An'am: 71-73

7 views
Skip to first unread message

Al-Quran Protidin

unread,
Sep 22, 2011, 11:49:37 PM9/22/11
to bangla...@googlegroups.com

সূরা আ-আনআম

আয়াত: ৭১-৭৩

Can’t read due to font problem? Please click here or visit www.aqpbd.com!

আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই অভিশপ্ত শয়তান থেকে; পরম করুণাময় মেহেরবান আল্লাহর নামে শুরু করছি।

قُلْ أَنَدْعُو مِن دُونِ اللَّـهِ مَا لَا يَنفَعُنَا وَلَا يَضُرُّنَا وَنُرَدُّ عَلَىٰ أَعْقَابِنَا بَعْدَ إِذْ هَدَانَا اللَّـهُ كَالَّذِي اسْتَهْوَتْهُ الشَّيَاطِينُ فِي الْأَرْضِ حَيْرَانَ لَهُ أَصْحَابٌ يَدْعُونَهُ إِلَى الْهُدَى ائْتِنَا ۗ قُلْ إِنَّ هُدَى اللَّـهِ هُوَ الْهُدَىٰ ۖ وَأُمِرْنَا لِنُسْلِمَ لِرَبِّ الْعَالَمِينَ

৭১. (হে মুহাম্মাদ সা:) বলো: আল্লাহ ছাড়া আমরা কি এমন কিছুকে ডাকবো যা আমাদের কোনো উপকার কিংবা অপকার করতে পারে না? আল্লাহ আমাদের পথ দেখানোর পর আমরা কি সেই লোকটির মতো আগের অবস্থায় ফিরে যাবো - যাকে শয়তান দুনিয়ায় পথ ভুলিয়ে দিশেহারা করে দিয়েছে, যদিও তার সাথীরা তাকে সঠিক পথের দিকে ডেকে বলে: আমাদের কাছে আসো? বলো: আল্লাহর পথ-নির্দেশই একমাত্র (সঠিক) দিক-নির্দেশনা এবং আমরা জগতসমূহের প্রতিপালকের কাছেই আত্মসমর্পণ করতে আদেশ প্রাপ্ত হয়েছি

71. Say (O Muhammad SAW): Shall we invoke others besides Allah (false deities), that can do us neither good nor harm, and shall we turn on our heels after Allah has guided us (to true Monotheism)? - like one whom the Shayatin (devils) have made to go astray, confused (wandering) through the earth, his companions calling him to guidance (saying): ‘Come to us.” Say: “Verily, Allah's Guidance is the only guidance, and we have been commanded to submit (ourselves) to the Lord of the ‘Alamin (mankind, jinns and all that exists)

وَأَنْ أَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَاتَّقُوهُ ۚ وَهُوَ الَّذِي إِلَيْهِ تُحْشَرُونَ

৭২. এবং (আরো আদেশ পেয়েছি) সালাত কায়েম করতে এবং তাঁকেই ভয় করতে; এবং তাঁরই কাছে তোমাদেরকে সমবেত করা হবে।

72. And to perform As-Salat (Iqamat-as-Salat), and to be obedient to Allah and fear Him, and it is He to Whom you shall be gathered.

وَهُوَ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ بِالْحَقِّ ۖ وَيَوْمَ يَقُولُ كُن فَيَكُونُ ۚ قَوْلُهُ الْحَقُّ ۚ وَلَهُ الْمُلْكُ يَوْمَ يُنفَخُ فِي الصُّورِ ۚ عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ ۚ وَهُوَ الْحَكِيمُ الْخَبِيرُ

৭৩. তিনিই যথাযথভাবে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন।৭৫ যখন তিনি বলেন: হও, তখনই তা হয়ে যায়। তাঁর কথাই সত্য। যেদিন শিঙ্গায় ফুৎকার৭৬ দেয়া হবে সেদিনের কর্তৃত্ব তো তাঁরই। অদৃশ্য ও দৃশ্যমান সবকিছুর জ্ঞান তিনিই রাখেন এবং তিনিই প্রজ্ঞাময় ও সবকিছু ভালভাবে জানেন।

73. It is He Who has created the heavens and the earth in truth, and on the Day (i.e. the Day of Resurrection) He will say: “Be!”, - and it shall become. His Word is the truth. His will be the dominion on the Day when the trumpet will be blown. All-Knower of the unseen and the seen. He is the All-Wise, Well-Aware (of all things).

৭৫. আল-কুরআনের কয়েকটি আয়াতে বক্তব্যটি এসেছে। এ বাণীটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও ব্যাপক অর্থবহ। এর তিনটি মর্মার্থ হতে পারে:

. পৃথিবী ও আকাশমণ্ডলের সৃষ্টি নিছক খেলাচ্ছলে হয়নি। এটি কারো লীলা’ (a theatrical play) নয়। এটি শিশুর হাতের কোনো খেলনাও না যে, মন ভুলাবার জন্য কিছুক্ষণ খেলার পর শিশু তা অকস্মাৎ একে ভেঙ্গে-চুরে শেষ করে ফেলে দেবেআসলে এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও দায়িত্বপূর্ণ কাজ। অত্যন্ত গভীর ও সূক্ষ্ম জ্ঞানের ভিত্তিতে এ কাজটি করা হয়েছে। এর মধ্যে নিহিত রয়েছে একটি বিরাট উদ্দেশ্য। এর একটি পর্যায় অতিক্রান্ত হবার পর এ পর্যায়ে যে সব কাজ হয়েছে তার হিসেব নেয়া এবং সে কাজের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী পর্যায়ের জীবন ধারা নিশ্চিত করা স্রষ্টার জন্য একান্ত অপরিহার্য।

মহান আল্লাহ বলেন:

আকাশ ও পৃথিবী এবং এদের মধ্যে যা আছে তা আমি খেলাচ্ছলে সৃষ্টি করিনি।

We created not the heavens and the earth and all that is between them for a (mere) play.

সূরা আম্বিয়া: ১৬

তোমরা কি মনে করেছিলে যে, আমি তোমাদেরকে অনর্থক সৃষ্টি করেছি এবং তোমরা আমার কাছে প্রত্যাবর্তিত হবে না?

‘Did you think that We had created you in play (without any purpose), and that you would not be brought back to Us?’

সূরা মুমিনূন: ১১৫

. আল্লাহ তালা বিশ্ব-জাহানের পুরো ব্যবস্থা ও অবকাঠামোকে নিরেট ও নির্ভেজাল সত্যের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ন্যায়নীতি, সূক্ষ্মদর্শিতা ও বিচক্ষণতা এবং সততার বিধান এর প্রতিটি জিনিসের পেছনে ক্রিয়াশীল। অন্যায় ও অসত্যের শেকড় গেড়ে বেশী সময় ফল লাভের কোনো অবকাশই এ অবকাঠামোতে রাখা হয়নি। অবশ্য দুষ্কৃতকারীরা যদি তাদের মিথ্যা, অন্যায় ও নিপীড়নমূলক ব্যবস্থার বিকাশ ঘটাতে চায় তবে তাদেরকে সে জন্য চেষ্টা-সাধনা চালানোর কিছু সুযোগ আল্লাহ দিতেও পারেন - সেটা ভিন্ন কথা। কিন্তু চূড়ান্ত পর্যায়ে মিথ্যার প্রতিটি বীজ-কণাকেও পৃথিবী উগরে ফেলে দেবে এবং শেষ হিসেব-নিকেশে প্রত্যেক মিথ্যা-পন্থী দেখতে পাবে যে, এ নোংরা ও অবাঞ্ছিত বৃক্ষের চাষ করতে সে যত চেষ্টা চালিয়েছে, তার সবই বৃথা ও নিষ্ফল হয়ে গেছে।

. মহান আল্লাহ তালা বিশ্ব-জাহানের এ সমগ্র ব্যবস্থাপনাটি নিরেট ও নির্ভেজাল সত্যের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এবং তাঁর নিজস্ব হক ও অধিকারের ভিত্তিতে এর ওপর শাসন কর্তৃত্ব চালাচ্ছেন। তাঁর হুকুম এ জন্য চলে যে, তিনিই তাঁর সৃষ্ট এ বিশ্ব-জাহানের ওপর রাজত্ব করার অধিকার রাখেন। আপাত দৃষ্টিতে যদি অন্যদের রাজত্বও এখানে চলতে দেখা যায় - তা দেখে প্রতারিত হবার কোনো কারণ নেই। আসলে তাদের ওপর চলছে এক অগ্নি-পরীক্ষা।

তাই মহান আল্লাহ বলেন, যারা এব্যাপারটি অনুধাবন করতে পারে তারাই বলে উঠে:

হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি এগুলো নিরর্থক সৃষ্টি করোনি, তুমি পবিত্র! তুমি আমাদেরকে আগুনের শাস্তি থেকে রক্ষা করো।

‘Our Lord! You have not created (all) this without purpose, glory to You! (Exalted be You above all that they associate with You as partners). Give us salvation from the torment of the Fire.

সূরা আলে-ইমরান: ১৯১

৭৬. শিঙ্গায় ফুঁক দেয়ার সঠিক স্বরূপ ও ধরনটা কি হবে তার বিস্তারিত চেহারা আমাদের বুদ্ধির অগম্য। কুরআন থেকে আমরা যা কিছু জানতে পাই তা এতটুকু যে, কিয়ামতের দিন আল্লাহর হুকুমে একবার শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে এবং তাতে সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে। তারপর কত সময় কত বছর চলে যাবে - তা একমাত্র আল্লাহই জানেনতারপর দ্বিতীয়বার শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে। এর ফলে আগের ও পরের এবং প্রথম ও শেষের সবাই আবার জীবিত হয়ে নিজেদেরকে হাশরের ময়দানে উপস্থিত দেখতে পাবে। প্রথম ফুঁকে বিশ্ব-জাহানের সমস্ত ব্যবস্থাপনা ভেঙ্গে পড়বে, সবকিছু ওলট পালট ও লণ্ডভণ্ড হয়ে যাবে এবং দ্বিতীয় ফুঁকে নতুন প্রকৃতি ও নতুন আইন কানুন নিয়ে আরেকটি ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠিত হবে।

মহান আল্লাহ তালাই সবচেয়ে ভালো জানেন

--- দয়াময় আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর পবিত্র বাণীর মর্মার্থ অনুধাবন ও তা মেনে চলার তৌফীক দিন। আমীন!

আগের আয়াতগুলো পড়তে ক্লিক করুন: আ ল - কু র আ ন   প্র তি দি ন

Please visit the own site of Al-Quran Protidin @ www.aqpbd.com

Reply all
Reply to author
Forward
0 new messages