An'am: 122-124

14 views
Skip to first unread message

Al-Quran Protidin

unread,
Nov 29, 2011, 10:49:07 PM11/29/11
to bangla...@googlegroups.com

সূরা আ-আনআম

আয়াত: ১২২-১২৪

Can’t read due to font problem? Please click here or visit www.aqpbd.com!

আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই অভিশপ্ত শয়তান থেকে; পরম করুণাময় মেহেরবান আল্লাহর নামে শুরু করছি।

أَوَمَن كَانَ مَيْتًا فَأَحْيَيْنَاهُ وَجَعَلْنَا لَهُ نُورًا يَمْشِي بِهِ فِي النَّاسِ كَمَن مَّثَلُهُ فِي الظُّلُمَاتِ لَيْسَ بِخَارِجٍ مِّنْهَا ۚ كَذَٰلِكَ زُيِّنَ لِلْكَافِرِينَ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ

১২২. যে ব্যক্তি মৃত ছিল, যাকে আমি পরে জীবিত করেছি১২৫ এবং যাকে মানুষের মধ্যে চলার জন্য আলো দিয়েছি সে কি ঐ ব্যক্তির মতো যে অন্ধকারে রয়েছে এবং সেখান থেকে আর সে বের হবার নয়?১২৬ এভাবে কাফিরদের চোখে তাদের করা কাজগুলোকে শোভনীয় করে দেয়া হয়েছে!১২৭

122. Is he who was dead (without Faith by ignorance and disbelief) and We gave him life (by knowledge and Faith) and set for him a light (of Belief) whereby he can walk amongst men, like him who is in the darkness (of disbelief, polytheism and hypocrisy) from which he can never come out? Thus it is made fair-seeming to the disbelievers that which they used to do.

১২৫. এখানে মৃত্যু বলা হয়েছে অজ্ঞতা, মূর্খতা ও চেতনাবিহীন অবস্থাকে। আর জীবন বলতে জ্ঞান, উপলব্ধি ও প্রকৃত সত্যকে চিনতে পারার অবস্থাকে বুঝানো হয়েছে। যার মধ্যে ভুল ও নির্ভুলের পার্থক্যবোধ নেই এবং যার সত্য-সরল পথের স্বরূপ জানা নেই, জীববিজ্ঞানের দৃষ্টিতে সে জীবন সম্পন্ন হলেও প্রকৃত সত্যের বিচারে সে মনুষ্য পদবাচ্য নয়। সে অবশ্য জীবন্ত প্রাণী, কিন্তু জীবন্ত মানুষ নয়। জীবন্ত মানুষ একমাত্র তাকেই বলা যাবে যে সত্য-মিথ্যা, ভাল-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় ও ভুল-নির্ভুলের চেতনা রাখে।

১২৬. অর্থাৎ যে মানুষটি মানবিক চেতনা লাভ করেছে এবং জ্ঞানের উজ্জ্বল আলোয় বাঁকা পথগুলোর মাঝখানে পড়ে থাকা সত্যের সোজা রাজপথটি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে, তার ব্যাপারে কেমন করে আশা করা যেতে পারে যে, সে এমনসব চেতনাবিহীন লোকদের মতো পৃথিবীতে জীবন যাপন করবে, যারা অজ্ঞতা ও মূর্খতার অন্ধকারে পথ হারা হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে?

১২৭. অর্থাৎ যাদেরকে আলো দেখানো হয় এবং তারা তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করে, যাদেরকে সত্য-সরল পথের দিকে ডাকা হয় এবং তারা সে আহবানে কর্ণপাত না করে নিজেদের বাঁকা পথেই চলতে থাকে, তাদের জন্য এটি আল্লাহর বিধান যে, এরপর অন্ধকারই তাদের কাছে ভাল মনে হতে থাকবে। তারা অন্ধের মতো পথ হাতড়ে চলা এবং এখানে সেখানে ধাক্কা খাওয়াকেই পছন্দ করবে। ঝোপ-ঝাড় তাদের চোখে বাগান এবং কাঁটা তাদের দৃষ্টিতে ফুল হয়ে দেখা দেবে। সব রকমের অন্যায়, অসৎকাজ ও ব্যভিচারে তারা আনন্দ পেতে থাকবে। প্রত্যেকটি নির্বুদ্ধিতাকে তারা গবেষণা ও অনুসন্ধানলব্ধ কীর্তি মনে করবে। প্রতিটি বিপর্যয় সৃষ্টিকারী পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তারা এ আশায় আরো বড় বিপর্যয় সৃষ্টিকারী পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে যে, প্রথমবারে তো ঘটনাক্রমে জ্বলন্ত অঙ্গারে হাত লেগেছিল কিন্তু এবারে আর কোনো অনিশ্চয়তা নেই, এবারে একেবারে নির্ঘাত মনি-মুক্তো হাতে ঠেকবে!

وَكَذَٰلِكَ جَعَلْنَا فِي كُلِّ قَرْيَةٍ أَكَابِرَ مُجْرِمِيهَا لِيَمْكُرُوا فِيهَا ۖ وَمَا يَمْكُرُونَ إِلَّا بِأَنفُسِهِمْ وَمَا يَشْعُرُونَ

১২৩. এভাবে আমি প্রত্যেক জনপদে সেখানকার অপরাধীদের প্রধানকে সেখানে চক্রান্ত করার জন্য সুযোগ করে দিয়েছি। কিন্তু তারা শুধু তাদের নিজেদের বিরুদ্ধেই চক্রান্ত করে, অথচ তারা তা বুঝতে পারে না।১২৮

123. And thus We have set up in every town great ones of its wicked people to plot therein. But they plot not except against their ownselves, and they perceive (it) not.

১২৮. প্রাসঙ্গিক আয়াত

এমনভাবে প্রত্যেক নবীর জন্যে আমি অপরাধীদের মধ্য থেকে শত্রু করেছি। আপনার জন্যে আপনার পালনকর্তা পথপ্রদর্শক ও সাহায্যকারীরূপে যথেষ্ট।

Thus have We made for every Prophet an enemy among the Mujrimun (disbelievers, polytheists, criminals, etc.). But Sufficient is your Lord as a Guide and Helper.

সূরা ফুরকান: ৩১

যখন আমি কোন জনপদকে ধ্বংস করার ইচ্ছে করি, তখন তার অবস্থাসম্পন্ন লোকদেরকে অবকাশ দেই, তারপর তারা পাপাচারে মেতে উঠে। তখন সে জনগোষ্ঠীর ওপর আদেশ অবধারিত হয়ে যায়। অতঃপর আমি তাকে উঠিয়ে আছাড় দেই!

And when We decide to destroy a town (population), We (first) send a definite order (to obey Allah and be righteous) to those among them [or We (first) increase in number those of its population] who are given the good things of this life. Then, they transgress therein, and thus the word (of torment) is justified against it (them). Then We destroy it with complete destruction!

সূরা বনী ইসরাঈল: ১৬

وَإِذَا جَاءَتْهُمْ آيَةٌ قَالُوا لَن نُّؤْمِنَ حَتَّىٰ نُؤْتَىٰ مِثْلَ مَا أُوتِيَ رُسُلُ اللَّـهِ ۘ اللَّـهُ أَعْلَمُ حَيْثُ يَجْعَلُ رِسَالَتَهُ ۗ سَيُصِيبُ الَّذِينَ أَجْرَمُوا صَغَارٌ عِندَ اللَّـهِ وَعَذَابٌ شَدِيدٌ بِمَا كَانُوا يَمْكُرُونَ

১২৪. যখন তাদের কাছে কোনো নিদর্শন আসে তারা তখন বলে: আল্লাহর রাসূলদেরকে যা দেয়া হয়েছিল আমাদেরকেও তা না দেয়া পর্যন্ত আমরা কখনো বিশ্বাস করবো না১২৯ আল্লাহ তাঁর বাণী কার মাধ্যমে পাঠাবেন তা তিনিই ভালো জানেন। যারা অপরাধ করছে, তাদের চক্রান্তের জন্য আল্লাহর কাছ থেকে লাঞ্ছনা ও কঠোর শাস্তি তাদের ওপর আপতিত হবেই।

124. And when there comes to them a sign (from Allah) they say: "We shall not believe until we receive the like of that which the Messengers of Allah had received." Allah knows best with whom to place His Message. Humiliation and disgrace from Allah and a severe torment will overtake the criminals (polytheists, sinners, etc.) for that which they used to plot.

১২৯. অর্থাৎ রাসূলদের কাছে ফেরেশতা এসেছে এবং তাঁরা আল্লাহর বার্তা এনেছেন, রাসূলদের এ দাবী আমরা মানি না। যতক্ষণ ফেরেশতারা সরাসরি আমাদের কাছে না আসে এবং এটি আল্লাহর বাণী একথা সরাসরি আমাদের না বলে ততক্ষণ আমরা ঈমান আনতে পারি না।

মহান আল্লাহ তালাই সবচেয়ে ভালো জানেন

--- দয়াময় আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর পবিত্র বাণীর মর্মার্থ অনুধাবন ও তা মেনে চলার তৌফীক দিন। আমীন!

আগের আয়াতগুলো পড়তে ক্লিক করুন: আ ল - কু র আ ন   প্র তি দি ন

Please visit the own site of Al-Quran Protidin @ www.aqpbd.com

Reply all
Reply to author
Forward
0 new messages