An'am: 102-105

6 views
Skip to first unread message

Al-Quran Protidin

unread,
Oct 15, 2011, 11:21:16 PM10/15/11
to bangla...@googlegroups.com

সূরা আ-আনআম

আয়াত: ১০২-১০৫

Can’t read due to font problem? Please click here or visit www.aqpbd.com!

আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই অভিশপ্ত শয়তান থেকে; পরম করুণাময় মেহেরবান আল্লাহর নামে শুরু করছি।

ذَٰلِكُمُ اللَّـهُ رَبُّكُمْ ۖ لَا إِلَـٰهَ إِلَّا هُوَ ۖ خَالِقُ كُلِّ شَيْءٍ فَاعْبُدُوهُ ۚ وَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ وَكِيلٌ

১০২. তিনিই তো আল্লাহ, তোমাদের প্রতিপালক; তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনিই সবকিছুর স্রষ্টা; কাজেই তোমরা তাঁরই উপাসনা করো; তিনিই সবকিছুর তত্ত্বাবধায়ক।

102. Such is Allah, your Lord! La ilaha illa Huwa (none has the right to be worshipped but He), the Creator of all things. So worship Him (Alone), and He is the Wakil (Trustee, Disposer of affairs, Guardian, etc.) over all things.

لَّا تُدْرِكُهُ الْأَبْصَارُ وَهُوَ يُدْرِكُ الْأَبْصَارَ ۖ وَهُوَ اللَّطِيفُ الْخَبِيرُ

১০৩. কোনো দৃষ্টিশক্তি তাঁকে দেখতে অক্ষম,১০২ কিন্তু তিনি সব দৃষ্টিকে আয়ত্ত করে নেন। তিনি অত্যন্ত সুক্ষ্মদর্শী ও সর্বজ্ঞ।১০৩

103. No vision can grasp Him, but His Grasp is over all vision. He is the Most Subtle and Courteous, Well-Acquainted with all things.

১০২. প্রাসঙ্গিক আয়াত

মূসা যখন আমার নির্ধারিত সময় ও স্থানে উপস্থিত হলো এবং তার প্রতিপালক তার সাথে কথা বললেন, তখন সে বললো: হে আমার প্রতিপালক! আমাকে (তোমাকে) দেখার শক্তি দাও, আমি তোমাকে দেখবো। তিনি (আল্লাহ) বললেন: তুমি আমাকে দেখতে পারো না। তুমি বরং পাহাড়ের দিকে তাকাও, সেটি যদি নিজের জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে পারে তাহলে অবশ্য তুমি আমাকে দেখতে পাবে। তার প্রতিপালক যখন পাহাড়ে (তাঁর) জ্যোতি প্রকাশ করলেন তখন তা তাকে চূর্ণ বিচূর্ণ করে দিল এবং মূসা সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লো। যখন সে জ্ঞান ফিরে পেলো তখন বললো: মহিমান্বিত তুমি! আমি অনুতপ্ত হয়ে তোমার দিকেই ফিরলাম এবং বিশ্বাসীদের মধ্যে আমিই প্রথম।

And when Musa (Moses) came at the time and place appointed by Us, and his Lord spoke to him, he said: "O my Lord! Show me (Yourself), that I may look upon You." Allah said: "You cannot see Me, but look upon the mountain if it stands still in its place then you shall see Me." So when his Lord appeared to the mountain, He made it collapse to dust, and Musa (Moses) fell down unconscious. Then when he recovered his senses he said: "Glory be to You, I turn to You in repentance and I am the first of the believers."

সূরা আরাফ: ১৪৩

১০৩. প্রাসঙ্গিক আয়াত

হে আমার ছেলে! কোনো জিনিস যদি সরিষার দানা পরিমাণও হয় এবং তা লুকিয়ে থাকে কোনো পাথরের মধ্যে, আকাশে বা পৃথিবীতে কোথাও, তাহলেও আল্লাহ তা বের করে আনবেন। তিনি অত্যন্ত সুক্ষ্মদর্শী ও সর্বজ্ঞ।

"O my son! If it be (anything) equal to the weight of a grain of mustard seed, and though it be in a rock, or in the heavens or in the earth, Allah will bring it forth. Verily, Allah is Subtle (in bringing out that grain), Well-Aware (of its place)."

সূরা লুকমান: ১৬

قَدْ جَاءَكُم بَصَائِرُ مِن رَّبِّكُمْ ۖ فَمَنْ أَبْصَرَ فَلِنَفْسِهِ ۖ وَمَنْ عَمِيَ فَعَلَيْهَا ۚ وَمَا أَنَا عَلَيْكُم بِحَفِيظٍ

১০৪. তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে তোমাদের কাছে অবশ্যই সুস্পষ্ট প্রমাণ এসে গেছে। সুতরাং যে তা দেখবে সে নিজেই লাভবান হবে, আর যে অন্ধ সাজবে তাতে সে নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমি (মুহাম্মাদ সা:) তো তোমাদের পাহারাদার নই।১০৪

104. Verily, proofs have come to you from your Lord, so whosoever sees, will do so for (the good of) his own-self, and whosoever blinds himself, will do so to his own harm, and I (Muhammad SAW) am not a watcher over you.

১০৪. এ বাক্যটি মহান আল্লাহ তালার কালাম হলেও তা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পক্ষ থেকে উচ্চারিত হয়েছে। অপার সৌন্দর্যমণ্ডিত এ আল-কুরআনে এভাবে বিভিন্ন বর্ণনার বক্তা ও সম্বোধন বারবার পরিবর্তিত হয়। কখনো নবীকে সম্বোধন করা হয়, কখনো মুমিনদেরকে, কখনো আহলি কিতাবদেরকে, কখনো কাফির ও মুশরিকদেরকে, কখনো কুরাইশদেরকে, কখনো আরববাসীদেরকে, আবার কখনো সাধারণ মানুষকে উদ্দেশ্য করা হয়। তবে এর আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে সমগ্র মানব জাতির হিদায়াত। অনুরূপভাবে সম্বোধনকারী ও বক্তাও বারবার পরিবর্তিত হইয়। কোথাও বক্তা হন মহান আল্লাহ নিজেই, কোথাও ওহী বহনকারী ফেরেশতা, কোথাও ফেরেশতাদের দল, কোথাও নবী, আবার কোথাও ঈমানদাররা। অথচ এসব অবস্থায়ও সমস্ত কালামই একমাত্র আল্লাহরই।

আমি তো তোমাদের পাহারাদার নই - এ বাক্যের মর্মার্থ এই যে, মানুষের কাছে আলো পৌঁছে দেয়াই নবীর কাজ। তারপর চোখ খুলে দেখা বা না দেখা মানুষের কাজ। যারা চোখ বন্ধ করে অন্ধ সাজে জোর করে তাদের চোখ খুলে দেয়া এবং যা তারা জানতে চায় না তা তাদেরকে তিনি জানিয়েই ছাড়বেন, এটা নবুওয়াতের দায়িত্ব নই।

وَكَذَٰلِكَ نُصَرِّفُ الْآيَاتِ وَلِيَقُولُوا دَرَسْتَ وَلِنُبَيِّنَهُ لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ

১০৫. এভাবে আমি আমার নিদর্শনগুলোকে বিভিন্ন পদ্ধতিতে বর্ণনা করি এজন্য যে, তারা (অবিশ্বাসীরা) আবার বলতে পারে: তুমি (কোনো পূর্ববর্তী আসমানী কিতাব বা কারো কাছ থেকে) পড়ে এসেছো এবং (এজন্য যে,) যারা জ্ঞানের অধিকারী তাদের কাছে আমি প্রকৃত সত্যকে সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরতে চাই।১০৫

105. Thus We explain variously the Verses so that they (the disbelievers) may say: "You have studied (the Books of the people of the Scripture and brought this Quran from that)" and that We may make the matter clear for the people who have knowledge.

১০৫. আল্লাহ তালার এ মহাগ্রন্থটি আসলে মানুষের জন্য একটি পরীক্ষার বিষয়। ফলে এর মাধ্যমে খাঁটি ও অখাঁটি মানুষের মধ্যে পার্থক্য সূচিত হয়। একদল লোক এ কালাম শুনে বা পড়ে এর উদ্দেশ্য ও মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করে এবং এর মধ্যে যেসব জ্ঞান ও উপদেশের কথা রয়েছে তা থেকে লাভবান হয়। অন্যদিকে এগুলো শুনার পর আরেকদল লোকের চিন্তা কালামের মূল বক্তব্যের দিকে না গিয়ে ভিন্নধর্মী এক অনুসন্ধানের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। তারা অনুসন্ধান করতে থাকে যে, এ নিরক্ষর(!) ব্যক্তি এ ধরনের রচনা নিয়ে আসলো কোথা থেকে? আর যেহেতু বিরোধিতাসুলভ বিদ্বেষে তাদের অন্তর আগে থেকেই আচ্ছন্ন থাকে, তাই একমাত্র আল্লাহর পক্ষে থেকে অবতীর্ণ হবার সম্ভাবনা বাদ দিয়ে বাকি সব ধরনের সম্ভাবনাই তাদের মনে উঁকি দিতে থাকে। এগুলোকে তারা এমনভাবে বর্ণনা করতে থাকে যেন মনে হয় তারা এ কিতাবের উৎস সন্ধানে সফলকাম হয়ে গেছে।

মহান আল্লাহ তালাই সবচেয়ে ভালো জানেন

--- দয়াময় আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর পবিত্র বাণীর মর্মার্থ অনুধাবন ও তা মেনে চলার তৌফীক দিন। আমীন!

আগের আয়াতগুলো পড়তে ক্লিক করুন: আ ল - কু র আ ন   প্র তি দি ন

Please visit the own site of Al-Quran Protidin @ www.aqpbd.com

Reply all
Reply to author
Forward
0 new messages