দ বাঁশির সুর হয়ে দিগ-দিশারী হয়, অমৃতপানে। তাহলে এটা আশা করা যায়, ছন্দোদক্ষ কবিমাত্র লক্ষ্যভেদী। বাংলা ভাষায় দুজন ছন্দের জাদুকরের কথা আমরা জানি। নাম উচ্চারণ ব্যতিরেকে এ কথা বলা যায় যে, চূড়ান্ত অর্থে তারা লক্ষ্যভেদী হন নি। হলে, ঐ ভেদ-সাফল্য অন্তত আমরা চাই না। আরও গোটা দশেক গৌণ কবি পাওয়া যাবে, যারা ছন্দে পটু।

প্রকৃত প্রস্তাবে, কবিত্বের জন্য কমলকুমারের 'কমলাসুন্দরী'র কথা ভাবা যেতে পারে। অন্তর্জলি যাত্রা। সেলিম আল দীনের চাকা বা যৈবতী কন্যার মন।

ভাবা যেতে পারে রবীন্দ্রনাথের ছন্দহীন গানগুলির কথা। শঙ্খ ঘোষ যাক বলেন, ছন্দঃস্পন্দ। এক ধরনের ফ্রি ভার্স। ছন্দ নিয়ে রবীন্দ্রনাথ নিজেই উৎপীড়িত বোধ করেছেন কি না সন্দেহ হয়। মাত্রাবৃত্তে লেখা একটা কবিতার উদাহরণ দিই।

ভালবেসে সখী নিভৃতে যতনে
আমার নামটি লিখিয়ো---তোমার
মনের মন্দিরে।

গান করতে এসে তাকে লিখতে হলো :

ভালবেসে সখী নিভৃতে যতনে
আমার নামটি লিখো---তোমার
মনের মন্দিরে।

সুরের সাহায্য ছাড়াই দ্বিতীয়টা সুখপাঠ্য। আমাদের পাঠের সহজাত ভঙ্গির অনুকূলে বলে হয়তো। হয়তো দ্বিতীয়টাই ছন্দে নির্ভুল, শ্বাসাঘাত বা শ্বাসবিরতিকে মাত্রা গণনা করি যদি। সেক্ষেত্রে প্রথমটা কি ভুল? তবে কি তখন পর্যন্ত কবি ছন্দের গুপ্তফাঁদগুলো ধরতে পারেন নি?

ছন্দ সম্পর্কে সাম্প্রতিক যে আলোচনাগুলি চোখে পড়েছে, সেখানে দেখতে পাই, ছন্দ ক্রমশ বাক্স্পন্দে গ্রসমান। বাগভঙ্গিনির্ভর হয়ে উঠেছে। সতত ডানার মানুষ হয়ে উড়াল দিচ্ছে। বলতে পারেন, সিকদার, উৎপল, ভাস্কর, গৌতম এরা একসময় ছন্দে হাত পাকিয়ে নিয়েছেন। তাহলে প্রশ্ন, ছন্দে থাকলেন না কেন? এবং লক্ষণীয়, ছন্দ-কবিতায় সকরুণ ব্যর্থতা নিয়েই সিকদার আমিনুল হক টানা গদ্যে সাফল্য রচনা করলেন।

এ-পর্যন্ত পৃথিবীর প্রায় সকল শ্রেষ্ঠ কবিতা ছন্দে লেখা হয়েছে।---এ কথাটার বিশেষ কোনো তাৎপর্য নেই আর, বহু শুনেছি। বাংলা ভাষায় কবিরাজি আয়ুর্বেদী শাস্ত্রও ছন্দে লেখা হয়েছে। ছন্দ ছাড়া কোনো ভাষ্যই ছিলো না একদা।

ঐ শব্দরেখা ধরে চকিতে হইতে দিশাহারা
আকাশের খুঁজিতে কিনারা

পাল্টে লিখলাম:

চকিতে ও-শব্দরেখা ধরি' হইয়া দিশাহারা
আকাশের খুঁজিতে কিনারা

লোকে হয়তো খেপে যাবে শুনলে, তবু আমার মনে হয়, আমার লাইনটাই সুন্দর এবং নির্ভুল হয়েছে। চকিতে, হইতে, খুঁজিতে-এর একঘেয়েমি থেকে কবিতাটা মুক্তি পেল। মুক্তি পেল ছন্দের অপশাসন থেকেও। কারণ 'হইতে' 'হইয়া'-কে তিন মাত্রা গণনার মধ্যে ঐতিহাসিক গোঁজামিল আছে। যেমন আছে 'আমরা'র মধ্যে।

আচ্ছা, সুব্রতদা, এই লাইনটাকে কীভাবে পড়বো : ফি-মোড়ে ট্রাফিক লাইট, আ্যাম্বুল্যান্সও আটকে দেয় তারা ?
এমন কি : ফি-মোড়ে ট্রাফিক্লাইট, আ্যাম্বুল্যান্সও আটকে দেয় তারা।

ভাঙবে তোমার ঘুম---উঠবে এক অন্য তুমি জেগে = ভাঙবে তোমার ঘুম---উঠব্যাক অন্য তুমি জেগে ?
একই কবিতায় 'আটকে' দুই মাত্রা, 'ভাঙবে' তিন মাত্রা?


আপনি কবিতার পঙক্তিকে অপরিবর্তনীয় ভাবছেন কেন? আয়াত না কি? শেষ কথা, সুর ফেলে দিয়ে লালনের লিরিকগুলি নিলে যা পাওয়া যায় তা কি ইনকম্পিট্যান্স?



ইতি
ছন্দানুগত
গালিব






2009/5/9 Gomes, Subrata Augustine <AG21...@ncr.com>
সরি, একটা ভুল আছে "অমোঘ হয়"-এর জায়গায় "অমোঘ নয়" হবে, শেষের আগের প্যারার শেষ লাইনে।
 

From: kobit...@googlegroups.com [kobit...@googlegroups.com] On Behalf Of Gomes, Subrata Augustine
Sent: Friday, 8 May 2009 4:30 PM
To: kobit...@googlegroups.com
Subject: [কবিতাকথা:649] Re: [????????:632] Re: ? ?? ??? ???????

প্রিয় গালিব,
 
সর্বজনীন কথাটা তৈরি হয়েছে এভাবে: সর্ব+জন = সর্বজন+ঈন (প্রত্যয়) = সর্বজনীন। ঈন প্রত্যয় যোগ হলে আদ্যস্বরের বৃদ্ধি বা গুণ হয় না। যেমন জন+ঈন জনীন, অভ্যন্তর+ঈন অভ্যন্তরীণ, সর্বাঙ্গ+ঈন সর্বাঙ্গীন, তেমনই সর্বজন+ঈন সর্বজনীন। সর্বজনীনের বিকল্প শব্দ হতে পারে সার্বজন (অণ্ প্রত্যয় যোগে, সেক্ষেত্রে আবার ঈন প্রয়োগ করবার কোনো মানে হয় না), সার্বজন্য বা সার্বজনিক (তেমনই অভ্যন্তরীণ-এর হতে আভ্যন্তর বা আভ্যন্তরিক)।
 
ছন্দ নিয়ে আপনার সাথে আমার গুরুতর মতপার্থক্য আছে তা বুঝতে পারছি। আপনি ছন্দের যে-ফাংশানটার উল্লেখ করছেন, খানিকটা কাব্যিক ভাষায় (মানে, রাধার পায়ের নীচে কাৎটা গেড়ে হাৎটার কথা বলে), সেটা "মিহি কেরানির" কাজ বলে গণ্য করা গেলেও যেতে পারে, সেটা ছন্দের প্রাথমিক ফাংশান এবং একজন নোতুন কবির মাথাব্যথা। কবিতার কথা বাদ দিই, সকল শিল্পের হবু শিল্পী্কেই শিল্পী হবার আগে পর্যন্ত বেধড়ক রেওয়াজ করতে হয় ঐ ঐ শিল্পের টুল-গুলিকে আয়ত্ত করতে। ঠিক ঐ মুহূর্তে সেগুলি টুলজ-মাত্র। কিন্তু, ঐ শিক্ষানবিস স্নাতক হয়ে যাবার পরে টুলগুলি তার শিল্পসাধনার প্রতিবন্ধক নয়, বরং উপায় হয়ে দাৎড়ায় (ঘোড়ার ডিম চন্দ্রবিন্দু আসে না কেন)। ছন্দ নিজেই আত্মপ্রকাশের উপায় হয়ে যায়, আত্মপ্রকাশের বাধা নয়। রাধার পায়ের নীচের কাদা বা কাৎটা নয়, হয় কৃষ্ণের বাৎশির সুর যা আৎধার রাতে তাকে দিঙ্-নির্দেশনা দেয় তার দয়িত, তার মোক্ষ, তার অমৃতের দিকে তাকে নিয়ে যেতে।
 
এ-পর্যন্ত পৃথিবীর প্রায় সকল শ্রেষ্ঠ কবিতা ছন্দে লেখা হয়েছে। এর কয়টার বিষয়ে বলা যাবে যে ছন্দ না থাকলে সেগুলো আরও ভালো কবিতা হতে পারত? "পর্বত চাহিল হতে বৈশাখের নিরুদ্দেশ মেঘ / তরুশ্রেণী চাহে পাখা মেলি / মাটির বন্ধন ফেলি / ঐ শব্দরেখা ধরে চকিতে হইতে দিশাহারা / আকাশের খুৎজিতে কিনারা"... আপনি কোন্ প্রাণে একটা শব্দ, একটা অক্ষরও এর বদলাতে পারেন? একটা অক্ষরকে বলতে পারেন যে ছন্দোরক্ষার স্বার্থে এই অক্ষরটা ব্যবহৃত হয়েছে, কিন্তু এটি অমোঘ হয় এই কবিতায়?
 
তাইলে খাড়াইল কী (ইতি ভানু)? ছন্দ নয়, বরং ছন্দ প্রয়োগকারীর ইনকম্পিটেন্স (শুধু ছন্দ প্রয়োগে নয়, সার্বিকভাবে কবি হিসাবেও) অন্তরায় হয়ে দাৎড়ায় কবিতার উত্কর্ষের।
 
এ আমার মনে হয়।
 
সুব্রত।
 

From: kobit...@googlegroups.com [kobit...@googlegroups.com] On Behalf Of Sohel Hasan Galib [kranti...@gmail.com]
Sent: Friday, 8 May 2009 1:16 PM
To: kobit...@googlegroups.com
Subject: [কবিতাকথা:648] Re: [????????:632] Re: ? ?? ??? ???????

প্রিয় সুব্রতাদা,
আপনাকে অশেষ শুকরিয়া জানাই, কষ্ট স্বীকার করে ভূমিকাটি আবার পড়েছেন বলে। আর প্রশংসা করেছেন বলে কৃতজ্ঞতা নাইবা জানালাম, সেটা সংকীর্ণতা হবে।

হায় বেলুড় মঠ!
কথাটা যখন আমি লিখি তার কিছুদিন আগে ডিডি বাংলায় একটা শাস্ত্রীয় সংগীতের অনুষ্ঠান দেখেছিলাম। বেলুড় মঠ থেকে সম্প্রচারিত হচ্ছিলো। রবি শঙ্কর সেতার বাজাচ্ছিলেন। তার কন্যা আনুষ্কাও ছিলেন সম্ভবত। এর আগে আমি নিজেও বেলুড় মঠ ঘুরে এসেছি। কিন্তু কোনোদিন বানানটার দিকে তাকিয়ে দেখি নি। আপনাকে ধন্যবাদ এটি ধরিয়ে দেবার জন্য।

সর্বজননীন ও সার্বজনীন নিয়ে গণ্ডগোলে পড়ি ক্লাস নাইনে। তখন টেক্সটবুক কারিকুলামে বানান-সাযুজ্য ও -সংশোধনের কাজ করছিলেন আমার বাবা। আমি তার দ্বারস্থ হলাম। তিনি যে ব্যাখ্যাটি দিয়েছিলেন :

সর্বজনীন=সকলের জন্য অনুষ্ঠিত / সকলের দ্বারা অনুষ্ঠিত
সার্বজনীন=সকলের দ্বারা অনুষ্ঠিত / সকলের জন্য অনুষ্ঠিত

আমি ঠিক নিশ্চিত নই কোনটার ক্ষেত্রে কী বলেছিলেন। উনি আজ বেঁচেও নেই যে জিজ্ঞেস করবো। কিন্তু অভিধানে এমন সুস্পষ্ট বিভাজন সেদিনও খুঁজে পাই নি, আজও পাই না।

পশ্চিম বাংলার ভাষ্য (সাহিত্য সংসদ্) :
সর্বজনীন=সকলের পক্ষে হিতকর, সকলের জন্য কৃত অনুষ্ঠিত বা উদ্দিষ্ট; বারোয়ারি (সর্বজনীন পূজা, সর্বজনীন প্রচেষ্টা)
সার্বজনীন=সকলের যোগ্য, সর্বজনের জন্য অনুষ্ঠিত; সর্ববিদিত (সার্বজনীন উৎসব)

বাংলাদেশের ভাষ্য (বাংলা একাডেমী) :
সর্বজনীন=সকলের মঙ্গলজনক বা কল্যাণকর; সর্বসাধারণের জন্য অনুষ্ঠিত, বারোয়ারি
সার্বজনীন=সকলের মধ্যে প্রবীণ; সর্বশ্রেষ্ঠ; [অশুদ্ধার্থ : সর্বসাধারণের জন্য অনুষ্ঠিত বা কৃত (সার্বজনীন দুর্গোৎসব)]

সকলের মঙ্গলজনক বা কল্যাণকর---বাংলা একাডেমী এটা কী লিখল! কাছে / জন্য জাতীয় অনুসর্গটি কই?

তাহলে দেখা যাচ্ছে, সার্বজনীন শব্দটি ভুল নয়, অর্থ নিয়ে দ্বিমত আছে। বাংলা একাডেমীর অর্থটাকে আজগুবি এবং উদ্ভট মনে হয়েছে।

আমার বাক্যে ছিলো : 'আধুনিকতাবাদের সার্বজনীনতা নামক ভণ্ডামি'---এখানে ভুলটা শনাক্ত করতে পারছি না, সুব্রতদা। ব্যুৎপত্তিগতভাবে, সার্ব মানে সর্ব-সম্পর্কিত বা সর্বপ্লাবী এবং জনীনকে জন-সংক্রান্ত বা জন-উদ্দিষ্ট ধরে নিলে যা দাঁড়ায় তা হলো : সর্বক্ষেত্রের জনগণের জন্য প্রযোজ্য। আর সর্বজনীন বললে সর্বজনের জন্য প্রযোজ্য বোঝায়। এস্থলে সর্বক্ষেত্রের সর্বজন কথাটার বিস্তৃতি লক্ষণীয়। তারপরও এ ভুল সম্পর্কে আপনার কাছে একটা ব্যাখ্যা দাবি করতে পারি। সকলের জন্য হিতকর হবে।

না, ছন্দকে খাঁচা-টাচা কিছু ভাবি না আমি। বন্ধন বটে, সেটা মুক্তির জন্যই। সেতারের তারটাকে ঠিকমতো বেঁধে না নিলে গান তো বেসুরো হবেই। কথাটা রবির কাছে থেকে ধার করে বললাম। কিন্তু বিদ্যাসাগরের শকুন্তলা বা সীতার বনবাস-এর গদ্যস্পন্দও আমি বুঝতে আগ্রহী। একথাটা বোধ হয় স্পষ্টভাবে বলতে পারি নি।

আমি লিখেছিলাম :
কে না জানে, যুদ্ধক্ষেত্রটা স্বভাবতই বিশৃঙ্খল। কিন্তু সামরিক কুচকাওয়াজ সুশৃঙ্খল। তেমনি ছন্দ-পরিক্রমা পুরোটাই গাণিতিক আর কবিতা রচনা রীতিমতো গণিতঘাতী, এমনকি বিজ্ঞানবিরোধী এক প্রজ্ঞার অভিযান।

এবার একটু ব্যাখ্যা করি। আজ ২৫ শে বৈশাখ। রবীন্দ্রনাথ থেকেই ধার করি। লিখেছেন : অধরা মাধুরী ধরেছি ছন্দোবন্ধনে। কথাটা উল্টে বলা যায়, ছন্দে যা ধরা হয়েছে সেটা আশলে অধরা। সে অধরা কোনো বন্ধন স্বীকার করে না। আর আমরা বন্ধনের বাইরে কোনো কিছু ভাবতেই পারি না---না কোনো সম্পর্ক, না কোনো শত্রুতা। কিন্তু বন্ধনের ফাঁস থেকে আমরাও মুক্তি চাই। তার প্রমাণ, বন্ধনের ভেতর মুক্তিকে চাই।

কবিতা আশলে ছন্দের বাইরের জিনিশ---এভাবে বলা বিপজ্জনক যদিও। তবুও, মিটার বা মাত্রা গণনার মতো মিহি কেরানির কাজটুকু কবির নয়, কর্মীর। তারপরও, 'দুয়ারে কণ্টক গাড়ি' রাধা-শীলনকে মান্য না করে উপায়ও নেই কৃষ্ণের কাছে পৌঁছতে হলে। ছন্দকে আমার অভিসারের পথে রাধার পায়ের নিচে কাঁটার মতো মনে হয় কখনোবা।

কবিতাকে গণিতঘাতী বলেছিলাম, হিশাবকে নিকাশ করার জন্যই। বিজ্ঞানবিরোধী কথাটাও এসেছে ঐ জায়গা থেকে। যুক্তি ও প্রমাণের আঁচ থেকে বাঁচাবার জন্য। বলেছি প্রজ্ঞার কথা, আরো ভালো হতো সজ্ঞা বলতে পারলে। এ কথা সত্যি, সমস্ত বৈজ্ঞানিকতার পেছনে মানুষের কল্পনাকে গুরুত্ব দিয়েছেন আইনস্টাইন। জীবনানন্দ দাশ যেমন কল্পনার সারবত্তার কথা বলেন। কিন্তু এ কি আপনি অস্বীকার করবেন, বিজ্ঞান যাত্রা করে নিশ্চয়তার দিকে অনিশ্চিতি থেকে। কবিতা নিশ্চয়তার বহুমুখ উন্মোচন করে। যা ছিলো সুনিশ্চিত, তাই হয়ে পড়ে প্রশ্নবিদ্ধ, আচ্ছা আর সাচ্চার বাইরে প্রায় অপলাপের মতো। অপহ্নব তো কেবল কবিতাতেই সম্ভব। মানুষের আত্মহত্যাকে যেভাবে যুক্তিগ্রাহ্য করে তুলতে চায় সমাজ, সেখানে 'আট বছর আগের একদিন' একটা অনিশ্চয়তা, এক বিপন্ন বিস্ময় নিয়ে হাজির হয় না কি?

আজ প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে শিরীষ গাছের তলায় বসে পুরনো এই কথাগুলো আরেকবার ভাবলাম।


ইতি
গালিব




2009/5/7 Gomes, Subrata Augustine <AG21...@ncr.com>
Priyo Galib,
 
Shunyer Kabita-r bhoomikaTi tokhon-i poRechhilam, tobe taRahuRa kore, ajke abar poRlam, mon diye...
 
Apnar godyo besh mojbut, ar shahityik-o. Ami godyo-shiddhi-ke je kono dhoroNer lekhar ekTa prak-shorto mone kori. Pranjol godyo je likhte pare na, she kichhui likhte pare na ashole...
 
Apni ja bolechhen, tar onek onek jaygay ami pray shorob tarif kore uThechhi (mane bus-e boshe, bhodrota bojay rekhe jeTuku shombhob)...
 
Poshchimer khoNDoyon-reeti amader kobitar ba shilper bodhke porjonto kemon unmool, udbastu kore tulechhe, ta apnar moto amio shobshomoyi bodh kore eshechhi - amra "amader" kotha likhchhi ki adou? Naki sref poshchimer onukar kore jachchhi?
 
Chhondo niye kothao bhalo laglo, ebong moTei upor shohomot holam. Kintu: "chhondo-porikroma puroTai gaNitik ar kobita rochona reetimoto goNitghati, emonki bigYanbirodhi ek progYar obhijan", ei ray-Tike ami nite parlam na.
 
GoNit bolte jodi kebol paTeegoNit bojhe keu, ba bigYan bolte "shoorjo purbo dik-e oThe" emon shiddhantoke, tahole tar pokkhei emon shoroleekoroNe pou(n)chhe jawa shombhob je chhondo mane sringkhola / shringkhol, chhondo bhaShar, prokasher, chhoTo chhoTo kha(n)cha ba khop-matro... atmoprokasher pothe bighno-matro...
 
Kintu adote, goNit jemon shudhu paTeegoNit noy, tar modhye differential calculus-o achhe, bigYan-o temni kebol nishchiti niye deal kore na, korle Einstein-ke boigYanik bola jay na... temnii, chhondo-o bhaShar jailkhana noy, borong tar muktir shopan... ebong apni nijeo kintu ei bakyoTir agei hore-dore eki rokomer kotha bolechhilen... mane ekTa jatir kotha bolar bhongi ba emonki shwash-proshwasher dhoroNer uporei shei jatir prodhan chhondoguli bhor kore thake...
 
duTo bhul banan dekhlam: sarbojoneen (hobe sorbojoneen), ar Belur (hobe, shombhoboto BeluR, mane D-e shunyo R). Kobider uporodhe bhul bananer Dhe(n)ki gelaTao mono:puto hoy ni.
 
Bhalo thakben,
 
Subrata 

From: kobit...@googlegroups.com [mailto:kobit...@googlegroups.com] On Behalf Of Sohel Hasan Galib
Sent: Tuesday, 5 May 2009 1:22 PM
To: kobit...@googlegroups.com
Subject: [????????:632] Re: ? ?? ??? ???????

প্রিয় সুব্রতদা,
আমার সম্পাদিত "শূন্যের কবিতা" বইটি আমি আপনাকে পাঠাই নি। টুকু পাঠিয়েছে সম্ভবত। আচ্ছা আপনি ভূমিকাংশটা কি পেয়েছেন? যা হোক, যেহেতু আপনার আগ্রহ জন্মেছে, শূন্যের উপর পড়েছে শুভদৃষ্টি (শ্যেনদৃষ্টি!), সেহেতু আমি অনুরোধ করি অন্তত আরও দুটি বই পড়ে নিতে। অনন্ত সুজন সম্পাদিত "শূন্যের সাম্পান" (এখানে অবশ্য প্রাগুক্ত সংকলনের সকল কবির অংশীদারত্ব নেই) এবং মামুন খান ও যুবা রহমান সম্পাদিত "শূন্যদশকের প্রেমের কবিতা"। শেষোক্ত বইটি আপনার ঝালিয়া যেখান থেকে বেরিয়েছে এবং অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের কবিতা যেখান থেকে বেরোবার কথা, সেখানে আছে। সোহেলকে বললে ও আপনাকে সফট কপি পাঠাতে পারবে।

আমাকে হাল্কাপাৎলা অনুরোধ করলে আমিও পাঠাতে পারি।

এ দশকের কবিদের খারিজ বা তারিফ করতে গিয়ে তাদের বই না পড়লেও (!) নিদেনপক্ষে এ তিনটি সংকলন পড়ে নেয়া জরুরি।

ইতি
গালিব


2009/5/5 মুজিব মেহদী <m.m...@gmail.com>
প্রিয় সুব্রতদা,
শুনে ভালো লাগছে যে, আপনি 'শূন্যের কবিতা' পড়ে উঠছেন। ভালোমন্দ মিলিয়ে যে
অনুভূতিটা হচ্ছে সেটা যদি সত্যি কখনো লিখেন (যেটার সম্ভাবনার কথা আপনি
জানালেনও), তো সেটা খুব খুশিরই কারণ হবে। ডিটেলে যদি লেখাটা হয় তো ধারণা
করি সেটা অনেক বড়ো হবে, যা হয়ত সফট ফর্মে পাঠের জন্য সুবিধাজনক হবে না।
কিন্তু ওর একটা সংক্ষিপ্ত ভার্সন যদি অন্তত কবিতাকথায়ও পোস্ট দিতেন তো এ
ফোরামের পাঠকদের মধ্যে শূন্যের কবিতা বিষয়ে যে কৌতূহলটা জন্ম নিয়েছে,
সেটার একটা মোচন এবং একইসঙ্গে বিস্তারণ সম্ভব হতো।











Sohel Hasan Galib

unread,
May 12, 2009, 12:39:19 AM5/12/09
to kobit...@googlegroups.com
সুব্রতদা,
আমার নাম সোহেলও বটে। কাজেই এ সম্বোধনে ভুল হয় নি কোনো। মূলত
আমার ডাক নাম সোহাগ। এই আনস্মার্ট নামটি রেখেছিলেন আমার ফুপাত ভাই। আর আব্বা এতে অবদান রেখেছিলেন এভাবে :
সো = সোহেল
হা = হাসান
গ = গালিব
মানে দাঁড়ালো ‌'সহজ সুন্দর বিজয়ী'।

এও এক খেলা বটে। আর সে খেলাটা আমি
নষ্ট করি নি নাম বদল করে। বন্ধুরা আমার ডাক নাম গালিব বানিয়েছে। খুব সম্ভবত মির্জা গালিবের সাথে নাম জড়িয়ে মস্করা করতে গিয়ে।

ভালো থাকুন।

ইতি
গালিব



2009/5/12 Gomes, Subrata Augustine <AG21...@ncr.com>

Sohel Hasan Galib

unread,
May 12, 2009, 3:25:55 AM5/12/09
to kobit...@googlegroups.com
সুব্রতদা,
আবারও অতি অল্প কথা,


ছন্দ নিয়ে আলোচনায় কনকর্ডেন্স না হলেও কনফারেন্স চলতে পারতো।

'লাইট' শব্দের মাত্রা-বিশ্লেষণ সত্যিই বুঝি নি।

আইল (জমির আল) আর আইলো (এলো) কি এক হবে, মাত্রা-গণনায়?

'আইল' উচ্চারণে আ-এর পরে একটা গ্লাইডের আগমন ঘটছে। ফলে কোনোভাবেই 'ই'-কে বাগযন্ত্র চেপে ধরতে পারছে না। যত দ্রুত উচ্চারিত হোক না। সে জন্য 'আই' শব্দাংশ কোনোভাবেই রুদ্ধাক্ষর নয়। অক্ষরভাগটা সূক্ষ হিশেবে না হলেও মোটামুটি এমন=আ+ইল।

ফ্লাইট আর ফ্ল্যাট-এর পার্থক্যটাও তেমনি। তবে এ কথাও স্বীকার্য এই স্বরধ্বনিই ছন্দে গুপ্তফাঁদ। কখন যে সে অর্ধস্বরধ্বনি, আর কখন যে পূর্ণ, সেই বলতে পারবে, যে উচ্চারণ করছে।

কে পরালে মালা---এর ছন্দ-বিশ্লেষণ নাকি এমন= ২+৩+২=৫+২।
অর্থাৎ উচ্চারণ হবে---কেএ পরালে মালা।
'কে' ব্যক্তিটির প্রতি অনুসন্ধিৎসাই নাকি এর মূল কারণ, মানে নায়িকার বিস্ময়। আবার দেখুন 'নায়িকা'ও দুই মাত্রা হয়ে যেতে পারে, যদি তাকে এভাবে উচ্চারি 'নাইকা'। মুশকিল হলো, লেখায়, বানানে সেটা তো অনুপস্থিত। বুঝিবো কেমনে?

সত্যিই কিছু বুঝতেছি না।


ইতি
গালিব








 

2009/5/12 Sohel Hasan Galib <kranti...@gmail.com>

Gomes, Subrata Augustine

unread,
May 12, 2009, 3:50:37 PM5/12/09
to kobit...@googlegroups.com
প্রিয় গালিব,
 
কতকগুলি ব্যাপার একটু ভালোমতো বোঝবার আছে এখানে। আমি ক'দিন আগেই এ-বিষয়ে বাতচিত করেছি তপনের সাথেও, এবং তাঁর (চন্দ্রবিন্দুর জন্য ধন্যবাদ. লীলেন) করা আমার একটা বইয়ের সমালোচনায় প্রতিক্রিয়ায় লিখেওছি এ নিয়ে:
 
১. ছন্দ ‍"লিখিত হরফ" নয়, "উচ্চারিত সিলাবল" (অক্ষর) দিয়ে গঠিত হয়। মানে বর্ণ নয়, অক্ষর ছন্দের প্রাণ।
২. অক্ষর বা সিলাবল মানে হল, একটা "মৌলিক বা যৌগিক" স্বরধ্বনি, তার আগে-পিছে যে-কোনো-সংখ্যক ব্যঞ্জনধ্বনি-সমেত, যতদূর পর্যন্ত উচ্চারিত হয়।
৩. ব্যঞ্জনধ্বনি (ক্ খ্ চ্ শ্ ক্স্ ন্ড্ স্ট্ ইত্যাদি) কিংবা যৌগিক স্বরধ্বনি (যথা অয়্ অই অউ অও আয়্ আও আই আউ উই ওয়্ ওই ওউ ইত্যাদি) সিলাবলের শেষে থাকলে সেটা রুদ্ধাক্ষর (ক্লোজড সিলাবল), যথা: হাট, মন, বৌ, হয়, আইল, ট্যাক্স্, নাইট, সাউন্ড, ইত্যাদি।
 
উচ্চারণই ছন্দের মাপকাঠি, লিখিত হরফ-সমবায় নয়। আমরা প্রায় কখনোই আইল শব্দটাকে আ-ইল্ এইরকমের বিযুক্ত উচ্চারণ করি না। কাজেই, আইল একটা মনোসিলাবিক শব্দ, ডিসিলাবিক নয়। লাইট-ও তাই।
 
এটাও কিন্তু ঠিক যে এইরকম যৌগিক স্বরধ্বনিযুক্ত অক্ষরের শেষে ব্যঞ্জনবর্ণ থাকলে কেউ কেউ কখনো কখনো তাকে ৩ মাত্রা নিদের্শ করেন (পাদপূরণে)। এটিকে আমি বলব একটা লাইসেন্স, মানে এটি সিদ্ধপ্রয়োগ নয়, আর্ষপ্রয়োগ। তবে সেক্ষেত্রেও, কবি যে যৌগিক স্বরটির বিযুক্ত উচ্চারণ কামনা করছেন, মানে, চাইছেন যে আইল-কে আ-ইল বলা হোক, তা কিন্তু নয়। বরং, তিনি চাইছেন হয়তো যৌগিক স্বরটির স্বাভাবিকের চেয়ে দীর্ঘ উচ্চারণ।
 
একুনে, স্বাভাবিক নিয়মে, (জমির) আইল ২ মাত্রা, আইলো ৩ মাত্রা।
 
নায়িকা-র মান উচ্চারণ না-য়ি-কা, সেই উচ্চারণ কবি মান্য করলে, বা তাঁর কবিতায় শব্দটার সেই উচ্চারণ হোক তা চাইলে তিনি এটিকে ৩-মাত্রার, ২-অক্ষরী (ট্রাইসিলাবিক) শব্দরূপেই প্রয়োগ করবেন। তিনি যদি চান বরং যে এর উচ্চারণ, যে-কোনো-কারণে, নাই-কা হোক, সেক্ষেত্রে তিনি এটিকে একটি দ্ব্যক্ষর (ডিসিলাবিক) শব্দ হিসাবে ব্যবহার করবেন কবিতায়, মাত্রাবৃত্তে মাত্রা সংখ্যা একই থাকবে, মানে ৩ মাত্রা, কিন্তু অক্ষরবৃত্তের স্বাভাবিক নিয়মে তা হবে ২ মাত্রার, তবে অক্ষরবৃত্তের বিশেষ লাইসেন্স (মানে শব্দের আদ্য বা মধ্য রুদ্ধাক্ষরকে মাঝে-মাঝে ২-মাত্রা গণনার করবার বিশেষ সুবিধা) ব্যবহার করে কবি এরক ৩-মাত্রা শব্দরূপেও ব্যবহার করতে পারবেন, তবে সেক্ষেত্রে তাঁর অভীষ্ট উচ্চারণ বোঝাবার জন্য শব্দটার বানান পরিবর্তনের দরকার হতে পারে।
 
"কে পরালে মালা"-র "কে"-এর দীর্ঘ এবং প্রস্বরিত উচ্চারণ যে কবির কাম্য ছিল তাতে সন্দেহ নাই আমার, এবং শব্দটির ২-মাত্রা নির্দেশ যথার্থ মনে হয় আমার। অবশ্য কবিতাটি যেহেতু স্বরবৃত্তে লেখা, কাজেই মাত্রা বৈষম্য খুব সমস্যার বিষয় নয়, বিশেষ করে প্রথম অক্ষরে।
 
ভালো থাকবেন।
 
সুব্রত।
 

Sent: Tuesday, 12 May 2009 3:25 AM
To: kobit...@googlegroups.com
Subject: [কবিতাকথা:662] Re: [????????:651] Re: [????????:632] Re: ? ?? ??? ???????

Gomes, Subrata Augustine

unread,
May 12, 2009, 7:13:53 PM5/12/09
to kobit...@googlegroups.com
Shongshodhon: "নায়িকা-র মান উচ্চারণ না-য়ি-কা, সেই উচ্চারণ কবি মান্য করলে, বা তাঁর কবিতায় শব্দটার সেই উচ্চারণ হোক তা চাইলে তিনি এটিকে ৩-মাত্রার, ২-অক্ষরী (ট্রাইসিলাবিক) শব্দরূপেই প্রয়োগ করবেন" - ekhane "2-okShoree" sthole "3-okShoree" hobe.
 
Dhonyobad,
Subrata


From: kobit...@googlegroups.com [mailto:kobit...@googlegroups.com] On Behalf Of Gomes, Subrata Augustine
Sent: Wednesday, 13 May 2009 5:51 AM
To: kobit...@googlegroups.com
Subject: [????????:664] Re: [????????:651] Re: [????????:632] Re: ? ?? ??? ???????

Sohel Hasan Galib

unread,
May 15, 2009, 2:08:41 PM5/15/09
to kobit...@googlegroups.com
প্রিয় সুব্রতদা,

আবারও কিন্তু রহিয়া গেল।

সমস্যাটা দেখছি স্বরধ্বনি নিয়ে। তাই একটু ব্যাকফুটে গিয়ে কথা বলতে চাই। এ কথা নিশ্চয়ই মানবেন, পাশাপাশি দুটি মৌলিক স্বরধ্বনি উচ্চারিত হলে তাদের মধ্যে একটা গ্লাইডিং সাউন্ড, শ্রুতিধ্বনি, অনেকটা গানের মিড়ের মতো, উদ্ভাসিত না হয়ে পারে না। তাহলে আমাদের সব উচ্চারণ কাটা কাটা রোবোটিক হবে। যেমন- যেয়ে। একটা কখনোই য্+এ+এ এভাবে উচ্চারিত হয়ে না। বরং এ+এ -এর মধ্যে আরও একটি অর্ধস্বরের মতো শ্রুতির উদ্গম হয়। যে কারণে আমি বলি নি, আইল=আ+ইল এভাবে উচ্চারিত হয়, আমি সিলেবল ভাগ করার সরল বিবেচনা থেকে ওটা বলেছি। তবে এটা জোরের সঙ্গেই বলতে পারি, আইল=আই+ল‌্ , অক্ষর বিভাজন এমন হবার কোনো সম্ভাবনাই নেই। সে জায়গায়, সুব্রতদা, আইলো-কে কীভাবে তিনমাত্রা ধরলেন! সে কি এমন, আইলো=আ+ইলো, এটা কি শ্রাবণজ্ঞানসম্মত?

আপনার কবিতা থেকে 'ভাঙবে' শব্দের তিন মাত্রা নির্ধারণে একটা ব্যাখ্যা চেয়েছিলাম। আপনি বিশেষ লাইসেন্সের কথা বলেছেন, কোনো যুক্তি দেখান নি। আমার মনে হয়, এখানে একটা যুক্তি আছে, যুক্তিটা আমার অনুমান এবং এ অনুমান বৈজ্ঞানিক হতে পারে (!)।

নাসিক্য ধ্বনি দিয়ে সমাপিত কোনো শব্দ রুদ্ধাক্ষর হতে পারে না, প্রকৃত প্রস্তাবে। কেননা ধ্বনিটি মুখবিবর দিয়ে নয়, নাসারন্ধ্র দিয়ে বেরোয় এবং নাসারন্ধ্রটি সর্বদাই খোলা থাকে। তাই, ভাগ্ যে অর্থে ক্লোজড, ভাঙ্ বা ভাং সে অর্থে ওপেনড। ফলে ঐ সূক্ষতর বিবেচনায়, ভাঙবে-কে তিন মাত্রা ধরা যায়। একই কারণে জীবনবাবুর 'বাংলার' চার মাত্রা।

এছাড়া, রক্তপলাশ, স্তব্ধদুপুর এগুলোকে ছয় মাত্রা ধরা অক্ষম কবির কারসাজি আর বিজ্ঞ বিদূষকের বুজরুকি ছাড়া আর কিছুই নয়। লাইসেন্স-ফাইসেন্স বাজে কথা। এরকম লাইসেন্স আমরাও দিতে পারি।

'কে পরালে মালা' এটা স্বরবৃত্তে লেখা নয়, মাত্রাবৃত্তে। যথা :

নিভৃত ঘরে ধূপের বাস
রতন-দীপ জ্বালা,
জাগিয়া উঠি শয্যাতলে
শুধাল রাজবালা---
কে পরালে মালা!
(সুপ্তোত্থিতা / রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)

এক্ষেত্রে হুজুরের ব্যাখ্যা : যেহেতু বাক্যের শেষে বিস্ময়সূচক চিহ্ন আছে এবং বিস্ময়টা কে-কে নিয়ে। সেহেতু এটা এক আলিফ টেনে পড়তে হবে।

পাঠক যদি এরপরও গাঁইগুঁই করে, আমার মতো, তার জন্য মর্মান্তিক ধমকটি দেন তিনি এই বলে : মানুষ চাপা দেওয়ার চেয়ে মোটর ভাঙা ভালো।
এরপর আর কথা চলে না।

তো, ছন্দে যাদের প্রবল আগ্রহ, তাদের জন্য আমার তরফ থেকে একটা ছোট্ট কুইজ। আপনারা এই দুটি লাইনের ছন্দ-বিশ্লেষণ করেন তো ভাই :

অনেক কথা যাও যে বলে কোনো কথা না বলি',
তোমার ভাষা বোঝার আশা দিয়েছি জলাঞ্জলি।



ইতি
গালিব












2009/5/13 Gomes, Subrata Augustine <AG21...@ncr.com>

Sohel Hasan Galib

unread,
May 15, 2009, 2:44:09 PM5/15/09
to kobit...@googlegroups.com
সংশোধনী :

একটা কখনোই য্+এ+এ এভাবে উচ্চারিত হয়ে না।---

এ বাক্যটা আশলে হবে :

এটা কখনোই য্+এ+এ এভাবে উচ্চারিত হয় না।



2009/5/16 Sohel Hasan Galib <kranti...@gmail.com>

Gomes, Subrata Augustine

unread,
May 15, 2009, 4:14:54 PM5/15/09
to kobit...@googlegroups.com
প্রিয় গালিব,
 
১. য়-শ্রুতি (যেমন আপনার "যেয়ে"-তে) এবং ব-শ্রুতি (যেমন "যাওয়া"-তে), যাকে আপনি গ্লাইড বলছেন, তা ঘটে পর-পর এ বা আ ধ্বনি থাকলে। সংস্কৃতে য এবং (অন্তস্থ) ব-কে অর্ধব্যঞ্জনও বলা হয়, তারা স্বরধ্বনি থেকে উদ্ভূত বলে। আপনার আইল শব্দটিতে ব্যাপার কিন্তু তা নয়। এখানে এ বা আ পর পর আসে নি, এবং শব্দটার আয়িল্ উচ্চারণ হতে পারে না। বাংলা আইল আর ইংরাজি isle-এর উচ্চারণ পার্থক্য নাই বললেই চলে।বরং ইংরাজিতে সিলাবল শেষের ল-এর উচ্চারণ একটু তরল হয়ে গড়িয়ে যায় বা তার আগের স্বরধ্বনিকে একটু বাঁকিয়ে চুরিয়ে দেয়, যেমন oil আমাদের কানে শুনতে লাগে অয়্ওল্ল্, isle তেমনি আইওল্ল্। কিন্তু তা সত্ত্বেও, এটিকে সকল অভিধানই এক সিলাবলের শব্দ বলবে, দুই সিলাবলের নয়। বাংলা আইলের দুই সিলাবল হবার কোনোই কারণ নাই।
 
২. আইলো-কে আ+ইলো এভাবে ভাঙা সম্ভবই নয়। যেমন করলো-কে সম্ভব নয় ক+রলো এভাবে ভাঙা। আইলো = আই+লো = ২+১ = ৩, মাত্রাবৃত্তে, ১+১ = ২, অক্ষরবৃত্তে।
 
৩. ভাঙবে বিষয়ে এবং সামগ্রিকভাবে অনুনাসিক ধ্বনির বিষয়ে আপনার চুলচেরা বিশ্লেষণ ভাষাতত্ত্বের বিষয়, ছন্দস্তত্ত্বের ঠিক নয়। আমি অক্ষরবৃত্তের যে-লাইসেন্সের কথা বলছি, মানে কখনো কখনো শব্দের আদ্য বা মধ্য গুরু (রুদ্ধ) অক্ষরকে ১ মাত্রার বদলে ২ মাত্রা গণনা করা, একে বাদ দিলে অক্ষরবৃত্ত আর অক্ষরবৃত্ত থাকবে না, তা মাত্রাবৃত্তের মতো একটা রিজিড ভ্যার্সিফিকেশনে পরিণত হবে। আজকাল অক্ষরবৃত্ত আর স্বরবৃত্তে যত ভাংচুর, যত নব-নব নিরীক্ষা হচ্ছে (বিশেষ করে পশ্চিম বাংলায়) তার সিংহভাগই সম্ভব হত না অক্ষর- আর স্বরবৃত্তের গাণিতিক হিসাবকে একটু-একটু মুচড়ে দিতে না-পারা গেলে। মাত্রাবৃত্তের ৫-মাত্রার ছন্দ এখন লীন হয়ে গেছে স্বরবৃত্তে, ছয়মাত্রাও যাই-যাই করছে; চার-মাত্রা সেঁধিয়ে যাচ্ছে অক্ষরবৃত্তের পেটে। খেয়াল করে দেখুন যে স্বরবৃত্ত আর অক্ষরবৃত্তই বাংলার নিজের ছন্দ। মাত্রাবৃত্ত আসলে রবিঠাকুরের হাতে তৈরি হয়েছে বলা যায়। প্রাচীন বাংলা গানে যে মাত্রাবৃত্ত, তা রবিঠাকুরের মাত্রাবৃত্তের মতো রিজিড নয়। তা সুরকে, এবং আরো বিশেষভাবে কবির বা গায়কের গায়ন ও অভিপ্রায়কে পুরোদস্তুর আমল দেয়। আপনার "লাইসেন্স ফাইসেন্স বাজে কথা, এরকম লাইসেন্স আমরাও দিতে পারি" কথাটা হাস্যকর। লাইসেন্স আপনার দেওয়া না-দেওয়ার ব্যাপার নয়। এই লাইসেন্স তৈরি হয়েছে, দশক-দশক নয়, শতক-শতক অভ্যাসের দ্বারা, এই লাইসেন্স তৈরি হয়ে গেছে অক্ষরবৃত্ত একটা ছন্দ-রূপে সূত্রবদ্ধ হবার আগে। আপনি তারুণ্যের অভিমানে বাংলা কবিতার ইতিহাসকে লাথি মারতেই পারেন, কিন্তু তাতে নিজের পা-ভাঙবার সম্ভাবনাই বেশি।
 
৪. "কে পরালে মালা" ইত্যাদি। আমার ভুল হয়েছিল। খেয়াল ছিল না যে কবিতাটা পাঁচ মাত্রায় লেখা হয়েছিল।
 
৫. দিয়েছি জলাঞ্জলি-র "দিয়েছি জলাঞ্" পর্বে পাঁচ-এর জায়গায় ৬ মাত্রা আছে। রবীন্দ্রনাথ এখানে লাইসেন্স নিয়েছেন। সম্ভবত: "ঞ্"-র উচ্চারণ বাংলায় খুব নির্দিষ্ট নয়, এবং বিযুক্তভাবে, অন্তত: পশ্চিম বাংলায় প্রায় একটা সানুনাসিক স্বরধ্বনির মতো উচ্চারণ হয় বলে রবিঠাকুর এই লাইসেন্সটি নিতে সাহস করেছেন, এখানে জলাঞ্জলির জায়গায় মলাটগুলি হলে তিনি হয়তো পিছিয়ে যেতেও পারতেন... এই সূত্রে আবারও বলছি ৫ মাত্রার ছন্দ ক্রমেই স্বরবৃত্তের পেটে ঢুকে পড়ছে ইদানীং। এই ছন্দটি বাংলায় খুব বেশি খাপ কখনো খায় নি। রবীন্দ্রনাথই এই ছন্দের প্রবর্তক এবং এখন পর্যন্ত শ্রেষ্ঠ ব্যবহারকারী। কিন্তু যে জয়দেবের অনুকরণে এর প্রবর্তন তিনি করলেন বাংলায়, তাঁর "বদসি যদি কিঞ্চিদপি দন্তরুচি কৌমুদী"-র ঢেউ বাংলা কবিতায় রবীন্দ্রনাথ বা আর কেউ খেলাতে পারেন নি হয়তো বাংলা কবিতায়। আসলে বেজোড়মাত্রিক পর্ব ঠিক যেতে চায় না বাংলার সাথে। আমাদের যে "সাত-মাত্রার" ছন্দ আছে (এটাও রবীন্দ্রনাখের সৃষ্টি), খেয়াল করে দেখবেন যে তা আসলে চার-মাত্রার ছন্দ, যার প্রতি পর্বে একটা তিন-মাত্রা উপপর্ব থাকে।
 
ভালো থাকুন।
 
সুব্রত।
 
 
 

Sent: Friday, 15 May 2009 2:08 PM
To: kobit...@googlegroups.com
Subject: [কবিতাকথা:682] Re: [????????:651] Re: [????????:632] Re: ? ?? ??? ???????

Khalil Mahmud

unread,
May 16, 2009, 4:46:59 AM5/16/09
to kobit...@googlegroups.com
 
আলোচনা জমে উঠেছে। ফন্ট ছোট হওয়ায় ভালোমতো পড়তে পারছিলাম না। যাঁরা পোস্ট করেন বাংলায়, দয়া করে সেন্ড করার আগে ফন্ট সাইজ কমপক্ষে ১৪ করে দিন।
 
আগ্রহীদের জন্য পুরো আলোচনাটি কপি পেস্ট করে ফন্ট সাইজ ১৪ করে দিলাম। আমার মতো যাঁরা শুধু ই-মেইলে পড়ে থাকেন, তাঁদের উপকারে আসবে মনে হয়।
 
নিচের কবিতাংশের ছন্দপ্রকরণ/বিশ্লেষণ জানতে আগ্রহী। কেউ জানালে বাধিত হবো, বিশেষ করে সুব্রত বা গালিব ভাই।
 
ধন্যবাদান্তে-
 
খলিল মাহ্‌মুদ
 
 
 
মুখের উপরে হায় আমার মনের দরজা বন্ধ করল ওরা
কার্ফিউ কায়েম করল, ব্যারিকেডে রাস্তা ভরল ওরা
আমার হৃদয় বদ্‌লে গেল সরু একটা গলিতে
বদ্‌লে গেল পাঁজর পাথরে
আর, কার্নেশন ফুটল থরে-থরে
________________________________________________________________________
From: Gomes, Subrata Augustine <AG21...@ncr.com>
Subject: [কবিতাকথা:684] Re: [????????:651] Re: [????????:632] Re: ? ?? ??? ???????
To: "kobit...@googlegroups.com" <kobit...@googlegroups.com>
Date: Friday, 15 May, 2009, 9:14 PM



Get your preferred Email name!
Now you can @ymail.com and @rocketmail.com.

Sohel Hasan Galib

unread,
May 16, 2009, 7:25:09 AM5/16/09
to kobit...@googlegroups.com
প্রিয় সুব্রতদা,
প্রথমত আমি মনে করি ছন্দ-শাস্ত্র acoustic phonetics-এর অঙ্গজ বা সহগ। কাজেই ছন্দ-তত্ত্বকে ভাষাতত্ত্বের আওতামুক্ত ভাবা ঠিক না। এদের সম্পর্ক সুদূরবিচ্ছিন্ন তো নয়ই, বরং অন্তর্লীন।

আপনি বলেছেন দুইটি শ্রুতির কথা, আর একটি শ্রুতি কিন্তু আছে, আবদুল হাই অনেক আগেই চিহ্নিত করেছেন। সেটি ই-শ্রুতি। যেমন- নিয়ো / নিও। এখানে ই+ও=ই+(১/২)ই+ও। যেটাকে অর্ধস্বর বলে চিহ্নিত করলাম, সূক্ষ্ম হিশেবে সেটি অর্ধস্বর নয় কিন্তু, তাও বলে রাখি। সর্বসম্মত মত হলো, দুটি পূর্ণাঙ্গ স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় মধ্যবর্তী স্থানে একটি অতিরিক্ত, প্রায় অশ্রুত স্বরের আবির্ভাব ঘটে, তাকেই বলা হচ্ছে শ্রুতি। যে কোনো মানবভাষার ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য। বাংলা ভাষায় তিনটি শ্রুতি ডিফাইন করা হয়েছে। তার মানে এটা নয় যে, আর কোনো শ্রুতি নেই। (সুব্রতদা অন্তস্থ-ব বললেন যে! এটা কি ঠিক?)

যা হোক, কথা সংক্ষেপ করি। ইতঃপূর্বে আমি রবীন্দ্রনাথের ছন্দে একটা ভুল ধরেছিলাম, এবার তার পক্ষে একটু বলি। লাইনটা ছিলো :


চকিতে হইতে দিশাহারা


হইতে কেন তিন মাত্রা হলো? লক্ষণীয়, পূর্ণ স্বরধ্বনি-অন্ত শব্দ কখনোই ক্লোজড হয় না, প্রকৃত প্রস্তাবে। খাই, যাই, পাই---খাক, যাক, পাক---এসবের সঙ্গে তুলনা করলেই ব্যাপারটা বোঝা যাবে। ফলে হইতে শব্দের মধ্যে একটা গুপ্ত সম্ভাবনা (সাঁই) বিরাজ করে, তার রূপ হয়িতে-র মতো। একই বিচারে, আইলো-কেও তিন মাত্রা ধরা যায়। সেখানে আইল (আয়িল-এর কাছাকাছি)-কে দুই মাত্রা জ্ঞান করা, দুর্দান্ত পাণ্ডিত্যপূর্ণ দুঃসাধ্য সিদ্ধান্ত।

সুব্রতদা, তারুণ্যের অভিমানে আমি বাংলা কবিতার ইতিহাসকে লাথি কেন মারবো! আমার পা ভেঙেছে বটে, সেটা ক্রিকেট খেলতে গিয়ে। তাই বলে আমার ও আমার বন্ধুদের কবিতার জন্য লাইসেন্স দেয়ার অধিকারকে খর্ব করবেন? করতে চাইলে করুন, অগ্রজ-অবজ্ঞায়! আমি কিন্তু অবিরাম চলেছি রচনা করে, একান্ত গোপন এক নিষিদ্ধ ইশতেহার, ছন্দোহার। যথাকালে প্রকাশিবো জয়রাম-নাদে।

আমি আশলে বলতে চেয়েছি, কী কারণে কবিরা ব্যতিক্রমের পক্ষে দাঁড়াতে দ্বিধা-থরথর নন, তার গোয়েন্দা রিপোর্ট হাজির করলেই ছন্দের গুমর ফাশ হয়ে যাবে। '
কোণের প্রদীপ মিলায় শিখা জ্যোতিসমুদ্রেই'---এটা মনে রাখলেই আমরা পৌঁছুতে পারবো সেইখানে, বন্ধ-ছন্দ বাক্যধারা যেইখানে হয় বাঁধনহারা।

শেষ কথা রবীন্দ্রনাথের যে গানটির ছন্দ নিয়ে কুইজ ধরেছিলাম, সে সম্পর্কে আপনি যা বলেছেন, সে ব্যাপারে দ্বিমত নেই কোনো পণ্ডিতেরই। তবে আমি আগ্রহী ছিলাম আপনার ভিন্নতর অবজারবেশনে। বদবুদ্ধি দিয়ে আমি এর একটা বিটকেলে সমাধান বের করেছি, যেখানে কোনো অজুহাতের প্রয়োজনই পড়ে না। আমার মতে পুরো গানটি অক্ষরবৃত্তে লেখা। মূল চাল ৫ মাত্রার। যথা:

অনেক কথা / যাও যে বলে / কোনো কথা না / বলি',
তোমার ভাষা / বোঝার আশা / দিয়েছি জলাঞ্ / জলি।

পুরো গানটাই খাপেখোপে মিলে যাবে। এখন কথা হলো অক্ষরবৃত্তের এমন ব্যতিক্রান্ত দশা হয় কিনা। হয়। রবীন্দ্র-সত্যেন্দ্র থেকেই উদাহরণ টানা যাবে। দুর্লভ বটে অলভ্য নয়। যদিবা হয়, তাহলেও, হাতের কাছে আমার বন্ধুর কবিতা আছে। কবি রাশেদুজ্জামানের 'পাখি ও প্রিজম' কাব্য থেকে ৭ মাত্রার অক্ষরবৃত্তের উদাহরণ দিচ্ছি :

কথায় ছিলো তার শঙ্খের শব্দ-সুর,
কিছু সে বলেছিলো? ভুলেছি, মনে নাই
সে নারী না পুরুষ! অথচ ভাগ্য দ্যাখো,
প্রথমবার সেই সমুদ্র দেখলাম,
হয়তো সেই শেষ! স্মারক যদি বলি :
ধবল শঙ্খ এক---তার থেকেই পাওয়া।
কবে যে হারিয়েছি! কেবল কণ্ঠস্বর
সে আজ, কায়াহীন।

(ঝিনুক-ঘুমের গল্প  কবিতার অংশবিশেষ)




ইতি
গালিব








2009/5/16 Gomes, Subrata Augustine <AG21...@ncr.com>

Sohel Hasan Galib

unread,
May 16, 2009, 8:00:42 AM5/16/09
to kobit...@googlegroups.com
খলিল ভাই,
আপনার উদ্ধৃত কবিতাংশটি স্পষ্টতই অক্ষরবৃত্তে রচিত। সমস্যা কি?


মুখের উপরে হায় / আমার মনের দরজা / বন্ধ করল ওরা
কার্ফিউ কায়েম করল, / ব্যারিকেডে রাস্তা ভরল / ওরা
আমার হৃদয় / বদ্‌লে গেল / সরু একটা গলিতে
বদ্‌লে গেল / পাঁজর পাথরে
আর, কার্নেশন ফুটল / থরে-থরে


তাহলে চালটা দাঁড়ালো
৮+৮+৬
৮+৮+২
৬+৪+৮
৪+৬
৮+৪

অর্থাৎ মূল পর্ব ৪-এর, ভাঙা পর্ব ২-এর, বাকিগুলো এদের যোগফল। আমি ছন্দটাকে ভাগ করেছি পাঠের ভঙ্গি অনুসরণ করে। একালে পর্ব তো তাই, কথার এমন এক বা একাধিক চাঁই, যা বারবার ফিরে আসে। এক ধরনের পৌনঃপুন্য।

পুরাকালে এ পুনরাবৃত্তি ছিল নিয়মিত। একালে কিছুটা অনিয়মিত। এক অর্থে তা মাইকেল থেকেই শুরু হয়েছে। আরও অনিয়মিত হবে, বলা যায়। কারণ, ছন্দঃস্পন্দ ক্রমশই বাকস্পন্দে গ্রসমান।

মানুষ কথা বলতে গিয়ে সুনির্দিষ্ট বিরতিতে সুনির্দিষ্ট ধ্বনি উৎপাদন করে না। তার শ্বাস, ঝোঁক, স্বন, সর্বোপরি মৌনভঙ্গিও যুক্ত হয় কথার সঙ্গে। এককালে ফ্রি ভার্স, গদ্যছন্দ এসব ধরতে চেয়েছিলো। আজকের কবিরাও তা ধরতে চায়, কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, ছন্দ না শিখেই।


ইতি
গালিব













2009/5/16 Sohel Hasan Galib <kranti...@gmail.com>

Gomes, Subrata Augustine

unread,
May 16, 2009, 3:10:47 PM5/16/09
to kobit...@googlegroups.com
গালিব, খলিল,
 
গালিবের বিশ্লেষ প্রায় ঠিক আছে, মানে আমার অভিপ্রেত পর্ববিভক্তি হতে পারত এমন:
 
মুখের উপরে হায় / আমার মনের দরজা / বন্ধ করল ওরা
কার্ফিউ কায়েম করল, / ব্যারিকেডে রাস্তা ভরল / ওরা
আমার হৃদয় বদ্‌লে / গেল সরু একটা গ- / লিতে
বদ্‌লে গেল পাঁজর পা- / থরে
আর, / কার্নেশন ফুটল থরে- / থরে
 
সুব্রত।
 

Sent: Saturday, 16 May 2009 8:00 AM
To: kobit...@googlegroups.com
Subject: [কবিতাকথা:688] Re: [????????:651] Re: [????????:632] Re: ? ?? ??? ???????

Gomes, Subrata Augustine

unread,
May 16, 2009, 4:02:39 PM5/16/09
to kobit...@googlegroups.com
"দুর্দান্ত পাণ্ডিত্যপূর্ণ দুঃসাধ্য সিদ্ধান্ত"
 
প্রিয় গালিব,
 
আপনার চিঠির অধিকাংশ সম্বন্ধে আপনার বয়ানটিই ধার করলাম আমি। সবকিছু নিয়ে অতিরিক্ত সূক্ষ্ম বিশ্লেষণ করতে গেলে নাপিতের ফোড়া কাটা হয় না আর... আমি ছান্দসিক না, আমি ছন্দের ব্যবহারকারী, আমি বৈয়াকরণ না, ভাষার ব্যবহারকারী। আমি ছন্দকে আমার হাতুড়ি বাটাল ছেনি বা তুলি হিসাবে ব্যবহার করি, তা দিয়ে আমি ভাষার মাটিকে, কাঠকে, পাথরকে আকার দিই... আপনি বলতেই পারেন যে আমার ছেনিটা আরেকটু ধারালো হলে পারত, বা আরেকটু বাঁকানো... আমি হয়তো বলতে পারি তাই তো... কিন্তু ভাই, আমার কাজ চলে যাচ্ছে এতে, সমস্যা হচ্ছে না। কূটতর্কের কচকচি আমার ভালো লাগে না, আমি তার্কিক নই, আগেই বলেছি। সুমন (রহমান) হয়তো খুশি হতে পারত এসবে। আমার ভারি ক্লান্তি হয়।
 
নানারূপ শ্রুতির কথা আমি একেবারেই জানি না, তা বলা যায় না। আপনার হারে না হলেও, ব্যাকরণ আর ভাষাতত্ত্ব আমারও প্রিয় বিষয় ছিল। দু'টি স্বরধ্বনির মধ্যেকার গ্লাইড এবং তার ফলে উদ্ভূত অর্ধস্বর (বা অর্ধব্যঞ্জন বা শ্রুতি) বিষয়ে আমার পড়া আছে, এবং তাদের ঠাহর করবার কানও আছে। কোথায় কোথায় গ্লাইড আছে, গানের মিড়ের মতো এক স্বর আরেক স্বরের ভিতর গোত্তা খেয়ে দিয়ে মেশে, তা বুঝতেও পারি। শুধু যেয়ে, যাওয়া, নিয়ো কেন, আরও অনেক উদাহরণ আছে... যেয়ো, হয়ে, ইত্যাদি ইত্যাদি... এই যে "সন্নিহিত" স্বরধ্বনি এবং তাদের মাঝে আগত অর্ধব্যঞ্জন, এর সংখ্যা মোটমাট দু'টি তা আমি বলি নি। আপনার দৃষ্টান্ত প্রসঙ্গে বলেছিলাম এই দু'টোর কথা। ইংরেজিতে, বিশেষ করে ব্রিটিশ স্ট্যান্ডার্ড ডায়ালেক্ট (নন-রোটিক), অস্ট্রেলিয়ান ও নিউজিল্যান্ডের ডায়ালেক্ট-এ দু'টি স্বরধ্বনির মাঝে এমনকি একটা র ধ্বনি এসে যায়, যেমন স্কাইলা অ্যান্ড ক্যারিবডিস একজন ব্রিটিশ বক্তার মুখে হামেশা স্কাইলা র‌্যান্ড ক্যারিবডিস। মনে রাখতে হবে যে শুধু য আর (অন্তস্থ) ব নয়, র, ল আর হ-ও অর্ধব্যঞ্জন। এরা যথাক্রমে উত্পন্ন হয়েছে: য = ই, ব = উ, র = ঋ, ল = ৯, হ = অ থেকে।
 
কিন্তু "সন্নিহিত" স্বর আর "যৌগিক" স্বর (ডিফথং) এক জিনিস নয়, ডিফথং-এ দু'টি স্বরধ্বনি মিলে একটি স্বরধ্বনিতে পরিণত হয় এবং তাদের মাঝে কোনো অর্ধস্বর গজায় না (চেষ্টা না করলে)। বাংলা অনেক ডিফথং আছে, যার ভিতর আপনার ‍"আই" পড়ে। তবে, আবারও বলছি, কবির বা পাঠকের বা গায়কের অভিপ্রায়কে মূল্য দিতে হয় আমাদের... বিদ্যাপতির "আইল (বা আএল বা আওল, তিন রূপই দেখেছি) ঋতুপতি রাজবসন্ত"-এ আ দীর্ঘ, আর ই-কে আলাদাভাবে একমাত্রা দিতেই হয় আমাদের। তেমনি, ডি এল রায়ের "বরষা আইল" গানেও। কিন্তু আমার যদি তেমন অভিপ্রায় না হয়, তাইলে "আমি খোকা আইলো খুকু আইলো" লিখতে পারি অক্ষরবৃত্তেই, আইলো-কে দুই-অক্ষর তথা মাত্রার শব্দ বিবেচনা করে। আপনার তা পছন্দ না-হলে নাই।
 
আর সূক্ষ্ম বিচারে শুধু যে (যৌগিক) স্বরান্ত সিলাবল পুরাপুরি এন্ড-স্টপ্ট্ না, তা কিন্তু না। যাদেরকে "স্পর্শ" ব্যঞ্জন বলে (মানে বর্গীয় ব্যঞ্জন, ক থেকে ম অব্দি) তার বাইরে কোনো ব্যঞ্জনধ্বনিও এন্ড-স্টপ্ট নয়, অর্ধব্যঞ্জনগুলি তো নয়ই। অপিচ, বর্গীয় ব্যঞ্জনগুলির মধ্যেও আবার, নাসিক্য বর্ণগুলি পুরো এন্ড-স্টপ্ট্ নয় (আপনি নিজেই তার উল্লেখ করেছেন আগে)। তাইলে তো রুদ্ধাক্ষরের গণ্ডি এতই ছোট হয়ে আসে যে বাংলা ছন্দের আবার কেঁচে গণ্ডূষ করা লাগে।
 
আপনি "অনেক কথা যাও যে বলে" গানটিকে যে অক্ষরবৃত্ত সাব্যস্ত করছেন তাতে আমার মনে হচ্ছে যে বাংলা ছন্দের প্রকৃত দেবতার অধিষ্ঠান ঘটি-ঘটি করছে আপনার ভিতর...
 
বাংলা ছন্দের এই চালটা মানে সেঝুরা (caesura) বা চরণ-মধ্যস্থ ছেদ-এর আগে হরেদরে অষ্টাক্ষর-পরিমিত ওজন, এবং পরে হরেদরে ষড়ক্ষর-পরিমিত ওজনের যে চাল, যাকে আপনি ভুল করে অক্ষরবৃত্ত বলছেন, তার নাম পয়ার। এই চালটাকে রক্তে ধারণ করতে না-পারলে বাংলা ছন্দকে চেনা সম্ভব নয়। আমি রাইসুর বইটা নিয়ে লেখাটাতে হাল্কার উপর বলেছি এটা নিয়ে...
 
আপনার বন্ধুর সাত-মাত্রার অক্ষরবৃত্ত, বা রবিঠাকুরের প্রথম দিককার ১২ বা ১৬ অক্ষরী চরণের অক্ষরবৃত্ত সাময়িক নিরীক্ষার অংশ, এবং পয়ার-প্রতিস্পর্ধী বলেই প্রধানত:, তাদের টিঁকে থাকবার সম্ভাবনা কম।
 
পরিশেষে, "অন্তস্থ" কী সমস্যা করেছে?
 
সুব্রত।
 

Sent: Saturday, 16 May 2009 7:25 AM
To: kobit...@googlegroups.com
Subject: [কবিতাকথা:687] Re: [????????:651] Re: [????????:632] Re: ? ?? ??? ???????

Sohel Hasan Galib

unread,
May 16, 2009, 4:49:10 PM5/16/09
to kobit...@googlegroups.com
প্রিয় সুব্রতদা,
ক্ষোভের কারণ কোথাও ঘটেছে কি-না বুঝতে চেষ্টা করছি। এবং আপনি আমার উত্তর আদৌ প্রত্যাশা করেন কি-না। আমি আক্রান্ত বোধ করছি না বটে, উল্টোদিকে তা নাও হতে পারে, তারপরও কিছু বলার জরুরৎ আছে আমার পক্ষ থেকে।

মনে হয়, আপনি আমার বলা থামিয়ে দেন নি পুরোপুরি, কারণ আপনার লেখা শেষ হয়েছে একটি জিজ্ঞাসায়। তবে
২৯ মে-এর আগে আর কোনো আলোচনাতেই ঢুকতে পারবো না বোধ হয়। 'গৌড়জন' সম্পাদনায় নিদারুণ ব্যস্ত আমি। শুধু একটা কথা স্পষ্ট করার অনুরোধ রইলো।

বাংলা ছন্দের এই চালটা মানে সেঝুরা (caesura) বা চরণ-মধ্যস্থ ছেদ-এর আগে হরেদরে অষ্টাক্ষর-পরিমিত ওজন, এবং পরে হরেদরে ষড়ক্ষর-পরিমিত ওজনের যে চাল, যাকে আপনি ভুল করে অক্ষরবৃত্ত বলছেন, তার নাম পয়ার। এই চালটাকে রক্তে ধারণ করতে না-পারলে বাংলা ছন্দকে চেনা সম্ভব নয়।

কথাগুলো কোন প্রসঙ্গে বলা?


ইতি
গালিব




2009/5/17 Gomes, Subrata Augustine <AG21...@ncr.com>

sumon rahman

unread,
May 17, 2009, 2:34:16 AM5/17/09
to kobit...@googlegroups.com

সুব্রত দা,

এক বন্ধু জানাইলেন, কবিতাকথা গ্রুপে ছন্দের আলোচনা চলতেছে, সেখানে নাকি আপনি আমারে নিয়া টানাহ্যাঁচড়া করিয়াছেন! কিন্তু কেন? আমি তো ছন্দ নিয়া তর্ক করিতে চাহি নাই।
এখন মনে হৈল সো.হা.গীয় প্রচারণা আসলেই আপনার প্রাণে বিঁধিয়াছে।

বড় দুঃখে আছি দাদা! ছেনি-বাটালের এই খোঁচাখুঁচি আর প্রাণে সহে না। তারচে বলেন কোথায় সাইন করতে হৈবে.....কৈলা নীরবে পলায়া যাই!


আপনার একান্ত স্নেহাষ্পদ

সুমন (রহমান)





From: AG21...@ncr.com
To: kobit...@googlegroups.com
Date: Sat, 16 May 2009 16:02:39 -0400
Subject: [কবিতাকথা:690] Re: [????????:651] Re: [????????:632] Re: ? ?? ??? ???????

See all the ways you can stay connected to friends and family

Khalil Mahmud

unread,
May 17, 2009, 12:58:05 PM5/17/09
to kobit...@googlegroups.com
প্রিয় সুব্রতদা এবং গালিব ভাই,
 
যেখানে প্রায় ৯৯% মতৈক্য আছে, সেটা নিয়ে সমস্যা নেই, কিন্তু সূক্ষ্মতর পর্যালোচনায় গেলে অবশিষ্ট ১% অমিলেই আলোচনা দীর্ঘতর হয় মনে হয়। গালিব ভাই ও সুব্রতদার পর্ববিন্যাস দেখলাম (প্রদত্ত কবিতাংশ এখান থেকে নেয়া)। ছন্দ সমীক্ষণ অতীতের মতো এখনো জটিল জিনিস, যাতে অতীতের মতো অধুনার ছান্দসিকগণও অনেক ক্ষেত্রে একমত নন (যদিও ওসব বিশ্লেষণ মেনে কবিতা প্রণয়নের দিন বোধ হয় আর নেই)।
 
একজন শিক্ষানবিশ হিসেবেই বিনয়ের সাথে বলতে চাই সুব্রতদা ও গালিব ভাইয়ের সাথে পর্ববিন্যাসে আমি পুরোপুরি একমত নই। সুব্রতদা ও গালিব ভাইয়ের ১ম দুই পঙ্‌ক্তির বিন্যাস নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই, কিন্তু ৩য়-৫ম পঙ্‌ক্তির পর্ববিন্যাস আপনারা দুজনে যেভাবে দেখিয়েছেন, ওরকম না হয়ে অন্য রকমও হতে পারে বলে মনে হয়।
 
ছন্দের ব্যাপারটা ঠিক করে দেয় কান, যা নির্ভর করে অর্থবহ বিরতিতে পাঠের উপর। আমি অনেকবার পড়েছি এ অংশটুকু। পড়তে পড়তে মনে হয়েছে- কোনো এক ভদ্রজন প্রতি সেকেন্ডে ৩ কদম হারে হাঁটছিলেন। এভাবে কিছুদূর যাওয়ার পর, (অর্থাৎ প্রথম ২ লাইন পড়ার পর) হোঁচট খেয়ে তাল সামলাতে না পেরে একটু দ্রুত হারে (ধরা যাক প্রতি সেকেন্ডে ৪ কদম) হাঁটলেন, (আমার হৃদয় / বদ্‌লে গেল = ৪ + ৪ স্বরবৃত্ত), অতঃপর তাল সামলে পুনরায় হাঁটতে লাগলেন : / সরু একটা গলিতে (যা প্রথম ২ পঙ্‌ক্তির প্রতিটির প্রথম ২ পর্বের মতো)। তার পরের ২ লাইন হলো সবচেয়ে ইন্টেরেস্টিং। আপনি পড়ুন প্রথম ৩ টি লাইন, বেশ কয়েকবার পড়ুন, ৪ নং লাইনে এসেই আপনি আরও ধীর কদমে হাঁটতে লাগলেন, যেমন কোনো এক শীতের বিকেলে চাদর গায়ে মুড়িয়ে রাস্তার দুপাশ দেখতে দেখতে হাঁটছেন।
 
বদ্‌লে গেল পাঁজর পাথরে/
আর, কার্নেশন ফুটল থরে-থরে/
 
এখানে একেকটা লাইনই একেকটা পর্ব, একেবারে মুক্ত।
 
এবার আমার বিন্যাস দেখুন :
 
মুখের উপরে হায় / আমার মনের দরজা / বন্ধ করল ওরা
কার্ফিউ কায়েম করল, / ব্যারিকেডে রাস্তা ভরল / ওরা
আমার হৃদয় / বদ্‌লে গেল / সরু একটা গলিতে
বদ্‌লে গেল পাঁজর পাথরে/
আর, কার্নেশন ফুটল থরে-থরে
 
প্রিয় গালিব ভাই, আশা করি এবার বুঝতে পেরেছেন "সমস্যাটা কী।" একটা জিনিস আপাত যতো সহজ মনে হয়, বিশ্লেষণে ঠিক তদ্রূপ থাকে না। এই দেখুন না, কতো সরল একটা কবিতাংশ বিশ্লেষণ করলাম, কিন্তু আমরা তিনজন পুরোপুরি একমত হতে পারলাম না। ছন্দের জটিলতা এখানেই। পুরাকাল থেকেই, যে কোনো এক ছন্দে রচনা শুরু করে পুরো অবয়বে সেটা মেনে চলা সম্ভব হয় নি। তাই ছন্দ মিক্সড হয়ে গেছে (মাত্রাক্ষরবৃত্ত, ইত্যাদির কথা বলছি)।
 
 
এবার পুরো কবিতাটা দেখুন :

 
আমি গণহত্যা দেখেছি
 
আমি গণহত্যা দেখেছি, একখানা
মানচিত্র মেরেছে আমাকে
সরল কথার আমি ছানা
দেখেছি কাঁকর-খোয়া উড়তে ঝাঁকে-ঝাঁকে
দেখেছি নীহারকণা বোমার মতন ঝ’রে পড়তে
মুখের উপরে হায় আমার মনের দরজা বন্ধ করল ওরা
কার্ফিউ কায়েম করল, ব্যারিকেডে রাস্তা ভরল ওরা
আমার হৃদয় বদ্‌লে গেল সরু একটা গলিতে
বদ্‌লে গেল পাঁজর পাথরে
আর, কার্নেশন ফুটল থরে-থরে
আর, কার্নেশন ফুটল থরে-থরে

 
প্রথম ৫টি লাইন সম্পূর্ণ মুক্তচ্ছন্দে রচিত, তারপর থেকে সেটা আর বজায় থাকে নি। ওটা বজায় না থাকার কারণে যেখানে স্বরঘাটতি পড়েছে সেটা ফিল আপ করে নিই এবার আমার মতো করে। দেখুন :
 
 
আমি গণহত্যা দেখেছি
 
 
আমি গণহত্যা দেখেছি, একখানা
মানচিত্র মেরেছে আমাকে
সরল কথার আমি ছানা
দেখেছি কাঁকর-খোয়া উড়তে ঝাঁকে-ঝাঁকে
দেখেছি নীহারকণা বোমার মতন ঝ’রে পড়তে
মুখের উপরে আমার মনের দরজা বন্ধ করল ওরা
কার্ফিউ কায়েম করল, ব্যারিকেডে রাস্তা ভরল
আমার হৃদয় বদ্‌লে গেল একটা গলিতে
বদ্‌লে গেল পাঁজর পাথরে
আর, কার্নেশন ফুটল থরে-থরে
আর, কার্নেশন ফুটল থরে-থরে

 
কী মনে হয়? দুটো এবার পড়ুন পাশাপাশি, নিজের কানের সাথে গভীর সখ্যতা রেখে
 
আরেকটা কথা সুব্রতদাকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, স্বর, মাত্রা, অক্ষর সংখ্যা ঠিক রাখার জন্য এক পর্বের কোনো শব্দকে কি ওভাবে ভাঙা যায়? যেমন : গ- / লিতে, পা- / থরে। এটা মানতে পারলাম না।
 
ভালো থাকুন সুব্রতদা ও গালিব ভাই।
 
বিনীত-
খলিল মাহ্‌মুদ
 
--------------------------------------------------------------------------------
From:
kobit...@googlegroups.com [kobit...@googlegroups.com] On Behalf Of Sohel Hasan Galib [kranti...@gmail.com]
Sent: Saturday, 16 May 2009 8:00 AM
To:
kobit...@googlegroups.com

Subject: [কবিতাকথা:688] Re: [????????:651] Re: [????????:632] Re: ? ?? ??? ???????

খলিল ভাই,
আপনার উদ্ধৃত কবিতাংশটি স্পষ্টতই অক্ষরবৃত্তে রচিত। সমস্যা কি?
মুখের উপরে হায় / আমার মনের দরজা / বন্ধ করল ওরা
কার্ফিউ কায়েম করল, / ব্যারিকেডে রাস্তা ভরল / ওরা
আমার হৃদয় / বদ্‌লে গেল / সরু একটা গলিতে
বদ্‌লে গেল / পাঁজর পাথরে
আর, কার্নেশন ফুটল / থরে-থরে
তাহলে চালটা দাঁড়ালো
৮+৮+৬
৮+৮+২
৬+৪+৮
৪+৬
৮+৪
 

 
 

--- On Sat, 16/5/09, Sohel Hasan Galib <kranti...@gmail.com> wrote:

From: Sohel Hasan Galib <kranti...@gmail.com>
Subject: [কবিতাকথা:691] Re: [????????:651] Re: [????????:632] Re: ? ?? ??? ???????
To: kobit...@googlegroups.com
Date: Saturday, 16 May, 2009, 9:49 PM

প্রিয় সুব্রতদা,
ক্ষোভের কারণ কোথাও ঘটেছে কি-না বুঝতে চেষ্টা করছি। এবং আপনি আমার উত্তর আদৌ প্রত্যাশা করেন কি-না। আমি আক্রান্ত বোধ করছি না বটে, উল্টোদিকে তা নাও হতে পারে, তারপরও কিছু বলার জরুরৎ আছে আমার পক্ষ থেকে।

মনে হয়, আপনি আমার বলা থামিয়ে দেন নি পুরোপুরি, কারণ আপনার লেখা শেষ হয়েছে একটি জিজ্ঞাসায়। তবে ২৯ মে-এর আগে আর কোনো আলোচনাতেই ঢুকতে পারবো না বোধ হয়। 'গৌড়জন' সম্পাদনায় নিদারুণ ব্যস্ত আমি। শুধু একটা কথা স্পষ্ট করার অনুরোধ রইলো।


বাংলা ছন্দের এই চালটা মানে সেঝুরা (caesura) বা চরণ-মধ্যস্থ ছেদ-এর আগে হরেদরে অষ্টাক্ষর-পরিমিত ওজন, এবং পরে হরেদরে ষড়ক্ষর-পরিমিত ওজনের যে চাল, যাকে আপনি ভুল করে অক্ষরবৃত্ত বলছেন, তার নাম পয়ার। এই চালটাকে রক্তে ধারণ করতে না-পারলে বাংলা ছন্দকে চেনা সম্ভব নয়।

কথাগুলো কোন প্রসঙ্গে বলা?


ইতি
গালিব




2009/5/17 Gomes, Subrata Augustine <AG21...@ncr.com>
"দুর্দান্ত পাণ্ডিত্যপূর্ণ দুঃসাধ্য সিদ্ধান্ত"
 

New Email addresses available on Yahoo!
Get the Email name you've always wanted on the new @ymail and @rocketmail.
Hurry before someone else does!

Khalil Mahmud

unread,
May 17, 2009, 12:59:36 PM5/17/09
to kobit...@googlegroups.com
সর্বজনীন কথাটা তৈরি হয়েছে এভাবে: সর্ব+জন = সর্বজন+ঈন (প্রত্যয়) = সর্বজনীন। ঈন প্রত্যয় যোগ হলে আদ্যস্বরের বৃদ্ধি বা গুণ হয় না। যেমন জন+ঈন জনীন, অভ্যন্তর+ঈন অভ্যন্তরীণ, সর্বাঙ্গ+ঈন সর্বাঙ্গীন, তেমনই সর্বজন+ঈন সর্বজনীন। সর্বজনীনের বিকল্প শব্দ হতে পারে সার্বজন (অণ্ প্রত্যয় যোগে, সেক্ষেত্রে আবার ঈন প্রয়োগ করবার কোনো মানে হয় না), সার্বজন্য বা সার্বজনিক (তেমনই অভ্যন্তরীণ-এর হতে আভ্যন্তর বা আভ্যন্তরিক)।
 
ছন্দ নিয়ে আপনার সাথে আমার গুরুতর মতপার্থক্য আছে তা বুঝতে পারছি। আপনি ছন্দের যে-ফাংশানটার উল্লেখ করছেন, খানিকটা কাব্যিক ভাষায় (মানে, রাধার পায়ের নীচে কাৎটা গেড়ে হাৎটার কথা বলে), সেটা "মিহি কেরানির" কাজ বলে গণ্য করা গেলেও যেতে পারে, সেটা ছন্দের প্রাথমিক ফাংশান এবং একজন নোতুন কবির মাথাব্যথা। কবিতার কথা বাদ দিই, সকল শিল্পের হবু শিল্পী্কেই শিল্পী হবার আগে পর্যন্ত বেধড়ক রেওয়াজ করতে হয় ঐ ঐ শিল্পের টুল-গুলিকে আয়ত্ত করতে। ঠিক ঐ মুহূর্তে সেগুলি টুলজ-মাত্র। কিন্তু, ঐ শিক্ষানবিস স্নাতক হয়ে যাবার পরে টুলগুলি তার শিল্পসাধনার প্রতিবন্ধক নয়, বরং উপায় হয়ে দাৎড়ায় (ঘোড়ার ডিম চন্দ্রবিন্দু আসে না কেন)। ছন্দ নিজেই আত্মপ্রকাশের উপায় হয়ে যায়, আত্মপ্রকাশের বাধা নয়। রাধার পায়ের নীচের কাদা বা কাৎটা নয়, হয় কৃষ্ণের বাৎশির সুর যা আৎধার রাতে তাকে দিঙ্-নির্দেশনা দেয় তার দয়িত, তার মোক্ষ, তার অমৃতের দিকে তাকে নিয়ে যেতে।
 
এ-পর্যন্ত পৃথিবীর প্রায় সকল শ্রেষ্ঠ কবিতা ছন্দে লেখা হয়েছে। এর কয়টার বিষয়ে বলা যাবে যে ছন্দ না থাকলে সেগুলো আরও ভালো কবিতা হতে পারত? "পর্বত চাহিল হতে বৈশাখের নিরুদ্দেশ মেঘ / তরুশ্রেণী চাহে পাখা মেলি / মাটির বন্ধন ফেলি / ঐ শব্দরেখা ধরে চকিতে হইতে দিশাহারা / আকাশের খুৎজিতে কিনারা"... আপনি কোন্ প্রাণে একটা শব্দ, একটা অক্ষরও এর বদলাতে পারেন? একটা অক্ষরকে বলতে পারেন যে ছন্দোরক্ষার স্বার্থে এই অক্ষরটা ব্যবহৃত হয়েছে, কিন্তু এটি অমোঘ হয় এই কবিতায়?
 
তাইলে খাড়াইল কী (ইতি ভানু)? ছন্দ নয়, বরং ছন্দ প্রয়োগকারীর ইনকম্পিটেন্স (শুধু ছন্দ প্রয়োগে নয়, সার্বিকভাবে কবি হিসাবেও) অন্তরায় হয়ে দাৎড়ায় কবিতার উত্কর্ষের।
 
এ আমার মনে হয়।
 
সুব্রত।
 

]
Sent: Friday, 8 May 2009 1:16 PM
To:
kobit...@googlegroups.com
2009/5/7 Gomes, Subrata Augustine <AG21...@ncr.com>
Priyo Galib,
 
Shunyer Kabita-r bhoomikaTi tokhon-i poRechhilam, tobe taRahuRa kore, ajke abar poRlam, mon diye...
 
Apnar godyo besh mojbut, ar shahityik-o. Ami godyo-shiddhi-ke je kono dhoroNer lekhar ekTa prak-shorto mone kori. Pranjol godyo je likhte pare na, she kichhui likhte pare na ashole...
 
Apni ja bolechhen, tar onek onek jaygay ami pray shorob tarif kore uThechhi (mane bus-e boshe, bhodrota bojay rekhe jeTuku shombhob)...
 
Poshchimer khoNDoyon-reeti amader kobitar ba shilper bodhke porjonto kemon unmool, udbastu kore tulechhe, ta apnar moto amio shobshomoyi bodh kore eshechhi - amra "amader" kotha likhchhi ki adou? Naki sref poshchimer onukar kore jachchhi?
 
Chhondo niye kothao bhalo laglo, ebong moTei upor shohomot holam. Kintu: "chhondo-porikroma puroTai gaNitik ar kobita rochona reetimoto goNitghati, emonki bigYanbirodhi ek progYar obhijan", ei ray-Tike ami nite parlam na.
 
GoNit bolte jodi kebol paTeegoNit bojhe keu, ba bigYan bolte "shoorjo purbo dik-e oThe" emon shiddhantoke, tahole tar pokkhei emon shoroleekoroNe pou(n)chhe jawa shombhob je chhondo mane sringkhola / shringkhol, chhondo bhaShar, prokasher, chhoTo chhoTo kha(n)cha ba khop-matro... atmoprokasher pothe bighno-matro...
 
Kintu adote, goNit jemon shudhu paTeegoNit noy, tar modhye differential calculus-o achhe, bigYan-o temni kebol nishchiti niye deal kore na, korle Einstein-ke boigYanik bola jay na... temnii, chhondo-o bhaShar jailkhana noy, borong tar muktir shopan... ebong apni nijeo kintu ei bakyoTir agei hore-dore eki rokomer kotha bolechhilen... mane ekTa jatir kotha bolar bhongi ba emonki shwash-proshwasher dhoroNer uporei shei jatir prodhan chhondoguli bhor kore thake...
 
duTo bhul banan dekhlam: sarbojoneen (hobe sorbojoneen), ar Belur (hobe, shombhoboto BeluR, mane D-e shunyo R). Kobider uporodhe bhul bananer Dhe(n)ki gelaTao mono:puto hoy ni.
 
Bhalo thakben,
 
Subrata 

From: kobit...@googlegroups.com [mailto:kobit...@googlegroups.com] On Behalf Of Sohel Hasan Galib
Sent: Tuesday, 5 May 2009 1:22 PM
To:
kobit...@googlegroups.com
Subject: [????????:632] Re: ? ?? ??? ???????

প্রিয় সুব্রতদা,
আমার সম্পাদিত "শূন্যের কবিতা" বইটি আমি আপনাকে পাঠাই নি। টুকু পাঠিয়েছে সম্ভবত। আচ্ছা আপনি ভূমিকাংশটা কি পেয়েছেন? যা হোক, যেহেতু আপনার আগ্রহ জন্মেছে, শূন্যের উপর পড়েছে শুভদৃষ্টি (শ্যেনদৃষ্টি!), সেহেতু আমি অনুরোধ করি অন্তত আরও দুটি বই পড়ে নিতে। অনন্ত সুজন সম্পাদিত "শূন্যের সাম্পান" (এখানে অবশ্য প্রাগুক্ত সংকলনের সকল কবির অংশীদারত্ব নেই) এবং মামুন খান ও যুবা রহমান সম্পাদিত "শূন্যদশকের প্রেমের কবিতা"। শেষোক্ত বইটি আপনার ঝালিয়া যেখান থেকে বেরিয়েছে এবং অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের কবিতা যেখান থেকে বেরোবার কথা, সেখানে আছে। সোহেলকে বললে ও আপনাকে সফট কপি পাঠাতে পারবে।

আমাকে হাল্কাপাৎলা অনুরোধ করলে আমিও পাঠাতে পারি।

এ দশকের কবিদের খারিজ বা তারিফ করতে গিয়ে তাদের বই না পড়লেও (!) নিদেনপক্ষে এ তিনটি সংকলন পড়ে নেয়া জরুরি।

ইতি
গালিব


2009/5/5 মুজিব মেহদী <m.m...@gmail.com>
প্রিয় সুব্রতদা,
শুনে ভালো লাগছে যে, আপনি 'শূন্যের কবিতা' পড়ে উঠছেন। ভালোমন্দ মিলিয়ে যে
অনুভূতিটা হচ্ছে সেটা যদি সত্যি কখনো লিখেন (যেটার সম্ভাবনার কথা আপনি
জানালেনও), তো সেটা খুব খুশিরই কারণ হবে। ডিটেলে যদি লেখাটা হয় তো ধারণা
করি সেটা অনেক বড়ো হবে, যা হয়ত সফট ফর্মে পাঠের জন্য সুবিধাজনক হবে না।
কিন্তু ওর একটা সংক্ষিপ্ত ভার্সন যদি অন্তত কবিতাকথায়ও পোস্ট দিতেন তো এ
ফোরামের পাঠকদের মধ্যে শূন্যের কবিতা বিষয়ে যে কৌতূহলটা জন্ম নিয়েছে,
সেটার একটা মোচন এবং একইসঙ্গে বিস্তারণ সম্ভব হতো।

Gomes, Subrata Augustine

unread,
May 17, 2009, 2:27:14 PM5/17/09
to kobit...@googlegroups.com
প্রিয় গালিব,
 
না না, তা নয়। আমি ক্ষুব্ধ (বা ক্রুদ্ধ) হই নি, শুধু বলছিলাম যে আমার ক্লান্ত লাগছে, এবং এ-বিষয়ে তর্ক করতে ইচ্ছা করছে না আর।
 
পয়ার কোন্ প্রসঙ্গে এনেছি তা আপনি আমার আগের চিঠিটা আবার পড়লে বুঝতে পারবেন।
 
ভালো থাকুন। "গৌড়জন"-এর জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইল।
 
সুব্রত।
 

Sent: Saturday, 16 May 2009 4:49 PM
To: kobit...@googlegroups.com
Subject: [কবিতাকথা:691] Re: [????????:651] Re: [????????:632] Re: ? ?? ??? ???????

Gomes, Subrata Augustine

unread,
May 17, 2009, 2:58:15 PM5/17/09
to kobit...@googlegroups.com
প্রিয় খলিল মাহমুদ,
 
আপনার কথা ঠিকমতো বুঝেছি কিনা তা বুঝতে পারছি না।
 
প্রথম কথাগুলিতে মনে হয়েছিল আপনি ছন্দ-যতি (বা পর্ব-যতি)-র সাথে ভাব-যতি (বা অর্থ-যতি)-কে গুলিয়ে ফেলেছেন; কিন্তু পরের দিকে, বিশেষ করে, আমার অনুবাদ অংশটিকে পুনর্বিন্যাস করলেন যখন আবার... আমি পুরোপুরি খেই হারিয়ে ফেললাম...
 
গালিব আর আমার স্ক্যানিং-এর মূল তফাত ছিল এই যে তাঁরটি হরেদরে অর্থ-যতি-নির্ভর, আমারটি পর্ব-যতি-নির্ভর। ঐ দু'ভাবেই কবিতাটা স্ক্যান করা যায় বটে। একই সঙ্গে এই দুই প্রকার যতিকেই পাঠকের আমলে আনতে হয়ও বটে।
 
গ-লিতে, পা-থরে আমি ভাঙি নি। পর্ব-যতিটা কোথায় পড়ছে তা দেখাচ্ছিলাম। অক্ষরবৃত্তকে রবীন্দ্রনাথ বলতেন ‍"আট মাত্রার ছন্দ"। অক্ষরবৃত্তের মূল পর্ব আট মাত্রার, এবং গৌণ পর্বগুলি তার থেকে কম মাত্রার (সচরাচর ৬ বা ২)। মূল পর্বগুলির গোড়ায় বা মাঝে মাঝেসাঝে দুই-একটা (সচরাচর ২ মাত্রার) উপপর্ব ঢুকে পড়ে, এবং ছন্দ:স্বাচ্ছন্দ্য বজায় রাখতে আমরা সেখানে একটা বাড়তি ছন্দ-যতির ইস্তামাল করে থাকি: "আর, / কার্নেশন ফুটল থরে- / থরে"। এই চরণে "আর" হচ্ছে একটা উপপর্ব, "কার্নেশন ফুটল থরে-" মূল পর্ব, এবং শেষের "থরে" একটা গৌণ পর্ব।
 
আপনার দেওয়া ভার্শনটি, অন্তত: ছন্দের দিক্ থেকে অধিক-গ্রহণীয় মনে করা গেল না বলে দু:খিত। আর "মুক্তছন্দ" বলতে কী বোঝাচ্ছেন, তাও স্পষ্ট নয়।
 
"ছন্দ সমীক্ষণ অতীতের মতো এখনো জটিল জিনিস, যাতে অতীতের মতো অধুনার ছান্দসিকগণও অনেক ক্ষেত্রে একমত নন (যদিও ওসব বিশ্লেষণ মেনে কবিতা প্রণয়নের দিন বোধ হয় আর নেই)" - আপনার এই বাক্যও খাপছাড়া মনে হয়েছে আমার। ছান্দসিকের ছন্দ:সমীক্ষণ মেনে কোনোকালেই কবিরা কবিতা লিখতেন না। তাঁরা নিজেদের মতো ছন্দ শিখে লিখতেন, কখনো নিজেদের ইচ্ছা বা প্রয়োজনে নোতুন ছন্দ তৈরিও করতেন। ছান্দসিকেরা বরং পরে তাঁদের ছন্দ বিশ্লেষণ করবার চেষ্টা করতেন। মনে রাখা চাই, কবিতা আগে, ছন্দোবিজ্ঞান পরে; ভাষা আগে, ব্যাকরণ পরে।
 
পরিশেষে, গালিব "সমস্যাটা কী" বুঝেছেন কিনা জানি না, আমি পারি নি। কোন্ প্রসঙ্গে এই "সমস্যার" অভ্যুদয়, তাও বুঝি নি। আমার অজ্ঞতাকে মার্জনা করবেন।
 
সুব্রত।
 

From: kobit...@googlegroups.com [kobit...@googlegroups.com] On Behalf Of Khalil Mahmud [fariha...@yahoo.com]
Sent: Sunday, 17 May 2009 12:58 PM
To: kobit...@googlegroups.com
Subject: [কবিতাকথা:695] Re: [????????:651] Re: [????????:632] Re: ? ?? ??? ???????

Gomes, Subrata Augustine

unread,
May 17, 2009, 2:58:43 PM5/17/09
to kobit...@googlegroups.com
হা হা হা... এইটা একটা নির্দোষ এবং উদ্দেশ্যহীন রসিকতা-মাত্র ছিল, সুমন... সিরিয়াসলি নেওয়ার কিছুই নাই। গালিবের সাথে (অ)মত-বিনিময়ের এক পর্যায়ে মনে পড়ল যে কবিসভায় তোমার সাথে বিস্তর এইরূপ তর্কাতর্কি হইত... বা খালি তর্কা হইত, তর্কি পর্যন্ত যাওয়ার আগেই আমি মাফটাফ চাইয়া ইস্তফা দিতাম... সেই স্মৃতি রোমন্থনকালেই গালিবরে সাজেস্ট করলাম বরং তোমার লগে তর্ক করতে, তাতে বেশ সেয়ানে-সেয়ানে যুদ্ধ হইতে পারত। আমি ভিতু আর ভেতো বাঙ্গাল, তর্কবাচস্পতি ভট্টাচার্য না...
 
 

From: kobit...@googlegroups.com [kobit...@googlegroups.com] On Behalf Of sumon rahman [suman...@hotmail.com]
Sent: Sunday, 17 May 2009 2:34 AM
To: kobit...@googlegroups.com
Subject: [কবিতাকথা:692] Re: লে হালুয়া!

Khalil Mahmud

unread,
May 17, 2009, 4:02:04 PM5/17/09
to kobit...@googlegroups.com
সুব্রতদা,
 
কষ্ট করে পড়েছেন বলে ধন্যবাদ। তবে আমাদের সময়ের যা অভাব, কোনো কিছু পুরোপুরি মনোযোগ দিয়ে পড়বার সময় আমরা কদাচিৎ পেয়ে থাকি।
আপনার কবিতার আমার ভার্শনটা অবশ্য আপনার কবিতাই। শুধু পড়তে গিয়ে যেখানে স্বর বা মাত্রার হোঁচট খেতে হয়েছে, বা বেখেয়ালে গর্তে পড়ে যাওয়ার মতো হয়েছে, সেখানে শুধু কয়েকটা শব্দ কেটে দিয়েছি ছন্দের গতিশীলতা বোঝানোর জন্য। কাটা শব্দগুলো ব্রাকেটের ভেতর। দেখুন :
 
 
আমি গণহত্যা দেখেছি
 
আমি গণহত্যা দেখেছি, একখানা
মানচিত্র মেরেছে আমাকে
সরল কথার আমি ছানা
দেখেছি কাঁকর-খোয়া উড়তে ঝাঁকে-ঝাঁকে
দেখেছি নীহারকণা বোমার মতন ঝ’রে পড়তে
 
(উপরের ৫ লাইন নিয়ে কোনো সমস্যা নেই, সমস্যা নিচে)
 
মুখের উপরে (হায়) আমার মনের দরজা বন্ধ করল ওরা
কার্ফিউ কায়েম করল, ব্যারিকেডে রাস্তা ভরল (ওরা)
আমার হৃদয় বদ্‌লে গেল (সরু) একটা গলিতে

বদ্‌লে গেল পাঁজর পাথরে
আর, কার্নেশন ফুটল থরে-থরে
আর, কার্নেশন ফুটল থরে-থরে

ওহ্‌ না, আমি ছন্দযতি'র কথাই বলছিলাম সুব্রতদা, অর্থগতির সাথে 'গুলানো'র ইচ্ছে ছিল না; তবে কী, ছন্দযতিটা অর্থযতি'র উপরেই দাঁড়ায়, এজন্য ব্যাপারাট প্রকৃতপক্ষে গুলানো না, একটার আলোচনায় আরেকটা চলে আসে।

 
এ কবিতাটা কোন্‌ ছন্দে রচিত? পুরো কবিতাটার পর্ববিশ্লেষণ জানার খুব আগ্রহ এখন।
 
আর এটাতো খুব খাঁটি কথাই বলেছেন- "ছান্দসিকেরা বরং পরে তাঁদের ছন্দ বিশ্লেষণ করবার চেষ্টা করতেন।" কবি হিসেবে এ কবিতাটা লিখে আপনি ছেড়ে দিলেন, এটা নিয়ে পাঠক হিসেবে বিশ্লেষণ আমরা করতেই পারি, তাই না? করতে গিয়ে চোখে বা কানে যেটুকু ধরা পড়লো তাই বললাম।
 
মুক্তছন্দ বলতে আমি 'মুক্তক অক্ষরবৃত্ত'র কথা বলিনি। এ টার্মিনোলোজিটা আমি দিইনি, যদ্দূর মনে পড়ে ড. আব্দুল লতিফের কোনো বইয়ে পড়েছি।
 
 
একটা উদাহরণ :
 
 
সীমান্ত তারের পাশে
আত্মজার ঘ্রাণে বিমুগ্ধ সরলতা সংক্ষুব্ধ মাটির পাত্রে
সময়ের ক্লেদ আর বিমর্ষতা
একপাশে সরিয়ে রোপণ করছে বিভূতি সন্ধ্যা।
 
রন্ধনশালায় বটির নিচে শুয়ে থাকা সুবোধ
মৎস্য শিকারি জানে না ছলাকলা, তবু
তাঁর শিয়রে রাতজাগা মার্বেল প্রেমিকেরা
ঘাড় বাঁকিয়ে দেখছে জানালার শিরা-উপশিরা।
 
শবযাত্রীদের পায়ের শব্দে সুনম্র
গোপীদের পায়ের কাছে জমছে – ইশকুল বেলা,
মোমালোর শরীরে আমাদের চিহ্ন থাকেনা।
 
দাসত্বের বিনীত মুখমণ্ডল আর অগ্রজ পদচিহ্ন মুছে
রোপিত সন্ধ্যার ধূপধোয়ায় আমি
পাখিবধ্ বংশের স্থিরতার সীমা ভেঙে উড়িয়ে দিচ্ছি
সৌন্দর্য্যের ডানা।
 
ডানার স্বরমন্ত্রণার সবুজ পৃষ্ঠাগুলি উড়ে উড়ে যায়,
বর্ণগুলো প্রমিত-নাগরিক মুখোশের গায়ে
ফুটিয়ে তোলে অসংখ্য কাঁটাগুল্ম, পুকুরপাড়।
 
স্বজাত্যবোধের এই পাড়ের উপর দাঁড়িয়ে
গ্রহণের দরোজা খুলে
অপেক্ষা করছি, তোমাকে দেখবো প্রবৃত্তের কাচে।

 
আপনার অনূদিত কবিতায় প্রথম ৫ লাইন এই মুক্তচছন্দে পড়া গেলেও পরের ৫ লাইনে তা হয় না; খেয়াল করে দেখুন।

 
ফাইনালি সুব্রতদা, বাংলাদেশে এখন রাত প্রায় ২টা, ঘুম ফেলে অযথা মেইল লিখছি, তাও দীর্ঘ। আপনি যদি আমাকে বুঝে থাকেন, আমি সার্থক, না বুঝে থাকলেও ক্ষতি নেই, এটা বলার জন্য আরেকদিন আপনার সামনে হাজির হবার একটা অজুহাত পাবো।
 
ভালো থাকুন। শুভরাত্রি।
 
বিনীত

খলিল মাহ্‌মুদ
 

--- On Sun, 17/5/09, Gomes, Subrata Augustine <AG21...@ncr.com> wrote:
From: Gomes, Subrata Augustine <AG21...@ncr.com>
Subject: [কবিতাকথা:701] Re: [????????:651] Re: [????????:632] Re: ? ?? ??? ???????
To: "kobit...@googlegroups.com" <kobit...@googlegroups.com>
Date: Sunday, 17 May, 2009, 7:58 PM

প্রিয় খলিল মাহমুদ,
 
আপনার কথা ঠিকমতো বুঝেছি কিনা তা বুঝতে পারছি না।
 
প্রথম কথাগুলিতে মনে হয়েছিল আপনি ছন্দ-যতি (বা পর্ব-যতি)-র সাথে ভাব-যতি (বা অর্থ-যতি)-কে গুলিয়ে ফেলেছেন; কিন্তু পরের দিকে, বিশেষ করে, আমার অনুবাদ অংশটিকে পুনর্বিন্যাস করলেন যখন আবার... আমি পুরোপুরি খেই হারিয়ে ফেললাম...
 
গালিব আর আমার স্ক্যানিং-এর মূল তফাত ছিল এই যে তাঁরটি হরেদরে অর্থ-যতি-নির্ভর, আমারটি পর্ব-যতি-নির্ভর। ঐ দু'ভাবেই কবিতাটা স্ক্যান করা যায় বটে। একই সঙ্গে এই দুই প্রকার যতিকেই পাঠকের আমলে আনতে হয়ও বটে।
 
গ-লিতে, পা-থরে আমি ভাঙি নি। পর্ব-যতিটা কোথায় পড়ছে তা দেখাচ্ছিলাম। অক্ষরবৃত্তকে রবীন্দ্রনাথ বলতেন ‍"আট মাত্রার ছন্দ"। অক্ষরবৃত্তের মূল পর্ব আট মাত্রার, এবং গৌণ পর্বগুলি তার থেকে কম মাত্রার (সচরাচর ৬ বা ২)। মূল পর্বগুলির গোড়ায় বা মাঝে মাঝেসাঝে দুই-একটা (সচরাচর ২ মাত্রার) উপপর্ব ঢুকে পড়ে, এবং ছন্দ:স্বাচ্ছন্দ্য বজায় রাখতে আমরা সেখানে একটা বাড়তি ছন্দ-যতির ইস্তামাল করে থাকি: "আর, / কার্নেশন ফুটল থরে- / থরে"। এই চরণে "আর" হচ্ছে একটা উপপর্ব, "কার্নেশন ফুটল থরে-" মূল পর্ব, এবং শেষের "থরে" একটা গৌণ পর্ব।
 
আপনার দেওয়া ভার্শনটি, অন্তত: ছন্দের দিক্ থেকে অধিক-গ্রহণীয় মনে করা গেল না বলে দু:খিত। আর "মুক্তছন্দ" বলতে কী বোঝাচ্ছেন, তাও স্পষ্ট নয়।
 
"ছন্দ সমীক্ষণ অতীতের মতো এখনো জটিল জিনিস, যাতে অতীতের মতো অধুনার ছান্দসিকগণও অনেক ক্ষেত্রে একমত নন (যদিও ওসব বিশ্লেষণ মেনে কবিতা প্রণয়নের দিন বোধ হয় আর নেই)" - আপনার এই বাক্যও খাপছাড়া মনে হয়েছে আমার। ছান্দসিকের ছন্দ:সমীক্ষণ মেনে কোনোকালেই কবিরা কবিতা লিখতেন না। তাঁরা নিজেদের মতো ছন্দ শিখে লিখতেন, কখনো নিজেদের ইচ্ছা বা প্রয়োজনে নোতুন ছন্দ তৈরিও করতেন। ছান্দসিকেরা বরং পরে তাঁদের ছন্দ বিশ্লেষণ করবার চেষ্টা করতেন। মনে রাখা চাই, কবিতা আগে, ছন্দোবিজ্ঞান পরে; ভাষা আগে, ব্যাকরণ পরে।
 
পরিশেষে, গালিব "সমস্যাটা কী" বুঝেছেন কিনা জানি না, আমি পারি নি। কোন্ প্রসঙ্গে এই "সমস্যার" অভ্যুদয়, তাও বুঝি নি। আমার অজ্ঞতাকে মার্জনা করবেন।
 
সুব্রত।
 

From: kobit...@googlegroups.com [kobit...@googlegroups.com] On Behalf Of Khalil Mahmud [fariha...@yahoo.com]
Sent: Sunday, 17 May 2009 12:58 PM
To: kobit...@googlegroups.com

Subject: [কবিতাকথা:695] Re: [????????:651] Re: [????????:632] Re: ? ?? ??? ???????
প্রিয় সুব্রতদা এবং গালিব ভাই,
 
যেখানে প্রায় ৯৯% মতৈক্য আছে, সেটা নিয়ে সমস্যা নেই, কিন্তু সূক্ষ্মতর পর্যালোচনায় গেলে অবশিষ্ট ১% অমিলেই আলোচনা দীর্ঘতর হয় মনে হয়। গালিব ভাই ও সুব্রতদার পর্ববিন্যাস দেখলাম (প্রদত্ত কবিতাংশ এখান থেকে নেয়া)। ছন্দ সমীক্ষণ অতীতের মতো এখনো জটিল জিনিস, যাতে অতীতের মতো অধুনার ছান্দসিকগণও অনেক ক্ষেত্রে একমত নন (যদিও ওসব বিশ্লেষণ মেনে কবিতা প্রণয়নের দিন বোধ হয় আর নেই)।
 
একজন শিক্ষানবিশ হিসেবেই বিনয়ের সাথে বলতে চাই সুব্রতদা ও গালিব ভাইয়ের সাথে পর্ববিন্যাসে আমি পুরোপুরি একমত নই। সুব্রতদা ও গালিব ভাইয়ের ১ম দুই পঙ্‌ক্তির বিন্যাস নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই, কিন্তু ৩য়-৫ম পঙ্‌ক্তির পর্ববিন্যাস আপনারা দুজনে যেভাবে দেখিয়েছেন, ওরকম না হয়ে অন্য রকমও হতে পারে বলে মনে হয়।
 
ছন্দের ব্যাপারটা ঠিক করে দেয় কান, যা নির্ভর করে অর্থবহ বিরতিতে পাঠের উপর। আমি অনেকবার পড়েছি এ অংশটুকু। পড়তে পড়তে মনে হয়েছে- কোনো এক ভদ্রজন প্রতি সেকেন্ডে ৩ কদম হারে হাঁটছিলেন। এভাবে কিছুদূর যাওয়ার পর, (অর্থাৎ প্রথম ২ লাইন পড়ার পর) হোঁচট খেয়ে তাল সামলাতে না পেরে একটু দ্রুত হারে (ধরা যাক প্রতি সেকেন্ডে ৪ কদম) হাঁটলেন, (আমার হৃদয় / বদ্‌লে গেল = ৪ + ৪ স্বরবৃত্ত), অতঃপর তাল সামলে পুনরায় হাঁটতে লাগলেন : / সরু একটা গলিতে (যা প্রথম ২ পঙ্‌ক্তির প্রতিটির প্রথম ২ পর্বের মতো)। তার পরের ২ লাইন হলো সবচেয়ে ইন্টেরেস্টিং। আপনি পড়ুন প্রথম ৩ টি লাইন, বেশ কয়েকবার পড়ুন, ৪ নং লাইনে এসেই আপনি আরও ধীর কদমে হাঁটতে লাগলেন, যেমন কোনো এক শীতের বিকেলে চাদর গায়ে মুড়িয়ে রাস্তার দুপাশ দেখতে দেখতে হাঁটছেন।
 
বদ্‌লে গেল পাঁজর পাথরে/
আর, কার্নেশন ফুটল থরে-থরে/
 
এখানে একেকটা লাইনই একেকটা পর্ব, একেবারে মুক্ত।
 
এবার আমার বিন্যাস দেখুন :
 
মুখের উপরে হায় / আমার মনের দরজা / বন্ধ করল ওরা
কার্ফিউ কায়েম করল, / ব্যারিকেডে রাস্তা ভরল / ওরা
আমার হৃদয় / বদ্‌লে গেল / সরু একটা গলিতে

বদ্‌লে গেল পাঁজর পাথরে/
আর, কার্নেশন ফুটল থরে-থরে
প্রিয় গালিব ভাই, আশা করি এবার বুঝতে পেরেছেন "সমস্যাটা কী।" একটা জিনিস আপাত যতো সহজ মনে হয়, বিশ্লেষণে ঠিক তদ্রূপ থাকে না। এই দেখুন না, কতো সরল একটা কবিতাংশ বিশ্লেষণ করলাম, কিন্তু আমরা তিনজন পুরোপুরি একমত হতে পারলাম না। ছন্দের জটিলতা এখানেই। পুরাকাল থেকেই, যে কোনো এক ছন্দে রচনা শুরু করে পুরো অবয়বে সেটা মেনে চলা সম্ভব হয় নি। তাই ছন্দ মিক্সড হয়ে গেছে (মাত্রাক্ষরবৃত্ত, ইত্যাদির কথা বলছি)।
 
 
এবার পুরো কবিতাটা দেখুন :

 
আমি গণহত্যা দেখেছি
 
আমি গণহত্যা দেখেছি, একখানা
মানচিত্র মেরেছে আমাকে
সরল কথার আমি ছানা
দেখেছি কাঁকর-খোয়া উড়তে ঝাঁকে-ঝাঁকে
দেখেছি নীহারকণা বোমার মতন ঝ’রে পড়তে
মুখের উপরে হায় আমার মনের দরজা বন্ধ করল ওরা
কার্ফিউ কায়েম করল, ব্যারিকেডে রাস্তা ভরল ওরা
আমার হৃদয় বদ্‌লে গেল সরু একটা গলিতে
বদ্‌লে গেল পাঁজর পাথরে
আর, কার্নেশন ফুটল থরে-থরে
আর, কার্নেশন ফুটল থরে-থরে

 
প্রথম ৫টি লাইন সম্পূর্ণ মুক্তচ্ছন্দে রচিত, তারপর থেকে সেটা আর বজায় থাকে নি। ওটা বজায় না থাকার কারণে যেখানে স্বরঘাটতি পড়েছে সেটা ফিল আপ করে নিই এবার আমার মতো করে। দেখুন :
 
 
আমি গণহত্যা দেখেছি
 
 
আমি গণহত্যা দেখেছি, একখানা
মানচিত্র মেরেছে আমাকে
সরল কথার আমি ছানা
দেখেছি কাঁকর-খোয়া উড়তে ঝাঁকে-ঝাঁকে
দেখেছি নীহারকণা বোমার মতন ঝ’রে পড়তে
মুখের উপরে আমার মনের দরজা বন্ধ করল ওরা
কার্ফিউ কায়েম করল, ব্যারিকেডে রাস্তা ভরল
আমার হৃদয় বদ্‌লে গেল একটা গলিতে
বদ্‌লে গেল পাঁজর পাথরে
আর, কার্নেশন ফুটল থরে-থরে
আর, কার্নেশন ফুটল থরে-থরে

 
কী মনে হয়? দুটো এবার পড়ুন পাশাপাশি, নিজের কানের সাথে গভীর সখ্যতা রেখে
 
আরেকটা কথা সুব্রতদাকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, স্বর, মাত্রা, অক্ষর সংখ্যা ঠিক রাখার জন্য এক পর্বের কোনো শব্দকে কি ওভাবে ভাঙা যায়? যেমন : গ- / লিতে, পা- / থরে। এটা মানতে পারলাম না।
 
ভালো থাকুন সুব্রতদা ও গালিব ভাই।
 
বিনীত-
খলিল মাহ্‌মুদ
 
--------------------------------------------------------------------------------
From:
kobit...@googlegroups.com [kobit...@googlegroups.com] On Behalf Of Sohel Hasan Galib [kranti...@gmail.com]
Sent: Saturday, 16 May 2009 8:00 AM
To:
kobit...@googlegroups.com

Subject: [কবিতাকথা:688] Re: [????????:651] Re: [????????:632] Re: ? ?? ??? ???????

খলিল ভাই,
আপনার উদ্ধৃত কবিতাংশটি স্পষ্টতই অক্ষরবৃত্তে রচিত। সমস্যা কি?
মুখের উপরে হায় / আমার মনের দরজা / বন্ধ করল ওরা
কার্ফিউ কায়েম করল, / ব্যারিকেডে রাস্তা ভরল / ওরা
আমার হৃদয় / বদ্‌লে গেল / সরু একটা গলিতে
বদ্‌লে গেল / পাঁজর পাথরে
আর, কার্নেশন ফুটল / থরে-থরে
তাহলে চালটা দাঁড়ালো
৮+৮+৬
৮+৮+২
৬+৪+৮
৪+৬
৮+৪
 

 
 

--- On Sat, 16/5/09, Sohel Hasan Galib <kranti...@gmail.com> wrote:

From: Sohel Hasan Galib <kranti...@gmail.com>
Subject: [কবিতাকথা:691] Re: [????????:651] Re: [????????:632] Re: ? ?? ??? ???????
To: kobit...@googlegroups.com
Date: Saturday, 16 May, 2009, 9:49 PM

প্রিয় সুব্রতদা,
ক্ষোভের কারণ কোথাও ঘটেছে কি-না বুঝতে চেষ্টা করছি। এবং আপনি আমার উত্তর আদৌ প্রত্যাশা করেন কি-না। আমি আক্রান্ত বোধ করছি না বটে, উল্টোদিকে তা নাও হতে পারে, তারপরও কিছু বলার জরুরৎ আছে আমার পক্ষ থেকে।

মনে হয়, আপনি আমার বলা থামিয়ে দেন নি পুরোপুরি, কারণ আপনার লেখা শেষ হয়েছে একটি জিজ্ঞাসায়। তবে ২৯ মে-এর আগে আর কোনো আলোচনাতেই ঢুকতে পারবো না বোধ হয়। 'গৌড়জন' সম্পাদনায় নিদারুণ ব্যস্ত আমি। শুধু একটা কথা স্পষ্ট করার অনুরোধ রইলো।


বাংলা ছন্দের এই চালটা মানে সেঝুরা (caesura) বা চরণ-মধ্যস্থ ছেদ-এর আগে হরেদরে অষ্টাক্ষর-পরিমিত ওজন, এবং পরে হরেদরে ষড়ক্ষর-পরিমিত ওজনের যে চাল, যাকে আপনি ভুল করে অক্ষরবৃত্ত বলছেন, তার নাম পয়ার। এই চালটাকে রক্তে ধারণ করতে না-পারলে বাংলা ছন্দকে চেনা সম্ভব নয়।

কথাগুলো কোন প্রসঙ্গে বলা?


ইতি
গালিব




2009/5/17 Gomes, Subrata Augustine <AG21...@ncr.com>
"দুর্দান্ত পাণ্ডিত্যপূর্ণ দুঃসাধ্য সিদ্ধান্ত"
 
প্রিয় গালিব,
 
আপনার চিঠির অধিকাংশ সম্বন্ধে আপনার বয়ানটিই ধার করলাম আমি। সবকিছু নিয়ে অতিরিক্ত সূক্ষ্ম বিশ্লেষণ করতে গেলে নাপিতের ফোড়া কাটা হয় না আর... আমি ছান্দসিক না, আমি ছন্দের ব্যবহারকারী, আমি বৈয়াকরণ না, ভাষার ব্যবহারকারী। আমি ছন্দকে আমার হাতুড়ি বাটাল ছেনি বা তুলি হিসাবে ব্যবহার করি, তা দিয়ে আমি ভাষার মাটিকে, কাঠকে, পাথরকে আকার দিই... আপনি বলতেই পারেন যে আমার ছেনিটা আরেকটু ধারালো হলে পারত, বা আরেকটু বাঁকানো.... আমি হয়তো বলতে পারি তাই তো... কিন্তু ভাই, আমার কাজ চলে যাচ্ছে এতে, সমস্যা হচ্ছে না। কূটতর্কের কচকচি আমার ভালো লাগে না, আমি তার্কিক নই, আগেই বলেছি। সুমন (রহমান) হয়তো খুশি হতে পারত এসবে। আমার ভারি ক্লান্তি হয়।
Ar.... ta boltam jodi, to ami chhondo bolte Banglar tin britto bujhtam/bojhatam na nishchoyi...
 
Chhondo amar kachhe ekjon kobir "mode of expression". Shorboprokar kabyik uchcharoN-i chhonder ontorgoto... godyo-o... ar godyoke chhonder ontorbhukto korechhen khod shongskrito chhandoshikerai... shei kobe...
 
Ja chhondoboddho noy ta kobita noy...
 
Jemon, ja chhondoboddho noy ta gan noy... ba sthapotyo noy, ba bhashkorjo noy....
New Email addresses available on Yahoo!
Get the Email name you've always wanted on the new @ymail and @rocketmail.
Hurry before someone else does



Get your new Email address!
Grab the Email name you've always wanted before someone else does!

Gomes, Subrata Augustine

unread,
May 17, 2009, 11:51:59 PM5/17/09
to kobit...@googlegroups.com
Priyo Khalil,
 
Amar onubad-Ta Okkhorbritte lekha. apni je shobdoguli drop korechhen, tar phole okkhorbritter 8-matrar porbo-bibhokti byahoto hoy...
 
E niye hoyto pore likhbo aro, kintu e muhurte shombhob hochchhe na... office-e Bangla likhte pari na, ar shomoy-o nai...
 
Bhalo thakben.
 
Subrata
 


From: kobit...@googlegroups.com [mailto:kobit...@googlegroups.com] On Behalf Of Khalil Mahmud
Sent: Monday, 18 May 2009 6:02 AM
To: kobit...@googlegroups.com
Subject: [????????:703] Re: [????????:651] Re: [????????:632] Re: ? ?? ??? ???????

Reply all
Reply to author
Forward
0 new messages