গুরু কৃপা
আন্তরিক ইচ্ছা থাকলে ও সময় হলে, পাওয়া যায় সদগুরুর সন্ধান।
আবার অযাচিত ভাবে গুরুকৃপা লাভে, ধন্য হয় সাধক জীবন।।
গুরু এবং ইষ্ট এক জেনে করতে হয়, একাগ্র ভাবে সাধন ভজন।
গুরু কৃপা লাভ হতে পারে তখনই, আন্তরিক যদি হয় মন।।
হাজার বছরের অন্ধকার ঘরে, যদি কখনও আসে আলো।
দপ্ করে আলোকিত হয় ঘর, একসাথে দূর হয় সব কালো।।
অনেক সময় ঈশ্বর কৃপা, আপনা থেকে আসতে পারে জীবনে।
যদি সাধকের সুকৃতি ও সংস্কার, ঢাকা থাকে অজ্ঞানের আবরণে।।
মনে পড়ে শিষ্য একলব্যের, একনিষ্ঠা ও গুরুভক্তির কথা।
আচার্য্য দ্রোণাচার্যের মূর্তি গড়ে, গোপনে শেখেন অস্ত্রের নিপুণতা।।
ঈশ্বরের কৃপা গুরুর মাধ্যমে, নেমে আসে শিষ্যের জীবনে।
জীবন হয় সার্থক তখন, গুরুর নির্দেশে মন্ত্র জপে সে একমনে।।
সংসারে মানুষের অনেক দুঃখ-কষ্ট, আসে অনেক বাধা বিঘ্ন।
একমাত্র গুরুর কৃপায়, শিষ্য হতে পারেন এ সকল থেকে উত্তীর্ণ।।
অনেক সময় সঙ্গে সঙ্গে উপলব্ধি হয় না, আধ্যাত্মিকতার ফল।
নিষ্ঠা সহকারে গুরুর আদেশ পালন করলেই, জীবন হয় সফল।।
গুরুকেও খাটতে হয় অনেক, করতে হয় জপ ধ্যান, সাধন-ভজন।
গুরু ইচ্ছা করলেই করতে পারেন, শিষ্যের সংসার বন্ধন মোচন।।
গুরুদেব যখন স্থূলদেহ রাখেন, তখন ইষ্টের সাথে যান মিশে।
গুরু ইষ্টে এক হয়ে তখন, শিষ্যের অন্তরে লীলা করেন এসে।।
এইভাবে ইষ্টমন্ত্র জপতে জপতে, যখন শিষ্যের আসে শেষ দিন।
তখন গুরু এসে শিষ্যকে নিয়ে যান, ইষ্ট দেবতা যেথায় আসীন।।
এমনি ভাবে চলতে থাকে, এই গুরু শিষ্যের মধুর মিলন খেলা।
জগৎ প্রভু শ্রীভগবান মর্তধামে, এই ভাবেই করেন তাঁর লীলা।।
- দেবু মহারাজ (স্বামী বরেশ্বরানন্দ)।