রাজারহাটে সিন্ডিকেট রাজ

48 views
Skip to first unread message

Avick Chakraborty

unread,
Jan 3, 2012, 7:14:23 AM1/3/12
to newtown-rajarhat-kolkata, Akankha...@googlegroups.com
সিন্ডিকেট সন্ত্রাসের অন্দরমহলে

রাজারহাটে অরাজকতা

পর্ব-১

আর্যভট্ট খান
কলকাতা, ৩ জানুয়ারি, ২০১২

rajarhat

রাজারহাটে নির্মীয়মাণ বহুতল। ছবি- নিজস্ব চিত্র।

নির্মিয়মাণ বহুতল বাড়ির পেছনে ঝোপের মধ্যে পড়ে রয়েছে এক যুবকের লাশ। গলায় কালশিটে। যুবকের মুখটা কিছুটা বিকৃত হয়ে গিয়েছে। এলাকার পথ চলতি মানুষই প্রথমে দেখতে পান ওই যুবকের লাশ। স্থানীয় মানুষই পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ আসে। নিয়ে যায় লাশটা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে ওই যুবককে। যুবকের পরিচয় পাওয়া যায় নি। তবে পরে পুলিশি তদন্তে প্রকাশ পায় সিন্ডিকেটের রেষারেষির জেরেই এই খুন। এই ঘটনা এখন রাজারহাটের রোজনামচা।
অপরাধ যেন আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরছে নিউটাউনকে। নিউটাউনের ধু ধু বিস্তীর্ণ এলাকা। সেখানে মাঝেমধ্যে বিক্ষিপ্তভাবে তৈরি হচ্ছে আবাসন। আর ওই নির্মিয়মাণ আবাসন তৈরি করতে ইট, বালি, সিমেন্ট সরবরাহ নিয়েই শুরু হয়েছে চাপানউতোর। আর সেখান থেকেই রেষারেষি। হুমকি। কখনও কখনও রক্তপাত।
নির্মিয়মাণ নিউটাউন শহরে এখন কার্যত শুধু একটাই পেশা। সিন্ডিকেট। যে সিন্ডিকেট এক সময় জমিহারাদের জন্য তৈরি হয়েছিল সেখানে এখন শুধুই মস্তান রাজ। সিন্ডিকেটের রেষারেষির কবলে পড়ছেন নিউটাউনে আবাসন বা শিল্প স্থাপন করতে আসা ব্যবসায়ীরা।
কেমন সেই জুলুম?

নিউটাউনের রাজারহাট বিষ্ণুপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে একটা স্কুল বাড়ি তৈরি করতে গিয়ে মহা বিপাকে পড়েছিলেন ওই স্কুল কর্তারা। সিন্ডিকেটওয়ালাদের দাবি ছিল প্রতি তলের জন্য সিন্ডিকেটকে দিতে হবে ১ লক্ষ টাকা। ওই স্কুলবাড়িটি তৈরি হবে সাত তলা পর্যন্ত। অর্থাৎ সিন্ডিকেটওয়ালাদের মোট সাত লাখ টাকা না দিলে একটা ইটও গাঁথতে দেওয়া হবে না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দেন তারা। কিন্তু কেন প্রতি তলে জন্য এক লক্ষ টাকা?

সিন্ডিকেটওয়ালাদের পরিষ্কার যুক্তি, তারা স্থানীয় সিন্ডিকেট। তাদের কাছ থেকে নিয়মমাফিক ইট, বালি, সিমেন্ট ফেলা হয়নি বলে এই টাকা তারা দাবি করছে। কিন্তু কিসের নিয়ম? প্রশ্ন করার অধিকার কারোর নেই। কারণ, নিয়মটা তারাই বানিয়েছে। ওই স্কুল কর্তারা জানান, তারা অন্য এক স্থানীয় একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমেই নির্মাণ সামগ্রী কিনেছেন। এলাকার সব সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তো জিনিস নেওয়া সম্ভব নয়। সিন্ডিকেটওয়ালাদের পরিষ্কার যুক্তি, তাদের থেকে নেওয়া সম্ভব যখন হয় নি তখন সাত লক্ষ টাকা দিয়ে দিন।

অভিযোগ, এই নিয়ে বেশি ঘাঁটাঘাঁটিও করা যায় না। থানা পুলিশ করলে আবার তখন নির্মাণকর্মীদেরই উল্টে মারধর শুরু হয়ে যায়। এক নির্মাণ কর্মী বলেন,‘আমাদের এক কর্মীকে এমনভাবে মারধর করেছে যে হাসপাতালে পর্যন্ত ভর্তি হতে হয়েছিল। কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল কয়েক মাস।’ শেষ পর্যন্ত সাত লক্ষ টাকা দিয়ে তবেই রেহাই মিলেছে।

কিন্তু গল্পটা এখানেই শেষ নয়। কাজ শুরু হওয়ার পর ফের হাজির আরেক সিন্ডিকেটের দল। তাদের দাবি তারা কেন কাজ পাবে না? তাদের যখন কাজ দেওয়া হল না তার ক্ষতিপূরণ হিসাবে এলাকার এক নাইট ফুটবল টুর্নামেন্ট স্পনসর করে দিক ওই সংস্থা। মোটামুটি লাখ খানেক টাকার মধ্যেই হয়ে যাবে পুরো টুর্নামেন্ট। ম্যান অফ দ্য ম্যাচ, ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্টকে মোটা টাকা পুরস্কার দিতে হবে। প্রথম দিন টুর্নামেন্ট স্পনসর হতে রাজি হয়নি ওই সংস্থা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জিত সেই সিন্ডিকেটওয়ালাদেরই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সংস্থার এক কর্তা বলেন,‘কটা সিন্ডিকেটকে আমরা টাকা দেব বলতে পারেন? কোন এলাকার কে বস্‌ আমরা জানব কী করে?’

আসলে কোন এলাকার কে বস এই নিয়েই শুরু হয়েছে দ্বন্দ্ব। মুম্বইয়ের আন্ডারওয়ার্ল্ডকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য যেমন কয়েকটা গোষ্ঠীর মধ্যে শুরু হয়েছিল লড়াই ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা। এক পুলিশ কর্তার মতে, অত বড় পরিসরে না হলেও ছোট পরিসরে অনেকটা সেরকমই চলছে নিউটাউনে। কে কোন এলাকা দখল করবে সেই নিয়েই শুরু হয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বিতা। এমনকী মজার কথা হল একই রাজনৈতিক দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যেও রেষারেষি চলছে। অভিযোগ, সিপিএমের জমানায় তৃণমূল সিন্ডিকেট তৈরি করায় কল্কে পেত না। এখন আবার তৃণমূলের রাজত্বে সিপিএমের সব সিন্ডিকেট ধুয়ে মুছে সাফ। টিমটিম করে চলছে কয়েকটা সিপিএম সমর্থিত সিন্ডিকেট। তাই অনেকের মতে রাজারহাটে সিন্ডিকেটে নিয়ে লড়াইটা দুই যুযুধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে নয়। বরং একই দলের (পড়ুন তৃণমূল)মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থেকেই শুরু হয়েছে সংঘাত। জোর যার মুলুক তার এটা প্রমাণ করতেই রাতে বোমা পড়ছে। এমনকী কেষ্টপুরের মতো ভরা বাজারে বন্দুক নিয়ে গুলি করে খুনোখুনি করতেও কারও হাত কাঁপছে না। কারণ তারা জানে যে তারা দাদার আশীর্বাদধন্য। বিপদে পড়লে এই ‘দাদারা’ই তাঁকে বাঁচিয়ে দেবে।

(দ্বিতীয় কিস্তি প্রকাশিত হবে ৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার)


--
Sent from my Samsung mobile
-----------------------------------------
This message and any attachment are confidential and may be privileged or otherwise protected from disclosure.
If you are not the intended recipient, please telephone or email the sender, delete this message and any attachment from your system and you must not copy this message or attachment or disclose the contents to any other person.
Please consider the environmental impact before printing this document and its attachmen(s). Print black and white and double-sided where possible.
-----------------------------------------

A vick, Pune

unread,
Jan 6, 2012, 11:09:40 PM1/6/12
to newtown-raja...@googlegroups.com, Akankha...@googlegroups.com
Part-II

সিন্ডিকেট সন্ত্রাসের অন্দরমহল

রাজারহাটে অরাজকতা

পর্ব - ২

আর্যভট্ট খান

কলকাতা, ৫ জানুয়ারি, ২০১১

syndicate terror in rajarhat

নির্মীয়মাণ বহুতলগুলি ঘিরেই চলছে খুনের রাজনীতি। যার পোশাকি নাম সিন্ডিকেট সন্ত্রাস। ছবি- নিজস্ব চিত্র।

কোন দাদার পাল্লা ভারি, সেই দিক বুঝেই শুরু হচ্ছে সিন্ডিকেটগুলো। সিন্ডিকেটগুলো কোথায় কিভাবে চলছে দেখতে হলে ঢুঁ মারতে হবে রাজারহাট নিউটাউনের অলিগলিতে। বড় রাস্তা থেকে নেমে অলি গলি দিয়ে গ্রামের ভেতর এগোলেই দেখা যাবে সিন্ডিকেটের নামে সাইনবোর্ড ঝুলছে। এক একটা সিন্ডিকেটের নাম এক এক রকম। বেশিরভাগ সময়ই ব্যক্তির নামেই সিন্ডিকেটের নাম হয়। আবার ঠাকুর দেবতার নামেও সিন্ডিকেটের নাম হয়। কিন্তু প্রশ্ন হল ওই সাইনবোর্ডের আড়ালে রয়েছেন কে? ওই সিন্ডিকেটটি আসলে আড়াল থেকে কোন ‘দাদা’ নিয়ন্ত্রণ করছেন? রামায়ণের মেঘনাদের মতো আড়ালে আছেন কে? একটু কান পাতলেই শোনা যায় তার নাম।

আসলে কে আড়ালে আছেন সে নিয়ে খুব একটা ঢাক গুড়গুড়ও নেই। কিন্তু সোজাসুজি কোনও প্রমাণ না থাকায় কখনও অভিযুক্তও করা যায় না। অনেক সময়ই সিন্ডিকেট নিয়ে বড় কিছু গন্ডগোল বা মারামারি, খুনোখুনি হলে প্রকাশ্যে চলে আসার সেই দাদার নাম। সেই রাজনৈতিক নেতার নাম। তবু সেই নেতাকে সরাসরি প্রশ্ন করলে আসবে একটাই পরিচিত উত্তর। উত্তরটা হল, ‘আমি কোনও সিন্ডিকেট চালাই না। বরং সিন্ডিকেটের জুলুম হলেই রুখে দাঁড়াই। যে কোনও ধরনের জুলুমবাজি হলেই আমাকে খবর দিন।’ একই উত্তর পাওয়া যাবে পুলিশকর্তাদের মুখেও। উত্তর চব্বিশ পরগনার পুলিশ সুপার চম্পক ভট্টাচার্য তো বলেই দিয়েছেন, ‘সিন্ডিকেটের জুলুমবাজির বিরুদ্ধে আমরা সবসময়ই কঠোর ব্যবস্থা নিই। কোথাও কো‌নও জুলুমবাজি হলেই খবর দিন। যদি মনে করেন প্রকাশ্যে অভিযোগ করলে অসুবিধা আছে তাহলে নাম গোপন রেখে খবর দিন। আমরা ব্যবস্থা নেব।’

কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে গত এক বছরে কতগুলো ব্যবস্থা নিতে পেরেছে পুলিশ? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিউটাউনের এক নির্মাণ সংস্থার কর্তার সাফ অভিযোগ, ‘পুলিশকে বলে কোনও লাভ হয় না। বরং ওরা সরাসরি না বললেও ঘুরিয়ে বলেন নিজেদের মধ্যে মিটমাট করে নিতে। জলে বাস করে কুমিরের সঙ্গে শত্রুতা কী লাভ বলুন?’

নিউটাউনের আরেক নির্মাণ সংস্থার এক চিফ ইঞ্জিনিয়ার শোনালেন পুলিশের সাহায্যের এক নমুনা। তিনি বলেন, ‘আমাদের যেখানে বাড়ি তৈরির কাজ হচ্ছিল সেখানে সিন্ডিকেটের কিছু লোক এসে এমন জুলুমবাজি শুরু করে যে আমাদের কর্মীদের ঢুকতেই দিচ্ছিল না। কাজ বন্ধ হয়ে গেল। কাজ বন্ধের দিন তিনেক পরে আমাদের দু’জন কর্মী জোর করে ওই সাইটে ঢোকার চেষ্টা করাতে সিন্ডিকেটের এক ষন্ডামার্কা ছে‌লে আমাদের ওই দুই কর্মীকে মারধর করল। আমরা পরের দিন সকালে থানায় গিয়ে ওই যুবকের নামে অভিযোগ করলাম। ওই যুবক এলাকার পরিচিত। আমরা অভিযোগ করার পরেই পুলিশ গিয়ে ওই যুবককে তুলে নিয়ে নির্দিষ্ট কেস দিয়ে আমাদের সামনে থানার লক আপে ভরে দি‌ল। মনে হল বিহিত হল একটা। সেই দিনই একটা প্রয়োজনে সন্ধ্যায় থানায় গিয়ে দেখলাম ওই যুবক আর লকআপে নেই। ছাড়া পেয়ে গিয়েছে। তার মানে আমাদের সামনে একটা লোক দেখানো লকআপে ঢোকানো হয়েছিল। তবে এখানেই শেষ নয়। লকআপ থেকে বেরিয়ে ওই যুবক আর তার দলবলের শক্তি আরও বেড়ে গেল। কারণ আমাদের নির্মাণকাজের জায়গায় গিয়ে দেখলাম গেটের সামনে বিশাল বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে দিয়েছে ওরা। এরপর আর কোন সাহসে ওখানে কাজ করব বলুন? তবু আমরা ঠিক করেছি ফের কয়েকদিন পরে ওখানে গিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। শেষ পর্যন্ত আপসের রাস্তা ছাড়া আর উপায় কোথায়?’

কিন্তু আপসটা কীরকম করতে হচ্ছে? তারও একটা নমুনা দিলেন এক নির্মাণকারী সংস্থার এক আধিকারিক। তিনি বলেন, ধরুন এক ট্রাক বালির দাম যদি বাজারে ১০ হাজার টাকা হয়, এলাকার সিন্ডিকেটের কাছ থেকে বাধ্য হয়ে কিনতে হবে অন্তত পনেরো থেকে ষোলো হাজার টাকায়। মানও খারাপ। ওই খারাপ মানের বালি সিমেন্ট দিয়ে কাজ করতে গিয়ে আমাদেরও নির্মাণকাজের মান অনেক সময় খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আমাদের ইচ্ছে থাকলেও অনেক সময় ভাল মানের জিনিস দিয়ে কাজ করতে পারি না।’

সিন্ডিকেটের এই জুলুম তাই চলছে অবাধে। জুলুমবাজির মধ্যেই আবার চলছে কে বেশি কর্তৃত্ব ফলাবে তার প্রতিযোগিতা। এই কর্তৃত্ব ফলানোর প্রতিযোগিতাটাও কম রোমাঞ্চকর নয়। কী রকম সেই প্রতিযোগিতা? পড়ুন তৃতীয় ও শেষ কিস্তিতে। শেষ কিস্তি প্রকাশিত হবে আগামী রবিবার।

পড়ুন রাজারহাটে অরাজকতার প্রথম পর্ব

Avick Chakraborty

unread,
Jan 8, 2012, 10:35:00 PM1/8/12
to newtown-raja...@googlegroups.com, Akankha...@googlegroups.com, rhat
Part - III

সিন্ডিকেট সন্ত্রাসের অন্দরমহল

রাজারহাটে অরাজকতা

পর্ব-৩

আর্যভট্ট খান

কলকাতা, ৮ জানুয়ারি, ২০১২

নির্মীয়মাণ বহুতলগুলি ঘিরেই চলছে খুনের রাজনীতি। যার পোশাকি নাম সিন্ডিকেট সন্ত্রাস। ছবি- নিজস্ব চিত্র।

মাস কয়েক আগে রাজারহাট পুরসভার অধীনে কেষ্টপুরে যে প্রকাশ্যে খুনোখুনির ঘটনা ঘটল তা কিন্তু কর্তৃত্ব ফলানোর প্রতিযোগিতার ফল। পুলিশের তদন্তে এখনও পর্যন্ত সেটাই উঠে এসেছে।
একই পাড়ায় একই রাজনৈতিক নেতার ছত্রছায়ায় দু’জনেই ‘বড়’ হয়েছিল। কিন্তু বড় হওয়ার পরই হল বিপত্তি। এলাকার সব সিন্ডিকেটগুলোকে নিজের নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য একজন দাদা আরেকজন দাদার ডানা কাটতে উদ্যত হল। একজন আরেকজনের চোলাই মদের ঠেক ভেঙে দিল তো আরেকজন একেবারে এলাকা ছাড়া করে দিল। ওই এলাকা ছাড়া দাদা ভাবল এলাকায় ঢুকতে গেলে এবার তাকে পথের কাঁটা সরাতে হবে। চোলাই মদের ভাটি থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্তৃত্বের রাশ আলগা হয়ে যেতে দেখে শেষ পর্যন্ত পৃথিবী থেকে সরিয়ে ফেলারই ছক কষা শুরু হল দুই পক্ষেরই। যাদের মধ্যে এই প্রতিযোগিতা তারা কিন্তু ভাল করেই জানে তাকে খুনের পরিকল্পনা করছে তার প্রতিপক্ষ।

কেষ্টপুর বাজারে প্রকাশ্যে খুনের ঘটনায় গুলিতে নিহত স্বপন মণ্ডল কিন্তু খুন হওয়ার আগেই তিনি তার জীবন বিপন্ন মনে করে শঙ্কিত ছিলেন। তার জীবন যে বিপন্ন এবং তিনি খুন হতে পারেন এই আশঙ্কা করে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর কালিঘাটের বাড়িতে গিয়ে একটা চিঠিও দিয়ে আসেন। কাদের জন্য তাঁর জীবন বিপন্ন সেই ব্যক্তিদের নামও স্বপনবাবু মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করেন। শুধু চিঠি লিখেই নয় মৌখিকভাবে তৃণমূলের আরেক মন্ত্রী তথা সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়কেও জানাতে চেয়েছিলেন বলে স্বপনবাবুর ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন। এক রবিবার সকালে মুকুলবাবুকে বিস্তারিতভাবে সব কথা জানাতে যাওয়ার কথা ছিল সেদিন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যেতে পারেননি। সেদিন দুপুরেই বেলা বারোটা নাগাদ খুন হন স্বপনবাবু।

তাহলে বোঝাই যাচ্ছে রেষারেষিটা কোন পর্যায়ে গিয়েছিল। অথচ অভিযোগ, পুলিশ সব জেনেও নির্বিকার। এখনও পর্যন্ত পুলিশ ওই ঘটনায় গ্রেফতার করতে পেরেছে যে ক'জনকে তাদের মধ্যে স্বপনবাবু যে ক'জনের নাম চিঠিতে লিখেছিলেন তাদের মধ্যে রয়েছে দু’জন। পুলিশের দাবি এদের মধ্যে একজন স্বীকারও করেছে সুপারি কিলার লাগিয়েই স্বপনকে খুন করা হয়। তবে স্বপনবাবুর চিঠিতে লেখা প্রধান অভিযুক্ত কিন্তু এখনও পলাতক। পুলিশের নাগালের বাইরে। এখনও সে এলাকা ছাড়া। পাড়া ছাড়া। প্রধান অভিযুক্তকে না ধরায় এখানেও পুলিশের সদিচ্ছার প্রশ্ন উঠেছে।

কিন্তু প্রশ্ন শুধু সেখানেই নয়। প্রশ্ন আরও আছে। প্রশ্ন উঠেছে ঘটনা খুনোখুনি পর্যন্ত গড়াচ্ছে কেন? কেন সিন্ডিকেটের কর্তৃত্ব ফলাতে গিয়ে একদল যুবক অপরাধ চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন? কেন তারা ধীরে ধীরে হয়ে যাচ্ছেন এক দাগী অপরাধী? কেন সিন্ডিকেট চালাতে গিয়ে প্রয়োজন হয়ে পড়ছে চোলাই মদের ভাটি চালানো? কেন প্রয়োজন হয়ে পড়ছে আধুনিক সব আগ্নেয়াস্ত্র রাখার?

রাজারহাট এলাকাতে মাঝেমধ্যেই পুলিশ উদ্ধার করেছে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র। বছর খানেক আগে নিউটাউনের নির্মীয়মাণ এক আবাসনের কাছে এক পুকুরের ঝোপের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয়েছিল গাদা বন্দুক সহ আধুনিক সব আগ্নেয়াস্ত্র। সেখানেই শেষ নয় মাস খানেক আগেও রাজারহাট নিউটাউনের এক দাগী দুষ্কৃতী ধরা পড়ার পর তার বাড়ি থেকেও পুলিশ উদ্ধার করে আধুনিক অস্ত্র। ওই দাগী দুষ্কৃতী এলাকায় একসময় সিন্ডিকেটের নামে রীতিমতো সন্ত্রাস চালাত বলে অভিযোগ। অভিযোগ, বেশ কয়েকটা সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ করত সে। এলাকায় এতটাই সন্ত্রাস চালিয়েছিল যে ওই দুষ্কৃতীর ভয়ে অনেকেই ঘরছাড়া হয়েছিল। ওই আগ্নেয়াস্ত্রগুলো উদ্ধারের পর যখন পুলিশ সাংবাদিক সম্মেলন করে মিডিয়ার সামনে ওই অস্ত্র দেখিয়েছে তখন মনে হয়েছে এত অস্ত্র কেন? কেন রাজারহাট এলাকা থেকে এত অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে মাঝেমধ্যেই? রাজারহাটে কী কোনও যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে নাকি?

এর কোনও উত্তর মেলেনি। বেশিরভাগ ভেজাল নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে বানানো রাজারহাট নিউটাউনের বহুতল বাড়িগুলো ক্রমশই আকাশ ছুঁয়ে ফেলছে। তৈরি হচ্ছে নানা রকম বাণিজ্যিক কেন্দ্র তথ্য প্রযুক্তির ঝাঁ চকচকে অফিসও। তবে অত্যাধুনিক এই নির্মীয়মাণ রাজারহাট নিউটাউনের আকাশে অপরাধের কালো মেঘও কিন্তু ক্রমশই জমে উঠছে। সেই মেঘ কেটে রোদ্দুর উঠবে কবে? জবাব নেই 'পরিবর্তন' ঘটানো সরকারের কাছেও।

( শেষ)


2012/1/7 A vick, Pune <avi...@gmail.com>

--
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "Akankha Newtown (Rajarhat), Kolkata" group.
To view this discussion on the web visit https://groups.google.com/d/msg/akankha_newtown/-/sAX-xR6opKEJ.
To post to this group, send email to akankha...@googlegroups.com.
To unsubscribe from this group, send email to akankha_newto...@googlegroups.com.
For more options, visit this group at http://groups.google.com/group/akankha_newtown?hl=en.

Avick Chakraborty

unread,
Jan 19, 2012, 1:10:35 AM1/19/12
to newtown-raja...@googlegroups.com, Akankha...@googlegroups.com, rhat
The story continues:

2012/1/9 Avick Chakraborty <avi...@gmail.com>

Avick Chakraborty

unread,
Jan 19, 2012, 10:24:15 PM1/19/12
to rhat, Akankha...@googlegroups.com, newtown-raja...@googlegroups.com

And they bought peace...

http://www.telegraphindia.com/1120120/jsp/calcutta/story_15027015.jsp

Syndicates force New Town truce
A STAFF REPORTER

The contractor building the Rs 300-crore-plus Elita Garden Vista residential estate in New Town has chosen to buy peace with syndicates, allegedly backed by Trinamul leaders, rather than risk further disruption in the project.
*The Telegraph* had reported on Thursday how syndicate members had disrupted work at the project site in Action Area III for two consecutive days to arm-twist contractor Simplex Infrastructure into buying building materials from them.
“We do not want trouble with the local suppliers, so we have worked out a solution. Now we can carry on the work without any disruption,” said a Simplex Infrastructure official on Thursday, refusing to divulge details of the deal.
Sources at the site, however, told *Metro* how the construction firm struck a deal with the syndicates. “The bone of contention was the supply of bituminous macadam, which we are using to lay an internal path because of its durability. The syndicates wanted us to source stone chips from them. After their protests, we got in touch with the firm that is supplying bituminous macadam and requested them to source stone chips from the syndicates,” said a source.
According to him, Trinamul’s local panchayat samiti member Tapan Mondal played a key role in working out a solution. On Wednesday, Mondal visited Elita Garden Vista, being developed jointly by Keppel Land and Magus Estates, and met Simplex officials for two hours.
Mondal later said he had gone to the site to discuss removal of shacks from the area. He had refused to acknowledge that work had been disrupted at the site.
On Thursday, the Trinamul leader blamed the CPM for the disruption. “Some CPM members who have managed to get into the syndicates are creating all the problems. They were involved in locking the project gate on Tuesday. That is the reason I went to meet officials of the constructing agency on Wednesday. Since I am the local leader I have to resolve these issues,” said Mondal.
Many syndicate members were not aware of the deal that had been struck late on Wednesday. As a result, they blocked the main gate of the project and stopped lorries carrying construction supplies from entering the site around 11am on Thursday.
Officers of New Town police station had to intervene. “They wanted the contractor to procure the construction supplies from them. When they were informed that the issue had been resolved and the company had agreed to accept materials from them, they lifted the blockade around 1pm,” said a police officer.
Local Trinamul MLA Sabyasachi Dutta said if the company files a complaint with the Trinamul leadership in Rajarhat, action would “definitely be taken”. “We will ask our party workers to stay away from syndicates. But for us to take action, the company needs to file a complaint,” said Dutta.

Avick Chakraborty

unread,
Jan 20, 2012, 3:39:03 AM1/20/12
to newtown-rajarhat-kolkata, Akankha...@googlegroups.com
---------- Forwarded message ----------
From: Mishti Basu <misht...@yahoo.com>
Date: 2012/1/20
 

Tomorrow neighborhood goondas will demand to get the interiors done through them....like they did for my aged retired aunt in Sunrise Point. She had to settle with peace for a shoddy job....
Mishti


From: Avick Chakraborty <avi...@gmail.com>
To: rhat <rh...@yahoogroups.com>; Akankha...@googlegroups.com; newtown-raja...@googlegroups.com
Sent: Friday, January 20, 2012 8:54 AM
Subject: [RHAT] Re: রাজারহাটে সিন্ডিকেট রাজ

 
And they bought peace...
Syndicates force New Town truce
A STAFF REPORTER
The contractor building the Rs 300-crore-plus Elita Garden Vista residential estate in New Town has chosen to buy peace with syndicates, allegedly backed by Trinamul leaders, rather than risk further disruption in the project.
*The Telegraph* had reported on Thursday how syndicate members had disrupted work at the project site in Action Area III for two consecutive days to arm-twist contractor Simplex Infrastructure into buying building materials from them.
“We do not want trouble with the local suppliers, so we have worked out a solution. Now we can carry on the work without any disruption,” said a Simplex Infrastructure official on Thursday, refusing to divulge details of the deal.
Sources at the site, however, told *Metro* how the construction firm struck a deal with the syndicates. “The bone of contention was the supply of bituminous macadam, which we are using to lay an internal path because of its durability. The syndicates wanted us to source stone chips from them. After their protests, we got in touch with the firm that is supplying bituminous macadam and requested them to source stone chips from the syndicates,” said a source.
According to him, Trinamul’s local panchayat samiti member Tapan Mondal played a key role in working out a solution. On Wednesday, Mondal visited Elita Garden Vista, being developed jointly by Keppel Land and Magus Estates, and met Simplex officials for two hours.
Mondal later said he had gone to the site to discuss removal of shacks from the area. He had refused to acknowledge that work had been disrupted at the site.
On Thursday, the Trinamul leader blamed the CPM for the disruption. “Some CPM members who have managed to get into the syndicates are creating all the problems. They were involved in locking the project gate on Tuesday. That is the reason I went to meet officials of the constructing agency on Wednesday. Since I am the local leader I have to resolve these issues,” said Mondal.
Many syndicate members were not aware of the deal that had been struck late on Wednesday. As a result, they blocked the main gate of the project and stopped lorries carrying construction supplies from entering the site around 11am on Thursday.
Officers of New Town police station had to intervene. “They wanted the contractor to procure the construction supplies from them. When they were informed that the issue had been resolved and the company had agreed to accept materials from them, they lifted the blockade around 1pm,” said a police officer.
Local Trinamul MLA Sabyasachi Dutta said if the company files a complaint with the Trinamul leadership in Rajarhat, action would “definitely be taken”. “We will ask our party workers to stay away from syndicates. But for us to take action, the company needs to file a complaint,” said Dutta.
On Jan 19, 2012 11:40 AM, "Avick Chakraborty" <avi...@gmail.com> wrote:
The story continues:

2012/1/9 Avick Chakraborty <avi...@gmail.com>
Part - III

সিন্ডিকেট সন্ত্রাসের অন্দরমহল

রাজারহাটে অরাজকতা

পর্ব-৩

আর্যভট্ট খান

কলকাতা, ৮ জানুয়ারি, ২০১২

Rajarhat Syndicate
নির্মীয়মাণ বহুতলগুলি ঘিরেই চলছে খুনের রাজনীতি। যার পোশাকি নাম সিন্ডিকেট সন্ত্রাস। ছবি- নিজস্ব চিত্র।
মাস কয়েক আগে রাজারহাট পুরসভার অধীনে কেষ্টপুরে যে প্রকাশ্যে খুনোখুনির ঘটনা ঘটল তা কিন্তু কর্তৃত্ব ফলানোর প্রতিযোগিতার ফল। পুলিশের তদন্তে এখনও পর্যন্ত সেটাই উঠে এসেছে।
একই পাড়ায় একই রাজনৈতিক নেতার ছত্রছায়ায় দু’জনেই ‘বড়’ হয়েছিল। কিন্তু বড় হওয়ার পরই হল বিপত্তি। এলাকার সব সিন্ডিকেটগুলোকে নিজের নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য একজন দাদা আরেকজন দাদার ডানা কাটতে উদ্যত হল। একজন আরেকজনের চোলাই মদের ঠেক ভেঙে দিল তো আরেকজন একেবারে এলাকা ছাড়া করে দিল। ওই এলাকা ছাড়া দাদা ভাবল এলাকায় ঢুকতে গেলে এবার তাকে পথের কাঁটা সরাতে হবে। চোলাই মদের ভাটি থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্তৃত্বের রাশ আলগা হয়ে যেতে দেখে শেষ পর্যন্ত পৃথিবী থেকে সরিয়ে ফেলারই ছক কষা শুরু হল দুই পক্ষেরই। যাদের মধ্যে এই প্রতিযোগিতা তারা কিন্তু ভাল করেই জানে তাকে খুনের পরিকল্পনা করছে তার প্রতিপক্ষ।
কেষ্টপুর বাজারে প্রকাশ্যে খুনের ঘটনায় গুলিতে নিহত স্বপন মণ্ডল কিন্তু খুন হওয়ার আগেই তিনি তার জীবন বিপন্ন মনে করে শঙ্কিত ছিলেন। তার জীবন যে বিপন্ন এবং তিনি খুন হতে পারেন এই আশঙ্কা করে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর কালিঘাটের বাড়িতে গিয়ে একটা চিঠিও দিয়ে আসেন। কাদের জন্য তাঁর জীবন বিপন্ন সেই ব্যক্তিদের নামও স্বপনবাবু মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করেন। শুধু চিঠি লিখেই নয় মৌখিকভাবে তৃণমূলের আরেক মন্ত্রী তথা সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়কেও জানাতে চেয়েছিলেন বলে স্বপনবাবুর ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন। এক রবিবার সকালে মুকুলবাবুকে বিস্তারিতভাবে সব কথা জানাতে যাওয়ার কথা ছিল সেদিন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যেতে পারেননি। সেদিন দুপুরেই বেলা বারোটা নাগাদ খুন হন স্বপনবাবু।
তাহলে বোঝাই যাচ্ছে রেষারেষিটা কোন পর্যায়ে গিয়েছিল। অথচ অভিযোগ, পুলিশ সব জেনেও নির্বিকার। এখনও পর্যন্ত পুলিশ ওই ঘটনায় গ্রেফতার করতে পেরেছে যে ক'জনকে তাদের মধ্যে স্বপনবাবু যে ক'জনের নাম চিঠিতে লিখেছিলেন তাদের মধ্যে রয়েছে দু’জন। পুলিশের দাবি এদের মধ্যে একজন স্বীকারও করেছে সুপারি কিলার লাগিয়েই স্বপনকে খুন করা হয়। তবে স্বপনবাবুর চিঠিতে লেখা প্রধান অভিযুক্ত কিন্তু এখনও পলাতক। পুলিশের নাগালের বাইরে। এখনও সে এলাকা ছাড়া। পাড়া ছাড়া। প্রধান অভিযুক্তকে না ধরায় এখানেও পুলিশের সদিচ্ছার প্রশ্ন উঠেছে।
কিন্তু প্রশ্ন শুধু সেখানেই নয়। প্রশ্ন আরও আছে। প্রশ্ন উঠেছে ঘটনা খুনোখুনি পর্যন্ত গড়াচ্ছে কেন? কেন সিন্ডিকেটের কর্তৃত্ব ফলাতে গিয়ে একদল যুবক অপরাধ চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন? কেন তারা ধীরে ধীরে হয়ে যাচ্ছেন এক দাগী অপরাধী? কেন সিন্ডিকেট চালাতে গিয়ে প্রয়োজন হয়ে পড়ছে চোলাই মদের ভাটি চালানো? কেন প্রয়োজন হয়ে পড়ছে আধুনিক সব আগ্নেয়াস্ত্র রাখার?
রাজারহাট এলাকাতে মাঝেমধ্যেই পুলিশ উদ্ধার করেছে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র। বছর খানেক আগে নিউটাউনের নির্মীয়মাণ এক আবাসনের কাছে এক পুকুরের ঝোপের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয়েছিল গাদা বন্দুক সহ আধুনিক সব আগ্নেয়াস্ত্র। সেখানেই শেষ নয় মাস খানেক আগেও রাজারহাট নিউটাউনের এক দাগী দুষ্কৃতী ধরা পড়ার পর তার বাড়ি থেকেও পুলিশ উদ্ধার করে আধুনিক অস্ত্র। ওই দাগী দুষ্কৃতী এলাকায় একসময় সিন্ডিকেটের নামে রীতিমতো সন্ত্রাস চালাত বলে অভিযোগ। অভিযোগ, বেশ কয়েকটা সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ করত সে। এলাকায় এতটাই সন্ত্রাস চালিয়েছিল যে ওই দুষ্কৃতীর ভয়ে অনেকেই ঘরছাড়া হয়েছিল। ওই আগ্নেয়াস্ত্রগুলো উদ্ধারের পর যখন পুলিশ সাংবাদিক সম্মেলন করে মিডিয়ার সামনে ওই অস্ত্র দেখিয়েছে তখন মনে হয়েছে এত অস্ত্র কেন? কেন রাজারহাট এলাকা থেকে এত অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে মাঝেমধ্যেই? রাজারহাটে কী কোনও যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে নাকি?
এর কোনও উত্তর মেলেনি। বেশিরভাগ ভেজাল নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে বানানো রাজারহাট নিউটাউনের বহুতল বাড়িগুলো ক্রমশই আকাশ ছুঁয়ে ফেলছে। তৈরি হচ্ছে নানা রকম বাণিজ্যিক কেন্দ্র তথ্য প্রযুক্তির ঝাঁ চকচকে অফিসও। তবে অত্যাধুনিক এই নির্মীয়মাণ রাজারহাট নিউটাউনের আকাশে অপরাধের কালো মেঘও কিন্তু ক্রমশই জমে উঠছে। সেই মেঘ কেটে রোদ্দুর উঠবে কবে? জবাব নেই 'পরিবর্তন' ঘটানো সরকারের কাছেও।
( শেষ)

2012/1/7 A vick, Pune <avi...@gmail.com>

Part-II

সিন্ডিকেট সন্ত্রাসের অন্দরমহল

রাজারহাটে অরাজকতা

পর্ব - ২

আর্যভট্ট খান

কলকাতা, ৫ জানুয়ারি, ২০১১

syndicate terror in rajarhat
নির্মীয়মাণ বহুতলগুলি ঘিরেই চলছে খুনের রাজনীতি। যার পোশাকি নাম সিন্ডিকেট সন্ত্রাস। ছবি- নিজস্ব চিত্র।
কোন দাদার পাল্লা ভারি, সেই দিক বুঝেই শুরু হচ্ছে সিন্ডিকেটগুলো। সিন্ডিকেটগুলো কোথায় কিভাবে চলছে দেখতে হলে ঢুঁ মারতে হবে রাজারহাট নিউটাউনের অলিগলিতে। বড় রাস্তা থেকে নেমে অলি গলি দিয়ে গ্রামের ভেতর এগোলেই দেখা যাবে সিন্ডিকেটের নামে সাইনবোর্ড ঝুলছে। এক একটা সিন্ডিকেটের নাম এক এক রকম। বেশিরভাগ সময়ই ব্যক্তির নামেই সিন্ডিকেটের নাম হয়। আবার ঠাকুর দেবতার নামেও সিন্ডিকেটের নাম হয়। কিন্তু প্রশ্ন হল ওই সাইনবোর্ডের আড়ালে রয়েছেন কে? ওই সিন্ডিকেটটি আসলে আড়াল থেকে কোন ‘দাদা’ নিয়ন্ত্রণ করছেন? রামায়ণের মেঘনাদের মতো আড়ালে আছেন কে? একটু কান পাতলেই শোনা যায় তার নাম।
আসলে কে আড়ালে আছেন সে নিয়ে খুব একটা ঢাক গুড়গুড়ও নেই। কিন্তু সোজাসুজি কোনও প্রমাণ না থাকায় কখনও অভিযুক্তও করা যায় না। অনেক সময়ই সিন্ডিকেট নিয়ে বড় কিছু গন্ডগোল বা মারামারি, খুনোখুনি হলে প্রকাশ্যে চলে আসার সেই দাদার নাম। সেই রাজনৈতিক নেতার নাম। তবু সেই নেতাকে সরাসরি প্রশ্ন করলে আসবে একটাই পরিচিত উত্তর। উত্তরটা হল, ‘আমি কোনও সিন্ডিকেট চালাই না। বরং সিন্ডিকেটের জুলুম হলেই রুখে দাঁড়াই। যে কোনও ধরনের জুলুমবাজি হলেই আমাকে খবর দিন।’ একই উত্তর পাওয়া যাবে পুলিশকর্তাদের মুখেও। উত্তর চব্বিশ পরগনার পুলিশ সুপার চম্পক ভট্টাচার্য তো বলেই দিয়েছেন, ‘সিন্ডিকেটের জুলুমবাজির বিরুদ্ধে আমরা সবসময়ই কঠোর ব্যবস্থা নিই। কোথাও কো‌নও জুলুমবাজি হলেই খবর দিন। যদি মনে করেন প্রকাশ্যে অভিযোগ করলে অসুবিধা আছে তাহলে নাম গোপন রেখে খবর দিন। আমরা ব্যবস্থা নেব।’
কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে গত এক বছরে কতগুলো ব্যবস্থা নিতে পেরেছে পুলিশ? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিউটাউনের এক নির্মাণ সংস্থার কর্তার সাফ অভিযোগ, ‘পুলিশকে বলে কোনও লাভ হয় না। বরং ওরা সরাসরি না বললেও ঘুরিয়ে বলেন নিজেদের মধ্যে মিটমাট করে নিতে। জলে বাস করে কুমিরের সঙ্গে শত্রুতা কী লাভ বলুন?’
নিউটাউনের আরেক নির্মাণ সংস্থার এক চিফ ইঞ্জিনিয়ার শোনালেন পুলিশের সাহায্যের এক নমুনা। তিনি বলেন, ‘আমাদের যেখানে বাড়ি তৈরির কাজ হচ্ছিল সেখানে সিন্ডিকেটের কিছু লোক এসে এমন জুলুমবাজি শুরু করে যে আমাদের কর্মীদের ঢুকতেই দিচ্ছিল না। কাজ বন্ধ হয়ে গেল। কাজ বন্ধের দিন তিনেক পরে আমাদের দু’জন কর্মী জোর করে ওই সাইটে ঢোকার চেষ্টা করাতে সিন্ডিকেটের এক ষন্ডামার্কা ছে‌লে আমাদের ওই দুই কর্মীকে মারধর করল। আমরা পরের দিন সকালে থানায় গিয়ে ওই যুবকের নামে অভিযোগ করলাম। ওই যুবক এলাকার পরিচিত। আমরা অভিযোগ করার পরেই পুলিশ গিয়ে ওই যুবককে তুলে নিয়ে নির্দিষ্ট কেস দিয়ে আমাদের সামনে থানার লক আপে ভরে দি‌ল। মনে হল বিহিত হল একটা। সেই দিনই একটা প্রয়োজনে সন্ধ্যায় থানায় গিয়ে দেখলাম ওই যুবক আর লকআপে নেই। ছাড়া পেয়ে গিয়েছে। তার মানে আমাদের সামনে একটা লোক দেখানো লকআপে ঢোকানো হয়েছিল। তবে এখানেই শেষ নয়। লকআপ থেকে বেরিয়ে ওই যুবক আর তার দলবলের শক্তি আরও বেড়ে গেল। কারণ আমাদের নির্মাণকাজের জায়গায় গিয়ে দেখলাম গেটের সামনে বিশাল বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে দিয়েছে ওরা। এরপর আর কোন সাহসে ওখানে কাজ করব বলুন? তবু আমরা ঠিক করেছি ফের কয়েকদিন পরে ওখানে গিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। শেষ পর্যন্ত আপসের রাস্তা ছাড়া আর উপায় কোথায়?’
কিন্তু আপসটা কীরকম করতে হচ্ছে? তারও একটা নমুনা দিলেন এক নির্মাণকারী সংস্থার এক আধিকারিক। তিনি বলেন, ধরুন এক ট্রাক বালির দাম যদি বাজারে ১০ হাজার টাকা হয়, এলাকার সিন্ডিকেটের কাছ থেকে বাধ্য হয়ে কিনতে হবে অন্তত পনেরো থেকে ষোলো হাজার টাকায়। মানও খারাপ। ওই খারাপ মানের বালি সিমেন্ট দিয়ে কাজ করতে গিয়ে আমাদেরও নির্মাণকাজের মান অনেক সময় খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আমাদের ইচ্ছে থাকলেও অনেক সময় ভাল মানের জিনিস দিয়ে কাজ করতে পারি না।’
সিন্ডিকেটের এই জুলুম তাই চলছে অবাধে। জুলুমবাজির মধ্যেই আবার চলছে কে বেশি কর্তৃত্ব ফলাবে তার প্রতিযোগিতা। এই কর্তৃত্ব ফলানোর প্রতিযোগিতাটাও কম রোমাঞ্চকর নয়। কী রকম সেই প্রতিযোগিতা? পড়ুন তৃতীয় ও শেষ কিস্তিতে। শেষ কিস্তি প্রকাশিত হবে আগামী রবিবার।
--
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "Akankha Newtown (Rajarhat), Kolkata" group.
To view this discussion on the web visit https://groups.google.com/d/msg/akankha_newtown/-/sAX-xR6opKEJ.
To post to this group, send email to akankha...@googlegroups.com.
To unsubscribe from this group, send email to akankha_newto...@googlegroups.com.
For more options, visit this group at http://groups.google.com/group/akankha_newtown?hl=en.



--
Sent from my Samsung mobile
-----------------------------------------
This message and any attachment are confidential and may be privileged or otherwise protected from disclosure.
If you are not the intended recipient, please telephone or email the sender, delete this message and any attachment from your system and you must not copy this message or attachment or disclose the contents to any other person.
Please consider the environmental impact before printing this document and its attachmen(s). Print black and white and double-sided where possible.
-----------------------------------------




--
Sent from my Samsung mobile
-----------------------------------------
This message and any attachment are confidential and may be privileged or otherwise protected from disclosure.
If you are not the intended recipient, please telephone or email the sender, delete this message and any attachment from your system and you must not copy this message or attachment or disclose the contents to any other person.
Please consider the environmental impact before printing this document and its attachmen(s). Print black and white and double-sided where possible.
-----------------------------------------

Gour Nath

unread,
Jan 20, 2012, 5:21:43 AM1/20/12
to newtown-raja...@googlegroups.com, Akankha...@googlegroups.com
Hi,
 
They are already doing that.
Be it interior jobs or car wash ... everything has to be done by them.
I even heard they are not allowing radio taxis like megacabs, forcing people to use their auto and taxis from stand.
 

 
2012/1/20 Avick Chakraborty <avi...@gmail.com>
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "New Town (Rajarhat) Kolkata" group.
To post to this group, send email to newtown-raja...@googlegroups.com.
To unsubscribe from this group, send email to newtown-rajarhat-k...@googlegroups.com.
For more options, visit this group at http://groups.google.com/group/newtown-rajarhat-kolkata?hl=en.



--
Gour
With Regards

A vick, Pune

unread,
Feb 1, 2012, 4:56:10 AM2/1/12
to newtown-raja...@googlegroups.com, Akankha...@googlegroups.com

Madhuparna Das : Kolkata, Fri Jan 28 2011, 00:36 hrs
NAT

However fierce the rivalry between their parties in the run-up to the 2001 Assembly polls in West Bengal, workers of the CPM and the Trinamool Congress have found one area where they can not only coexist in peace but also work in partnership — the supply of construction material to builders in Rajarhat Newtown.

The supply business runs into crores of rupees and the partnership explains, partly, why the Rajarhat agitation by the Trinamool Congress seems to be getting less and less intense with time.

All builders have to order their material from local syndicates registered with HIDCO, the project sponsor. This rule is aimed at ensuring employment for some of the youths whose families had been displaced by land acquisition.

Till the 2008 panchayat polls, this meant that virtually all orders went to syndicates whose members were CPM supporters. That changed after the TMC’s election triumph in Rajarhat. The Indian Express has found that the Trinamool today controls 175 syndicates to the CPM’s 215.

Far from heralding competition, this has instead brought about a system where syndicates run by either party agree to share deals with those run by the other. Once a developer such as the Tatas or the Ambujas or DLF has sought material, it is the registered syndicates that have been deciding which of them is to make the supply. Based on local strength, they share orders 50:50, with the ratio changing slightly from pocket to pocket.

Such partnerships have clicked at Ghuni, Jatragachi, Nawabpur and Chak Pachuria. Each syndicate has 40-50 members and a group of 20 syndicates forms a cooperative society, run by either party.

“After the panchayat election, we started entering the supply business. Initially there was resistance, but CPM leaders later sought a truce. We agreed on a 50-50 share. Initially, our party had warned us against mingling with CPM men, but what is the alternative?” says Saiful, Trinamool upa-pradhan at Rajarhat-Bishnupur village panchayat. “At present we run 40 syndicates in the area, each making a profit between Rs 1 lakh and 5 lakh every month,” he adds.

At Baliguri-Chak Pachuria, the share is 60 (CPM) to 40 (Trinamool), says Trinamool leader Jalil Mollah, who controls a network of 30 syndicates that supplies to projects such as the Tata Cancer Hospital, Eco Space (Ambuja Realty), Unitech, Ohio Hospital and DPS. “Earlier, we were not allowed to supply to any site. But after the election, we met CPM strongman Gour Mondal, who used to control all syndicates but who now offered us a share.”

The syndicates in this area share manpower too. “There are men from both the Trinamool and the CPM. And in the CPM-run syndicates, they have taken our men,” says Mollah.

At Ghuni Jatragachi area, where the Trinamool runs 30 syndicates supplying to an upcoming five-star hotel and other projects, the share is 50:50. “We work with mutual understanding,” says Sanjib Mondal, the local Trinamol leader in control.

The leadership of both parties knows of this understanding. Rabin Mondal, CPM MLA of Rajarhat, says: “In some places it is the Trinamool who call the shots now and don’t allow our boys to operate. Earlier they used to allege CPM has vested interests in Rajarhat project but now, their stake seems to be higher than ours.” He admits, “There is mutual sharing now.”

Another party leader says, “A huge amount of money is involved in the syndicate business and the sharing has caused a rift in the top leadership. This is also why the Rajarhat agitation is not gaining momentum and can never compare to either Singur and Nandigram.”

Mamata Banerjee has warned party workers several times against teaming up with those of the CPM. After the Vedic Village incident, she expelled several for their involvement in land grabbing.

Expelled leader Joydeb Karmakar says he was made a scapegoat after he had protested against the nexus between workers of the two parties. “ Several senior TMC leaders are involved in this nexus. I had asked Trinamool workers to take one stand, either supply the construction material after accepting compensation for land or participate in the movement against land grabbing.”

Developers say they have to suffer in this arrangement, often having to compromise on quality. Pradip Surekha, a real estate developer with projects in Rajarhat, said, “Quality is an issue. Another problem is that the material we are buying is priced at least 7-10 per cent higher than the market price.”

Santosh Rungta of the Confederation of Real Estate Developers Associations of India said, “The quality of the material the syndicates supply is not always up to the mark. But the developers are forced to take that material. For now, we have switched to readymade concrete that comes only from reputed companies and we don’t need to depend on syndicates for that. But the syndicates run under political banners and have started pressuring us to recruit their men as contract labourers, which we do not want.” 

A vick, Pune

unread,
Feb 4, 2012, 8:16:18 PM2/4/12
to newtown-raja...@googlegroups.com, Akankha...@googlegroups.com
নালিশ সরকারের কাছে
তোলাবাজিতে জেরবার রাজারহাটের তথ্যপ্রযুক্তি
গার্গী গুহঠাকুরতা
মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত আশ্বাস সত্ত্বেও রাজারহাটে তোলাবাজদের দাপট অব্যাহত। তথ্যপ্রযুক্তি দফতরে চিঠি দিয়ে ইতিমধ্যেই অভিযোগ জানিয়েছে তোলাবাজিতে জেরবার কয়েকটি সংস্থা। অবিলম্বে পরিস্থিতি না বদলালে এ রাজ্যে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে বিনিয়োগ ধাক্কা খেতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের আশঙ্কা। তবে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, বিষয়টির উপর নজর রাখা হচ্ছে। কোনও রকম রাজনৈতিক রং না দেখেই সরকার কড়া ব্যবস্থা নেবে।
ক্ষমতায় আসার ঠিক পরেই যে কোনও রকম তোলাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দলীয় বৈঠকে ‘হুঁশিয়ারি’ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আমলে প্রথম শিল্প প্রকল্পের শিলান্যাস অনুষ্ঠানেও শিল্পপতিদের তিনি বলেছিলেন, “আমাদের দলের নাম করে কেউ টাকা চাইলে দেবেন না। এটা আপনাদেরও বন্ধ করতে হবে।”
কিন্তু স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর এই হুঁশিয়ারিতেও বিশেষ কাজ হয়নি রাজারহাট-নিউটাউন অঞ্চলে। রাজারহাটে ৪৫ একরের বেশি জমি জুড়ে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের বিশেষ আর্থিক অঞ্চল ‘ইউনিটেক ইনফোস্পেস’। বেশ কয়েকটি শীর্ষ তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা এই আর্থিক অঞ্চলে জমি লিজ বা ভাড়া নিয়ে অফিস করেছে। সব মিলিয়ে এখানে কাজ করেন প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। স্থানীয় সূত্রের খবর, এই এলাকার সামনেই অস্থায়ী ডেরা তোলাবাজদের।
চড়া দামে নিচু মানের ইমারতি দ্রব্য কেনার জন্য চাপ সৃষ্টির অভিযোগ আগেও ছিল। এখন তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে তোলাবাজির সমস্যা। যে কোনও রকম মাল নিয়ে ঢুকতে গেলেই তোলা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। কিছু দুষ্কৃতী আরও এক ধাপ এগিয়ে অফিসে ঢুকে চাকরি দাবি করছে বলেও অভিযোগ তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির। কর্মীদের যাতায়াতের পথে ভয় দেখানো হচ্ছে। ডেবিট কার্ড কেড়ে নিয়ে জোর করে টাকা তোলানোর অভিযোগও রয়েছে।
কী ধরনের পরিবেশের মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে, তার বিবরণ জানিয়েই রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি দিয়েছে ক্যাপজেমিনি, জেনপ্যাক্ট, টিসিএস এবং কগনিজেন্ট। তারা হিডকো এবং পুলিশকেও লিখিত ভাবে তাদের অভিযোগ জানিয়েছে বলে তথ্যপ্রযুক্তি মহলের দাবি। তবে বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাননি অভিযোগকারী কোনও সংস্থার কর্তাই। রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ করে তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা। তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পমহলও রাজ্য সরকারের ‘দাওয়াই’-এর দিকে তাকিয়ে। তাদের মতে, সমস্যা এখনই না মেটালে ভবিষ্যৎ লগ্নির উপরে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
রাজারহাটে তোলাবাজির অভিযোগ এর আগেও উঠেছে। গত বছর জুলাই মাসে ইউনিটেক ইনফোস্পেসে ঢোকার মুখে গোদরেজের লরি আটকে দেওয়া হয়। লরি প্রতি ৫০০০ টাকা দাবি করে দুষ্কৃতীরা। হুমকি দেয়, টাকা না-দিলে শুধু মাল সরবরাহ বন্ধ নয়, লোকজনদেরও আটকে রাখা হবে। ১৮ই জুলাই রাজারহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করে গোদরেজ। পরে বিষয়টি ‘আপসে’ মিটিয়ে নিয়ে কাজ করা সম্ভব হয়েছে বলে সংস্থা সূত্রের খবর।
কিন্তু সমস্যা যে মেটেনি, বরং আরও বেড়েছে তা তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাদের চিঠিতেই স্পষ্ট। এ রকমই তোলাবাজির শিকার ব্রিটেনের একটি সংস্থা। ভারতে পা-রাখতে কলকাতাকেই বেছে নিয়েছে তারা। ইউনিটেকের বিশেষ আর্থিক অঞ্চলের কাছেই তাদের জমি। অভিযোগ, তোলাবাজির কারণে সেখানে নির্মাণ কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। ইউনিটেক ইনফোস্পেসের সংস্থাগুলির চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কী ব্যবস্থা নেয় তা দেখেই পরবর্তী পরিকল্পনা ঠিক করবে বিদেশি এই সংস্থা।
শুধু বেসরকারি সংস্থাই নয়, রাজারহাটে তোলাবাজির শিকার হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ওএনজিসি। তাদের ৩৩৯ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ এক সময় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ। পরে প্রশাসন ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের হস্তক্ষেপে বিষয়টি মিটে যায়। রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী অবশ্য তোলাবাজি সম্পর্কে কড়া মনোভাবের কথাই জানিয়েছেন। পার্থবাবুর সাফ বক্তব্য, “শিল্পের উন্নয়ন আটকে যাবে, এমন কোনও কাজ বরদাস্ত করা হবে না। অভিযোগ প্রমাণ হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশাসনকে নজর রাখতে বলা হয়েছে।” আর বিধাননগর কমিশনারেট-এর ডেপুটি কমিশনার (সদর) সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

A vick, Pune

unread,
Feb 8, 2012, 2:11:42 AM2/8/12
to newtown-raja...@googlegroups.com, Akankha...@googlegroups.com
সিন্ডিকেট-রাজ রুখতে হিডকো ‘নির্দেশিকা’ দিলেও মানছে কে
নিজস্ব সংবাদদাতা
নিউটাউনে সিন্ডিকেট-রাজ বন্ধ করতে রাজ্য সরকারের তরফে নির্দেশিকা জারি করেছে হিডকো। তার চব্বিশ ঘণ্টাও কাটল না, নিউটাউনের এক নির্মাণসংস্থার মালিককে সিন্ডিকেটের কাছ থেকে লরিপিছু ছ’হাজার টাকা দরের বালি কিনতে হল ১১ হাজারে!
মঙ্গলবার দুপুরে নিউটাউনে নিজের অফিসে বসে টেলিফোনে সিন্ডিকেটের ‘হুমকি’ শুনছিলেন ওই ব্যবসায়ী। ফোনে তাঁকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সরকারি নির্দেশিকা যা-ই হোক না কেন, ইমারতির মাল সিন্ডিকেটের কাছ থেকে না-কিনলে ‘বিপদ’ বাড়বে।
গত বছরের ২৭ নভেম্বর কেষ্টপুরের তৃণমূল নেতা স্বপন মণ্ডল খুন হওয়ার পরে নিউটাউনে সিন্ডিকেটের ‘জুলুমবাজি’ ও তাকে ঘিরে রাজ্যের এক মন্ত্রীর নাম জড়িয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে। তখনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, সিন্ডিকেট-রাজ বন্ধ করতে হবে। তার পরে আড়াই মাস কেটেছে। ইতিমধ্যে কিছু নির্মাণসংস্থার পক্ষ থেকে জুলুমের আরও কিছু অভিযোগ জমা পড়ে হিডকো-র কাছে। অবশেষে নিউটাউনে সিন্ডিকেট-রাজের অবসানের লক্ষ্যে হিডকো তৈরি করেছে নির্দেশিকা। যার মূল কথা: ইমারতি মালপত্র কেনা নিয়ে সিন্ডিকেটের জবরদস্তি কোনও মতেই বরদাস্ত করা হবে না। অভিযোগের যথাযথ তদন্ত চালিয়ে এবং অভিযুক্ত সিন্ডিকেটগুলোর সঙ্গে কথা বলেই নির্দেশিকাটি তৈরি হয়েছে বলে হিডকো-র দাবি।সিন্ডিকেটের মাথারা কী বলছেন?
রাজারহাটের চিনারপার্কে ডায়মন্ড সিন্ডিকেটের সম্পাদক শাহনওয়াজ পুরকায়েত এ দিন বলেন, “হিডকো এমন কোনও নির্দেশিকা তৈরি করতেই পারে না।” তাঁর প্রশ্ন, “হাজার হাজার পরিবার সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত। এ সব নির্দেশিকা মানবে কে?” হিডকো-এলাকার আটটি সমবায়-সিন্ডিকেটের সম্পাদক মোজাম্মেল তরফদারের বক্তব্য, “এখানে বড় বড় আবাসন, অফিস, শপিং মলে আমরাই মাল দিয়েছি। কোথাও কোনও অসুবিধা হয়নি।” এবং মোজাম্মেলের সাফ কথা, “হিডকো-র ওই নির্দেশিকার কথা আমরা জানি না। বৈঠকে আমাদের ডাকাও হয়নি। এ সব হতে পারে না।”
অধিকাংশ সিন্ডিকেট একই সুরে হিডকো-র নির্দেশিকাকে পত্রপাঠ ‘খারিজ’ করেছে। শুধু তারাই নয়, নির্দেশিকার বিরোধিতা করেছেন রাজারহাটের তৃণমূল বিধায়ক তথা হিডকো-সদস্য সব্যসাচী দত্তও। যাঁর প্রশ্ন, “সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করার হিডকো কে?” বস্তুত ব্যাপারটা হিডকো’র মতো একটা সরকারি সংস্থার দেখার কথাও নয় বলে মনে করেন সব্যসাচীবাবু।
তা হলে কি সিন্ডিকেট-রাজ যেমন চলছে, তেমনই চলবে?
জুলুমের দাওয়াই
• নির্মাণসংস্থাগুলি যেখান থেকে খুশি মাল কিনতে পারবে।
• সিন্ডিকেট জোর-জুলুম করতে পারবে না।
• এ ব্যাপারে দায়িত্ব নিতে হবে সিন্ডিকেটের নেতাদের।
• সিন্ডিকেটকে বিক্রয়মূল্যের একটি তালিকা তৈরি করতে হবে।
• সামগ্রীর মান ও পরিমাণ যাচাই করার সুযোগ পাবেন ক্রেতা।
রাজ্যের নগরোন্নয়ন-সচিব তথা হিডকো’র চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন এ দিন বলেন, “আমরা কঠোর হাতে সিন্ডিকেট-রাজ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই পরিস্থিতি চলতে দেওয়া যায় না।” দেবাশিসবাবুর আশ্বাস, প্রশাসনিক স্তরেইতিমধ্যে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হিডকো’র তরফে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। পুলিশও আশ্বাস দিচ্ছে, সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অভিযোগ এলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার রাজীবকুমারের কথায়, “সিন্ডিকেটের নামে অভিযোগ জানাতে চাইলে ভয়ের কিছু নেই। পরিচয় গোপন রাখতে চাইলেও অসুবিধে নেই।” এতেও কি আশ্বস্ত হতে পারছেন নির্মাণসংস্থার কর্তারা?
তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। বেঙ্গল পিয়ারলেসের কর্ণধার কুমারশঙ্কর বাগচীর মন্তব্যে সেই সংশয়েরই ছোঁয়া “সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে হিডকো বা পুলিশের কাছে অভিযোগ কে জানাবে সন্দেহ। তাই শুধু নির্দেশিকা বানিয়ে লাভ নেই। নিয়মিত নজরদারি দরকার।” কুমারশঙ্করবাবুর আক্ষেপ, “নিউটাউনে কাজ করতে গিয়ে কর্মীরা অনেক বার সিন্ডিকেটের জুলুমের শিকার হয়েছে। বাইরে থেকে মালপত্র কিনলে ওদের দাবিমতো গাড়িপিছু টাকা দিতে হত। যত দিন গিয়েছে, রাজনৈতিক মদতের জেরে সিন্ডিকেটের প্রভাব-প্রতিপত্তি বেড়েছে। বেড়েছে জুলুমও।”
বেঙ্গল অম্ভুজার কর্ণধার হর্ষ নেওটিয়া বলেন, “নিউটাউনে দু’টো প্রকল্প চলছে। সিন্ডিকেটের জুলুমের খপ্পরে আমরাও পড়েছি।” প্রশ্ন উঠছে, বড় বড় সংস্থারই যখন এই অবস্থা, তখন চুনোপুঁটিরা কোথায় যাবে? তাই জলে থেকে কুমিরের সঙ্গে বিবাদে যেতে সাহস করছে না কেউই।

Avick Chakraborty

unread,
Feb 8, 2012, 8:03:56 PM2/8/12
to newtown-raja...@googlegroups.com, Akankha...@googlegroups.com
নির্দেশিকার ‘সুফল’ নিয়ে
সংশয়ে হিডকোই

নিজস্ব সংবাদদাতা
সিন্ডিকেটের বিষ এমনই মাথায় চড়েছে যে, নির্দেশিকার ‘তাগা’ বেঁধে তার কতটা উপশম হবে, সে সম্পর্কে হিডকো’র কর্তারাই ঘোর সন্দিহান। তাঁদের একাংশের ব্যাখ্যা, রাজারহাট-নিউটাউনে সিন্ডিকেট-কারবারের রন্ধ্রে রন্ধ্রে একশ্রেণির রাজনীতির কারবারীর স্বার্থ জড়িয়ে থাকার ফলেই নির্দেশিকা জারি করেও কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজারহাট-নিউটাউনে ‘সিন্ডিকেট-রাজ’ বন্ধ করার নির্দেশদানের প্রায় আড়াই মাস বাদে, গত সোমবার হিডকো কর্তৃপক্ষ একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন। যাতে বলা হয়েছে, নিউটাউনে ইমারতি পণ্য কেনার জন্য কোনও নির্মাণসংস্থার উপরে সিন্ডিকেট জুলুম চালাতে পারবে না, নির্মাতারা জিনিসের মান-দাম-পরিমাণ যাচাই করে যেখান থেকে খুশি জিনিস কিনতে পারবেন।
কিন্তু ঘোষণাই সার। নির্দেশিকা জারির চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে, মঙ্গলবারই বিভিন্ন সিন্ডিকেটের মাথারা সাফ জানিয়ে দেন, তাঁরা হিডকো-র ‘ফরমান’ মানতে তৈরি নন। বুধবার নিউটাউনের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে সেই ‘দাপটের’ ছবিটাই চোখে পড়েছে। নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অবাধে চলছে জুলুম-ব্যবসা। অথচ ‘জুলুমবাজদের’ বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে নালিশ জানাতে যাওয়ার সাহস কারও নেই। হিডকো ও পুলিশের কর্তারা যত আশ্বাসই দিন না কেন!
সিন্ডিকেটের পাথরেই চলছে রাস্তা তৈরির কাজ। রাজারহাট-পাথরঘাটায়। নিজস্ব চিত্র
যেমন পাথরঘাটার এক নির্মাণসংস্থার কর্তারা। যাঁরা তাঁদের নির্মীয়মাণ আবাসনের ভিতরে রাস্তা বানাতে বিশেষ ধরনের বিটুমিন’ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এক বিশেষজ্ঞ-সংস্থার তৈরি সেই বিটুমিন বর্ষার জলে সহজে নষ্ট হয় না। কিন্তু বিটুমিন বোঝাই গাড়ি পাথরঘাটায় ঢুকতেই রে-রে করে তেড়ে আসে সিন্ডিকেটের ছেলেরা। চোখ রাঙিয়ে বলে, বাইরে থেকে মাল আনা চলবে না। নির্মাণসংস্থাটির তরফে বোঝানোর চেষ্টা হয়, ওই বিশেষ বিটুমিন সিন্ডিকেটের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। “কিন্তু কোনও যুক্তিই ওরা মানল না।” জানাচ্ছেন এক কর্তা।
ফয়সালা কী হল?
সংস্থার ওই কর্তা জানাচ্ছেন, অগত্যা বিশেষ বিটুমিন দিয়ে রাস্তা তৈরির পরিকল্পনাই বাতিল করতে হয়েছে। যদিও এ নিয়ে কোথাও অভিযোগ দায়ের কথা তাঁরা মাথাতেও আনছেন না। ‘নির্দেশিকা’র কথা শোনার পরেও না। বরং তাঁরা বলছেন, “নির্দেশিকা বানিয়ে দিলেই জুলুম বন্ধ করা যাবে? এখানে কাজ করতে গেলে সিন্ডিকেটের কথা শুনে চলতে হয়েছে এত দিন। এখনও তাই হচ্ছে। হবেও।”
জুলুমের রাজ চলছেই

বাজারদর সিন্ডিকেটের দর
ইট (এক হাজার) ৭০০০ ৭৫০০
বালি (একশো ঘনফুট) ১৪০০ ২০০০
পাথরকুচি (একশো ঘনফুট) ৩৮০০ ৫৫০০
(সব অঙ্ক টাকায়)
একই রকম নৈরাশ্যের সুর এ দিন শোনা গেল রেকজোয়ানি মৌজার এক নির্মাতার গলায়। যিনি জানালেন, “আজ সিন্ডিকেটের এক জনকে নির্দেশিকার কথা বলতে গিয়েছিলাম। শুনে সে উল্টে বলল, এ বার থেকে তাদের মালই আরও চড়া দামে আমাদের নিতে হবে!”
এই যখন পরিস্থিতি, তখন ‘নির্দেশিকা’র ভবিষ্যৎ কী?
হিডকো-কর্তাদের কথায় আশাবাদের কোনও ছোঁয়া নেই। এক কর্তা বলেন, “প্রতিটা সিন্ডিকেটের পিছনে রয়েছেন এলাকার প্রভাবশালী নেতারা। তাঁদের মদতেই সিন্ডিকেটগুলো এতটা ক্ষমতাশালী হয়ে উঠেছে। এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কোটি কোটি টাকার অবৈধ ব্যবসা। এ চক্র ভাঙা কঠিন।”
এলাকার রাজনৈতিক নেতারা কী বলছেন?
ডান-বাম নির্বিচারে তাঁদের সুরও মোটামুটি এক। মঙ্গলবার সিন্ডিকেটের পাশে দাঁড়িয়ে নির্দেশিকার বিরোধিতা ও হিডকো-র সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন রাজারহাট-নিউটাউনের তৃণমূল বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। এ দিন স্থানীয় সিপিএম নেতা তথা রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার চেয়ারম্যান তাপস চট্টোপাধ্যায়ও বলেন, “নির্দেশিকা কেউ মানবে না। ও সব কথার কথা। হিডকো কারও সঙ্গে আলোচনা না-করেই এ সব করেছে।” আর রাজারহাট-গোপালপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর মন্তব্য, “শুধু নির্দেশিকা করলে হবে না। তা ঠিকঠাক মানা হচ্ছে কি না, সেটা দেখার সদিচ্ছাও থাকতে হবে হিডকো’র।” অন্য দিকে হিডকো-কর্তাদের একাংশের বক্তব্য, সিন্ডিকেটগুলো নির্দেশিকা মানছে কি না, তা দেখার মতো পরিকাঠামোই হিডকো’র নেই। তাই নেতাদেরই উচিত ওই কাজে উদ্যোগী হওয়া।
আর এই চাপান-উতোরেই স্পষ্ট, হিডকো-র নির্দেশিকা-দাওয়াই আপাতত ‘ফেল।’ নিউটাউনে সিন্ডিকেটের ‘রাজ’ চলছে আগের মতোই।

Avick Chakraborty

unread,
Feb 9, 2012, 8:08:30 PM2/9/12
to newtown-raja...@googlegroups.com, Akankha...@googlegroups.com
দাম-মান-পরিমাণ, সবেতেই জবরদস্তির রফা
প্রশাসনের ‘মাথাদের’ও রেয়াত করে না সিন্ডিকেট
নিজস্ব সংবাদদাতা
তাঁরা প্রত্যেকেই পদস্থ সরকারি আধিকারিক। এমনকী, তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ রাজ্যের ক্ষমতার মূল কেন্দ্র মুখ্যমন্ত্রীর দফতরেই কর্মরত। কিন্তু সমবায় গড়ে নিউ টাউনে আবাসন তৈরি করতে গিয়ে সিন্ডিকেটের জুলুমবাজি থেকে তাঁরাও রেহাই পাননি! সিন্ডিকেটের গা-জোয়ারি’তে দু’-দু’বার তাঁদের বাড়ির কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
এবং সাধারণ মানুষ বিপদে পড়লে যাঁদের কাছে সাহায্যের জন্য আসেন, প্রশাসনের ওই কর্তাব্যক্তিরাও এ হেন জবরদস্তির বিরুদ্ধ মুখ খোলার সাহস পাননি। সিন্ডিকেটের নামে কোথাও কোনও অভিযোগও নথিভুক্ত করেননি। উল্টে শেষ পর্যন্ত সিন্ডিকেটের শর্তেই ‘রফা’য় আসতে বাধ্য হয়েছেন। নিউ টাউন বাসস্ট্যান্ডের বিপরীতে এক শপিং মলের পিছনে গড়ে উঠছে সরকারি আধিকারিকদের সমবায় আবাসনটি। সিন্ডিকেটের জুলুমবাজি ওঁরা সহ্য করলেন কেন?
স্থানীয় ঠিকাদার সংগঠন ‘নিউ টাউন কনট্রাক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর এক সদস্য বৃহস্পতিবার বলেন, “সিন্ডিকেটের সঙ্গে লড়াইয়ে নামা অসম্ভব। তা হলে ওরা অনেক বেশি ক্ষতি করে দেবে।” কী রকম?
ক্ষতির বহরটা বোঝালেন এক ঠিকাদার “মালবোঝাই গাড়ি রাস্তায় আটকে দেবে। পুলিশ ডেকে গাড়ি হয়তো ঢোকালাম, কিন্তু সদ্য ঢালাই করা ছাদ ধরে রাখার খুঁটিগুলোকে কে বাঁচাবে? ওগুলো তো খুলে দেওয়া হবে রাতের বেলা। কয়েকটা খুঁটি খুলে দিলেই গোটা ছাদ হুড়মু্ড়িয়ে ধসে পড়বে। মানে কয়েক লাখ টাকার চোট। কে ঝুঁকি নেবে?”
এমন অসংখ্য বাড়ি উঠছে নিউ টাউনে আর সিন্ডিকেটের থাবা সর্বত্র। —নিজস্ব চিত্র
অগত্যা সিন্ডিকেটের কাছে মাথা না-নুইয়ে উপায় নেই। আর ক্ষমতাশালীদেরই যখন এই অবস্থা, তখন সাধারণ মানুষ কার কাছে ভরসা পাবেন! তাই বড় বড় নির্মাণ সংস্থা ছাড়াও নিউ টাউনে মধ্যবিত্ত যাঁরা ঋণ নিয়ে ফ্ল্যাট তৈরি করতে নেমেছেন, সিন্ডিকেটের চোখ রাঙানির সামনে বাড়তি টাকা গুনে দিচ্ছেন তাঁরাও। সবাই বুঝে গিয়েছেন, এটাই দস্তুর। প্রশ্ন তুলে লাভ তো নেই-ই, আখেরে নিজেরই ক্ষতি।
এই ক্ষতির ভয়েই সিন্ডিকেটের সঙ্গে একটা ‘বোঝাপড়া’য় আসতে চেয়েছিল ঠিকাদারদের ওই সংগঠনটি। তাঁদের অনুযোগ ছিল, বেশি দাম দিলেও সিন্ডিকেটের জিনিসপত্র এত নিম্নমানের যে, নির্মাণ কাঠামোর ক্ষতি হচ্ছে। উপরন্তু পরিমাণেও কম। ঠিকাদারেরা প্রস্তাব দেন, সিন্ডিকেট বরং কিছুটা বেশি দামই নিক, তবে জিনিসের মান ও পরিমাণ ঠিক রাখুক। পাশাপাশি বড় বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে তাঁরা চেয়েছিলেন আধুনিক ও উন্নত পদ্ধতি ব্যবহার করতে। যেমন, ছাদ ঢালাইয়ের সময়ে সিমেন্ট-বালি-পাথরকুচি হাতে না-মিশিয়ে কারখানা থেকে সরাসরি ‘মিক্স’ করা উপাদান কিনে আনতে।
কিন্তু ঠিকাদার সংগঠনের কোনও প্রস্তাবেই সিন্ডিকেট রাজি হয়নি। সংগঠনের একাধিক সদস্যের অভিযোগ, দাম-মান-পরিমাণ, কোনও ক্ষেত্রেই জুলুমবাজির কোনও সুযোগ ছাড়তে সিন্ডিকেট নারাজ। তারা যেমন বেশি দামে নিকৃষ্ট ও কম পরিমাণের মাল কিনতে বাধ্য করছে, তেমন উন্নত প্রযুক্তিও ব্যবহার করতে দিচ্ছে না। ঠিকাদার সংগঠনের এক কর্তার কথায়, “আমরা বলেছিলাম, সিন্ডিকেটকে বাজারদরের ২০% বেশি দেব। কিন্তু মালের মান ও পরিমাণ ঠিক দিতে হবে। ওরা রাজি হল না। তা হলেই বুঝুন, কতটা লাভ করে!” ঠিকাদার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য অভিষেক পাল বলেন, “হিডকো’র বৈঠকে অনেক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ওরা মানেনি।”
তা হলে কি এ ভাবেই জুলুম মেনে নিতে হবে?
রাজ্য সরকারের তরফে অবশ্য এ দিনও যথারীতি ‘সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা’ গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। এ দিন রাজ্যের পুর-নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “কোনও মানুষ কার কাছ থেকে পণ্য কিনবেন, তা তিনিই ঠিক করবেন। আইনের চোখে সিন্ডিকেটের কোনও অস্তিত্ব নেই। কেউ যদি অভিযোগ করেন, তবে পুলিশকে তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস নির্বিশেষে ব্যবস্থা নিতে হবে।”
কিন্তু প্রশাসনের হর্তাকর্তারাই যেখানে অভিযোগ জানানোর ‘সাহস’ পাচ্ছেন না, সেখানে কে সাধ করে ‘হাঁড়িকাঠে’ মাথা গলাতে আসবে? বরং পুলিশেরই কি উচিত নয় মানুষের ভরসা ফেরাতে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ব্যবস্থা নেওয়া?
নবগঠিত বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার এ দিন বলেন, “পুলিশে খবর দিলে কাজের কাজ কিছু হবে না এমন ভাবা ভুল। আমরা নির্মাতাদের সঙ্গে বসে তাঁদের বোঝাতে চাই যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে কড়া হাতে সিন্ডিকেট-রাজের মোকাবিলা করতে বলেছেন। অতএব, তোলাবাজি বা জুলুমের সমস্যা হলে নির্ভয়ে পুলিশে অভিযোগ জানান। নির্মাতাদের বলছি, পুলিশকে একটা সুযোগ দিয়েই দেখুন না!”
আপাতত পুলিশ কী করছে?
কমিশনার জানান, অসাধু সিন্ডিকেট ভাঙতে নির্দিষ্ট পরিকল্পনার ভিত্তিতে তাঁরা এগোতে চাইনে। যার অঙ্গ হিসেবে রাজারহাট-নিউটাউনে কর্মরত বিভিন্ন নির্মাণসংস্থার প্রতিনিধি ও ঠিকাদারদের সঙ্গে বৈঠক হবে। সিন্ডিকেটের নজর এড়িয়ে কী ভাবে নির্মাতারা গোপনে পুলিশকে খবর পাঠাতে পারেন, সেটাও ভাবা হচ্ছে। “নির্মাতাদের নোটিস পাঠানো হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে আমরা ওঁদের নিয়ে বৈঠকে বসব।” জানান রাজীব কুমার।
কিন্তু সিন্ডিকেটের জুলুমবাজির মুখে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের সাহায্য মিলবে কী ভাবে?
পুলিশ কমিশনারের আশ্বাস, “নির্মাতাদের হাতে-হাতে একটা হেল্পলাইন নম্বর দিয়ে দেওয়া হবে। তাতে খবর এলে পুলিশ তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেবে।” একই সঙ্গে ‘সিন্ডিকেট-রাজের’ অস্তিত্ব সম্পর্কে তথ্যপ্রমাণ জোগাড়েরও চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশকর্তারা।

Avick Chakraborty

unread,
Feb 9, 2012, 8:37:48 PM2/9/12
to newtown-raja...@googlegroups.com, Akankha...@googlegroups.com
xAP7xoI9I9o[1]

Avick Chakraborty

unread,
Feb 9, 2012, 9:03:52 PM2/9/12
to newtown-raja...@googlegroups.com, Akankha...@googlegroups.com
Looks like ABP group is trying to expose this through all channels it owns....good...wish other media houses raise this strongly as well.....now the report from the Telegraph:

A vick, Pune

unread,
Feb 20, 2012, 12:31:22 AM2/20/12
to newtown-raja...@googlegroups.com, Akankha...@googlegroups.com

Reply all
Reply to author
Forward
0 new messages