An'am: 91-92

5 views
Skip to first unread message

Al-Quran Protidin

unread,
Oct 8, 2011, 5:10:59 AM10/8/11
to bangla...@googlegroups.com

সূরা আ-আনআম

আয়াত: ৯১-৯২

Can’t read due to font problem? Please click here or visit www.aqpbd.com!

আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই অভিশপ্ত শয়তান থেকে; পরম করুণাময় মেহেরবান আল্লাহর নামে শুরু করছি।

وَمَا قَدَرُوا اللَّـهَ حَقَّ قَدْرِهِ إِذْ قَالُوا مَا أَنزَلَ اللَّـهُ عَلَىٰ بَشَرٍ مِّن شَيْءٍ ۗ قُلْ مَنْ أَنزَلَ الْكِتَابَ الَّذِي جَاءَ بِهِ مُوسَىٰ نُورًا وَهُدًى لِّلنَّاسِ ۖ تَجْعَلُونَهُ قَرَاطِيسَ تُبْدُونَهَا وَتُخْفُونَ كَثِيرًا ۖ وَعُلِّمْتُم مَّا لَمْ تَعْلَمُوا أَنتُمْ وَلَا آبَاؤُكُمْ ۖ قُلِ اللَّـهُ ۖ ثُمَّ ذَرْهُمْ فِي خَوْضِهِمْ يَلْعَبُونَ

৯১. তারা আল্লাহর যথার্থ মর্যাদাই উপলব্ধি করেনি যখন তারা বলে: আল্লাহ মানুষের কাছে কিছুই অবতীর্ণ করেননি।৮৯ বলো: তাহলে কে অবতীর্ণ করেছেন মূসার আনিত কিতাব - যা মানুষের জন্য আলো ও পথনির্দেশ ছিল? তা তোমরা বিভিন্ন পাতায় লিখে কিছু প্রকাশ করো ও যার অনেকাংশ গোপন রাখো এবং (যার মাধ্যমে) তোমাদের পিতৃপুরুষগণ ও তোমরা যা জানতে না তাও শিক্ষা দেয়া হয়েছিল?৯০ বলো: আল্লাহই (এটি পাঠিয়েছেন)। তারপর তাদেরকে তাদের নিরর্থক আলোচনার খেলায় মেতে থাকতে দাও।

91. They (the Jews, Quraish pagans, idolaters, etc.) did not estimate Allah with an estimation due to Him when they said: "Nothing did Allah send down to any human being (by inspiration)." Say (O Muhammad SAW): "Who then sent down the Book which Musa (Moses) brought, a light and a guidance to mankind which you (the Jews) have made into (separate) papersheets, disclosing (some of it) and concealing (much). And you (believers in Allah and His Messenger Muhammad SAW), were taught (through the Quran) that which neither you nor your fathers knew." Say: "Allah (sent it down)." Then leave them to play in their vain discussions.

৮৯. এটি ছিল ইহুদীদের উক্তি। যেহেতু নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দাবী ছিল যে, তিনি নবী এবং তাঁর কাছে কিতাব অবতীর্ণ হয়েছে, তাই স্বাভাবিকভাবে কুরাইশ কাফের সম্প্রদায় এবং আরবের অন্যান্য মুশরিকরা এ দাবীর যথার্থতা অনুসন্ধান করার জন্য ইহুদী ও খৃষ্টানদের কাছে যেতো এবং তাদেরকে জিজ্ঞেস করতো, তোমরাও তো নবী-রসূলদের মানো। বলো: সত্যিই কি এ ব্যক্তির কাছে আল্লাহর কালাম নাযিল হয়েছে? এর জওয়াবে তারা যা বলতো নবী সা:এর কট্টর বিরোধী পক্ষ বিভিন্ন জায়গায় সে কথাগুলো বলে বলে লোকদেরকে বিভ্রান্ত ও উত্তেজিত করতো। তাই ইসলাম বিরোধীরা ইহুদীদের যে উক্তিটিকে প্রমাণ হিসেবে দাঁড় করেছিল সেটি এখানে উদ্ধৃত করে তার জবাব দেয়া হচ্ছে।

প্রশ্ন হতে পারে যে, তাওরাতকে আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিল করা কিতাব বলে মানে - এমন একজন ইহুদী কেমন করে বলতে পারে যে, আল্লাহ কোনো মানুষের কাছে কিছুই নাযিল করেননি? এর উত্তর হলো: গোঁয়ার্তুমি ও হঠকারিতার বশবর্তী হয়ে অনেক সময় মানুষ অন্যের সত্য বক্তব্য অস্বীকার করতে গিয়ে এমন সব কথাও বলে ফেলে যা তার নিজের স্বীকৃত সত্যের পরিপন্থীও হয়। তারা মুহাম্মাদ সা:এর নবুওয়াত প্রত্যাখ্যান করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিল। ফলে বিরোধিতার জোশে তারা এমনই অন্ধ হয়ে পড়েছিল যে, নবী সা:এর রিসালাতের প্রতিবাদ করতে করতে তারা এক সময় মূল রিসালাতকেই অস্বীকার করে বসে।

আর এখানে যে বলা হয়েছে, তারা আল্লাহর যথার্থ মর্যাদাই উপলব্ধি করেনি - এর মর্মার্থ হলো: তারা আল্লাহর কুশলতা, বিচক্ষণতা ও ক্ষমতার মূল্যায়নে ভুল করেছে। যে ব্যক্তি একথা বলে যে, আল্লাহ কোনো মানুষের কাছে সত্যের জ্ঞান ও জীবন যাপনের জন্য পথ নির্দেশনা নাযিল করেননি, সে মানুষের কাছে ওহী নাযিল হওয়াকে অসম্ভব মনে করে এবং এটি আল্লাহর ক্ষমতার অবমূল্যায়ন ও ভুল অনুমান ছাড়া আর কিছুই না। অথবা সে মনে করে, আল্লাহ তো মানুষকে বুদ্ধির অস্ত্র ও তা ব্যবহারের ক্ষমতা দিয়েছেন, কিন্তু তার সঠিক পথপ্রদর্শনের কোনো ব্যবস্থা করেননি বরং তাকে পৃথিবীর বুকে অন্ধের মতো কাজ করার জন্য ছেড়ে দিয়েছেন! আসলে এটি আল্লাহর কুশলতা ও প্রজ্ঞা সম্পর্কে ভুল অনুমান ছাড়া আর কিছুই না।

৯০. এ জবাবটি যেহেতু ইহুদীদেরকে দেয়া হচ্ছে তাই মূসা আ:এর প্রতি তাওরাত নাযিলকে প্রমাণ হিসেবে পেশ করা হয়েছে। কারণ তারা নিজেরাই এটা মানতো। হযরত মূসা আ:এর ওপর তাওরাত নাযিল হয়েছিল একথা যখন তারা স্বীকার করতো তখন তাদের একথাটিই স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ঐ বক্তব্যকে খণ্ডন করে। কমপক্ষে এতটুকু কথা তো অবশ্যই প্রমাণিত হয় যে, মানুষের ওপর আল্লাহর কালাম নাযিল হতে পারে এবং ইতিপূর্বেও হয়েছে।

وَهَـٰذَا كِتَابٌ أَنزَلْنَاهُ مُبَارَكٌ مُّصَدِّقُ الَّذِي بَيْنَ يَدَيْهِ وَلِتُنذِرَ أُمَّ الْقُرَىٰ وَمَنْ حَوْلَهَا ۚ وَالَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِالْآخِرَةِ يُؤْمِنُونَ بِهِ ۖ وَهُمْ عَلَىٰ صَلَاتِهِمْ يُحَافِظُونَ

৯২. আমিই এ কল্যাণময় কিতাব অবতীর্ণ করেছি যা এর আগের কিতাবগুলোর সমর্থক এবং যা দিয়ে তুমি শহরগুলোর মাতা (মক্কা)৯১ ও তার চারপাশের লোকদেরকে সতর্ক করো। যারা আখিরাতে বিশ্বাস করে তারা এটিতেও বিশ্বাস করে এবং তারা তদের সালাতের হিফাজত করে।৯২

92. And this (the Quran) is a blessed Book which We have sent down, confirming (the revelations) which came before it, so that you may warn the Mother of Towns (i.e. Makkah) and all those around it. Those who believe in the Hereafter believe in (the Quran), and they are constant in guarding their Salat (prayers).

৯১. পবিত্র মক্কা নগরীকে এখানে উম্মুল কুরা (أُمَّ الْقُرَىٰ) অর্থাৎ শহরগুলোর মাতা বলা হয়েছে, কারণ এটিই আদি শহর।

৯২. মানুষের ওপর আল্লাহর কালাম নাযিল হতে পারে এবং কার্যত হয়েছেও। এরই স্বপক্ষে দেয়া হয়েছে প্রথম যুক্তিটি। মুহাম্মাদ সা:এর ওপর যে কালামটি নাযিল হয়েছে সেটিও আল্লাহরই কালাম, এর স্বপক্ষে দেয়া হচ্ছে এ দ্বিতীয় যুক্তিটি। এ সত্যটি প্রমাণ করার জন্য সাক্ষ্য হিসেবে চারটি কথা তুলে ধরা হয়েছে:

. এ কিতাবটি বড়ই কল্যাণ ও বরকতপূর্ণ। অর্থাৎ মানুষের কল্যাণ ও উন্নয়নের জন্য এর মধ্যে সর্বোত্তম মূলনীতি পেশ করা হয়েছে। এখানে নির্ভুল ও সঠিক আকীদা-বিশ্বাসের শিক্ষা দেয়া হয়েছে, সৎকাজের প্রতি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে, উন্নত নৈতিক চারিত্রিক গুণাবলী সৃষ্টির উপদেশ দেয়া হয়েছে, পরিচ্ছন্ন জীবন যাপনের পথ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে মূর্খতা, অজ্ঞতা, স্বার্থপরতা, সংকীর্ণতা, জুলুম, চরিত্রহীনতা, অশ্লীলতা ও অন্যান্য যেসব অসৎকাজ মানুষ  তাদের পূর্ববর্তী আসমানী কিতাবগুলোকে বিকৃত করে সংযোজিত করে রেখেছে - সেগুলো থেকে এ কিতাবটিকে মুক্ত করে সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।

. এর আগে আল্লাহর পক্ষ থেকে যেসব পথনির্দেশ এসেছিল এ কিতাব সেগুলোকে পাশ কাটিয়ে অন্য কোনো নতুন হিদায়াত তুলে ধরেনি বরং সেগুলোয় যা কিছু বলা হয়েছিল তার সত্যতা প্রমাণ করে এবং তার প্রতি সমর্থন যোগায়।

. প্রত্যেক যুগে আল্লাহর পক্ষ থেকে যে উদ্দেশ্যে কিতাব নাযিল করা হয়েছে এ কিতাবটিও সে একই উদ্দেশ্য নাযিল করা হয়েছে। অর্থাৎ মানুষকে অবহেলা থেকে জাগিয়ে সতর্ক করা এবং বিপথগামী লোকদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত করাই এর উদ্দেশ্য।

. মানব সম্প্রদায়ের মধ্যে যারা দুনিয়া পূজারী ও প্রবৃত্তির লালসার দাসত্বে জীবন উৎসর্গকারী - এ কিতাব তাদেরকে আহবান করে সমবেত করেনি বরং নিজের চারদিকে এমন সব লোককে সমবেত করেছে যাদের দৃষ্টি দুনিয়ার সংকীর্ণ সীমানা ছাড়িয়ে আরো আগে চলে যায়। তারপর এ কিতাবের আহবানে প্রভাবিত হয়ে তাদের জীবনে যে বিপ্লব আসে তার সবচেয়ে সুস্পষ্ট আলামত হচ্ছে এই যে, তারা নিজেদের আল্লাহ প্রীতির কারণে সমগ্র মানব জাতির মধ্যে বিশিষ্টতা অর্জন করে। কোনো মিথ্যাচারী ব্যক্তি যদি একটি কিতাব রচনা করে তার নিজের রচনাকে আল্লাহর রচনা বলে চালিয়ে দেয়ার চরম ধৃষ্টতা দেখায় - তার সে কিতাব কি কখনো এমন বৈশিষ্ট্য ও সুফলের অধিকারী হতে পারে?

মহান আল্লাহ তালাই সবচেয়ে ভালো জানেন

--- দয়াময় আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর পবিত্র বাণীর মর্মার্থ অনুধাবন ও তা মেনে চলার তৌফীক দিন। আমীন!

আগের আয়াতগুলো পড়তে ক্লিক করুন: আ ল - কু র আ ন   প্র তি দি ন

Please visit the own site of Al-Quran Protidin @ www.aqpbd.com

Reply all
Reply to author
Forward
0 new messages