|
--
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "PFC-Friends" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to pfc-friends...@googlegroups.com.
To view this discussion on the web visit https://groups.google.com/d/msgid/pfc-friends/BY5PR10MB3746DC899EE1F07BB62E5954C3FA0%40BY5PR10MB3746.namprd10.prod.outlook.com.
Senile Farida Majid is a crack. She is deranged. She is never in the right frame of mind. She is at best half literate with her ha za baro la. She is a shame to her grandfather Kovi Golam Mostofa (if it is he). How dare she hurls bad words at the highly knowledgeable and scholarly and respectable Zoglul Husain Bhai? You FM can never come within 500 miles of Zoglul Bhai. Shame and shit on you.
Why do you people interact with Farida Majid. I know her quite well, used to like her until I discovered she was insane, very opinionated, dominant type and confused.Taj HashmiOn Sat., Mar. 14, 2020, 3:20 p.m. Farida Majid, <farida...@hotmail.com> wrote:Please Please Please read her blog !
Nazma Mustafa's Blog
From: Outlook Team <zog...@hotmail.co.uk>
Sent: Saturday, March 14, 2020 10:41 PM
To: Farida Majid <farida...@hotmail.com>; Nazma Mustafa <naz...@yahoo.com>; Jalal Khan <juk...@gmail.com>; AbidBahar PostCard <abahar...@gmail.com>; Sabria Chowdhury Balland <sabriac...@gmail.com>; Khalifa Malik <kmama...@gmail.com>; mga...@gmail.com <mga...@gmail.com>; pfc-f...@googlegroups.com <pfc-f...@googlegroups.com>; Javed Helali <jhela...@yahoo.com>; Taj Hashmi <tajh...@gmail.com>; S Seraji <sser...@yahoo.com>; n...@agni.com <n...@agni.com>; Mahmudur Rahman <mrahma...@gmail.com>; Sameer Syed <ams...@aol.com>; Dr. Farida Hossain <druhf...@gmail.com>; Mohammad Ashrafi <fash...@yahoo.com>
To: Outlook Team <zog...@hotmail.co.uk>; Nazma Mustafa <naz...@yahoo.com>; Jalal Khan <juk...@gmail.com>; AbidBahar PostCard <abahar...@gmail.com>; Sabria Chowdhury Balland <sabriac...@gmail.com>; Khalifa Malik <kmama...@gmail.com>; mga...@gmail.com <mga...@gmail.com>; na...@googlegroups.com <na...@googlegroups.com>; pfc-f...@googlegroups.com <pfc-f...@googlegroups.com>; Javed Helali <jhela...@yahoo.com>; Taj Hashmi <tajh...@gmail.com>; S Seraji <sser...@yahoo.com>; la-dis...@googlegroups.com <la-discussion@googlegroups.com>; n...@agni.com <n...@agni.com>; Mahmudur Rahman <mrahma...@gmail.com>; Sameer Syed <ams...@aol.com>; Dr. Farida Hossain <druhf...@gmail.com>; Mohammad Ashrafi <fash...@yahoo.com>
Subject: {PFC-Friends} Re: মুজিববর্ষ না মোদিবর্ষ?
ধন্যবাদ, জগলুল ভাই। আপনার লেখগুলো আগেও পড়েছিলাম। পুনঃ সঞ্চালনের জন্য ধন্যবাদ। যাদের অতীত ঘটনাবলির ধারনশক্তি কম, বা ইচ্ছাকৃত বিস্মৃতি, তাদেরকে বার বার ছবক দিতে হয়।
To: RANU CHOWDHURY <ran...@hotmail.com>; Nazma Mustafa <naz...@yahoo.com>; Jalal Khan <juk...@gmail.com>; AbidBahar PostCard <abahar...@gmail.com>; Sabria Chowdhury Balland <sabriac...@gmail.com>; Khalifa Malik <kmama...@gmail.com>; mga...@gmail.com <mga...@gmail.com>; na...@googlegroups.com <na...@googlegroups.com>; pfc-f...@googlegroups.com <pfc-f...@googlegroups.com>; Javed Helali <jhela...@yahoo.com>; Taj Hashmi <tajh...@gmail.com>; S Seraji <sser...@yahoo.com>; la-dis...@googlegroups.com <la-discussion@googlegroups.com>; n...@agni.com <n...@agni.com>; Mahmudur Rahman <mrahma...@gmail.com>; Sameer Syed <ams...@aol.com>; Dr. Farida Hossain <druhf...@gmail.com>; Mohammad Ashrafi <fash...@yahoo.com>
Subject: Re: মুজিববর্ষ না মোদিবর্ষ?
From: Zoglul Husain (zog...@hotmail.co.uk)
ধন্যবাদ, রানু ভাই। আপনি ঠিকই বলেছেন, নাজমা মোস্তফা বোনের লেখাটি চমৎকার। বিশেষ করে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, হাসিনা মুজিব বর্ষ পালন করছেন, না কি মোদি বর্ষ পালন করছেন? তিনি রবীন্দ্রনাথের সার্ধশত (১৫০ তম) জন্মবর্ষের উদযাপনের কথা উল্লেখ করে, ভারতের কাছে এই সরকারের রাজনৈতিক দাসত্ব ও সাংস্কৃতিক দাসত্বের কথা তুলে ধরেছেন।
মুজিব সম্বন্ধে আমি গতবছর ইমেইলে লিখেছিঃ"মুজিবকে বঙ্গশত্রু উপাধি দিয়েছিলেন মতিয়া। তিনি মুজিবের চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাজাতে চেয়েছিলেন এবং তার চামড়া দিয়ে জুতা বানাতে চেয়েছিলেন। মুজিবকে হত্যার পর ইনু সেনা ট্যাংকে উঠে উল্লাসে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি ছুড়ে আনন্দ করেন। মুজিব আমলের সেনাপ্রধান শফিউল্লাহ বলেন, শেখ মজিব হত্যার সাথে হাসিনার ফুফাতো ভাই শেখ সেলিমও জড়িত আছে। শাহরিয়ার কবির লেখেন, মুজিব আর বঙ্গবন্ধু নয়, এখন থেকে মুজিব জনশত্রু। কর্নেল তাহের বলেন, মুজিবের লাশ বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করতে, কারণ বাংলাদেশে তার কবর হলে আ'লীগ তা মাজার বানাবে। মেননের দল বিবৃতি দেয়, ‘মুজিবের মৃত্যুতে জনগণ উল্লসিত। তার মৃত্যু কারো মনে সামান্যতম সমবেদনা বা দুঃখ জাগায়নি, জাগাতে পারে না।’ ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সেনা সদস্যরা মুজিবের বাড়িতে আসলে মুজিব সেনাপ্রধান শফিউল্লাহ, রক্ষীবাহিনীর রাজনৈতিক প্রধান তোফায়েল সহ অনেককেই ফোন করেছিলেন, কেউ আসেন নি, কর্নেল জামিল ছাড়া, কর্নেল জামিল নিহত হন। শফিউল্লাহ মুজিবকে বলেছিলেন পাচিল টপকিয়ে পালিয়ে যেতে।
১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সেনা-জনতার অভ্যুত্থানে মুজিবের মৃত্যু হলে সেদিন তার মাগফিরাত কামনা করার জন্য লোক খুঁজে পাওয়া যায় নি। তার স্পীকার আব্দুল মালেক উকিল লন্ডনে বলেন, দেশ ফেরাউনের হাত থেকে মুক্ত হয়েছে। সাবেক স্পীকার ও সাবেক বিদেশ মন্ত্রী হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী পরবর্তীতে বলেন, একশবার মুজিবের ফাঁসী হলেও তার পাপ মুক্তি হবেনা। তার মৃতদেহ যখন সিঁড়িতে পড়েছিল তখন ফনি ভূষণ মজুমদার ও মনরঞ্জন ধর সহ তার ১৮ মন্ত্রীর ১০ জন এবং ৯ জন প্রতি-মন্ত্রীর ৮ জন মোশতাক মন্ত্রী সভায় যোগ দেন, বাকিদের মধ্যে মুজিবের ৪ মন্ত্রীদের কারাগারে পাঠানো হয়, ৩ জন বিদেশে ছিলেন। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এইচ টি ইমাম। মুজিবের জানাজায় উপস্থিত ছিলেন ১৮ জন, হাসিনা পরে বিবিসিকে বলেন, ১০-১৮ জন। ইত্যাদি, ইত্যাদি।"
মুজিবের শাসন সম্বন্ধেও আমি গতবছর ইমেইলে লিখেছিঃ
"মুজিব সরকার ৩০ হাজার দেশপ্রেমিক হত্যা করে। তাদের অপশাসনে দেশে নেমে আসে নির্বিচার হত্যা, নিপীড়ন, নির্যাতন, লুণ্ঠন, দখলবাজী, সীমান্ত পাচার ইত্যাদির বিভীষিকা। তাদের অপশাসন, লুণ্ঠন, কালোবাজারী, সীমান্তপাচারের ফলে দেশে ১৯৭৪-এ যে মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ ঘটে তার প্রত্যক্ষ ফলে মৃত্যু হয় ৫ লক্ষ মানুষের এবং পরোক্ষ ফলে মৃত্যু হয় আরও ১০ লক্ষ মানুষের। অন্যদিকে, মুজিব ক্ষমতায় থাকার জন্য ভারতের হাতে দেশের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দেন। এ অবস্থায় সরকার যখন চরম গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে তখন মুজিব নিজের হাতে সর্বময় ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য বাকশাল গঠন করেন।
১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি বাকশালী শাসনের শুরু হয়। সেদিন জাতীয় সংসদের মাত্র ১১ মিনিট স্থায়ী অধিবেশনে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী পাস করা হয়, যার বলে মুজিব প্রধানমন্ত্রী না থেকে আজীবন রাষ্ট্রপতি হন, সংসদীয় পদ্ধতি বাতিল হয়ে রাষ্ট্রপতি পদ্ধতি প্রবর্তিত হয় এবং সকল রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করে দেশে বাকশাল নামক একটি মাত্র দল প্রতিষ্ঠা করা হয়। মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। বাকশালের গণসংগঠন ছাড়া অন্যসব গণসংগঠন নিষিদ্ধ হয়। সরকার নিয়ন্ত্রিত চারটি দৈনিক ছাড়া দেশের সকল সংবাদপত্র নিষিদ্ধ হয়ে যায় ১৬ জুন।
হাসিনা আবার বাকশালের কথা তুলেছেন। প্রকৃতপক্ষে ২০০৯ সাল থেকেই হাসিনা অঘোষিত বাকশাল চালাচ্ছেন। মনে হয় তিনি বুঝতে পারছেন যে তিনি ও তার দল চরম গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। কাজেই আবারও ক্ষমতা এক হাতে কুক্ষিগত করার জন্য রাষ্ট্রপতি ব্যবস্থা ও একদলীয় ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে চাচ্ছেন, যাতে তিনি আজীবন রাষ্ট্রপতি হতে পারেন।
বাকশাল-ভারতের সেবাদাস কালের কণ্ঠের বিশ্লেষক ও গবেষক আব্দুল মান্নান যতই চুনকাম করার চেষ্টা করুন না কেন, হিটলার মুসলিনিদেরকে তিনি যেমন গৌরবান্বিত করতে পারবেন না, তেমনি মুজিবকেও নয়। আমি আগে লিখেছিলামঃ
"১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সেনা-জনতার অভ্যুত্থানে মুজিবের মৃত্যু হলে সেদিন তার মাগফিরাত কামনা করার জন্য লোক খুঁজে পাওয়া যায় নি। তার স্পীকার আব্দুল মালেক উকিল লন্ডনে বলেন, দেশ ফেরাউনের হাত থেকে মুক্ত হয়েছে। সাবেক স্পীকার ও সাবেক বিদেশ মন্ত্রী হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী বলেন, একশবার মুজিবের ফাঁসী হলেও তার পাপ মুক্তি হবেনা। অনেক আগেই মতিয়া বলেছিলেন, মুজিবের চামড়া দিয়ে ঢোল বানিয়ে তিনি মুজিবের 'হাড্ডি' দিয়ে ডুগডুগি বাজাবেন। ইনু তার মৃত্যুতে ট্যাংকের উপর উঠে নাচানাচি করেছিলেন। তাহের বলেছিলেন তার দেহ বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করতে, কারণ দেশে কবর হলে বাকশালীরা তা মাজার বানাবে। তার মৃতদেহ যখন সিঁড়িতে পড়েছিল তখন ফনি ভূষণ মজুমদার ও মনরঞ্জন ধর সহ তার ১৮ মন্ত্রীর ১০ জন এবং ৯ জন প্রতি-মন্ত্রীর ৮ জন মোস্তাক মন্ত্রী সভায় যোগ দেন, বাকিদের মধ্যে মুজিবের ৪ মন্ত্রীদের কারাগারে পাঠানো হয়, ৩ জন বিদেশে ছিলেন। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এইচ টি ইমাম। মুজিবের জানাজায় উপস্থিত ছিলেন ১৮ জন। ইত্যাদি, ইত্যাদি।"
আধিপত্যবাদের সেবাদাস ফ্যাসিবাদী হাসিনার জন্যও মানুষের একই ধরনের মনোভাব রয়েছে, তার জন্য নির্ধারিত রয়েছে ইতিহাসের আস্তাকুড়।"ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদকে আমরা অবশ্যই পরাভূত করবো।
To: Nazma Mustafa <naz...@yahoo.com>; Zoglul Zoglul <zog...@hotmail.co.uk>; Jalal Khan <juk...@gmail.com>; AbidBahar PostCard <abahar...@gmail.com>; Sabria Chowdhury Balland <sabriac...@gmail.com>; Khalifa Malik <kmama...@gmail.com>; mga...@gmail.com <mga...@gmail.com>; na...@googlegroups.com <na...@googlegroups.com>; pfc-f...@googlegroups.com <pfc-f...@googlegroups.com>; Javed Helali <jhela...@yahoo.com>; Taj Hashmi <tajh...@gmail.com>; S Seraji <sser...@yahoo.com>; la-dis...@googlegroups.com <la-discussion@googlegroups.com>; n...@agni.com <n...@agni.com>; Mahmudur Rahman <mrahma...@gmail.com>; Sameer Syed <ams...@aol.com>; Dr. Farida Hossain <druhf...@gmail.com>; Mohammad Ashrafi <fash...@yahoo.com>
Subject: Re: মুজিববর্ষ না মোদিবর্ষ?
ধন্যবাদ, বোন নাজমা, আরেকটি চমৎকার লেখা উপহার দেবার জন্য।
বলতে শুনেছি, চেনা বামনের পৈতার দরকার হয় না। শেখ মুজিবের গায়ে গলায় মাথায় পাতায় পৈতার ছড়াছড়ি দেখে লোকে কী মনে করতে পারে? পরিচয় করাতে এতসব পৈতার দরকার ? যেসব কোমোল মতি ছেলেমেয়ে, বাচ্চাদের নিয়ে এসব পুজা- পার্বণ, পৈতা পরানো হচ্ছে, তারাই বা কি শিখছে ? খবর ও ভিডিও ক্লিপ এর বদৌলতে যা দেখতে পাই তাতে ভাবি আমরা কি পৌত্তলিক জামানায় ফিরে গেছি ?
আপনার লেখায় মুজিবের কিছু অপকর্ম উল্লেখ আছে । সেসব ঢাকার জন্যই কি হাজার হাজার কোটি টাকার জনখরচে এতোসব পৈতা পার্বণের আয়োজন ? মুরুব্বী জনগন নিশ্চয়ই মুজিবের "সোনালী" আমল এবনং ১৫ ই অগাস্ট ৭৫ ভুলে যাননি । কী ছিল বাংলাদেশের হাল হকিকত তখন ? কেন জনগণ আনন্দ উৎসবে ফেটে পড়েছিল মুজিবের পতন শুনে? কোথায় ছিল এসব পুজাগিরি, পৈতাগিরি যখন মুজিবের লাশ তার সিঁড়িতে গড়াগড়ি খাচছিল? কেউ শুনেচে ইন্নলিল্লাহ ? কেউ দেখেছে এক্টুখানি চোখের পানি ?
জনরোষ হোক আর করনা হোক, মোদীকে আপাতত ঠেকানো গেল। কিন্তু মুজিববাদী বাকশালেীরা হাল ছেড়ে দেয় নি। তাদের কথাবার্তায় তাই মনে হচছে তারা এই মুসলিম খুনিকে মুসলমান দেশে এনে প্রমান করবে তারা মোদীর চইতে কম যায় না । আল্লাহ বাংলাদেশকে এসব শেরকি বেদাতি জালিম থেকে রক্ষা করুক।
From: Nazma Mustafa <naz...@yahoo.com>
Sent: Friday, March 13, 2020 1:09 AM
Subject: মুজিববর্ষ না মোদিবর্ষ?
মুজিববর্ষ না মোদিবর্ষ? - Welcome to The Runner News USA
মুজিববর্ষ না মোদিবর্ষ? - Welcome to The Runner News USA
বাংলাদেশের আমলনামার দলিল: জাতি ভুলে গেছে কি না জানি না, বিগত সময়ে রবীন্দ্রবর্ষ পালনের বাড়াবাড়ি কি মাত্রায় ছিল। ভ...
https://nazmamustafa.wordpress.com/2020/03/13/%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%ac%e0%a6%ac%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%b7-%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%ae%e0%a7%8b%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%ac%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%b7/ = মুজিববর্ষ না মোদিবর্ষ?
--
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "PFC-Friends" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to pfc-friends+unsubscribe@googlegroups.com.
To: Outlook Team <zog...@hotmail.co.uk>; Nazma Mustafa <naz...@yahoo.com>; Jalal Khan <juk...@gmail.com>; AbidBahar PostCard <abahar...@gmail.com>; Sabria Chowdhury Balland <sabriac...@gmail.com>; Khalifa Malik <kmama...@gmail.com>; mga...@gmail.com <mga...@gmail.com>; na...@googlegroups.com <na...@googlegroups.com>; pfc-f...@googlegroups.com <pfc-f...@googlegroups.com>; Javed Helali <jhela...@yahoo.com>; Taj Hashmi <tajh...@gmail.com>; S Seraji <sser...@yahoo.com>; la-dis...@googlegroups.com <la-dis...@googlegroups.com>; n...@agni.com <n...@agni.com>; Mahmudur Rahman <mrahma...@gmail.com>; Sameer Syed <ams...@aol.com>; Dr. Farida Hossain <druhf...@gmail.com>; Mohammad Ashrafi <fash...@yahoo.com>
Subject: {PFC-Friends} Re: মুজিববর্ষ না মোদিবর্ষ?
ধন্যবাদ, জগলুল ভাই। আপনার লেখগুলো আগেও পড়েছিলাম। পুনঃ সঞ্চালনের জন্য ধন্যবাদ। যাদের অতীত ঘটনাবলির ধারনশক্তি কম, বা ইচ্ছাকৃত বিস্মৃতি, তাদেরকে বার বার ছবক দিতে হয়।
To: RANU CHOWDHURY <ran...@hotmail.com>; Nazma Mustafa <naz...@yahoo.com>; Jalal Khan <juk...@gmail.com>; AbidBahar PostCard <abahar...@gmail.com>; Sabria Chowdhury Balland <sabriac...@gmail.com>; Khalifa Malik <kmama...@gmail.com>; mga...@gmail.com <mga...@gmail.com>; na...@googlegroups.com <na...@googlegroups.com>; pfc-f...@googlegroups.com <pfc-f...@googlegroups.com>; Javed Helali <jhela...@yahoo.com>; Taj Hashmi <tajh...@gmail.com>; S Seraji <sser...@yahoo.com>; la-dis...@googlegroups.com <la-dis...@googlegroups.com>; n...@agni.com <n...@agni.com>; Mahmudur Rahman <mrahma...@gmail.com>; Sameer Syed <ams...@aol.com>; Dr. Farida Hossain <druhf...@gmail.com>; Mohammad Ashrafi <fash...@yahoo.com>
Subject: Re: মুজিববর্ষ না মোদিবর্ষ?
From: Zoglul Husain (zog...@hotmail.co.uk)
ধন্যবাদ, রানু ভাই। আপনি ঠিকই বলেছেন, নাজমা মোস্তফা বোনের লেখাটি চমৎকার। বিশেষ করে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, হাসিনা মুজিব বর্ষ পালন করছেন, না কি মোদি বর্ষ পালন করছেন? তিনি রবীন্দ্রনাথের সার্ধশত (১৫০ তম) জন্মবর্ষের উদযাপনের কথা উল্লেখ করে, ভারতের কাছে এই সরকারের রাজনৈতিক দাসত্ব ও সাংস্কৃতিক দাসত্বের কথা তুলে ধরেছেন।
মুজিব সম্বন্ধে আমি গতবছর ইমেইলে লিখেছিঃ"মুজিবকে বঙ্গশত্রু উপাধি দিয়েছিলেন মতিয়া। তিনি মুজিবের চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাজাতে চেয়েছিলেন এবং তার চামড়া দিয়ে জুতা বানাতে চেয়েছিলেন। মুজিবকে হত্যার পর ইনু সেনা ট্যাংকে উঠে উল্লাসে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি ছুড়ে আনন্দ করেন। মুজিব আমলের সেনাপ্রধান শফিউল্লাহ বলেন, শেখ মজিব হত্যার সাথে হাসিনার ফুফাতো ভাই শেখ সেলিমও জড়িত আছে। শাহরিয়ার কবির লেখেন, মুজিব আর বঙ্গবন্ধু নয়, এখন থেকে মুজিব জনশত্রু। কর্নেল তাহের বলেন, মুজিবের লাশ বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করতে, কারণ বাংলাদেশে তার কবর হলে আ'লীগ তা মাজার বানাবে। মেননের দল বিবৃতি দেয়, ‘মুজিবের মৃত্যুতে জনগণ উল্লসিত। তার মৃত্যু কারো মনে সামান্যতম সমবেদনা বা দুঃখ জাগায়নি, জাগাতে পারে না।’ ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সেনা সদস্যরা মুজিবের বাড়িতে আসলে মুজিব সেনাপ্রধান শফিউল্লাহ, রক্ষীবাহিনীর রাজনৈতিক প্রধান তোফায়েল সহ অনেককেই ফোন করেছিলেন, কেউ আসেন নি, কর্নেল জামিল ছাড়া, কর্নেল জামিল নিহত হন। শফিউল্লাহ মুজিবকে বলেছিলেন পাচিল টপকিয়ে পালিয়ে যেতে।
১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সেনা-জনতার অভ্যুত্থানে মুজিবের মৃত্যু হলে সেদিন তার মাগফিরাত কামনা করার জন্য লোক খুঁজে পাওয়া যায় নি। তার স্পীকার আব্দুল মালেক উকিল লন্ডনে বলেন, দেশ ফেরাউনের হাত থেকে মুক্ত হয়েছে। সাবেক স্পীকার ও সাবেক বিদেশ মন্ত্রী হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী পরবর্তীতে বলেন, একশবার মুজিবের ফাঁসী হলেও তার পাপ মুক্তি হবেনা। তার মৃতদেহ যখন সিঁড়িতে পড়েছিল তখন ফনি ভূষণ মজুমদার ও মনরঞ্জন ধর সহ তার ১৮ মন্ত্রীর ১০ জন এবং ৯ জন প্রতি-মন্ত্রীর ৮ জন মোশতাক মন্ত্রী সভায় যোগ দেন, বাকিদের মধ্যে মুজিবের ৪ মন্ত্রীদের কারাগারে পাঠানো হয়, ৩ জন বিদেশে ছিলেন। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এইচ টি ইমাম। মুজিবের জানাজায় উপস্থিত ছিলেন ১৮ জন, হাসিনা পরে বিবিসিকে বলেন, ১০-১৮ জন। ইত্যাদি, ইত্যাদি।"
মুজিবের শাসন সম্বন্ধেও আমি গতবছর ইমেইলে লিখেছিঃ
"মুজিব সরকার ৩০ হাজার দেশপ্রেমিক হত্যা করে। তাদের অপশাসনে দেশে নেমে আসে নির্বিচার হত্যা, নিপীড়ন, নির্যাতন, লুণ্ঠন, দখলবাজী, সীমান্ত পাচার ইত্যাদির বিভীষিকা। তাদের অপশাসন, লুণ্ঠন, কালোবাজারী, সীমান্তপাচারের ফলে দেশে ১৯৭৪-এ যে মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ ঘটে তার প্রত্যক্ষ ফলে মৃত্যু হয় ৫ লক্ষ মানুষের এবং পরোক্ষ ফলে মৃত্যু হয় আরও ১০ লক্ষ মানুষের। অন্যদিকে, মুজিব ক্ষমতায় থাকার জন্য ভারতের হাতে দেশের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দেন। এ অবস্থায় সরকার যখন চরম গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে তখন মুজিব নিজের হাতে সর্বময় ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য বাকশাল গঠন করেন।
১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি বাকশালী শাসনের শুরু হয়। সেদিন জাতীয় সংসদের মাত্র ১১ মিনিট স্থায়ী অধিবেশনে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী পাস করা হয়, যার বলে মুজিব প্রধানমন্ত্রী না থেকে আজীবন রাষ্ট্রপতি হন, সংসদীয় পদ্ধতি বাতিল হয়ে রাষ্ট্রপতি পদ্ধতি প্রবর্তিত হয় এবং সকল রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করে দেশে বাকশাল নামক একটি মাত্র দল প্রতিষ্ঠা করা হয়। মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। বাকশালের গণসংগঠন ছাড়া অন্যসব গণসংগঠন নিষিদ্ধ হয়। সরকার নিয়ন্ত্রিত চারটি দৈনিক ছাড়া দেশের সকল সংবাদপত্র নিষিদ্ধ হয়ে যায় ১৬ জুন।
হাসিনা আবার বাকশালের কথা তুলেছেন। প্রকৃতপক্ষে ২০০৯ সাল থেকেই হাসিনা অঘোষিত বাকশাল চালাচ্ছেন। মনে হয় তিনি বুঝতে পারছেন যে তিনি ও তার দল চরম গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। কাজেই আবারও ক্ষমতা এক হাতে কুক্ষিগত করার জন্য রাষ্ট্রপতি ব্যবস্থা ও একদলীয় ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে চাচ্ছেন, যাতে তিনি আজীবন রাষ্ট্রপতি হতে পারেন।
বাকশাল-ভারতের সেবাদাস কালের কণ্ঠের বিশ্লেষক ও গবেষক আব্দুল মান্নান যতই চুনকাম করার চেষ্টা করুন না কেন, হিটলার মুসলিনিদেরকে তিনি যেমন গৌরবান্বিত করতে পারবেন না, তেমনি মুজিবকেও নয়। আমি আগে লিখেছিলামঃ
"১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সেনা-জনতার অভ্যুত্থানে মুজিবের মৃত্যু হলে সেদিন তার মাগফিরাত কামনা করার জন্য লোক খুঁজে পাওয়া যায় নি। তার স্পীকার আব্দুল মালেক উকিল লন্ডনে বলেন, দেশ ফেরাউনের হাত থেকে মুক্ত হয়েছে। সাবেক স্পীকার ও সাবেক বিদেশ মন্ত্রী হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী বলেন, একশবার মুজিবের ফাঁসী হলেও তার পাপ মুক্তি হবেনা। অনেক আগেই মতিয়া বলেছিলেন, মুজিবের চামড়া দিয়ে ঢোল বানিয়ে তিনি মুজিবের 'হাড্ডি' দিয়ে ডুগডুগি বাজাবেন। ইনু তার মৃত্যুতে ট্যাংকের উপর উঠে নাচানাচি করেছিলেন। তাহের বলেছিলেন তার দেহ বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করতে, কারণ দেশে কবর হলে বাকশালীরা তা মাজার বানাবে। তার মৃতদেহ যখন সিঁড়িতে পড়েছিল তখন ফনি ভূষণ মজুমদার ও মনরঞ্জন ধর সহ তার ১৮ মন্ত্রীর ১০ জন এবং ৯ জন প্রতি-মন্ত্রীর ৮ জন মোস্তাক মন্ত্রী সভায় যোগ দেন, বাকিদের মধ্যে মুজিবের ৪ মন্ত্রীদের কারাগারে পাঠানো হয়, ৩ জন বিদেশে ছিলেন। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এইচ টি ইমাম। মুজিবের জানাজায় উপস্থিত ছিলেন ১৮ জন। ইত্যাদি, ইত্যাদি।"
আধিপত্যবাদের সেবাদাস ফ্যাসিবাদী হাসিনার জন্যও মানুষের একই ধরনের মনোভাব রয়েছে, তার জন্য নির্ধারিত রয়েছে ইতিহাসের আস্তাকুড়।"ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদকে আমরা অবশ্যই পরাভূত করবো।
To: Nazma Mustafa <naz...@yahoo.com>; Zoglul Zoglul <zog...@hotmail.co.uk>; Jalal Khan <juk...@gmail.com>; AbidBahar PostCard <abahar...@gmail.com>; Sabria Chowdhury Balland <sabriac...@gmail.com>; Khalifa Malik <kmama...@gmail.com>; mga...@gmail.com <mga...@gmail.com>; na...@googlegroups.com <na...@googlegroups.com>; pfc-f...@googlegroups.com <pfc-f...@googlegroups.com>; Javed Helali <jhela...@yahoo.com>; Taj Hashmi <tajh...@gmail.com>; S Seraji <sser...@yahoo.com>; la-dis...@googlegroups.com <la-dis...@googlegroups.com>; n...@agni.com <n...@agni.com>; Mahmudur Rahman <mrahma...@gmail.com>; Sameer Syed <ams...@aol.com>; Dr. Farida Hossain <druhf...@gmail.com>; Mohammad Ashrafi <fash...@yahoo.com>
Subject: Re: মুজিববর্ষ না মোদিবর্ষ?
ধন্যবাদ, বোন নাজমা, আরেকটি চমৎকার লেখা উপহার দেবার জন্য।
বলতে শুনেছি, চেনা বামনের পৈতার দরকার হয় না। শেখ মুজিবের গায়ে গলায় মাথায় পাতায় পৈতার ছড়াছড়ি দেখে লোকে কী মনে করতে পারে? পরিচয় করাতে এতসব পৈতার দরকার ? যেসব কোমোল মতি ছেলেমেয়ে, বাচ্চাদের নিয়ে এসব পুজা- পার্বণ, পৈতা পরানো হচ্ছে, তারাই বা কি শিখছে ? খবর ও ভিডিও ক্লিপ এর বদৌলতে যা দেখতে পাই তাতে ভাবি আমরা কি পৌত্তলিক জামানায় ফিরে গেছি ?
আপনার লেখায় মুজিবের কিছু অপকর্ম উল্লেখ আছে । সেসব ঢাকার জন্যই কি হাজার হাজার কোটি টাকার জনখরচে এতোসব পৈতা পার্বণের আয়োজন ? মুরুব্বী জনগন নিশ্চয়ই মুজিবের "সোনালী" আমল এবনং ১৫ ই অগাস্ট ৭৫ ভুলে যাননি । কী ছিল বাংলাদেশের হাল হকিকত তখন ? কেন জনগণ আনন্দ উৎসবে ফেটে পড়েছিল মুজিবের পতন শুনে? কোথায় ছিল এসব পুজাগিরি, পৈতাগিরি যখন মুজিবের লাশ তার সিঁড়িতে গড়াগড়ি খাচছিল? কেউ শুনেচে ইন্নলিল্লাহ ? কেউ দেখেছে এক্টুখানি চোখের পানি ?
জনরোষ হোক আর করনা হোক, মোদীকে আপাতত ঠেকানো গেল। কিন্তু মুজিববাদী বাকশালেীরা হাল ছেড়ে দেয় নি। তাদের কথাবার্তায় তাই মনে হচছে তারা এই মুসলিম খুনিকে মুসলমান দেশে এনে প্রমান করবে তারা মোদীর চইতে কম যায় না । আল্লাহ বাংলাদেশকে এসব শেরকি বেদাতি জালিম থেকে রক্ষা করুক।
From: Nazma Mustafa <naz...@yahoo.com>
Sent: Friday, March 13, 2020 1:09 AM
Subject: মুজিববর্ষ না মোদিবর্ষ?
মুজিববর্ষ না মোদিবর্ষ? - Welcome to The Runner News USA
মুজিববর্ষ না মোদিবর্ষ? - Welcome to The Runner News USA
বাংলাদেশের আমলনামার দলিল: জাতি ভুলে গেছে কি না জানি না, বিগত সময়ে রবীন্দ্রবর্ষ পালনের বাড়াবাড়ি কি মাত্রায় ছিল। ভ...
https://nazmamustafa.wordpress.com/2020/03/13/%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%ac%e0%a6%ac%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%b7-%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%ae%e0%a7%8b%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%ac%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%b7/ = মুজিববর্ষ না মোদিবর্ষ?
--
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "PFC-Friends" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to pfc-friends...@googlegroups.com.
Jugasankha, Wednesday, 11 March 2020, Kolkata:
উপমহাদেশে শান্তির জন্যে শেখ হাসিনা, নরেন্দ্র মোদী, এবং ইমরান খান এক টেবিলে বসলে ক্ষতি কি?
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এনআরসি, সিএএ এবং দিল্লির সহিংসতা
শিতাংশু গুহ, ১০মার্চ ২০২০, নিউইয়র্ক।।এনআরসি আসলে কি? বাংলাদেশে ‘জাতীয় পরিচয় পত্র’ দেয়া হয়েছিলো, তা আমরা সবাই জানি। এনআরসি বিষয়টি অনেকটা সেইরকম, ভারত এর সকল নাগরিককে একটি পরিচয়পত্র দিতে চাইছে। তাহলে বিরোধিতা কেন? বলা হচ্ছে, নাগরিকত্ব প্রমান হবে কিভাবে? মুসলমানরা কিভাবে নাগরিকত্ব প্রমান করবেন? বাংলাদেশে হিন্দুদের নাগরিকত্ব প্রমানে কি অসুবিধা হয়েছে? হয়নি। তেমনি, ভারতের মুসলমানদেরও অসুবিধা হবার কথা নয়। অসুবিধা হবে, যাঁরা অনুপ্রবেশকারী, তাদের। মনে পড়ে কি, বাংলাদেশে জাতীয় পরিচয় পত্র দেয়ার পর এক কোটি ভুয়া ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েছিলো? ভারতও এই ভুয়া ভোটারদের বাদ দিতে চাইছে। এতে আমরা বাংলাদেশিদের কি সমস্যা তা আমি বুঝতে অক্ষম!
সিএএ আসলে কি মুসলমানদের বিপক্ষে? এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে অত্যাচারিত সংখ্যালঘুদের ভারত নাগরিকত্ব দেবে। এই তিনটি দেশ থেকে সংখ্যালঘুরা অত্যাচারিত হয়ে ভারতে গেছেন, এতে তো কারো সন্দেহের কারণ নেই? পাকিস্তান এর পুরো সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে খেদিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশ অর্ধেক খেদিয়েছে। অথচ মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি অনুযায়ী একজন হিন্দুরও দেশত্যাগ করার কথা ছিলোনা! কিন্তু করেছে, বাধ্য হয়ে করেছে। আফগানিস্তান থেকে কম শরণার্থী এসেছে। ভারত এই লোকগুলোকে নাগরিকত্ব দিলে বাংলাদেশের ক্ষতি কি? আমাদের ক্ষতি হতো, যদি ভারত এদের পুশব্যাক করতো। আমাদের তো সিএএ-কে স্বাগত জানানো উচিত।
এবার দেখা যাক, সিএএ-তে মুসলমানের কি ক্ষতি হচ্ছে। প্রথমত: ভারতের মুসলমানদের কথা তো এখানে নেই? তারা যেমন আছেন, তেমনি থাকবেন। ভারতের একজন মুসলমান নেতা যথার্থ বলেছেন, ‘আমরা বুঝিনি, বিরোধীরা আমাদের দিয়ে এ আন্দোলন করিয়েছে’। বাংলাদেশের মানুষের এ নিয়ে মাথাব্যথা কেন? পাকিস্তান বা আফগানিস্তান থেকে সাধারণ মুসলমান খুব একটা ভারতে আসেন না, বাংলাদেশ থেকে যান! এঁরা অত্যাচারিত হয়ে যাননি, বা শরণার্থী নন, অনুপ্রবেশকারী? এখন বাংলাদেশের অর্থনৌতিক অবস্থা ভালো, আগে তা ছিলোনা, মানুষ তাই গেছে। সীমান্ত অঞ্চলে প্রচুর বাংলাদেশী উভয় দেশের ভোটার। সবই ভোটের খেলা! বলা হচ্ছে, মমতার এক কোটি ভুয়া ভোটার আছে!! ভারত এই ভুয়া ভোটার বাদ দিতে চাইছে। আমাদের তাতে অসুবিধা কোথায়? সর্বোপরি, সরকার বা আমরা সবাই বলছি, বাংলাদেশ থেকে একজন মুসলমানও ভারত যায়নি। তাই যদি হয়, তাহলে তো আমাদের কথা বলার কোন প্রয়োজনই নেই?
এ কথার পরও বলা যায়, ভারতের মুসলমানরা আন্দোলন করতেই পারেন। আমরা তাতে নাক গলাই কেন? দিল্লিতে আন্দোলনটি যতদিন শান্তিপূর্ণ ছিলো ততদিন এনিয়ে বহির্বিশ্ব তেমন মাথা ঘামায় নি! প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন ভারত গেলেন, ঠিক তখনই আন্দোলন হিংসাত্নক হলো কেন? এজন্যে অনেকে মোদিকে দায়ী করছেন। আচ্ছা, বাংলাদেশে যদি ট্রাম্প যেতেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কি চাইতেন তখন হিংসাত্মক আন্দোলন হউক? চাইতেন না, কোন রাষ্ট্র বা সরকার প্রধান তা চাননা। ভারত ও তাঁর সরকারের সুনাম রক্ষায় মোদিও তা চাননি। তাহলে এই হিংসাত্মক ঘটনা ঘটিয়েছে কারা? দেশবিরোধী, সরকার বিরোধী শক্তি, এরা মুসলমানদের ব্যবহার করেছে। মনে রাখতে হবে, সিএএ/এনআরসি একজন মানুষের নাগরিকত্ব কেঁড়ে নেয়নি, কিন্তু শান্তিপূর্ণ আন্দোলন(!) ৫২টি জীবন কেঁড়ে নিয়েছে। এই দায় কার?
দিল্লি সহিংসতার ঘটনাটি দু:খজনক। সেখানে ঠিক কি ঘটেছিলো তা অস্পষ্ট, তবে ধীরে ধীরে জট খুলছে। প্রশ্ন উঠেছে, দিল্লি সহিংসতার মুলে কি নাগরিকত্ব আইন নাকি সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ? প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন ভারতে অবস্থান করছেন, বিশ্ব মিডিয়ার দৃষ্টি যখন দিল্লির দিকে, ঠিক তখনি এই হত্যাযজ্ঞ কি পরিকল্পিত? কারা এর পেছনে? ইন্ডিয়া টুডে বলেছে, এটি আগেভাগে পরিকল্পিত। এতো ইট, কাচের বোতল আমদানি, মলটভ ককটেল, পেট্রোল বোমা প্রমান করে যে ঘটনা স্বত:ফূর্ত নয়? সিসিটিভি ক্যামেরা-ফুটেজ, ব্যাঙ্ক ট্র্যানজেকশন রেকর্ড এবং প্রত্যক্ষদর্শী বিবরণে যা আসছে, তাতে দেশ-বিদেশের ধর্মীয় উগ্রপন্থীদের যোগসূত্র পাওয়া যাচ্ছে।
পুলিশ অফিসার অংকিত শর্মার মৃতদেহ ড্রেন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পোষ্টমর্টেমে ডাক্তাররা ঘাবড়ে যান, তার দেহে ৪০০ ছুরিকাঘাতের চিহ্ন। কতটা জিঘাংসা থাকলে এটি সম্ভব? জিঘাংসাটা কিসের? আমার জন্ম বাংলাদেশে। নিজেকে তাই প্রশ্ন করি, বাংলাদেশে হিন্দুর হাতে যদি দু’জন পুলিশ খুন হতো, তাহলে কি হতো? এই ঘটনায় আপ নেতা তাহির হোসেন’র নাম এসেছে। তিনি একজন রাজনৈতিক নেতা। তাঁর ভিডিও ফুটেজ দেখে মনে হয় তিনি একজন সন্ত্রাসী? বিজেপি নেতা সুব্রাহ্মনিয়াম স্বামী অভিযোগ করেছেন, তাহিরের সাথে বাংলাদেশের সন্ত্রাসীদের যোগাযোগ আছে এবং তিনি এদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিতেন। দাঙ্গায় উস্কানি দেয়ায় কংগ্রেস নেত্রী ইসরাত জাহান গ্রেফতার হয়েছেন।
এই আন্দোলনে উস্কানি কি আগাগোড়াই ছিলো না? শান্তিপূর্ণ সমাবেশে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ শ্লোগান উঠে কি করে? ভারত ভাঙ্গার কথা উচ্চারিত হয়নি? শিলিগুড়ির ‘চিকেন নেক’ বিচ্ছিন্ন করার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ওয়াসির পাঠান-র ১৫কোটি মুসলিম ঐক্যবদ্ধ হয়ে ১০০ কোটি হিন্দুকে শিক্ষা দেয়ার ভিডিও কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়? পুলিশের উপর গুলি চালানো কট্টরপন্থী মহম্মদ শাহরুখ কাদের লোক? দাঙ্গায় মৃতের সংখ্যা কত? এঁরা কারা। কতজন হিন্দু ও শিখ বেশি মরেছেন এ প্রশ্ন কেন? মরেছে, মানুষ। অর্থহীন এই মৃত্যু। কেন? বিহারের এক মোল্লার ভিডিও মোদী-শাহ-কে শিক্ষা দেবো, ভারতের অর্থনীতি বরবাদ করে দেবো, কোন শান্তির কথা নয়! প্রকাশ্যে রামদা হাতে নিয়ে মোদিকে হত্যার হুমকি উস্কানি বটে!
সিএএ ঠিক কোন জায়গাটায় মুসলমানদের বিরুদ্ধে তা কিন্তু স্পষ্ট নয়? অথচ এর নামে দাঙ্গা চললো। বাংলাদেশে হেফাজতে ইসলাম শাপলা চত্বরে একই কায়দায় আন্দোলন চালিয়েছিল, শেখ হাসিনা সেটি কঠোর হস্তে দমন করেছিলেন। ভারত সেটি না করে ভুল করেছে। করলে এতগুলো প্রাণ যেতোনা। এই আন্দোলনের সুযোগে জমিয়ে মাদ্রাসার ছাত্রের মৃত্যু’র ভুয়া সংবাদ, নাম না জানা অভিনেত্রী স্বরে ভাস্করকে আমদানি করে ভুয়া তথ্য প্রকাশ, মুর্শিদাবাদ-উলুবেড়িয়ায় ছোটখাট দাঙ্গা ঘটানো, সবই হলো। জনৈক ৫১ বছর বয়সী বিনোদ কুমার উত্তরপূর্ব দিল্লির ব্রহ্মপুরী এলাকায় ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে নিহত হলেন। তাঁর ২৫ বছর বয়সী ছেলে নীতিন কুমার দারুণ আহত অবস্থায় শয্যাশায়ী। তাদের অপরাধ, তাদের হোন্ডায় লেখা ছিলো, ‘জয় শ্রীরাম’।
দিল্লি দাঙ্গায় ভারতে একটি মসজিদের ওপর হামলা হয়েছে। উপমহাদেশে ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলা কি নুতন ঘটনা? আফগানিস্তানে বহিমিয়ান বৌদ্ধমন্দির ভেঙ্গে তো লঙ্কাকান্ড হয়ে গেছে। মোঘল আমলে মন্দির আক্রমন উৎসব ছিলো। ভারতবর্ষে অধিকাংশ পুরানো মসজিদ ভাঙ্গা মন্দিরের ওপর প্রতিষ্ঠিত! মাটি খুঁড়লেই এর প্রমান মিলে! বাংলাদেশের একটি মন্দিরও খুঁজে পাওয়া যাবেনা, যেটি আক্রান্ত হয়নি। ঢাকেশ্বরী, রমনা, কান্তজীর মন্দির, কোনটি নয়? মসজিদের মাইকে হিন্দু বাড়ী আক্রমণের আহবানও নুতন কিছু নয়। অথচ এবারকার মসজিদে আক্রমের ঘটনায় বাংলাদেশে মানুষের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। আপনি যদি বাংলাদেশে অব্যাহত সংখ্যালঘু নির্যাতন বা মন্দির/মুর্ক্তি ভাঙ্গার প্রতিবাদ না করে থাকেন, তাহলে আপনি ভারতের সংখ্যালঘু বা মসজিদে হামলার প্রতিবাদ করার কোন অধিকার কি আপনার আছে? শুক্রবার, ০৬ মার্চ ২০২০, দুপুরে জুমার নামাজ শেষে চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে হেফাজত। সেখানে হিন্দুদের সকল মন্দির জ্বালানোর হুমকি আহবান জানানো হয়: ভিডিও: https://www.facebook.com/hindumedia1/videos/483440072545087/
একজন আনোয়ারুল করিম খান আনাস একটি চমৎকার পোস্টিং দিয়ে বলেছেন, “খারাপ লাগছেনা? খুউব খারাপ লাগতেছে। একটা হনুমান সেনা মসজিদে আগুন লাগিয়ে মিনারে উঠে চাঁদ তারা ভেঙ্গে তাতে হনুমান সেনার পতাকা লাগায়ে দিছে। আমারও খারাপ লাগতেছে। তবে চিন্তার কোনো কারন নাই। ভাঙ্গাভাঙ্গিতে আমাদের বাঁদর সেনারা কম যায়না। তারা দেশ স্বাধীন হবার আগে থেকে মন্দির আর প্রতিমা ভেঙ্গে আসতেছে, তাও পূজোর সময়৷ উই আর উইনিং! বুঝতেছেন এখন? ৯০% মুসলমানদের এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশে হিন্দুরা কি 'স্বর্গ সুখে' বাস করে? দিল্লির মুসলিমদের আতংকটা বুঝতেছেন? বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এই আতংকের মধ্যে জন্ম নেয়, বড় হয়, জীবন যাপন করে। দিল্লীতে এই সাম্প্রদায়িক নগ্ন হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। নিন্দা জানাই বাংলাদেশের মন্দির ও পুজার সময় মুর্তি ভাঙ্গার উৎসবকেও”।
কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছিলেন: "দেখিলাম, আল্লার মসজিদ আল্লাহ আসিয়া রক্ষা করিলেন না, মা-কালীর মন্দির কালী আসিয়া আগলাইলেন না! মন্দিরের চূড়া ভাঙিল, মসজিদের গম্বুজ টুটিল! আল্লার এবং কালীর কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া গেল না। আকাশ হইতে বজ্রাঘাত হইল না মুসলমানদের শিরে, ‘আবাবিলের’ প্রস্তর-বৃষ্টি হইল না হিন্দুদের মাথার উপর। এই গোলমালের মধ্যে কতকগুলি হিন্দু ছেলে আসিয়া গোঁফ-দাড়ি-কামানো দাঙ্গায় হত খায়রু মিয়াঁকে হিন্দু মনে করিয়া ‘বলো হরি হরিবোল’ বলিয়া শ্মশানে পুড়াইতে লইয়া গেল, এবং কতকগুলি মুসলমান ছেলে গুলি খাইয়া হত দাড়িওয়ালা সদানন্দ বাবুকে মুসলমান ভাবিয়া ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ পড়িতে পড়িতে কবর দিতে লইয়া গেল। মন্দির এবং মসজিদ চিড় খাইয়া উঠিল, মনে হইল যেন উহারা পরস্পরের দিকে চাহিয়া হাসিতেছে!".হুমায়ূন আজাদ লিখেছেন, ‘মসজিদ ভাঙ্গে ধার্মিকরা, মন্দির ভাঙ্গে ধার্মিকরা, তারপরও তারা দাবি করে আমরা ধার্মিক; আর যারা ভাঙ্গাভাঙ্গিতে নেই তারা অধার্মিক বা নাস্তিক’। সেই অমর কাব্য, ‘হিন্দু না ওরা মুসলিম? ওই জিজ্ঞাসে কোন জন? কান্ডারী! বল, ডুবিছে মানুষ, সন্তান মোর মার…’।
ভারত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। এর কোন রাষ্ট্রধর্ম নেই। সেখানে ধর্মনিরপেক্ষতা বিদ্যমান। যারা নিজের দেশে ধর্মনিরপেক্ষতাকে ‘কুফরী’ মতবাদ বলে ফতোয়া দেন, তাদের মুখে ভারতের সমালোচনা মানায় কি? যাদের হাত নিজের দেশের সংখ্যালঘুর রক্তে রঞ্জিত, তাঁরা অন্য দেশের সংখ্যালঘু নিয়ে মাথা না ঘামালেও চলবে। ভারত ও পাকিস্তানের মানুষ কট্টর মুসলমান হলে ভারতের হিন্দুরা স্যেকুলার থাকবেন, সেটি আশা করা সম্ভবত: এখন বিলাসিতা মাত্র। বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলে ১৯৪৬-এ ডাইরেক্ট একশনের নামে হিন্দু নিধন হয়েছে, নোয়াখালী রায়ট, ১৯৫০’র দাঙ্গা, ১৯৬৪’র দাঙ্গা, ১৯৭১’এ টার্গেট করে হিন্দু হত্যা, ১৯৭৫-২০২০ পর্যন্ত অগণিত ছোটখাট দাঙ্গা, মন্দির-মুর্ক্তি ভাঙ্গা, শত্রূ-সম্পত্তি আইন, রমনা কালীবাড়ি দখল, বসতবাড়ি, ব্যবসা-বাণিজ্য দখল, নাবালিকা অপহরণ, ধর্মান্তর, সবই একপেশে।
ভারতের সেক্যুলারিজম এতকাল মুখ্যত ছিলো ‘মুসলিম তোষণ’, ভারতবাসী এখন এ থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে। ভারতে উগ্রতা বাড়ছে। এর দায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তান এড়াতে পারেনা, কারণ এ দু’টো দেশে উগ্রতা অনেক বেশি, লালিত-পালিত হয়! পাকিস্তান রাষ্ট্রীয়ভাবে হিন্দুশূন্য করা হয়েছে; বাংলাদেশে হিন্দুর সংখ্যা অর্ধেক হয়ে গেছে, ইহাই উগ্রতা। বহুবার লিখেছি, আবারো লিখছি, প্রায় পঁচিশ বছর আগে এক বিজেপি নেতা আমেরিকায় এলে তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, একশো কোটি হিন্দুর দেশে তোমাদের হিন্দু হিন্দু করতে হয় কেন? তিনি বলেছিলেন, তোমরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে যদি ইসলাম ইসলাম করতে পারো, তবে আমাদের হিন্দু হিন্দু করলে দোষের কি? ইহাই সত্য। বাংলাদেশে আগে প্রচুর মানুষ ছিলো, এখন সবাই হিন্দু-মুসলিম, বৌদ্ধ, খৃষ্টান।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আরো একটি চমৎকার বিষয় হচ্ছে, ভারতে মুসলিমদের বাড়িঘরে হামলাকারীদের পরিচয় হিন্দুত্ববাদী আর বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণকারীরা দুর্বৃত্ত এবং যারা মুর্ক্তি ভাঙ্গে পুলিশের ভাষায় তাঁরা ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’। গুজরাট দাঙ্গার দু:খজনক অধ্যায় মানুষ ভুলেনি। সেখানেও আগে শবরমতি এক্সপ্রেসে আগুন দিয়ে ৫৯জন তীর্থফেরা যাত্রীকে হত্যা করা হয়েছিলো, যাদের মধ্যে ১৫জন শিশু ছিলো। তসলিমা নাসরিন বলেছেন, বাংলাদেশে দুই ধর্মীয় দলে মারামারি হয় না, দাংগা হয় না। বাংলাদেশে মুসলমান হিন্দুকে মারে। পাকিস্তানেও তাই। ভারতে দাংগা হয়। হিন্দু যেমন মুসলমানকে মারে, মুসলমানও হিন্দুকে মারে। দু দলই পাথর,পেট্রোল বোমা, পিস্তল হাতে নেয়। দাংগায় দু দলের লোকই মারা যায়। কোথাও কম, কোথাও বেশি।
তসলিমা নাসরিন আরো বলেছেন, বাংলাদেশ পাকিস্তানের অত্যাচারিত ভীত সন্ত্রস্ত হিন্দুদের জন্য ভারত তার উদার দরজা খুলে দিয়েছে। বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানেরও উচিত ভারতের অত্যাচারিত ভীত সন্ত্রস্ত মুসলমানের জন্য নিজেদের দরজা খুলে দেওয়া। ভারতের একজন নেতা ক’দিন আগে বলেছেন, এসব দাঙ্গাহাঙ্গামার কারণ ১৯৪৭-এ যথাযথ ‘জনসংখ্যা বিনিময়’ হয়নি, এখন সেটা হউক। হলে কি হবে? বাংলাদেশ বা পাকিস্তানে যত অ-মুসলমান আছে, সবাই ভারতে চলে যাবে। কিন্তু মুসলমান ভারত ছাড়বে না, কারণ তাঁরা জানে থাকার জন্যে অ-মুসলমান দেশ ভালো। জাতিসংঘের রেকর্ড অনুযায়ী বিশ্বে এখন ৮৬% শরণার্থী মুসলমান, এরা কেউ ৫৭টি মুসলমান দেশে যেতে চায়না বা তারাও নিতে চায়না, এরা থাকতে চায় ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা বা অষ্ট্রেলিয়ায়?
ভারতের অধিকাংশ মিডিয়ার ভূমিকা ন্যাক্কারজনক। যুক্তরাষ্ট্রের কিছু রাজনীতিবিদ ‘ইসলামোফোবিয়ার’ ভয়ে উল্টাপাল্টা বকছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। টরোন্টোর একজন বাঙ্গালী সাংবাদিক সওগত আলী সাগর লিখেছেন, দিল্লীতে কি কেবল অমানবিকতা, পৈশাচিকতাই দেখছি? মানবিকতার, মনুষ্যত্বের বিজয়গাঁথা কি দেখছি না! দিল্লীতে মুসলমানদের হত্যা করতে দেখছি, আবার মুসলমানদের বাঁচাতে জীবনবাজি রেখে দাঁড়িয়ে গেছে হিন্দু ধর্মাবলম্বী- সেই দৃশ্য কি দেখছি না? প্রশ্নটা হলো, আপনি কিভাবে দেখছেন? বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন আপনি দেখেন না, ভারতে মুসলমান নির্যাতন আপনার দৃষ্টি এড়ায় না? একজন প্রলয় ভট্টাচার্য্য, যিনি আগে বাংলাদেশে কমিউনিষ্ট পার্টি করতেন, এখন কলকাতায় ডাক্তারী করেন, তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন হলে ভারতে তার প্রতিক্রিয়া হবে। হ্যাঁ, এতদিন হয়নি, এখন হবে।
শিয়া ধর্মগুরু মৌলানা কলবে জাওয়াদ নকভি নাগরিকতা সংশোধন আইন নিয়ে বলেছেন, এটা নিয়ে মুসলিমদের অন্তরে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে বিরোধীরা এবং এই আন্দোলন থেকে মুসলমানদের উস্কানি দিয়ে বিরোধী দলগুলো সুবিধা নিয়েছে। বলিউড গায়ক আদনান সামি বলেছেন, ‘একজন মুসলিম হিসেবে আমি ভারতে নিজেকে সুরক্ষিত মনে করি।” যদিও নাসিরুদ্দিন শাহ বা আরো কেউ কেউ অন্য কথা বলেছেন, কিন্তু এরা কেউ পাকিস্তান যাবেন না! সৌদি আরবও না, ইরানও না, তবে ইউরোপ-আমেরিকায় যেতে পারেন। ফেনীর একজন সাব্বির আহমেদ বলেছেন তিনি বাংলাদেশ থেকে মালাউন (হিন্দু) তাড়াবেন এবং তার প্রজেক্টের নাম দিয়েছেন, ‘হিন্দুমুক্ত বাংলাদেশ’। ড. আনিসুজ্জমান, আবদুল গাফফার চৌধুরী, হাসান আজিজুল হক প্রমূখ দেশের প্রখ্যাত মানবতাবাতী বুদ্ধিজীবিগন এ’ বিষয়ে যে অত্যন্ত সময়োচিত, আশাব্যাঞ্জক বক্তব্য রেখেছেন, যাতে তাঁরা জাতির প্রতি বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সমপ্রীতি রক্ষার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন, আমরা এটিকে স্বাগত জানাই।
উপমহাদেশে সাম্প্রদায়িকতা নুতন কোন বিষয় নয়। ১৯৪৭ সালে মুসলমানরা বলেছিলো, হিন্দুদের সাথে থাকা যায়না। ১৯৪৭ থেকে ২০২০, এই ৭৩ বছরে দেখা যাচ্ছে, ভারতে মুসলমানরা দিব্যি হিন্দুদের সাথে থাকছেন, তাদের ঘরবাড়ী কেউ কেড়ে নিচ্ছেনা, নারীদের ধর্মান্তরিত করছে না, এবং তাঁরা বাংলাদেশ বা পাকিস্তানেও যাবেন না? পক্ষান্তরে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে হিন্দু বা অন্য সংখ্যালঘুরা মুসলমানদের সাথে থাকতে চাইলেও থাকতে পারছেন না, গত সাত দশক ধরে ভারতমুখী শরণার্থী কাফেলা বন্ধ হচ্ছেনা? ভারত সুযোগ দিলে এদের কেউ আর ওই দুই দেশে থাকবেন না? তাহলে দেখা যাচ্ছে, মুসলমানদের ১৯৪৭’র দাবিটি ভ্রান্ত ছিলো। বরং উল্টোটি সত্য? বিশ্বের ৫৭টি মুসলিম দেশ কি এই প্রমান বহন করেনা? মুসলমানরা যেখানে সংখ্যাগুরু, সেখানে কি অন্যরা থাকতে পারে? নাকি অন্যদের কোন অধিকার থাকে? তারপরও বলা যায়, উপমহাদেশে শান্তির জন্যে রাজনৈতিক নেতারা সমন্বিতভাবে চেষ্টা করতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, নরেন্দ্র মোদী, এবং ইমরান খান এক টেবিলে বসলে ক্ষতি কি? Give peace a try. # guh...@gmail.com;To view this discussion on the web visit https://groups.google.com/d/msgid/pfc-friends/65696596-6B7A-43A7-86DF-083E95CD4C57%40yahoo.com.
Nazma Mostafa's beautiful writings, full of fantastically fat-free facts, provide a much needed nice and cooling fresh air in the midst of critically hot and humid and sultry and suffocating and choking atmosphere generated by the horribly fascist hasina BAL that has turned the whole Bangladesh into a gas chamber, a concentration camp for the majority. Please read:
"It is really sickening to see how genuine concerns or views of anyone on matters related to or critical of government officials are now being muzzled inside Bangladesh."
"Enforced disappearance is a crime under international law. Such incidents have a chilling effect among communities about their safety. No one should have to live in deprivation of their right to personal liberty," said a statement released by Amnesty on Friday.
Enforced disappearances have mushroomed in Bangladesh since Hasina took power in 2009, according to rights groups.
Odhikar, a Bangladeshi group, says more than 500 people have gone missing in the last 12 years, including many activists suspected to have been abducted by security agencies.
To: Outlook Team <zog...@hotmail.co.uk>; Nazma Mustafa <naz...@yahoo.com>; Jalal Khan <juk...@gmail.com>; AbidBahar PostCard <abahar...@gmail.com>; Sabria Chowdhury Balland <sabriac...@gmail.com>; Khalifa Malik <kmama...@gmail.com>; mga...@gmail.com <mga...@gmail.com>; na...@googlegroups.com <na...@googlegroups.com>; pfc-f...@googlegroups.com <pfc-f...@googlegroups.com>; Javed Helali <jhela...@yahoo.com>; Taj Hashmi <tajh...@gmail.com>; S Seraji <sser...@yahoo.com>; la-dis...@googlegroups.com <la-discussion@googlegroups.com>; n...@agni.com <n...@agni.com>; Mahmudur Rahman <mrahma...@gmail.com>; Sameer Syed <ams...@aol.com>; Dr. Farida Hossain <druhf...@gmail.com>; Mohammad Ashrafi <fash...@yahoo.com>
Subject: {PFC-Friends} Re: মুজিববর্ষ না মোদিবর্ষ?
ধন্যবাদ, জগলুল ভাই। আপনার লেখগুলো আগেও পড়েছিলাম। পুনঃ সঞ্চালনের জন্য ধন্যবাদ। যাদের অতীত ঘটনাবলির ধারনশক্তি কম, বা ইচ্ছাকৃত বিস্মৃতি, তাদেরকে বার বার ছবক দিতে হয়।
To: RANU CHOWDHURY <ran...@hotmail.com>; Nazma Mustafa <naz...@yahoo.com>; Jalal Khan <juk...@gmail.com>; AbidBahar PostCard <abahar...@gmail.com>; Sabria Chowdhury Balland <sabriac...@gmail.com>; Khalifa Malik <kmama...@gmail.com>; mga...@gmail.com <mga...@gmail.com>; na...@googlegroups.com <na...@googlegroups.com>; pfc-f...@googlegroups.com <pfc-f...@googlegroups.com>; Javed Helali <jhela...@yahoo.com>; Taj Hashmi <tajh...@gmail.com>; S Seraji <sser...@yahoo.com>; la-dis...@googlegroups.com <la-discussion@googlegroups.com>; n...@agni.com <n...@agni.com>; Mahmudur Rahman <mrahma...@gmail.com>; Sameer Syed <ams...@aol.com>; Dr. Farida Hossain <druhf...@gmail.com>; Mohammad Ashrafi <fash...@yahoo.com>
Subject: Re: মুজিববর্ষ না মোদিবর্ষ?
From: Zoglul Husain (zog...@hotmail.co.uk)
ধন্যবাদ, রানু ভাই। আপনি ঠিকই বলেছেন, নাজমা মোস্তফা বোনের লেখাটি চমৎকার। বিশেষ করে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, হাসিনা মুজিব বর্ষ পালন করছেন, না কি মোদি বর্ষ পালন করছেন? তিনি রবীন্দ্রনাথের সার্ধশত (১৫০ তম) জন্মবর্ষের উদযাপনের কথা উল্লেখ করে, ভারতের কাছে এই সরকারের রাজনৈতিক দাসত্ব ও সাংস্কৃতিক দাসত্বের কথা তুলে ধরেছেন।
মুজিব সম্বন্ধে আমি গতবছর ইমেইলে লিখেছিঃ"মুজিবকে বঙ্গশত্রু উপাধি দিয়েছিলেন মতিয়া। তিনি মুজিবের চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাজাতে চেয়েছিলেন এবং তার চামড়া দিয়ে জুতা বানাতে চেয়েছিলেন। মুজিবকে হত্যার পর ইনু সেনা ট্যাংকে উঠে উল্লাসে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি ছুড়ে আনন্দ করেন। মুজিব আমলের সেনাপ্রধান শফিউল্লাহ বলেন, শেখ মজিব হত্যার সাথে হাসিনার ফুফাতো ভাই শেখ সেলিমও জড়িত আছে। শাহরিয়ার কবির লেখেন, মুজিব আর বঙ্গবন্ধু নয়, এখন থেকে মুজিব জনশত্রু। কর্নেল তাহের বলেন, মুজিবের লাশ বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করতে, কারণ বাংলাদেশে তার কবর হলে আ'লীগ তা মাজার বানাবে। মেননের দল বিবৃতি দেয়, ‘মুজিবের মৃত্যুতে জনগণ উল্লসিত। তার মৃত্যু কারো মনে সামান্যতম সমবেদনা বা দুঃখ জাগায়নি, জাগাতে পারে না।’ ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সেনা সদস্যরা মুজিবের বাড়িতে আসলে মুজিব সেনাপ্রধান শফিউল্লাহ, রক্ষীবাহিনীর রাজনৈতিক প্রধান তোফায়েল সহ অনেককেই ফোন করেছিলেন, কেউ আসেন নি, কর্নেল জামিল ছাড়া, কর্নেল জামিল নিহত হন। শফিউল্লাহ মুজিবকে বলেছিলেন পাচিল টপকিয়ে পালিয়ে যেতে।
১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সেনা-জনতার অভ্যুত্থানে মুজিবের মৃত্যু হলে সেদিন তার মাগফিরাত কামনা করার জন্য লোক খুঁজে পাওয়া যায় নি। তার স্পীকার আব্দুল মালেক উকিল লন্ডনে বলেন, দেশ ফেরাউনের হাত থেকে মুক্ত হয়েছে। সাবেক স্পীকার ও সাবেক বিদেশ মন্ত্রী হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী পরবর্তীতে বলেন, একশবার মুজিবের ফাঁসী হলেও তার পাপ মুক্তি হবেনা। তার মৃতদেহ যখন সিঁড়িতে পড়েছিল তখন ফনি ভূষণ মজুমদার ও মনরঞ্জন ধর সহ তার ১৮ মন্ত্রীর ১০ জন এবং ৯ জন প্রতি-মন্ত্রীর ৮ জন মোশতাক মন্ত্রী সভায় যোগ দেন, বাকিদের মধ্যে মুজিবের ৪ মন্ত্রীদের কারাগারে পাঠানো হয়, ৩ জন বিদেশে ছিলেন। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এইচ টি ইমাম। মুজিবের জানাজায় উপস্থিত ছিলেন ১৮ জন, হাসিনা পরে বিবিসিকে বলেন, ১০-১৮ জন। ইত্যাদি, ইত্যাদি।"
মুজিবের শাসন সম্বন্ধেও আমি গতবছর ইমেইলে লিখেছিঃ
"মুজিব সরকার ৩০ হাজার দেশপ্রেমিক হত্যা করে। তাদের অপশাসনে দেশে নেমে আসে নির্বিচার হত্যা, নিপীড়ন, নির্যাতন, লুণ্ঠন, দখলবাজী, সীমান্ত পাচার ইত্যাদির বিভীষিকা। তাদের অপশাসন, লুণ্ঠন, কালোবাজারী, সীমান্তপাচারের ফলে দেশে ১৯৭৪-এ যে মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ ঘটে তার প্রত্যক্ষ ফলে মৃত্যু হয় ৫ লক্ষ মানুষের এবং পরোক্ষ ফলে মৃত্যু হয় আরও ১০ লক্ষ মানুষের। অন্যদিকে, মুজিব ক্ষমতায় থাকার জন্য ভারতের হাতে দেশের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দেন। এ অবস্থায় সরকার যখন চরম গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে তখন মুজিব নিজের হাতে সর্বময় ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য বাকশাল গঠন করেন।
১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি বাকশালী শাসনের শুরু হয়। সেদিন জাতীয় সংসদের মাত্র ১১ মিনিট স্থায়ী অধিবেশনে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী পাস করা হয়, যার বলে মুজিব প্রধানমন্ত্রী না থেকে আজীবন রাষ্ট্রপতি হন, সংসদীয় পদ্ধতি বাতিল হয়ে রাষ্ট্রপতি পদ্ধতি প্রবর্তিত হয় এবং সকল রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করে দেশে বাকশাল নামক একটি মাত্র দল প্রতিষ্ঠা করা হয়। মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। বাকশালের গণসংগঠন ছাড়া অন্যসব গণসংগঠন নিষিদ্ধ হয়। সরকার নিয়ন্ত্রিত চারটি দৈনিক ছাড়া দেশের সকল সংবাদপত্র নিষিদ্ধ হয়ে যায় ১৬ জুন।
হাসিনা আবার বাকশালের কথা তুলেছেন। প্রকৃতপক্ষে ২০০৯ সাল থেকেই হাসিনা অঘোষিত বাকশাল চালাচ্ছেন। মনে হয় তিনি বুঝতে পারছেন যে তিনি ও তার দল চরম গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। কাজেই আবারও ক্ষমতা এক হাতে কুক্ষিগত করার জন্য রাষ্ট্রপতি ব্যবস্থা ও একদলীয় ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে চাচ্ছেন, যাতে তিনি আজীবন রাষ্ট্রপতি হতে পারেন।
বাকশাল-ভারতের সেবাদাস কালের কণ্ঠের বিশ্লেষক ও গবেষক আব্দুল মান্নান যতই চুনকাম করার চেষ্টা করুন না কেন, হিটলার মুসলিনিদেরকে তিনি যেমন গৌরবান্বিত করতে পারবেন না, তেমনি মুজিবকেও নয়। আমি আগে লিখেছিলামঃ
"১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সেনা-জনতার অভ্যুত্থানে মুজিবের মৃত্যু হলে সেদিন তার মাগফিরাত কামনা করার জন্য লোক খুঁজে পাওয়া যায় নি। তার স্পীকার আব্দুল মালেক উকিল লন্ডনে বলেন, দেশ ফেরাউনের হাত থেকে মুক্ত হয়েছে। সাবেক স্পীকার ও সাবেক বিদেশ মন্ত্রী হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী বলেন, একশবার মুজিবের ফাঁসী হলেও তার পাপ মুক্তি হবেনা। অনেক আগেই মতিয়া বলেছিলেন, মুজিবের চামড়া দিয়ে ঢোল বানিয়ে তিনি মুজিবের 'হাড্ডি' দিয়ে ডুগডুগি বাজাবেন। ইনু তার মৃত্যুতে ট্যাংকের উপর উঠে নাচানাচি করেছিলেন। তাহের বলেছিলেন তার দেহ বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করতে, কারণ দেশে কবর হলে বাকশালীরা তা মাজার বানাবে। তার মৃতদেহ যখন সিঁড়িতে পড়েছিল তখন ফনি ভূষণ মজুমদার ও মনরঞ্জন ধর সহ তার ১৮ মন্ত্রীর ১০ জন এবং ৯ জন প্রতি-মন্ত্রীর ৮ জন মোস্তাক মন্ত্রী সভায় যোগ দেন, বাকিদের মধ্যে মুজিবের ৪ মন্ত্রীদের কারাগারে পাঠানো হয়, ৩ জন বিদেশে ছিলেন। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এইচ টি ইমাম। মুজিবের জানাজায় উপস্থিত ছিলেন ১৮ জন। ইত্যাদি, ইত্যাদি।"
আধিপত্যবাদের সেবাদাস ফ্যাসিবাদী হাসিনার জন্যও মানুষের একই ধরনের মনোভাব রয়েছে, তার জন্য নির্ধারিত রয়েছে ইতিহাসের আস্তাকুড়।"ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদকে আমরা অবশ্যই পরাভূত করবো।
To: Nazma Mustafa <naz...@yahoo.com>; Zoglul Zoglul <zog...@hotmail.co.uk>; Jalal Khan <juk...@gmail.com>; AbidBahar PostCard <abahar...@gmail.com>; Sabria Chowdhury Balland <sabriac...@gmail.com>; Khalifa Malik <kmama...@gmail.com>; mga...@gmail.com <mga...@gmail.com>; na...@googlegroups.com <na...@googlegroups.com>; pfc-f...@googlegroups.com <pfc-f...@googlegroups.com>; Javed Helali <jhela...@yahoo.com>; Taj Hashmi <tajh...@gmail.com>; S Seraji <sser...@yahoo.com>; la-dis...@googlegroups.com <la-discussion@googlegroups.com>; n...@agni.com <n...@agni.com>; Mahmudur Rahman <mrahma...@gmail.com>; Sameer Syed <ams...@aol.com>; Dr. Farida Hossain <druhf...@gmail.com>; Mohammad Ashrafi <fash...@yahoo.com>
Subject: Re: মুজিববর্ষ না মোদিবর্ষ?
ধন্যবাদ, বোন নাজমা, আরেকটি চমৎকার লেখা উপহার দেবার জন্য।
বলতে শুনেছি, চেনা বামনের পৈতার দরকার হয় না। শেখ মুজিবের গায়ে গলায় মাথায় পাতায় পৈতার ছড়াছড়ি দেখে লোকে কী মনে করতে পারে? পরিচয় করাতে এতসব পৈতার দরকার ? যেসব কোমোল মতি ছেলেমেয়ে, বাচ্চাদের নিয়ে এসব পুজা- পার্বণ, পৈতা পরানো হচ্ছে, তারাই বা কি শিখছে ? খবর ও ভিডিও ক্লিপ এর বদৌলতে যা দেখতে পাই তাতে ভাবি আমরা কি পৌত্তলিক জামানায় ফিরে গেছি ?
আপনার লেখায় মুজিবের কিছু অপকর্ম উল্লেখ আছে । সেসব ঢাকার জন্যই কি হাজার হাজার কোটি টাকার জনখরচে এতোসব পৈতা পার্বণের আয়োজন ? মুরুব্বী জনগন নিশ্চয়ই মুজিবের "সোনালী" আমল এবনং ১৫ ই অগাস্ট ৭৫ ভুলে যাননি । কী ছিল বাংলাদেশের হাল হকিকত তখন ? কেন জনগণ আনন্দ উৎসবে ফেটে পড়েছিল মুজিবের পতন শুনে? কোথায় ছিল এসব পুজাগিরি, পৈতাগিরি যখন মুজিবের লাশ তার সিঁড়িতে গড়াগড়ি খাচছিল? কেউ শুনেচে ইন্নলিল্লাহ ? কেউ দেখেছে এক্টুখানি চোখের পানি ?
জনরোষ হোক আর করনা হোক, মোদীকে আপাতত ঠেকানো গেল। কিন্তু মুজিববাদী বাকশালেীরা হাল ছেড়ে দেয় নি। তাদের কথাবার্তায় তাই মনে হচছে তারা এই মুসলিম খুনিকে মুসলমান দেশে এনে প্রমান করবে তারা মোদীর চইতে কম যায় না । আল্লাহ বাংলাদেশকে এসব শেরকি বেদাতি জালিম থেকে রক্ষা করুক।
From: Nazma Mustafa <naz...@yahoo.com>
Sent: Friday, March 13, 2020 1:09 AM
Subject: মুজিববর্ষ না মোদিবর্ষ?
মুজিববর্ষ না মোদিবর্ষ? - Welcome to The Runner News USA
মুজিববর্ষ না মোদিবর্ষ? - Welcome to The Runner News USA
বাংলাদেশের আমলনামার দলিল: জাতি ভুলে গেছে কি না জানি না, বিগত সময়ে রবীন্দ্রবর্ষ পালনের বাড়াবাড়ি কি মাত্রায় ছিল। ভ...
https://nazmamustafa.wordpress.com/2020/03/13/%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%ac%e0%a6%ac%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%b7-%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%ae%e0%a7%8b%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%ac%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%b7/ = মুজিববর্ষ না মোদিবর্ষ?
--
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "PFC-Friends" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to pfc-friends+unsubscribe@googlegroups.com.
To view this discussion on the web visit https://groups.google.com/d/msgid/pfc-friends/BY5PR10MB3746E5FC28881F59B82AD0E6C3FA0%40BY5PR10MB3746.namprd10.prod.outlook.com.
...
Jugasankha, Wednesday, 11 March 2020, Kolkata:
উপমহাদেশে শান্তির জন্যে শেখ হাসিনা, নরেন্দ্র মোদী, এবং ইমরান খান এক টেবিলে বসলে ক্ষতি কি?
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এনআরসি, সিএএ এবং দিল্লির সহিংসতা
শিতাংশু গুহ, ১০মার্চ ২০২০, নিউইয়র্ক।।এনআরসি আসলে কি? বাংলাদেশে ‘জাতীয় পরিচয় পত্র’ দেয়া হয়েছিলো, তা আমরা সবাই জানি। এনআরসি বিষয়টি অনেকটা সেইরকম, ভারত এর সকল নাগরিককে একটি পরিচয়পত্র দিতে চাইছে। তাহলে বিরোধিতা কেন? বলা হচ্ছে, নাগরিকত্ব প্রমান হবে কিভাবে? মুসলমানরা কিভাবে নাগরিকত্ব প্রমান করবেন? বাংলাদেশে হিন্দুদের নাগরিকত্ব প্রমানে কি অসুবিধা হয়েছে? হয়নি। তেমনি, ভারতের মুসলমানদেরও অসুবিধা হবার কথা নয়। অসুবিধা হবে, যাঁরা অনুপ্রবেশকারী, তাদের। মনে পড়ে কি, বাংলাদেশে জাতীয় পরিচয় পত্র দেয়ার পর এক কোটি ভুয়া ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েছিলো? ভারতও এই ভুয়া ভোটারদের বাদ দিতে চাইছে। এতে আমরা বাংলাদেশিদের কি সমস্যা তা আমি বুঝতে অক্ষম!
সিএএ আসলে কি মুসলমানদের বিপক্ষে? এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে অত্যাচারিত সংখ্যালঘুদের ভারত নাগরিকত্ব দেবে। এই তিনটি দেশ থেকে সংখ্যালঘুরা অত্যাচারিত হয়ে ভারতে গেছেন, এতে তো কারো সন্দেহের কারণ নেই? পাকিস্তান এর পুরো সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে খেদিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশ অর্ধেক খেদিয়েছে। অথচ মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি অনুযায়ী একজন হিন্দুরও দেশত্যাগ করার কথা ছিলোনা! কিন্তু করেছে, বাধ্য হয়ে করেছে। আফগানিস্তান থেকে কম শরণার্থী এসেছে। ভারত এই লোকগুলোকে নাগরিকত্ব দিলে বাংলাদেশের ক্ষতি কি? আমাদের ক্ষতি হতো, যদি ভারত এদের পুশব্যাক করতো। আমাদের তো সিএএ-কে স্বাগত জানানো উচিত।
এবার দেখা যাক, সিএএ-তে মুসলমানের কি ক্ষতি হচ্ছে। প্রথমত: ভারতের মুসলমানদের কথা তো এখানে নেই? তারা যেমন আছেন, তেমনি থাকবেন। ভারতের একজন মুসলমান নেতা যথার্থ বলেছেন, ‘আমরা বুঝিনি, বিরোধীরা আমাদের দিয়ে এ আন্দোলন করিয়েছে’। বাংলাদেশের মানুষের এ নিয়ে মাথাব্যথা কেন? পাকিস্তান বা আফগানিস্তান থেকে সাধারণ মুসলমান খুব একটা ভারতে আসেন না, বাংলাদেশ থেকে যান! এঁরা অত্যাচারিত হয়ে যাননি, বা শরণার্থী নন, অনুপ্রবেশকারী? এখন বাংলাদেশের অর্থনৌতিক অবস্থা ভালো, আগে তা ছিলোনা, মানুষ তাই গেছে। সীমান্ত অঞ্চলে প্রচুর বাংলাদেশী উভয় দেশের ভোটার। সবই ভোটের খেলা! বলা হচ্ছে, মমতার এক কোটি ভুয়া ভোটার আছে!! ভারত এই ভুয়া ভোটার বাদ দিতে চাইছে। আমাদের তাতে অসুবিধা কোথায়? সর্বোপরি, সরকার বা আমরা সবাই বলছি, বাংলাদেশ থেকে একজন মুসলমানও ভারত যায়নি। তাই যদি হয়, তাহলে তো আমাদের কথা বলার কোন প্রয়োজনই নেই?
এ কথার পরও বলা যায়, ভারতের মুসলমানরা আন্দোলন করতেই পারেন। আমরা তাতে নাক গলাই কেন? দিল্লিতে আন্দোলনটি যতদিন শান্তিপূর্ণ ছিলো ততদিন এনিয়ে বহির্বিশ্ব তেমন মাথা ঘামায় নি! প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন ভারত গেলেন, ঠিক তখনই আন্দোলন হিংসাত্নক হলো কেন? এজন্যে অনেকে মোদিকে দায়ী করছেন। আচ্ছা, বাংলাদেশে যদি ট্রাম্প যেতেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কি চাইতেন তখন হিংসাত্মক আন্দোলন হউক? চাইতেন না, কোন রাষ্ট্র বা সরকার প্রধান তা চাননা। ভারত ও তাঁর সরকারের সুনাম রক্ষায় মোদিও তা চাননি। তাহলে এই হিংসাত্মক ঘটনা ঘটিয়েছে কারা? দেশবিরোধী, সরকার বিরোধী শক্তি, এরা মুসলমানদের ব্যবহার করেছে। মনে রাখতে হবে, সিএএ/এনআরসি একজন মানুষের নাগরিকত্ব কেঁড়ে নেয়নি, কিন্তু শান্তিপূর্ণ আন্দোলন(!) ৫২টি জীবন কেঁড়ে নিয়েছে। এই দায় কার?
দিল্লি সহিংসতার ঘটনাটি দু:খজনক। সেখানে ঠিক কি ঘটেছিলো তা অস্পষ্ট, তবে ধীরে ধীরে জট খুলছে। প্রশ্ন উঠেছে, দিল্লি সহিংসতার মুলে কি নাগরিকত্ব আইন নাকি সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ? প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন ভারতে অবস্থান করছেন, বিশ্ব মিডিয়ার দৃষ্টি যখন দিল্লির দিকে, ঠিক তখনি এই হত্যাযজ্ঞ কি পরিকল্পিত? কারা এর পেছনে? ইন্ডিয়া টুডে বলেছে, এটি আগেভাগে পরিকল্পিত। এতো ইট, কাচের বোতল আমদানি, মলটভ ককটেল, পেট্রোল বোমা প্রমান করে যে ঘটনা স্বত:ফূর্ত নয়? সিসিটিভি ক্যামেরা-ফুটেজ, ব্যাঙ্ক ট্র্যানজেকশন রেকর্ড এবং প্রত্যক্ষদর্শী বিবরণে যা আসছে, তাতে দেশ-বিদেশের ধর্মীয় উগ্রপন্থীদের যোগসূত্র পাওয়া যাচ্ছে।
পুলিশ অফিসার অংকিত শর্মার মৃতদেহ ড্রেন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পোষ্টমর্টেমে ডাক্তাররা ঘাবড়ে যান, তার দেহে ৪০০ ছুরিকাঘাতের চিহ্ন। কতটা জিঘাংসা থাকলে এটি সম্ভব? জিঘাংসাটা কিসের? আমার জন্ম বাংলাদেশে। নিজেকে তাই প্রশ্ন করি, বাংলাদেশে হিন্দুর হাতে যদি দু’জন পুলিশ খুন হতো, তাহলে কি হতো? এই ঘটনায় আপ নেতা তাহির হোসেন’র নাম এসেছে। তিনি একজন রাজনৈতিক নেতা। তাঁর ভিডিও ফুটেজ দেখে মনে হয় তিনি একজন সন্ত্রাসী? বিজেপি নেতা সুব্রাহ্মনিয়াম স্বামী অভিযোগ করেছেন, তাহিরের সাথে বাংলাদেশের সন্ত্রাসীদের যোগাযোগ আছে এবং তিনি এদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিতেন। দাঙ্গায় উস্কানি দেয়ায় কংগ্রেস নেত্রী ইসরাত জাহান গ্রেফতার হয়েছেন।
এই আন্দোলনে উস্কানি কি আগাগোড়াই ছিলো না? শান্তিপূর্ণ সমাবেশে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ শ্লোগান উঠে কি করে? ভারত ভাঙ্গার কথা উচ্চারিত হয়নি? শিলিগুড়ির ‘চিকেন নেক’ বিচ্ছিন্ন করার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ওয়াসির পাঠান-র ১৫কোটি মুসলিম ঐক্যবদ্ধ হয়ে ১০০ কোটি হিন্দুকে শিক্ষা দেয়ার ভিডিও কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়? পুলিশের উপর গুলি চালানো কট্টরপন্থী মহম্মদ শাহরুখ কাদের লোক? দাঙ্গায় মৃতের সংখ্যা কত? এঁরা কারা। কতজন হিন্দু ও শিখ বেশি মরেছেন এ প্রশ্ন কেন? মরেছে, মানুষ। অর্থহীন এই মৃত্যু। কেন? বিহারের এক মোল্লার ভিডিও মোদী-শাহ-কে শিক্ষা দেবো, ভারতের অর্থনীতি বরবাদ করে দেবো, কোন শান্তির কথা নয়! প্রকাশ্যে রামদা হাতে নিয়ে মোদিকে হত্যার হুমকি উস্কানি বটে!
সিএএ ঠিক কোন জায়গাটায় মুসলমানদের বিরুদ্ধে তা কিন্তু স্পষ্ট নয়? অথচ এর নামে দাঙ্গা চললো। বাংলাদেশে হেফাজতে ইসলাম শাপলা চত্বরে একই কায়দায় আন্দোলন চালিয়েছিল, শেখ হাসিনা সেটি কঠোর হস্তে দমন করেছিলেন। ভারত সেটি না করে ভুল করেছে। করলে এতগুলো প্রাণ যেতোনা। এই আন্দোলনের সুযোগে জমিয়ে মাদ্রাসার ছাত্রের মৃত্যু’র ভুয়া সংবাদ, নাম না জানা অভিনেত্রী স্বরে ভাস্করকে আমদানি করে ভুয়া তথ্য প্রকাশ, মুর্শিদাবাদ-উলুবেড়িয়ায় ছোটখাট দাঙ্গা ঘটানো, সবই হলো। জনৈক ৫১ বছর বয়সী বিনোদ কুমার উত্তরপূর্ব দিল্লির ব্রহ্মপুরী এলাকায় ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে নিহত হলেন। তাঁর ২৫ বছর বয়সী ছেলে নীতিন কুমার দারুণ আহত অবস্থায় শয্যাশায়ী। তাদের অপরাধ, তাদের হোন্ডায় লেখা ছিলো, ‘জয় শ্রীরাম’।
দিল্লি দাঙ্গায় ভারতে একটি মসজিদের ওপর হামলা হয়েছে। উপমহাদেশে ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলা কি নুতন ঘটনা? আফগানিস্তানে বহিমিয়ান বৌদ্ধমন্দির ভেঙ্গে তো লঙ্কাকান্ড হয়ে গেছে। মোঘল আমলে মন্দির আক্রমন উৎসব ছিলো। ভারতবর্ষে অধিকাংশ পুরানো মসজিদ ভাঙ্গা মন্দিরের ওপর প্রতিষ্ঠিত! মাটি খুঁড়লেই এর প্রমান মিলে! বাংলাদেশের একটি মন্দিরও খুঁজে পাওয়া যাবেনা, যেটি আক্রান্ত হয়নি। ঢাকেশ্বরী, রমনা, কান্তজীর মন্দির, কোনটি নয়? মসজিদের মাইকে হিন্দু বাড়ী আক্রমণের আহবানও নুতন কিছু নয়। অথচ এবারকার মসজিদে আক্রমের ঘটনায় বাংলাদেশে মানুষের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। আপনি যদি বাংলাদেশে অব্যাহত সংখ্যালঘু নির্যাতন বা মন্দির/মুর্ক্তি ভাঙ্গার প্রতিবাদ না করে থাকেন, তাহলে আপনি ভারতের সংখ্যালঘু বা মসজিদে হামলার প্রতিবাদ করার কোন অধিকার কি আপনার আছে? শুক্রবার, ০৬ মার্চ ২০২০, দুপুরে জুমার নামাজ শেষে চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে হেফাজত। সেখানে হিন্দুদের সকল মন্দির জ্বালানোর হুমকি আহবান জানানো হয়: ভিডিও: https://www.facebook.com/hindumedia1/videos/483440072545087/
একজন আনোয়ারুল করিম খান আনাস একটি চমৎকার পোস্টিং দিয়ে বলেছেন, “খারাপ লাগছেনা? খুউব খারাপ লাগতেছে। একটা হনুমান সেনা মসজিদে আগুন লাগিয়ে মিনারে উঠে চাঁদ তারা ভেঙ্গে তাতে হনুমান সেনার পতাকা লাগায়ে দিছে। আমারও খারাপ লাগতেছে। তবে চিন্তার কোনো কারন নাই। ভাঙ্গাভাঙ্গিতে আমাদের বাঁদর সেনারা কম যায়না। তারা দেশ স্বাধীন হবার আগে থেকে মন্দির আর প্রতিমা ভেঙ্গে আসতেছে, তাও পূজোর সময়৷ উই আর উইনিং! বুঝতেছেন এখন? ৯০% মুসলমানদের এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশে হিন্দুরা কি 'স্বর্গ সুখে' বাস করে? দিল্লির মুসলিমদের আতংকটা বুঝতেছেন? বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এই আতংকের মধ্যে জন্ম নেয়, বড় হয়, জীবন যাপন করে। দিল্লীতে এই সাম্প্রদায়িক নগ্ন হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। নিন্দা জানাই বাংলাদেশের মন্দির ও পুজার সময় মুর্তি ভাঙ্গার উৎসবকেও”।
কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছিলেন: "দেখিলাম, আল্লার মসজিদ আল্লাহ আসিয়া রক্ষা করিলেন না, মা-কালীর মন্দির কালী আসিয়া আগলাইলেন না! মন্দিরের চূড়া ভাঙিল, মসজিদের গম্বুজ টুটিল! আল্লার এবং কালীর কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া গেল না। আকাশ হইতে বজ্রাঘাত হইল না মুসলমানদের শিরে, ‘আবাবিলের’ প্রস্তর-বৃষ্টি হইল না হিন্দুদের মাথার উপর। এই গোলমালের মধ্যে কতকগুলি হিন্দু ছেলে আসিয়া গোঁফ-দাড়ি-কামানো দাঙ্গায় হত খায়রু মিয়াঁকে হিন্দু মনে করিয়া ‘বলো হরি হরিবোল’ বলিয়া শ্মশানে পুড়াইতে লইয়া গেল, এবং কতকগুলি মুসলমান ছেলে গুলি খাইয়া হত দাড়িওয়ালা সদানন্দ বাবুকে মুসলমান ভাবিয়া ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ পড়িতে পড়িতে কবর দিতে লইয়া গেল। মন্দির এবং মসজিদ চিড় খাইয়া উঠিল, মনে হইল যেন উহারা পরস্পরের দিকে চাহিয়া হাসিতেছে!".হুমায়ূন আজাদ লিখেছেন, ‘মসজিদ ভাঙ্গে ধার্মিকরা, মন্দির ভাঙ্গে ধার্মিকরা, তারপরও তারা দাবি করে আমরা ধার্মিক; আর যারা ভাঙ্গাভাঙ্গিতে নেই তারা অধার্মিক বা নাস্তিক’। সেই অমর কাব্য, ‘হিন্দু না ওরা মুসলিম? ওই জিজ্ঞাসে কোন জন? কান্ডারী! বল, ডুবিছে মানুষ, সন্তান মোর মার…’।
ভারত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। এর কোন রাষ্ট্রধর্ম নেই। সেখানে ধর্মনিরপেক্ষতা বিদ্যমান। যারা নিজের দেশে ধর্মনিরপেক্ষতাকে ‘কুফরী’ মতবাদ বলে ফতোয়া দেন, তাদের মুখে ভারতের সমালোচনা মানায় কি? যাদের হাত নিজের দেশের সংখ্যালঘুর রক্তে রঞ্জিত, তাঁরা অন্য দেশের সংখ্যালঘু নিয়ে মাথা না ঘামালেও চলবে। ভারত ও পাকিস্তানের মানুষ কট্টর মুসলমান হলে ভারতের হিন্দুরা স্যেকুলার থাকবেন, সেটি আশা করা সম্ভবত: এখন বিলাসিতা মাত্র। বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলে ১৯৪৬-এ ডাইরেক্ট একশনের নামে হিন্দু নিধন হয়েছে, নোয়াখালী রায়ট, ১৯৫০’র দাঙ্গা, ১৯৬৪’র দাঙ্গা, ১৯৭১’এ টার্গেট করে হিন্দু হত্যা, ১৯৭৫-২০২০ পর্যন্ত অগণিত ছোটখাট দাঙ্গা, মন্দির-মুর্ক্তি ভাঙ্গা, শত্রূ-সম্পত্তি আইন, রমনা কালীবাড়ি দখল, বসতবাড়ি, ব্যবসা-বাণিজ্য দখল, নাবালিকা অপহরণ, ধর্মান্তর, সবই একপেশে।
ভারতের সেক্যুলারিজম এতকাল মুখ্যত ছিলো ‘মুসলিম তোষণ’, ভারতবাসী এখন এ থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে। ভারতে উগ্রতা বাড়ছে। এর দায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তান এড়াতে পারেনা, কারণ এ দু’টো দেশে উগ্রতা অনেক বেশি, লালিত-পালিত হয়! পাকিস্তান রাষ্ট্রীয়ভাবে হিন্দুশূন্য করা হয়েছে; বাংলাদেশে হিন্দুর সংখ্যা অর্ধেক হয়ে গেছে, ইহাই উগ্রতা। বহুবার লিখেছি, আবারো লিখছি, প্রায় পঁচিশ বছর আগে এক বিজেপি নেতা আমেরিকায় এলে তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, একশো কোটি হিন্দুর দেশে তোমাদের হিন্দু হিন্দু করতে হয় কেন? তিনি বলেছিলেন, তোমরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে যদি ইসলাম ইসলাম করতে পারো, তবে আমাদের হিন্দু হিন্দু করলে দোষের কি? ইহাই সত্য। বাংলাদেশে আগে প্রচুর মানুষ ছিলো, এখন সবাই হিন্দু-মুসলিম, বৌদ্ধ, খৃষ্টান।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আরো একটি চমৎকার বিষয় হচ্ছে, ভারতে মুসলিমদের বাড়িঘরে হামলাকারীদের পরিচয় হিন্দুত্ববাদী আর বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণকারীরা দুর্বৃত্ত এবং যারা মুর্ক্তি ভাঙ্গে পুলিশের ভাষায় তাঁরা ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’। গুজরাট দাঙ্গার দু:খজনক অধ্যায় মানুষ ভুলেনি। সেখানেও আগে শবরমতি এক্সপ্রেসে আগুন দিয়ে ৫৯জন তীর্থফেরা যাত্রীকে হত্যা করা হয়েছিলো, যাদের মধ্যে ১৫জন শিশু ছিলো। তসলিমা নাসরিন বলেছেন, বাংলাদেশে দুই ধর্মীয় দলে মারামারি হয় না, দাংগা হয় না। বাংলাদেশে মুসলমান হিন্দুকে মারে। পাকিস্তানেও তাই। ভারতে দাংগা হয়। হিন্দু যেমন মুসলমানকে মারে, মুসলমানও হিন্দুকে মারে। দু দলই পাথর,পেট্রোল বোমা, পিস্তল হাতে নেয়। দাংগায় দু দলের লোকই মারা যায়। কোথাও কম, কোথাও বেশি।
তসলিমা নাসরিন আরো বলেছেন, বাংলাদেশ পাকিস্তানের অত্যাচারিত ভীত সন্ত্রস্ত হিন্দুদের জন্য ভারত তার উদার দরজা খুলে দিয়েছে। বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানেরও উচিত ভারতের অত্যাচারিত ভীত সন্ত্রস্ত মুসলমানের জন্য নিজেদের দরজা খুলে দেওয়া। ভারতের একজন নেতা ক’দিন আগে বলেছেন, এসব দাঙ্গাহাঙ্গামার কারণ ১৯৪৭-এ যথাযথ ‘জনসংখ্যা বিনিময়’ হয়নি, এখন সেটা হউক। হলে কি হবে? বাংলাদেশ বা পাকিস্তানে যত অ-মুসলমান আছে, সবাই ভারতে চলে যাবে। কিন্তু মুসলমান ভারত ছাড়বে না, কারণ তাঁরা জানে থাকার জন্যে অ-মুসলমান দেশ ভালো। জাতিসংঘের রেকর্ড অনুযায়ী বিশ্বে এখন ৮৬% শরণার্থী মুসলমান, এরা কেউ ৫৭টি মুসলমান দেশে যেতে চায়না বা তারাও নিতে চায়না, এরা থাকতে চায় ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা বা অষ্ট্রেলিয়ায়?
ভারতের অধিকাংশ মিডিয়ার ভূমিকা ন্যাক্কারজনক। যুক্তরাষ্ট্রের কিছু রাজনীতিবিদ ‘ইসলামোফোবিয়ার’ ভয়ে উল্টাপাল্টা বকছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। টরোন্টোর একজন বাঙ্গালী সাংবাদিক সওগত আলী সাগর লিখেছেন, দিল্লীতে কি কেবল অমানবিকতা, পৈশাচিকতাই দেখছি? মানবিকতার, মনুষ্যত্বের বিজয়গাঁথা কি দেখছি না! দিল্লীতে মুসলমানদের হত্যা করতে দেখছি, আবার মুসলমানদের বাঁচাতে জীবনবাজি রেখে দাঁড়িয়ে গেছে হিন্দু ধর্মাবলম্বী- সেই দৃশ্য কি দেখছি না? প্রশ্নটা হলো, আপনি কিভাবে দেখছেন? বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন আপনি দেখেন না, ভারতে মুসলমান নির্যাতন আপনার দৃষ্টি এড়ায় না? একজন প্রলয় ভট্টাচার্য্য, যিনি আগে বাংলাদেশে কমিউনিষ্ট পার্টি করতেন, এখন কলকাতায় ডাক্তারী করেন, তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন হলে ভারতে তার প্রতিক্রিয়া হবে। হ্যাঁ, এতদিন হয়নি, এখন হবে।
শিয়া ধর্মগুরু মৌলানা কলবে জাওয়াদ নকভি নাগরিকতা সংশোধন আইন নিয়ে বলেছেন, এটা নিয়ে মুসলিমদের অন্তরে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে বিরোধীরা এবং এই আন্দোলন থেকে মুসলমানদের উস্কানি দিয়ে বিরোধী দলগুলো সুবিধা নিয়েছে। বলিউড গায়ক আদনান সামি বলেছেন, ‘একজন মুসলিম হিসেবে আমি ভারতে নিজেকে সুরক্ষিত মনে করি।” যদিও নাসিরুদ্দিন শাহ বা আরো কেউ কেউ অন্য কথা বলেছেন, কিন্তু এরা কেউ পাকিস্তান যাবেন না! সৌদি আরবও না, ইরানও না, তবে ইউরোপ-আমেরিকায় যেতে পারেন। ফেনীর একজন সাব্বির আহমেদ বলেছেন তিনি বাংলাদেশ থেকে মালাউন (হিন্দু) তাড়াবেন এবং তার প্রজেক্টের নাম দিয়েছেন, ‘হিন্দুমুক্ত বাংলাদেশ’। ড. আনিসুজ্জমান, আবদুল গাফফার চৌধুরী, হাসান আজিজুল হক প্রমূখ দেশের প্রখ্যাত মানবতাবাতী বুদ্ধিজীবিগন এ’ বিষয়ে যে অত্যন্ত সময়োচিত, আশাব্যাঞ্জক বক্তব্য রেখেছেন, যাতে তাঁরা জাতির প্রতি বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সমপ্রীতি রক্ষার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন, আমরা এটিকে স্বাগত জানাই।
উপমহাদেশে সাম্প্রদায়িকতা নুতন কোন বিষয় নয়। ১৯৪৭ সালে মুসলমানরা বলেছিলো, হিন্দুদের সাথে থাকা যায়না। ১৯৪৭ থেকে ২০২০, এই ৭৩ বছরে দেখা যাচ্ছে, ভারতে মুসলমানরা দিব্যি হিন্দুদের সাথে থাকছেন, তাদের ঘরবাড়ী কেউ কেড়ে নিচ্ছেনা, নারীদের ধর্মান্তরিত করছে না, এবং তাঁরা বাংলাদেশ বা পাকিস্তানেও যাবেন না? পক্ষান্তরে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে হিন্দু বা অন্য সংখ্যালঘুরা মুসলমানদের সাথে থাকতে চাইলেও থাকতে পারছেন না, গত সাত দশক ধরে ভারতমুখী শরণার্থী কাফেলা বন্ধ হচ্ছেনা? ভারত সুযোগ দিলে এদের কেউ আর ওই দুই দেশে থাকবেন না? তাহলে দেখা যাচ্ছে, মুসলমানদের ১৯৪৭’র দাবিটি ভ্রান্ত ছিলো। বরং উল্টোটি সত্য? বিশ্বের ৫৭টি মুসলিম দেশ কি এই প্রমান বহন করেনা? মুসলমানরা যেখানে সংখ্যাগুরু, সেখানে কি অন্যরা থাকতে পারে? নাকি অন্যদের কোন অধিকার থাকে? তারপরও বলা যায়, উপমহাদেশে শান্তির জন্যে রাজনৈতিক নেতারা সমন্বিতভাবে চেষ্টা করতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, নরেন্দ্র মোদী, এবং ইমরান খান এক টেবিলে বসলে ক্ষতি কি? Give peace a try. # guh...@gmail.com;From: Zoglul Husain (zog...@hotmail.co.uk)
ফরিদা মজিদ, আপনি নাজমা মোস্তফার "মুজিববর্ষ না মোদিবর্ষ?" লেখাটায় ইসলাম বিদ্বেষ কোথায় পেলেন? তিনি লিখেছেন, ভারতের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আধিপত্যের উপর, ধর্ম বিষয়ে নয়। তা ছাড়া আমি যতদূর জানি, তিনি একজন ভক্ত ও নামাজি মুসলমান এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সমর্থক। তার লেখাটা আমার ভাল লেগেছে, সেটাই কি আমার অপরাধ? আমি নিজেই তো সব সময় ভারতীয় আধিপত্যের বিরোধিতা করে থাকি, কাজেই আধিপত্যবাদ-বিরোধী এ লেখাটা আমার ভাল লেগেছে। আপনি ঠিক বলেছেন আমার অল্প বিদ্যা, কিন্তু আমি অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী কখন করলাম, বা ইসলাম-বিদ্বেষ কখন করলাম? যা আমি কখনো করিনি, বরং আমি ইসলাম-বিদ্বেষের জোর বিরোধিতা করে থাকি।
আপনি যখন ইসলাম বিদ্বেষের বিরোধিতা করেন, তখন তো আমি সমর্থন করে থাকি। এমন কি গত আগস্টে আপনি যখন অন্য বিষয়ে আপনার লেখা একটি কবিতা পাঠিয়েছিলেন আমি তার উচ্চ প্রশংসা করেছিলাম। ২৪ আগস্ট ২০১৯ আপনাকে সম্বোধন করে আমি লিখেছিলামঃ
"আপনি লিখেছেন, "আমার কবিতার অংশের প্রতি আপনার কিঞ্চিৎ উদারতা প্রকাশে উৎসাহী হয়ে পুরো কবিতাটি পাঠালাম। ধৃষ্টতা মার্জনীয়।"
আমি ভালোকে ভালো বলতে ভালবাসি, এটা "কিঞ্চিৎ উদারতা" নয়। আপনার কবিতাটা সুন্দর, আমার ভালো লেগেছে। পুরো কবিতাটা পাঠানোর জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, "ধৃষ্টতা"র প্রশ্ন আসে না, তবে সেটাকে আমি বিনয় হিসাবে নিয়েছি, যা একটি মহৎ গুণ, আমি গুণীদেরকে সবিনয়ে সম্মান করি। আপনার কবিতায় বর্ণিত যে দুর্বিনীত, আত্মম্ভরী, জ্ঞানহীন, অন্তঃসারশূন্য বিদ্যার জাহাজকে চিত্রায়িত বা চরিত্রায়িত করেছেন, তাদের থেকে দূরে থাকি। আপনার কবিতাকে সুন্দর বলেছি এ কারণে যে, তার উপস্থাপনা, শৈলী, স্বাচ্ছন্দ্য, শব্দ চয়ন, প্রবাহ, ব্যঙ্গরস ও চমকদায়ী পরিশেষে সত্য প্রতিষ্ঠা -- আমার ভালো লেগেছে। আমি কবিতার আলোচক বা সমালোচক নই, সাধারণ ভাবে কেন ভালো লেগেছে তার অতি সাধারণ একটু বর্ণনা দিলাম। লিখেছেন, আপনার কবিতা সংকলন আছে, এইমাত্র গুগল করে দেখলাম, আপনি ইংরেজীতে দুটি ও বাংলায় একটি বই লিখেছেন, অভিনন্দন!
আপনার ইমেইলের যে অংশ আমার মনে গেঁথে গেছে, তা হচ্ছেঃ "সবচেয়ে সুন্দর শিক্ষা পেয়েছি পবিত্র কোর’আনে -- জিন-ফেরেস্তাদের লিডার, ইবলিসের মতো অত জ্ঞানী ও অত ধার্মিক আর কে ছিল ? তবু অহঙ্কার -- ‘আনা খায়রুন মিনহু “- I am better than him! -- নিয়ে এলো তার ষ্বর্গ চ্যুত পতন।" অহংকারের পতন কথাটা খুবই প্রচলিত। আপনি যেভাবে লিখেছেন, তাতে মনে দাগ কেটে যায়। এ কারণেই লিখেছি, আমার মনে গেঁথে গেছে। অন্তহীন শুভেচ্ছা।"
উপরের ইমেইলের উত্তর পাই নি। ব্যস্ততার মধ্যে আপনি তা পড়েছেন কি না, তা আমার জানা নেই। যাহোক, আমি ভালকে ভাল বলে থাকি এবং গুণীদেরকে সবিনয়ে সম্মান করে থাকি। ভাল থাকবেন।
From: Farida Majid <farida...@hotmail.com>
Sent: 13 March 2020 23:18
To: Outlook Team <zog...@hotmail.co.uk>; Nazma Mustafa <naz...@yahoo.com>; Jalal Khan <juk...@gmail.com>; AbidBahar PostCard <abahar...@gmail.com>; Sabria Chowdhury Balland <sabriac...@gmail.com>; Khalifa Malik <kmama...@gmail.com>; mga...@gmail.com <mga...@gmail.com>; pfc-f...@googlegroups.com <pfc-f...@googlegroups.com>; Javed Helali <jhela...@yahoo.com>; Taj Hashmi <tajh...@gmail.com>; S Seraji <sser...@yahoo.com>; n...@agni.com <n...@agni.com>; Mahmudur Rahman <mrahma...@gmail.com>; Sameer Syed <ams...@aol.com>; Dr. Farida Hossain <druhf...@gmail.com>; Mohammad Ashrafi <fash...@yahoo.com>
Subject: Re: {PFC-Friends} Re: মুজিববর্ষ না মোদিবর্ষ?
কি নিলজ্জ জঘন্য মোনাফেকী !
এই অল্পবিদ্যা-ভয়ঙ্করী ”উত্তর-আধুনিক” ইসলাম-ঘৃণা কে উচ্ছসিত প্রশংসা --
From: Zoglul Husain (zog...@hotmail.co.uk)
ধন্যবাদ, রানু ভাই। আপনি ঠিকই বলেছেন, নাজমা মোস্তফা বোনের লেখাটি চমৎকার।
বাপরে ! কি দারুন উত্তর-আধুনিক ! ইন্টারনেট- উইকিপিডিয়া দিগগজ ! ভিরমি খাওয়ার মতো . . .<< ইন্টারনেটে আপলোড করা একটি ডিবেইট আমার মনে একটি নাড়া সৃষ্টি করে। “ইসলাম ইজ নট এ পিসফুল রিলিজিয়ন” সেখানে আইয়ান হিরসি আলী নামের সোমালিয়ান এক ইসলাম ত্যাগী মহিলার অবস্থান অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের তসলিমার সাথে তুলনীয় হতে পারে। মিডিয়াতে সাহসী মেয়ের টাইটেল পাওয়া ধর্মত্যাগী এ মেয়ে, ধর্মের অনাচার খুলে দিতে বদ্ধপরিকর। অনেকেই ধর্ম জানতে তার দ্বারস্থ হচ্ছেন। কারণ সে দ্বার ভেঙ্গে বের হয়েছে, সবাই ধরে নিচ্ছেন সে সম্ভবত ধর্মের সব খবরই জানে ভাল। তাদের কাছে সে হচ্ছে এ সময়ের বড় ধর্মবেত্তা। সে যদি ধর্ম বুঝতে পারতো, তবে এ ধর্ম তাকে ত্যাগ করতে হতো না। ধর্ম তার জীবনে আমৃত্যু অষ্টেপৃষ্টে লেগে থাকতো। তার কথা শুনে মনে হলো ধর্ম জানতে তাকে আরো বহু বছর সাধনা করতে হবে হয়তো, যদিও সে ধৈর্য্য সে ধারণ করতে পুরোপুরিই ব্যর্থ হয়েছে বলেই হয়েছে ধর্মত্যাগী। >>
এ সব মিথ্যা প্রচারনা কেন মেনে নেবো ? এরা সমাজে অনর্থক ভেদাভেদ সৃষ্টি করছে ।বাংলাদেশ বহুভাষিক, বহুধার্মিক দেশ -- সেখানে কেবল একটা বিশেষ ধর্মের প্রতি ঘৃণা-বিদ্বেষ পোষণ করা,
আর সেই ঘৃণা প্রচার করা অনৈতিক, অগণতান্ত্রিক, এবং অসাংবিধানিক কর্মকান্ড ।
From: pfc-f...@googlegroups.com <pfc-f...@googlegroups.com> on behalf of RANU CHOWDHURY <ran...@hotmail.com>
Sent: Friday, March 13, 2020 11:45 PM
To: Outlook Team <zog...@hotmail.co.uk>; Nazma Mustafa <naz...@yahoo.com>; Jalal Khan <juk...@gmail.com>; AbidBahar PostCard <abahar...@gmail.com>; Sabria Chowdhury Balland <sabriac...@gmail.com>; Khalifa Malik <kmama...@gmail.com>; mga...@gmail.com <mga...@gmail.com>; na...@googlegroups.com <na...@googlegroups.com>; pfc-f...@googlegroups.com <pfc-f...@googlegroups.com>; Javed Helali <jhela...@yahoo.com>; Taj Hashmi <tajh...@gmail.com>; S Seraji <sser...@yahoo.com>; la-dis...@googlegroups.com <la-dis...@googlegroups.com>; n...@agni.com <n...@agni.com>; Mahmudur Rahman <mrahma...@gmail.com>; Sameer Syed <ams...@aol.com>; Dr. Farida Hossain <druhf...@gmail.com>; Mohammad Ashrafi <fash...@yahoo.com>
Subject: {PFC-Friends} Re: মুজিববর্ষ না মোদিবর্ষ?
ধন্যবাদ, জগলুল ভাই। আপনার লেখগুলো আগেও পড়েছিলাম। পুনঃ সঞ্চালনের জন্য ধন্যবাদ। যাদের অতীত ঘটনাবলির ধারনশক্তি কম, বা ইচ্ছাকৃত বিস্মৃতি, তাদেরকে বার বার ছবক দিতে হয়।
From: Outlook Team <zog...@hotmail.co.uk>
Sent: Friday, March 13, 2020 1:01 PM
To: RANU CHOWDHURY <ran...@hotmail.com>; Nazma Mustafa <naz...@yahoo.com>; Jalal Khan <juk...@gmail.com>; AbidBahar PostCard <abahar...@gmail.com>; Sabria Chowdhury Balland <sabriac...@gmail.com>; Khalifa Malik <kmama...@gmail.com>; mga...@gmail.com <mga...@gmail.com>; na...@googlegroups.com <na...@googlegroups.com>; pfc-f...@googlegroups.com <pfc-f...@googlegroups.com>; Javed Helali <jhela...@yahoo.com>; Taj Hashmi <tajh...@gmail.com>; S Seraji <sser...@yahoo.com>; la-dis...@googlegroups.com <la-dis...@googlegroups.com>; n...@agni.com <n...@agni.com>; Mahmudur Rahman <mrahma...@gmail.com>; Sameer Syed <ams...@aol.com>; Dr. Farida Hossain <druhf...@gmail.com>; Mohammad Ashrafi <fash...@yahoo.com>
Subject: Re: মুজিববর্ষ না মোদিবর্ষ?
From: Zoglul Husain (zog...@hotmail.co.uk)
ধন্যবাদ, রানু ভাই। আপনি ঠিকই বলেছেন, নাজমা মোস্তফা বোনের লেখাটি চমৎকার। বিশেষ করে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, হাসিনা মুজিব বর্ষ পালন করছেন, না কি মোদি বর্ষ পালন করছেন? তিনি রবীন্দ্রনাথের সার্ধশত (১৫০ তম) জন্মবর্ষের উদযাপনের কথা উল্লেখ করে, ভারতের কাছে এই সরকারের রাজনৈতিক দাসত্ব ও সাংস্কৃতিক দাসত্বের কথা তুলে ধরেছেন।
মুজিব সম্বন্ধে আমি গতবছর ইমেইলে লিখেছিঃ
"মুজিবকে বঙ্গশত্রু উপাধি দিয়েছিলেন মতিয়া। তিনি মুজিবের চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাজাতে চেয়েছিলেন এবং তার চামড়া দিয়ে জুতা বানাতে চেয়েছিলেন। মুজিবকে হত্যার পর ইনু সেনা ট্যাংকে উঠে উল্লাসে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি ছুড়ে আনন্দ করেন। মুজিব আমলের সেনাপ্রধান শফিউল্লাহ বলেন, শেখ মজিব হত্যার সাথে হাসিনার ফুফাতো ভাই শেখ সেলিমও জড়িত আছে। শাহরিয়ার কবির লেখেন, মুজিব আর বঙ্গবন্ধু নয়, এখন থেকে মুজিব জনশত্রু। কর্নেল তাহের বলেন, মুজিবের লাশ বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করতে, কারণ বাংলাদেশে তার কবর হলে আ'লীগ তা মাজার বানাবে। মেননের দল বিবৃতি দেয়, ‘মুজিবের মৃত্যুতে জনগণ উল্লসিত। তার মৃত্যু কারো মনে সামান্যতম সমবেদনা বা দুঃখ জাগায়নি, জাগাতে পারে না।’ ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সেনা সদস্যরা মুজিবের বাড়িতে আসলে মুজিব সেনাপ্রধান শফিউল্লাহ, রক্ষীবাহিনীর রাজনৈতিক প্রধান তোফায়েল সহ অনেককেই ফোন করেছিলেন, কেউ আসেন নি, কর্নেল জামিল ছাড়া, কর্নেল জামিল নিহত হন। শফিউল্লাহ মুজিবকে বলেছিলেন পাচিল টপকিয়ে পালিয়ে যেতে।
১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সেনা-জনতার অভ্যুত্থানে মুজিবের মৃত্যু হলে সেদিন তার মাগফিরাত কামনা করার জন্য লোক খুঁজে পাওয়া যায় নি। তার স্পীকার আব্দুল মালেক উকিল লন্ডনে বলেন, দেশ ফেরাউনের হাত থেকে মুক্ত হয়েছে। সাবেক স্পীকার ও সাবেক বিদেশ মন্ত্রী হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী পরবর্তীতে বলেন, একশবার মুজিবের ফাঁসী হলেও তার পাপ মুক্তি হবেনা। তার মৃতদেহ যখন সিঁড়িতে পড়েছিল তখন ফনি ভূষণ মজুমদার ও মনরঞ্জন ধর সহ তার ১৮ মন্ত্রীর ১০ জন এবং ৯ জন প্রতি-মন্ত্রীর ৮ জন মোশতাক মন্ত্রী সভায় যোগ দেন, বাকিদের মধ্যে মুজিবের ৪ মন্ত্রীদের কারাগারে পাঠানো হয়, ৩ জন বিদেশে ছিলেন। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এইচ টি ইমাম। মুজিবের জানাজায় উপস্থিত ছিলেন ১৮ জন, হাসিনা পরে বিবিসিকে বলেন, ১০-১৮ জন। ইত্যাদি, ইত্যাদি।"
মুজিবের শাসন সম্বন্ধেও আমি গতবছর ইমেইলে লিখেছিঃ
"মুজিব সরকার ৩০ হাজার দেশপ্রেমিক হত্যা করে। তাদের অপশাসনে দেশে নেমে আসে নির্বিচার হত্যা, নিপীড়ন, নির্যাতন, লুণ্ঠন, দখলবাজী, সীমান্ত পাচার ইত্যাদির বিভীষিকা। তাদের অপশাসন, লুণ্ঠন, কালোবাজারী, সীমান্তপাচারের ফলে দেশে ১৯৭৪-এ যে মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ ঘটে তার প্রত্যক্ষ ফলে মৃত্যু হয় ৫ লক্ষ মানুষের এবং পরোক্ষ ফলে মৃত্যু হয় আরও ১০ লক্ষ মানুষের। অন্যদিকে, মুজিব ক্ষমতায় থাকার জন্য ভারতের হাতে দেশের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দেন। এ অবস্থায় সরকার যখন চরম গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে তখন মুজিব নিজের হাতে সর্বময় ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য বাকশাল গঠন করেন।
১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি বাকশালী শাসনের শুরু হয়। সেদিন জাতীয় সংসদের মাত্র ১১ মিনিট স্থায়ী অধিবেশনে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী পাস করা হয়, যার বলে মুজিব প্রধানমন্ত্রী না থেকে আজীবন রাষ্ট্রপতি হন, সংসদীয় পদ্ধতি বাতিল হয়ে রাষ্ট্রপতি পদ্ধতি প্রবর্তিত হয় এবং সকল রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করে দেশে বাকশাল নামক একটি মাত্র দল প্রতিষ্ঠা করা হয়। মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। বাকশালের গণসংগঠন ছাড়া অন্যসব গণসংগঠন নিষিদ্ধ হয়। সরকার নিয়ন্ত্রিত চারটি দৈনিক ছাড়া দেশের সকল সংবাদপত্র নিষিদ্ধ হয়ে যায় ১৬ জুন।
হাসিনা আবার বাকশালের কথা তুলেছেন। প্রকৃতপক্ষে ২০০৯ সাল থেকেই হাসিনা অঘোষিত বাকশাল চালাচ্ছেন। মনে হয় তিনি বুঝতে পারছেন যে তিনি ও তার দল চরম গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। কাজেই আবারও ক্ষমতা এক হাতে কুক্ষিগত করার জন্য রাষ্ট্রপতি ব্যবস্থা ও একদলীয় ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে চাচ্ছেন, যাতে তিনি আজীবন রাষ্ট্রপতি হতে পারেন।
বাকশাল-ভারতের সেবাদাস কালের কণ্ঠের বিশ্লেষক ও গবেষক আব্দুল মান্নান যতই চুনকাম করার চেষ্টা করুন না কেন, হিটলার মুসলিনিদেরকে তিনি যেমন গৌরবান্বিত করতে পারবেন না, তেমনি মুজিবকেও নয়। আমি আগে লিখেছিলামঃ
"১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সেনা-জনতার অভ্যুত্থানে মুজিবের মৃত্যু হলে সেদিন তার মাগফিরাত কামনা করার জন্য লোক খুঁজে পাওয়া যায় নি। তার স্পীকার আব্দুল মালেক উকিল লন্ডনে বলেন, দেশ ফেরাউনের হাত থেকে মুক্ত হয়েছে। সাবেক স্পীকার ও সাবেক বিদেশ মন্ত্রী হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী বলেন, একশবার মুজিবের ফাঁসী হলেও তার পাপ মুক্তি হবেনা। অনেক আগেই মতিয়া বলেছিলেন, মুজিবের চামড়া দিয়ে ঢোল বানিয়ে তিনি মুজিবের 'হাড্ডি' দিয়ে ডুগডুগি বাজাবেন। ইনু তার মৃত্যুতে ট্যাংকের উপর উঠে নাচানাচি করেছিলেন। তাহের বলেছিলেন তার দেহ বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করতে, কারণ দেশে কবর হলে বাকশালীরা তা মাজার বানাবে। তার মৃতদেহ যখন সিঁড়িতে পড়েছিল তখন ফনি ভূষণ মজুমদার ও মনরঞ্জন ধর সহ তার ১৮ মন্ত্রীর ১০ জন এবং ৯ জন প্রতি-মন্ত্রীর ৮ জন মোস্তাক মন্ত্রী সভায় যোগ দেন, বাকিদের মধ্যে মুজিবের ৪ মন্ত্রীদের কারাগারে পাঠানো হয়, ৩ জন বিদেশে ছিলেন। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এইচ টি ইমাম। মুজিবের জানাজায় উপস্থিত ছিলেন ১৮ জন। ইত্যাদি, ইত্যাদি।"
আধিপত্যবাদের সেবাদাস ফ্যাসিবাদী হাসিনার জন্যও মানুষের একই ধরনের মনোভাব রয়েছে, তার জন্য নির্ধারিত রয়েছে ইতিহাসের আস্তাকুড়।"
ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদকে আমরা অবশ্যই পরাভূত করবো।
From: RANU CHOWDHURY <ran...@hotmail.com>
Sent: 13 March 2020 03:16
To: Nazma Mustafa <naz...@yahoo.com>; Zoglul Zoglul <zog...@hotmail.co.uk>; Jalal Khan <juk...@gmail.com>; AbidBahar PostCard <abahar...@gmail.com>; Sabria Chowdhury Balland <sabriac...@gmail.com>; Khalifa Malik <kmama...@gmail.com>; mga...@gmail.com <mga...@gmail.com>; na...@googlegroups.com <na...@googlegroups.com>; pfc-f...@googlegroups.com <pfc-f...@googlegroups.com>; Javed Helali <jhela...@yahoo.com>; Taj Hashmi <tajh...@gmail.com>; S Seraji <sser...@yahoo.com>; la-dis...@googlegroups.com <la-dis...@googlegroups.com>; n...@agni.com <n...@agni.com>; Mahmudur Rahman <mrahma...@gmail.com>; Sameer Syed <ams...@aol.com>; Dr. Farida Hossain <druhf...@gmail.com>; Mohammad Ashrafi <fash...@yahoo.com>
Subject: Re: মুজিববর্ষ না মোদিবর্ষ?
ধন্যবাদ, বোন নাজমা, আরেকটি চমৎকার লেখা উপহার দেবার জন্য।
বলতে শুনেছি, চেনা বামনের পৈতার দরকার হয় না। শেখ মুজিবের গায়ে গলায় মাথায় পাতায় পৈতার ছড়াছড়ি দেখে লোকে কী মনে করতে পারে? পরিচয় করাতে এতসব পৈতার দরকার ? যেসব কোমোল মতি ছেলেমেয়ে, বাচ্চাদের নিয়ে এসব পুজা- পার্বণ, পৈতা পরানো হচ্ছে, তারাই বা কি শিখছে ? খবর ও ভিডিও ক্লিপ এর বদৌলতে যা দেখতে পাই তাতে ভাবি আমরা কি পৌত্তলিক জামানায় ফিরে গেছি ?
আপনার লেখায় মুজিবের কিছু অপকর্ম উল্লেখ আছে । সেসব ঢাকার জন্যই কি হাজার হাজার কোটি টাকার জনখরচে এতোসব পৈতা পার্বণের আয়োজন ? মুরুব্বী জনগন নিশ্চয়ই মুজিবের "সোনালী" আমল এবনং ১৫ ই অগাস্ট ৭৫ ভুলে যাননি । কী ছিল বাংলাদেশের হাল হকিকত তখন ? কেন জনগণ আনন্দ উৎসবে ফেটে পড়েছিল মুজিবের পতন শুনে? কোথায় ছিল এসব পুজাগিরি, পৈতাগিরি যখন মুজিবের লাশ তার সিঁড়িতে গড়াগড়ি খাচছিল? কেউ শুনেচে ইন্নলিল্লাহ ? কেউ দেখেছে এক্টুখানি চোখের পানি ?
জনরোষ হোক আর করনা হোক, মোদীকে আপাতত ঠেকানো গেল। কিন্তু মুজিববাদী বাকশালেীরা হাল ছেড়ে দেয় নি। তাদের কথাবার্তায় তাই মনে হচছে তারা এই মুসলিম খুনিকে মুসলমান দেশে এনে প্রমান করবে তারা মোদীর চইতে কম যায় না । আল্লাহ বাংলাদেশকে এসব শেরকি বেদাতি জালিম থেকে রক্ষা করুক।
From: Nazma Mustafa <naz...@yahoo.com>
Sent: Friday, March 13, 2020 1:09 AM
Subject: মুজিববর্ষ না মোদিবর্ষ?
--
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "PFC-Friends" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to pfc-friends...@googlegroups.com.
To view this discussion on the web visit https://groups.google.com/d/msgid/pfc-friends/BY5PR10MB3746E5FC28881F59B82AD0E6C3FA0%40BY5PR10MB3746.namprd10.prod.outlook.com.
--
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "PFC-Friends" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to pfc-friends...@googlegroups.com.
To view this discussion on the web visit https://groups.google.com/d/msgid/pfc-friends/65696596-6B7A-43A7-86DF-083E95CD4C57%40yahoo.com.
Jugasankha, Wednesday, 11 March 2020, Kolkata:
উপমহাদেশে শান্তির জন্যে শেখ হাসিনা, নরেন্দ্র মোদী, এবং ইমরান খান এক টেবিলে বসলে ক্ষতি কি?
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এনআরসি, সিএএ এবং দিল্লির সহিংসতা
শিতাংশু গুহ, ১০মার্চ ২০২০, নিউইয়র্ক।।এনআরসি আসলে কি? বাংলাদেশে ‘জাতীয় পরিচয় পত্র’ দেয়া হয়েছিলো, তা আমরা সবাই জানি। এনআরসি বিষয়টি অনেকটা সেইরকম, ভারত এর সকল নাগরিককে একটি পরিচয়পত্র দিতে চাইছে। তাহলে বিরোধিতা কেন? বলা হচ্ছে, নাগরিকত্ব প্রমান হবে কিভাবে? মুসলমানরা কিভাবে নাগরিকত্ব প্রমান করবেন? বাংলাদেশে হিন্দুদের নাগরিকত্ব প্রমানে কি অসুবিধা হয়েছে? হয়নি। তেমনি, ভারতের মুসলমানদেরও অসুবিধা হবার কথা নয়। অসুবিধা হবে, যাঁরা অনুপ্রবেশকারী, তাদের। মনে পড়ে কি, বাংলাদেশে জাতীয় পরিচয় পত্র দেয়ার পর এক কোটি ভুয়া ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েছিলো? ভারতও এই ভুয়া ভোটারদের বাদ দিতে চাইছে। এতে আমরা বাংলাদেশিদের কি সমস্যা তা আমি বুঝতে অক্ষম!
সিএএ আসলে কি মুসলমানদের বিপক্ষে? এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে অত্যাচারিত সংখ্যালঘুদের ভারত নাগরিকত্ব দেবে। এই তিনটি দেশ থেকে সংখ্যালঘুরা অত্যাচারিত হয়ে ভারতে গেছেন, এতে তো কারো সন্দেহের কারণ নেই? পাকিস্তান এর পুরো সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে খেদিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশ অর্ধেক খেদিয়েছে। অথচ মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি অনুযায়ী একজন হিন্দুরও দেশত্যাগ করার কথা ছিলোনা! কিন্তু করেছে, বাধ্য হয়ে করেছে। আফগানিস্তান থেকে কম শরণার্থী এসেছে। ভারত এই লোকগুলোকে নাগরিকত্ব দিলে বাংলাদেশের ক্ষতি কি? আমাদের ক্ষতি হতো, যদি ভারত এদের পুশব্যাক করতো। আমাদের তো সিএএ-কে স্বাগত জানানো উচিত।
এবার দেখা যাক, সিএএ-তে মুসলমানের কি ক্ষতি হচ্ছে। প্রথমত: ভারতের মুসলমানদের কথা তো এখানে নেই? তারা যেমন আছেন, তেমনি থাকবেন। ভারতের একজন মুসলমান নেতা যথার্থ বলেছেন, ‘আমরা বুঝিনি, বিরোধীরা আমাদের দিয়ে এ আন্দোলন করিয়েছে’। বাংলাদেশের মানুষের এ নিয়ে মাথাব্যথা কেন? পাকিস্তান বা আফগানিস্তান থেকে সাধারণ মুসলমান খুব একটা ভারতে আসেন না, বাংলাদেশ থেকে যান! এঁরা অত্যাচারিত হয়ে যাননি, বা শরণার্থী নন, অনুপ্রবেশকারী? এখন বাংলাদেশের অর্থনৌতিক অবস্থা ভালো, আগে তা ছিলোনা, মানুষ তাই গেছে। সীমান্ত অঞ্চলে প্রচুর বাংলাদেশী উভয় দেশের ভোটার। সবই ভোটের খেলা! বলা হচ্ছে, মমতার এক কোটি ভুয়া ভোটার আছে!! ভারত এই ভুয়া ভোটার বাদ দিতে চাইছে। আমাদের তাতে অসুবিধা কোথায়? সর্বোপরি, সরকার বা আমরা সবাই বলছি, বাংলাদেশ থেকে একজন মুসলমানও ভারত যায়নি। তাই যদি হয়, তাহলে তো আমাদের কথা বলার কোন প্রয়োজনই নেই?
এ কথার পরও বলা যায়, ভারতের মুসলমানরা আন্দোলন করতেই পারেন। আমরা তাতে নাক গলাই কেন? দিল্লিতে আন্দোলনটি যতদিন শান্তিপূর্ণ ছিলো ততদিন এনিয়ে বহির্বিশ্ব তেমন মাথা ঘামায় নি! প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন ভারত গেলেন, ঠিক তখনই আন্দোলন হিংসাত্নক হলো কেন? এজন্যে অনেকে মোদিকে দায়ী করছেন। আচ্ছা, বাংলাদেশে যদি ট্রাম্প যেতেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কি চাইতেন তখন হিংসাত্মক আন্দোলন হউক? চাইতেন না, কোন রাষ্ট্র বা সরকার প্রধান তা চাননা। ভারত ও তাঁর সরকারের সুনাম রক্ষায় মোদিও তা চাননি। তাহলে এই হিংসাত্মক ঘটনা ঘটিয়েছে কারা? দেশবিরোধী, সরকার বিরোধী শক্তি, এরা মুসলমানদের ব্যবহার করেছে। মনে রাখতে হবে, সিএএ/এনআরসি একজন মানুষের নাগরিকত্ব কেঁড়ে নেয়নি, কিন্তু শান্তিপূর্ণ আন্দোলন(!) ৫২টি জীবন কেঁড়ে নিয়েছে। এই দায় কার?
দিল্লি সহিংসতার ঘটনাটি দু:খজনক। সেখানে ঠিক কি ঘটেছিলো তা অস্পষ্ট, তবে ধীরে ধীরে জট খুলছে। প্রশ্ন উঠেছে, দিল্লি সহিংসতার মুলে কি নাগরিকত্ব আইন নাকি সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ? প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন ভারতে অবস্থান করছেন, বিশ্ব মিডিয়ার দৃষ্টি যখন দিল্লির দিকে, ঠিক তখনি এই হত্যাযজ্ঞ কি পরিকল্পিত? কারা এর পেছনে? ইন্ডিয়া টুডে বলেছে, এটি আগেভাগে পরিকল্পিত। এতো ইট, কাচের বোতল আমদানি, মলটভ ককটেল, পেট্রোল বোমা প্রমান করে যে ঘটনা স্বত:ফূর্ত নয়? সিসিটিভি ক্যামেরা-ফুটেজ, ব্যাঙ্ক ট্র্যানজেকশন রেকর্ড এবং প্রত্যক্ষদর্শী বিবরণে যা আসছে, তাতে দেশ-বিদেশের ধর্মীয় উগ্রপন্থীদের যোগসূত্র পাওয়া যাচ্ছে।
পুলিশ অফিসার অংকিত শর্মার মৃতদেহ ড্রেন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পোষ্টমর্টেমে ডাক্তাররা ঘাবড়ে যান, তার দেহে ৪০০ ছুরিকাঘাতের চিহ্ন। কতটা জিঘাংসা থাকলে এটি সম্ভব? জিঘাংসাটা কিসের? আমার জন্ম বাংলাদেশে। নিজেকে তাই প্রশ্ন করি, বাংলাদেশে হিন্দুর হাতে যদি দু’জন পুলিশ খুন হতো, তাহলে কি হতো? এই ঘটনায় আপ নেতা তাহির হোসেন’র নাম এসেছে। তিনি একজন রাজনৈতিক নেতা। তাঁর ভিডিও ফুটেজ দেখে মনে হয় তিনি একজন সন্ত্রাসী? বিজেপি নেতা সুব্রাহ্মনিয়াম স্বামী অভিযোগ করেছেন, তাহিরের সাথে বাংলাদেশের সন্ত্রাসীদের যোগাযোগ আছে এবং তিনি এদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিতেন। দাঙ্গায় উস্কানি দেয়ায় কংগ্রেস নেত্রী ইসরাত জাহান গ্রেফতার হয়েছেন।
এই আন্দোলনে উস্কানি কি আগাগোড়াই ছিলো না? শান্তিপূর্ণ সমাবেশে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ শ্লোগান উঠে কি করে? ভারত ভাঙ্গার কথা উচ্চারিত হয়নি? শিলিগুড়ির ‘চিকেন নেক’ বিচ্ছিন্ন করার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ওয়াসির পাঠান-র ১৫কোটি মুসলিম ঐক্যবদ্ধ হয়ে ১০০ কোটি হিন্দুকে শিক্ষা দেয়ার ভিডিও কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়? পুলিশের উপর গুলি চালানো কট্টরপন্থী মহম্মদ শাহরুখ কাদের লোক? দাঙ্গায় মৃতের সংখ্যা কত? এঁরা কারা। কতজন হিন্দু ও শিখ বেশি মরেছেন এ প্রশ্ন কেন? মরেছে, মানুষ। অর্থহীন এই মৃত্যু। কেন? বিহারের এক মোল্লার ভিডিও মোদী-শাহ-কে শিক্ষা দেবো, ভারতের অর্থনীতি বরবাদ করে দেবো, কোন শান্তির কথা নয়! প্রকাশ্যে রামদা হাতে নিয়ে মোদিকে হত্যার হুমকি উস্কানি বটে!
সিএএ ঠিক কোন জায়গাটায় মুসলমানদের বিরুদ্ধে তা কিন্তু স্পষ্ট নয়? অথচ এর নামে দাঙ্গা চললো। বাংলাদেশে হেফাজতে ইসলাম শাপলা চত্বরে একই কায়দায় আন্দোলন চালিয়েছিল, শেখ হাসিনা সেটি কঠোর হস্তে দমন করেছিলেন। ভারত সেটি না করে ভুল করেছে। করলে এতগুলো প্রাণ যেতোনা। এই আন্দোলনের সুযোগে জমিয়ে মাদ্রাসার ছাত্রের মৃত্যু’র ভুয়া সংবাদ, নাম না জানা অভিনেত্রী স্বরে ভাস্করকে আমদানি করে ভুয়া তথ্য প্রকাশ, মুর্শিদাবাদ-উলুবেড়িয়ায় ছোটখাট দাঙ্গা ঘটানো, সবই হলো। জনৈক ৫১ বছর বয়সী বিনোদ কুমার উত্তরপূর্ব দিল্লির ব্রহ্মপুরী এলাকায় ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে নিহত হলেন। তাঁর ২৫ বছর বয়সী ছেলে নীতিন কুমার দারুণ আহত অবস্থায় শয্যাশায়ী। তাদের অপরাধ, তাদের হোন্ডায় লেখা ছিলো, ‘জয় শ্রীরাম’।
দিল্লি দাঙ্গায় ভারতে একটি মসজিদের ওপর হামলা হয়েছে। উপমহাদেশে ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলা কি নুতন ঘটনা? আফগানিস্তানে বহিমিয়ান বৌদ্ধমন্দির ভেঙ্গে তো লঙ্কাকান্ড হয়ে গেছে। মোঘল আমলে মন্দির আক্রমন উৎসব ছিলো। ভারতবর্ষে অধিকাংশ পুরানো মসজিদ ভাঙ্গা মন্দিরের ওপর প্রতিষ্ঠিত! মাটি খুঁড়লেই এর প্রমান মিলে! বাংলাদেশের একটি মন্দিরও খুঁজে পাওয়া যাবেনা, যেটি আক্রান্ত হয়নি। ঢাকেশ্বরী, রমনা, কান্তজীর মন্দির, কোনটি নয়? মসজিদের মাইকে হিন্দু বাড়ী আক্রমণের আহবানও নুতন কিছু নয়। অথচ এবারকার মসজিদে আক্রমের ঘটনায় বাংলাদেশে মানুষের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। আপনি যদি বাংলাদেশে অব্যাহত সংখ্যালঘু নির্যাতন বা মন্দির/মুর্ক্তি ভাঙ্গার প্রতিবাদ না করে থাকেন, তাহলে আপনি ভারতের সংখ্যালঘু বা মসজিদে হামলার প্রতিবাদ করার কোন অধিকার কি আপনার আছে? শুক্রবার, ০৬ মার্চ ২০২০, দুপুরে জুমার নামাজ শেষে চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে হেফাজত। সেখানে হিন্দুদের সকল মন্দির জ্বালানোর হুমকি আহবান জানানো হয়: ভিডিও: https://www.facebook.com/hindumedia1/videos/483440072545087/
একজন আনোয়ারুল করিম খান আনাস একটি চমৎকার পোস্টিং দিয়ে বলেছেন, “খারাপ লাগছেনা? খুউব খারাপ লাগতেছে। একটা হনুমান সেনা মসজিদে আগুন লাগিয়ে মিনারে উঠে চাঁদ তারা ভেঙ্গে তাতে হনুমান সেনার পতাকা লাগায়ে দিছে। আমারও খারাপ লাগতেছে। তবে চিন্তার কোনো কারন নাই। ভাঙ্গাভাঙ্গিতে আমাদের বাঁদর সেনারা কম যায়না। তারা দেশ স্বাধীন হবার আগে থেকে মন্দির আর প্রতিমা ভেঙ্গে আসতেছে, তাও পূজোর সময়৷ উই আর উইনিং! বুঝতেছেন এখন? ৯০% মুসলমানদের এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশে হিন্দুরা কি 'স্বর্গ সুখে' বাস করে? দিল্লির মুসলিমদের আতংকটা বুঝতেছেন? বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এই আতংকের মধ্যে জন্ম নেয়, বড় হয়, জীবন যাপন করে। দিল্লীতে এই সাম্প্রদায়িক নগ্ন হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। নিন্দা জানাই বাংলাদেশের মন্দির ও পুজার সময় মুর্তি ভাঙ্গার উৎসবকেও”।
কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছিলেন: "দেখিলাম, আল্লার মসজিদ আল্লাহ আসিয়া রক্ষা করিলেন না, মা-কালীর মন্দির কালী আসিয়া আগলাইলেন না! মন্দিরের চূড়া ভাঙিল, মসজিদের গম্বুজ টুটিল! আল্লার এবং কালীর কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া গেল না। আকাশ হইতে বজ্রাঘাত হইল না মুসলমানদের শিরে, ‘আবাবিলের’ প্রস্তর-বৃষ্টি হইল না হিন্দুদের মাথার উপর। এই গোলমালের মধ্যে কতকগুলি হিন্দু ছেলে আসিয়া গোঁফ-দাড়ি-কামানো দাঙ্গায় হত খায়রু মিয়াঁকে হিন্দু মনে করিয়া ‘বলো হরি হরিবোল’ বলিয়া শ্মশানে পুড়াইতে লইয়া গেল, এবং কতকগুলি মুসলমান ছেলে গুলি খাইয়া হত দাড়িওয়ালা সদানন্দ বাবুকে মুসলমান ভাবিয়া ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ পড়িতে পড়িতে কবর দিতে লইয়া গেল। মন্দির এবং মসজিদ চিড় খাইয়া উঠিল, মনে হইল যেন উহারা পরস্পরের দিকে চাহিয়া হাসিতেছে!".হুমায়ূন আজাদ লিখেছেন, ‘মসজিদ ভাঙ্গে ধার্মিকরা, মন্দির ভাঙ্গে ধার্মিকরা, তারপরও তারা দাবি করে আমরা ধার্মিক; আর যারা ভাঙ্গাভাঙ্গিতে নেই তারা অধার্মিক বা নাস্তিক’। সেই অমর কাব্য, ‘হিন্দু না ওরা মুসলিম? ওই জিজ্ঞাসে কোন জন? কান্ডারী! বল, ডুবিছে মানুষ, সন্তান মোর মার…’।
ভারত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। এর কোন রাষ্ট্রধর্ম নেই। সেখানে ধর্মনিরপেক্ষতা বিদ্যমান। যারা নিজের দেশে ধর্মনিরপেক্ষতাকে ‘কুফরী’ মতবাদ বলে ফতোয়া দেন, তাদের মুখে ভারতের সমালোচনা মানায় কি? যাদের হাত নিজের দেশের সংখ্যালঘুর রক্তে রঞ্জিত, তাঁরা অন্য দেশের সংখ্যালঘু নিয়ে মাথা না ঘামালেও চলবে। ভারত ও পাকিস্তানের মানুষ কট্টর মুসলমান হলে ভারতের হিন্দুরা স্যেকুলার থাকবেন, সেটি আশা করা সম্ভবত: এখন বিলাসিতা মাত্র। বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলে ১৯৪৬-এ ডাইরেক্ট একশনের নামে হিন্দু নিধন হয়েছে, নোয়াখালী রায়ট, ১৯৫০’র দাঙ্গা, ১৯৬৪’র দাঙ্গা, ১৯৭১’এ টার্গেট করে হিন্দু হত্যা, ১৯৭৫-২০২০ পর্যন্ত অগণিত ছোটখাট দাঙ্গা, মন্দির-মুর্ক্তি ভাঙ্গা, শত্রূ-সম্পত্তি আইন, রমনা কালীবাড়ি দখল, বসতবাড়ি, ব্যবসা-বাণিজ্য দখল, নাবালিকা অপহরণ, ধর্মান্তর, সবই একপেশে।
ভারতের সেক্যুলারিজম এতকাল মুখ্যত ছিলো ‘মুসলিম তোষণ’, ভারতবাসী এখন এ থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে। ভারতে উগ্রতা বাড়ছে। এর দায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তান এড়াতে পারেনা, কারণ এ দু’টো দেশে উগ্রতা অনেক বেশি, লালিত-পালিত হয়! পাকিস্তান রাষ্ট্রীয়ভাবে হিন্দুশূন্য করা হয়েছে; বাংলাদেশে হিন্দুর সংখ্যা অর্ধেক হয়ে গেছে, ইহাই উগ্রতা। বহুবার লিখেছি, আবারো লিখছি, প্রায় পঁচিশ বছর আগে এক বিজেপি নেতা আমেরিকায় এলে তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, একশো কোটি হিন্দুর দেশে তোমাদের হিন্দু হিন্দু করতে হয় কেন? তিনি বলেছিলেন, তোমরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে যদি ইসলাম ইসলাম করতে পারো, তবে আমাদের হিন্দু হিন্দু করলে দোষের কি? ইহাই সত্য। বাংলাদেশে আগে প্রচুর মানুষ ছিলো, এখন সবাই হিন্দু-মুসলিম, বৌদ্ধ, খৃষ্টান।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আরো একটি চমৎকার বিষয় হচ্ছে, ভারতে মুসলিমদের বাড়িঘরে হামলাকারীদের পরিচয় হিন্দুত্ববাদী আর বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণকারীরা দুর্বৃত্ত এবং যারা মুর্ক্তি ভাঙ্গে পুলিশের ভাষায় তাঁরা ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’। গুজরাট দাঙ্গার দু:খজনক অধ্যায় মানুষ ভুলেনি। সেখানেও আগে শবরমতি এক্সপ্রেসে আগুন দিয়ে ৫৯জন তীর্থফেরা যাত্রীকে হত্যা করা হয়েছিলো, যাদের মধ্যে ১৫জন শিশু ছিলো। তসলিমা নাসরিন বলেছেন, বাংলাদেশে দুই ধর্মীয় দলে মারামারি হয় না, দাংগা হয় না। বাংলাদেশে মুসলমান হিন্দুকে মারে। পাকিস্তানেও তাই। ভারতে দাংগা হয়। হিন্দু যেমন মুসলমানকে মারে, মুসলমানও হিন্দুকে মারে। দু দলই পাথর,পেট্রোল বোমা, পিস্তল হাতে নেয়। দাংগায় দু দলের লোকই মারা যায়। কোথাও কম, কোথাও বেশি।
তসলিমা নাসরিন আরো বলেছেন, বাংলাদেশ পাকিস্তানের অত্যাচারিত ভীত সন্ত্রস্ত হিন্দুদের জন্য ভারত তার উদার দরজা খুলে দিয়েছে। বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানেরও উচিত ভারতের অত্যাচারিত ভীত সন্ত্রস্ত মুসলমানের জন্য নিজেদের দরজা খুলে দেওয়া। ভারতের একজন নেতা ক’দিন আগে বলেছেন, এসব দাঙ্গাহাঙ্গামার কারণ ১৯৪৭-এ যথাযথ ‘জনসংখ্যা বিনিময়’ হয়নি, এখন সেটা হউক। হলে কি হবে? বাংলাদেশ বা পাকিস্তানে যত অ-মুসলমান আছে, সবাই ভারতে চলে যাবে। কিন্তু মুসলমান ভারত ছাড়বে না, কারণ তাঁরা জানে থাকার জন্যে অ-মুসলমান দেশ ভালো। জাতিসংঘের রেকর্ড অনুযায়ী বিশ্বে এখন ৮৬% শরণার্থী মুসলমান, এরা কেউ ৫৭টি মুসলমান দেশে যেতে চায়না বা তারাও নিতে চায়না, এরা থাকতে চায় ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা বা অষ্ট্রেলিয়ায়?
ভারতের অধিকাংশ মিডিয়ার ভূমিকা ন্যাক্কারজনক। যুক্তরাষ্ট্রের কিছু রাজনীতিবিদ ‘ইসলামোফোবিয়ার’ ভয়ে উল্টাপাল্টা বকছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। টরোন্টোর একজন বাঙ্গালী সাংবাদিক সওগত আলী সাগর লিখেছেন, দিল্লীতে কি কেবল অমানবিকতা, পৈশাচিকতাই দেখছি? মানবিকতার, মনুষ্যত্বের বিজয়গাঁথা কি দেখছি না! দিল্লীতে মুসলমানদের হত্যা করতে দেখছি, আবার মুসলমানদের বাঁচাতে জীবনবাজি রেখে দাঁড়িয়ে গেছে হিন্দু ধর্মাবলম্বী- সেই দৃশ্য কি দেখছি না? প্রশ্নটা হলো, আপনি কিভাবে দেখছেন? বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন আপনি দেখেন না, ভারতে মুসলমান নির্যাতন আপনার দৃষ্টি এড়ায় না? একজন প্রলয় ভট্টাচার্য্য, যিনি আগে বাংলাদেশে কমিউনিষ্ট পার্টি করতেন, এখন কলকাতায় ডাক্তারী করেন, তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন হলে ভারতে তার প্রতিক্রিয়া হবে। হ্যাঁ, এতদিন হয়নি, এখন হবে।
শিয়া ধর্মগুরু মৌলানা কলবে জাওয়াদ নকভি নাগরিকতা সংশোধন আইন নিয়ে বলেছেন, এটা নিয়ে মুসলিমদের অন্তরে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে বিরোধীরা এবং এই আন্দোলন থেকে মুসলমানদের উস্কানি দিয়ে বিরোধী দলগুলো সুবিধা নিয়েছে। বলিউড গায়ক আদনান সামি বলেছেন, ‘একজন মুসলিম হিসেবে আমি ভারতে নিজেকে সুরক্ষিত মনে করি।” যদিও নাসিরুদ্দিন শাহ বা আরো কেউ কেউ অন্য কথা বলেছেন, কিন্তু এরা কেউ পাকিস্তান যাবেন না! সৌদি আরবও না, ইরানও না, তবে ইউরোপ-আমেরিকায় যেতে পারেন। ফেনীর একজন সাব্বির আহমেদ বলেছেন তিনি বাংলাদেশ থেকে মালাউন (হিন্দু) তাড়াবেন এবং তার প্রজেক্টের নাম দিয়েছেন, ‘হিন্দুমুক্ত বাংলাদেশ’। ড. আনিসুজ্জমান, আবদুল গাফফার চৌধুরী, হাসান আজিজুল হক প্রমূখ দেশের প্রখ্যাত মানবতাবাতী বুদ্ধিজীবিগন এ’ বিষয়ে যে অত্যন্ত সময়োচিত, আশাব্যাঞ্জক বক্তব্য রেখেছেন, যাতে তাঁরা জাতির প্রতি বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সমপ্রীতি রক্ষার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন, আমরা এটিকে স্বাগত জানাই।
From: Zoglul Husain (zog...@hotmail.co.uk)
ফরিদা মজিদ, আপনি নাজমা মোস্তফার "মুজিববর্ষ না মোদিবর্ষ?" লেখাটায় ইসলাম বিদ্বেষ কোথায় পেলেন? তিনি লিখেছেন, ভারতের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আধিপত্যের উপর, ধর্ম বিষয়ে নয়। তা ছাড়া আমি যতদূর জানি, তিনি একজন ভক্ত ও নামাজি মুসলমান এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সমর্থক। তার লেখাটা আমার ভাল লেগেছে, সেটাই কি আমার অপরাধ? আমি নিজেই তো সব সময় ভারতীয় আধিপত্যের বিরোধিতা করে থাকি, কাজেই আধিপত্যবাদ-বিরোধী এ লেখাটা আমার ভাল লেগেছে। আপনি ঠিক বলেছেন আমার অল্প বিদ্যা, কিন্তু আমি অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী কখন করলাম, বা ইসলাম-বিদ্বেষ কখন করলাম? যা আমি কখনো করিনি, বরং আমি ইসলাম-বিদ্বেষের জোর বিরোধিতা করে থাকি।
আপনি যখন ইসলাম বিদ্বেষের বিরোধিতা করেন, তখন তো আমি সমর্থন করে থাকি। এমন কি গত আগস্টে আপনি যখন অন্য বিষয়ে আপনার লেখা একটি কবিতা পাঠিয়েছিলেন আমি তার উচ্চ প্রশংসা করেছিলাম। ২৪ আগস্ট ২০১৯ আপনাকে সম্বোধন করে আমি লিখেছিলামঃ
"আপনি লিখেছেন, "আমার কবিতার অংশের প্রতি আপনার কিঞ্চিৎ উদারতা প্রকাশে উৎসাহী হয়ে পুরো কবিতাটি পাঠালাম। ধৃষ্টতা মার্জনীয়।"
আমি ভালোকে ভালো বলতে ভালবাসি, এটা "কিঞ্চিৎ উদারতা" নয়। আপনার কবিতাটা সুন্দর, আমার ভালো লেগেছে। পুরো কবিতাটা পাঠানোর জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, "ধৃষ্টতা"র প্রশ্ন আসে না, তবে সেটাকে আমি বিনয় হিসাবে নিয়েছি, যা একটি মহৎ গুণ, আমি গুণীদেরকে সবিনয়ে সম্মান করি। আপনার কবিতায় বর্ণিত যে দুর্বিনীত, আত্মম্ভরী, জ্ঞানহীন, অন্তঃসারশূন্য বিদ্যার জাহাজকে চিত্রায়িত বা চরিত্রায়িত করেছেন, তাদের থেকে দূরে থাকি। আপনার কবিতাকে সুন্দর বলেছি এ কারণে যে, তার উপস্থাপনা, শৈলী, স্বাচ্ছন্দ্য, শব্দ চয়ন, প্রবাহ, ব্যঙ্গরস ও চমকদায়ী পরিশেষে সত্য প্রতিষ্ঠা -- আমার ভালো লেগেছে। আমি কবিতার আলোচক বা সমালোচক নই, সাধারণ ভাবে কেন ভালো লেগেছে তার অতি সাধারণ একটু বর্ণনা দিলাম। লিখেছেন, আপনার কবিতা সংকলন আছে, এইমাত্র গুগল করে দেখলাম, আপনি ইংরেজীতে দুটি ও বাংলায় একটি বই লিখেছেন, অভিনন্দন!
আপনার ইমেইলের যে অংশ আমার মনে গেঁথে গেছে, তা হচ্ছেঃ "সবচেয়ে সুন্দর শিক্ষা পেয়েছি পবিত্র কোর’আনে -- জিন-ফেরেস্তাদের লিডার, ইবলিসের মতো অত জ্ঞানী ও অত ধার্মিক আর কে ছিল ? তবু অহঙ্কার -- ‘আনা খায়রুন মিনহু “- I am better than him! -- নিয়ে এলো তার ষ্বর্গ চ্যুত পতন।" অহংকারের পতন কথাটা খুবই প্রচলিত। আপনি যেভাবে লিখেছেন, তাতে মনে দাগ কেটে যায়। এ কারণেই লিখেছি, আমার মনে গেঁথে গেছে। অন্তহীন শুভেচ্ছা।"
উপরের ইমেইলের উত্তর পাই নি। ব্যস্ততার মধ্যে আপনি তা পড়েছেন কি না, তা আমার জানা নেই। যাহোক, আমি ভালকে ভাল বলে থাকি এবং গুণীদেরকে সবিনয়ে সম্মান করে থাকি। ভাল থাকবেন।
From: Farida Majid <farida...@hotmail.com>
Sent: 13 March 2020 23:18
To: Outlook Team <zog...@hotmail.co.uk>; Nazma Mustafa <naz...@yahoo.com>; Jalal Khan <juk...@gmail.com>; AbidBahar PostCard <abahar...@gmail.com>; Sabria Chowdhury Balland <sabriac...@gmail.com>; Khalifa Malik <kmama...@gmail.com>; mga...@gmail.com <mga...@gmail.com>; pfc-f...@googlegroups.com <pfc-f...@googlegroups.com>; Javed Helali <jhela...@yahoo.com>; Taj Hashmi <tajh...@gmail.com>; S Seraji <sser...@yahoo.com>; n...@agni.com <n...@agni.com>; Mahmudur Rahman <mrahma...@gmail.com>; Sameer Syed <ams...@aol.com>; Dr. Farida Hossain <druhf...@gmail.com>; Mohammad Ashrafi <fash...@yahoo.com>
Subject: Re: {PFC-Friends} Re: মুজিববর্ষ না মোদিবর্ষ?
কি নিলজ্জ জঘন্য মোনাফেকী !
এই অল্পবিদ্যা-ভয়ঙ্করী ”উত্তর-আধুনিক” ইসলাম-ঘৃণা কে উচ্ছসিত প্রশংসা --
From: Zoglul Husain (zog...@hotmail.co.uk)
ধন্যবাদ, রানু ভাই। আপনি ঠিকই বলেছেন, নাজমা মোস্তফা বোনের লেখাটি চমৎকার।
বাপরে ! কি দারুন উত্তর-আধুনিক ! ইন্টারনেট- উইকিপিডিয়া দিগগজ ! ভিরমি খাওয়ার মতো . . .
<< ইন্টারনেটে আপলোড করা একটি ডিবেইট আমার মনে একটি নাড়া সৃষ্টি করে। “ইসলাম ইজ নট এ পিসফুল রিলিজিয়ন” সেখানে আইয়ান হিরসি আলী নামের সোমালিয়ান এক ইসলাম ত্যাগী মহিলার অবস্থান অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের তসলিমার সাথে তুলনীয় হতে পারে। মিডিয়াতে সাহসী মেয়ের টাইটেল পাওয়া ধর্মত্যাগী এ মেয়ে, ধর্মের অনাচার খুলে দিতে বদ্ধপরিকর। অনেকেই ধর্ম জানতে তার দ্বারস্থ হচ্ছেন। কারণ সে দ্বার ভেঙ্গে বের হয়েছে, সবাই ধরে নিচ্ছেন সে সম্ভবত ধর্মের সব খবরই জানে ভাল। তাদের কাছে সে হচ্ছে এ সময়ের বড় ধর্মবেত্তা। সে যদি ধর্ম বুঝতে পারতো, তবে এ ধর্ম তাকে ত্যাগ করতে হতো না। ধর্ম তার জীবনে আমৃত্যু অষ্টেপৃষ্টে লেগে থাকতো। তার কথা শুনে মনে হলো ধর্ম জানতে তাকে আরো বহু বছর সাধনা করতে হবে হয়তো, যদিও সে ধৈর্য্য সে ধারণ করতে পুরোপুরিই ব্যর্থ হয়েছে বলেই হয়েছে ধর্মত্যাগী। >>
এ সব মিথ্যা প্রচারনা কেন মেনে নেবো ? এরা সমাজে অনর্থক ভেদাভেদ সৃষ্টি করছে ।বাংলাদেশ বহুভাষিক, বহুধার্মিক দেশ -- সেখানে কেবল একটা বিশেষ ধর্মের প্রতি ঘৃণা-বিদ্বেষ পোষণ করা,
আর সেই ঘৃণা প্রচার করা অনৈতিক, অগণতান্ত্রিক, এবং অসাংবিধানিক কর্মকান্ড ।
From: pfc-f...@googlegroups.com <pfc-f...@googlegroups.com> on behalf of RANU CHOWDHURY <ran...@hotmail.com>
Sent: Friday, March 13, 2020 11:45 PM
To: Outlook Team <zog...@hotmail.co.uk>; Nazma Mustafa <naz...@yahoo.com>; Jalal Khan <juk...@gmail.com>; AbidBahar PostCard <abahar...@gmail.com>; Sabria Chowdhury Balland <sabriac...@gmail.com>; Khalifa Malik <kmama...@gmail.com>; mga...@gmail.com <mga...@gmail.com>; na...@googlegroups.com <na...@googlegroups.com>; pfc-f...@googlegroups.com <pfc-f...@googlegroups.com>; Javed Helali <jhela...@yahoo.com>; Taj Hashmi <tajh...@gmail.com>; S Seraji <sser...@yahoo.com>; la-dis...@googlegroups.com <la-dis...@googlegroups.com>; n...@agni.com <n...@agni.com>; Mahmudur Rahman <mrahma...@gmail.com>; Sameer Syed <ams...@aol.com>; Dr. Farida Hossain <druhf...@gmail.com>; Mohammad Ashrafi <fash...@yahoo.com>
Subject: {PFC-Friends} Re: মুজিববর্ষ না মোদিবর্ষ?
ধন্যবাদ, জগলুল ভাই। আপনার লেখগুলো আগেও পড়েছিলাম। পুনঃ সঞ্চালনের জন্য ধন্যবাদ। যাদের অতীত ঘটনাবলির ধারনশক্তি কম, বা ইচ্ছাকৃত বিস্মৃতি, তাদেরকে বার বার ছবক দিতে হয়।
From: Outlook Team <zog...@hotmail.co.uk>
Sent: Friday, March 13, 2020 1:01 PM
To: RANU CHOWDHURY <ran...@hotmail.com>; Nazma Mustafa <naz...@yahoo.com>; Jalal Khan <juk...@gmail.com>; AbidBahar PostCard <abahar...@gmail.com>; Sabria Chowdhury Balland <sabriac...@gmail.com>; Khalifa Malik <kmama...@gmail.com>; mga...@gmail.com <mga...@gmail.com>; na...@googlegroups.com <na...@googlegroups.com>; pfc-f...@googlegroups.com <pfc-f...@googlegroups.com>; Javed Helali <jhela...@yahoo.com>; Taj Hashmi <tajh...@gmail.com>; S Seraji <sser...@yahoo.com>; la-dis...@googlegroups.com <la-dis...@googlegroups.com>; n...@agni.com <n...@agni.com>; Mahmudur Rahman <mrahma...@gmail.com>; Sameer Syed <ams...@aol.com>; Dr. Farida Hossain <druhf...@gmail.com>; Mohammad Ashrafi <fash...@yahoo.com>
Subject: Re: মুজিববর্ষ না মোদিবর্ষ?
From: Zoglul Husain (zog...@hotmail.co.uk)
ধন্যবাদ, রানু ভাই। আপনি ঠিকই বলেছেন, নাজমা মোস্তফা বোনের লেখাটি চমৎকার। বিশেষ করে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, হাসিনা মুজিব বর্ষ পালন করছেন, না কি মোদি বর্ষ পালন করছেন? তিনি রবীন্দ্রনাথের সার্ধশত (১৫০ তম) জন্মবর্ষের উদযাপনের কথা উল্লেখ করে, ভারতের কাছে এই সরকারের রাজনৈতিক দাসত্ব ও সাংস্কৃতিক দাসত্বের কথা তুলে ধরেছেন।
মুজিব সম্বন্ধে আমি গতবছর ইমেইলে লিখেছিঃ
"মুজিবকে বঙ্গশত্রু উপাধি দিয়েছিলেন মতিয়া। তিনি মুজিবের চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাজাতে চেয়েছিলেন এবং তার চামড়া দিয়ে জুতা বানাতে চেয়েছিলেন। মুজিবকে হত্যার পর ইনু সেনা ট্যাংকে উঠে উল্লাসে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি ছুড়ে আনন্দ করেন। মুজিব আমলের সেনাপ্রধান শফিউল্লাহ বলেন, শেখ মজিব হত্যার সাথে হাসিনার ফুফাতো ভাই শেখ সেলিমও জড়িত আছে। শাহরিয়ার কবির লেখেন, মুজিব আর বঙ্গবন্ধু নয়, এখন থেকে মুজিব জনশত্রু। কর্নেল তাহের বলেন, মুজিবের লাশ বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করতে, কারণ বাংলাদেশে তার কবর হলে আ'লীগ তা মাজার বানাবে। মেননের দল বিবৃতি দেয়, ‘মুজিবের মৃত্যুতে জনগণ উল্লসিত। তার মৃত্যু কারো মনে সামান্যতম সমবেদনা বা দুঃখ জাগায়নি, জাগাতে পারে না।’ ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সেনা সদস্যরা মুজিবের বাড়িতে আসলে মুজিব সেনাপ্রধান শফিউল্লাহ, রক্ষীবাহিনীর রাজনৈতিক প্রধান তোফায়েল সহ অনেককেই ফোন করেছিলেন, কেউ আসেন নি, কর্নেল জামিল ছাড়া, কর্নেল জামিল নিহত হন। শফিউল্লাহ মুজিবকে বলেছিলেন পাচিল টপকিয়ে পালিয়ে যেতে।
১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সেনা-জনতার অভ্যুত্থানে মুজিবের মৃত্যু হলে সেদিন তার মাগফিরাত কামনা করার জন্য লোক খুঁজে পাওয়া যায় নি। তার স্পীকার আব্দুল মালেক উকিল লন্ডনে বলেন, দেশ ফেরাউনের হাত থেকে মুক্ত হয়েছে। সাবেক স্পীকার ও সাবেক বিদেশ মন্ত্রী হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী পরবর্তীতে বলেন, একশবার মুজিবের ফাঁসী হলেও তার পাপ মুক্তি হবেনা। তার মৃতদেহ যখন সিঁড়িতে পড়েছিল তখন ফনি ভূষণ মজুমদার ও মনরঞ্জন ধর সহ তার ১৮ মন্ত্রীর ১০ জন এবং ৯ জন প্রতি-মন্ত্রীর ৮ জন মোশতাক মন্ত্রী সভায় যোগ দেন, বাকিদের মধ্যে মুজিবের ৪ মন্ত্রীদের কারাগারে পাঠানো হয়, ৩ জন বিদেশে ছিলেন। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এইচ টি ইমাম। মুজিবের জানাজায় উপস্থিত ছিলেন ১৮ জন, হাসিনা পরে বিবিসিকে বলেন, ১০-১৮ জন। ইত্যাদি, ইত্যাদি।"
মুজিবের শাসন সম্বন্ধেও আমি গতবছর ইমেইলে লিখেছিঃ
"মুজিব সরকার ৩০ হাজার দেশপ্রেমিক হত্যা করে। তাদের অপশাসনে দেশে নেমে আসে নির্বিচার হত্যা, নিপীড়ন, নির্যাতন, লুণ্ঠন, দখলবাজী, সীমান্ত পাচার ইত্যাদির বিভীষিকা। তাদের অপশাসন, লুণ্ঠন, কালোবাজারী, সীমান্তপাচারের ফলে দেশে ১৯৭৪-এ যে মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ ঘটে তার প্রত্যক্ষ ফলে মৃত্যু হয় ৫ লক্ষ মানুষের এবং পরোক্ষ ফলে মৃত্যু হয় আরও ১০ লক্ষ মানুষের। অন্যদিকে, মুজিব ক্ষমতায় থাকার জন্য ভারতের হাতে দেশের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দেন। এ অবস্থায় সরকার যখন চরম গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে তখন মুজিব নিজের হাতে সর্বময় ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য বাকশাল গঠন করেন।
১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি বাকশালী শাসনের শুরু হয়। সেদিন জাতীয় সংসদের মাত্র ১১ মিনিট স্থায়ী অধিবেশনে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী পাস করা হয়, যার বলে মুজিব প্রধানমন্ত্রী না থেকে আজীবন রাষ্ট্রপতি হন, সংসদীয় পদ্ধতি বাতিল হয়ে রাষ্ট্রপতি পদ্ধতি প্রবর্তিত হয় এবং সকল রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করে দেশে বাকশাল নামক একটি মাত্র দল প্রতিষ্ঠা করা হয়। মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। বাকশালের গণসংগঠন ছাড়া অন্যসব গণসংগঠন নিষিদ্ধ হয়। সরকার নিয়ন্ত্রিত চারটি দৈনিক ছাড়া দেশের সকল সংবাদপত্র নিষিদ্ধ হয়ে যায় ১৬ জুন।
হাসিনা আবার বাকশালের কথা তুলেছেন। প্রকৃতপক্ষে ২০০৯ সাল থেকেই হাসিনা অঘোষিত বাকশাল চালাচ্ছেন। মনে হয় তিনি বুঝতে পারছেন যে তিনি ও তার দল চরম গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। কাজেই আবারও ক্ষমতা এক হাতে কুক্ষিগত করার জন্য রাষ্ট্রপতি ব্যবস্থা ও একদলীয় ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে চাচ্ছেন, যাতে তিনি আজীবন রাষ্ট্রপতি হতে পারেন।
বাকশাল-ভারতের সেবাদাস কালের কণ্ঠের বিশ্লেষক ও গবেষক আব্দুল মান্নান যতই চুনকাম করার চেষ্টা করুন না কেন, হিটলার মুসলিনিদেরকে তিনি যেমন গৌরবান্বিত করতে পারবেন না, তেমনি মুজিবকেও নয়। আমি আগে লিখেছিলামঃ
"১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সেনা-জনতার অভ্যুত্থানে মুজিবের মৃত্যু হলে সেদিন তার মাগফিরাত কামনা করার জন্য লোক খুঁজে পাওয়া যায় নি। তার স্পীকার আব্দুল মালেক উকিল লন্ডনে বলেন, দেশ ফেরাউনের হাত থেকে মুক্ত হয়েছে। সাবেক স্পীকার ও সাবেক বিদেশ মন্ত্রী হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী বলেন, একশবার মুজিবের ফাঁসী হলেও তার পাপ মুক্তি হবেনা। অনেক আগেই মতিয়া বলেছিলেন, মুজিবের চামড়া দিয়ে ঢোল বানিয়ে তিনি মুজিবের 'হাড্ডি' দিয়ে ডুগডুগি বাজাবেন। ইনু তার মৃত্যুতে ট্যাংকের উপর উঠে নাচানাচি করেছিলেন। তাহের বলেছিলেন তার দেহ বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করতে, কারণ দেশে কবর হলে বাকশালীরা তা মাজার বানাবে। তার মৃতদেহ যখন সিঁড়িতে পড়েছিল তখন ফনি ভূষণ মজুমদার ও মনরঞ্জন ধর সহ তার ১৮ মন্ত্রীর ১০ জন এবং ৯ জন প্রতি-মন্ত্রীর ৮ জন মোস্তাক মন্ত্রী সভায় যোগ দেন, বাকিদের মধ্যে মুজিবের ৪ মন্ত্রীদের কারাগারে পাঠানো হয়, ৩ জন বিদেশে ছিলেন। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এইচ টি ইমাম। মুজিবের জানাজায় উপস্থিত ছিলেন ১৮ জন। ইত্যাদি, ইত্যাদি।"
আধিপত্যবাদের সেবাদাস ফ্যাসিবাদী হাসিনার জন্যও মানুষের একই ধরনের মনোভাব রয়েছে, তার জন্য নির্ধারিত রয়েছে ইতিহাসের আস্তাকুড়।"
ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদকে আমরা অবশ্যই পরাভূত করবো।
From: RANU CHOWDHURY <ran...@hotmail.com>
Sent: 13 March 2020 03:16
To: Nazma Mustafa <naz...@yahoo.com>; Zoglul Zoglul <zog...@hotmail.co.uk>; Jalal Khan <juk...@gmail.com>; AbidBahar PostCard <abahar...@gmail.com>; Sabria Chowdhury Balland <sabriac...@gmail.com>; Khalifa Malik <kmama...@gmail.com>; mga...@gmail.com <mga...@gmail.com>; na...@googlegroups.com <na...@googlegroups.com>; pfc-f...@googlegroups.com <pfc-f...@googlegroups.com>; Javed Helali <jhela...@yahoo.com>; Taj Hashmi <tajh...@gmail.com>; S Seraji <sser...@yahoo.com>; la-dis...@googlegroups.com <la-dis...@googlegroups.com>; n...@agni.com <n...@agni.com>; Mahmudur Rahman <mrahma...@gmail.com>; Sameer Syed <ams...@aol.com>; Dr. Farida Hossain <druhf...@gmail.com>; Mohammad Ashrafi <fash...@yahoo.com>
Subject: Re: মুজিববর্ষ না মোদিবর্ষ?
ধন্যবাদ, বোন নাজমা, আরেকটি চমৎকার লেখা উপহার দেবার জন্য।
বলতে শুনেছি, চেনা বামনের পৈতার দরকার হয় না। শেখ মুজিবের গায়ে গলায় মাথায় পাতায় পৈতার ছড়াছড়ি দেখে লোকে কী মনে করতে পারে? পরিচয় করাতে এতসব পৈতার দরকার ? যেসব কোমোল মতি ছেলেমেয়ে, বাচ্চাদের নিয়ে এসব পুজা- পার্বণ, পৈতা পরানো হচ্ছে, তারাই বা কি শিখছে ? খবর ও ভিডিও ক্লিপ এর বদৌলতে যা দেখতে পাই তাতে ভাবি আমরা কি পৌত্তলিক জামানায় ফিরে গেছি ?
আপনার লেখায় মুজিবের কিছু অপকর্ম উল্লেখ আছে । সেসব ঢাকার জন্যই কি হাজার হাজার কোটি টাকার জনখরচে এতোসব পৈতা পার্বণের আয়োজন ? মুরুব্বী জনগন নিশ্চয়ই মুজিবের "সোনালী" আমল এবনং ১৫ ই অগাস্ট ৭৫ ভুলে যাননি । কী ছিল বাংলাদেশের হাল হকিকত তখন ? কেন জনগণ আনন্দ উৎসবে ফেটে পড়েছিল মুজিবের পতন শুনে? কোথায় ছিল এসব পুজাগিরি, পৈতাগিরি যখন মুজিবের লাশ তার সিঁড়িতে গড়াগড়ি খাচছিল? কেউ শুনেচে ইন্নলিল্লাহ ? কেউ দেখেছে এক্টুখানি চোখের পানি ?
জনরোষ হোক আর করনা হোক, মোদীকে আপাতত ঠেকানো গেল। কিন্তু মুজিববাদী বাকশালেীরা হাল ছেড়ে দেয় নি। তাদের কথাবার্তায় তাই মনে হচছে তারা এই মুসলিম খুনিকে মুসলমান দেশে এনে প্রমান করবে তারা মোদীর চইতে কম যায় না । আল্লাহ বাংলাদেশকে এসব শেরকি বেদাতি জালিম থেকে রক্ষা করুক।
From: Nazma Mustafa <naz...@yahoo.com>
Sent: Friday, March 13, 2020 1:09 AM
Subject: মুজিববর্ষ না মোদিবর্ষ?
--
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "PFC-Friends" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to pfc-friends...@googlegroups.com.
To view this discussion on the web visit https://groups.google.com/d/msgid/pfc-friends/BY5PR10MB3746E5FC28881F59B82AD0E6C3FA0%40BY5PR10MB3746.namprd10.prod.outlook.com.
--
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "PFC-Friends" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to pfc-friends...@googlegroups.com.
To view this discussion on the web visit https://groups.google.com/d/msgid/pfc-friends/65696596-6B7A-43A7-86DF-083E95CD4C57%40yahoo.com.
Salam,I take a little indulgence, though late: I used to reply to Madam Farida Majid's postings and comments, both positive and negative, as they deserved. In this case of FM's comments on Madam Nazma's article on BD, she did some "mistakes," may be inadvertently, and Zoglul bhai's reply was very nice, especially.There is a positive sign in some of FM's recent moves on some issues we also share in a positive sense--that was rare long before! Please take it or not, let's help her imbue with good moves!Regards,ZAOn Sunday, March 15, 2020, 12:09:45 PM CDT, 'M. Aleem' via PFC-Friends <pfc-f...@googlegroups.com> wrote:Dada,Your writing is full of lies... those are your ideas/opinion that are NOT true ...
বিশ্বের ৫৭টি মুসলিম দেশ কি এই প্রমান বহন করেনা? মুসলমানরা যেখানে সংখ্যাগুরু, সেখানে কি অন্যরা থাকতে পারে? নাকি অন্যদের কোন অধিকার থাকে? তারপরও বলা যায়, উপমহাদেশে শান্তির জন্যে রাজনৈতিক নেতারা সমন্বিতভাবে চেষ্টা করতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, নরেন্দ্র মোদী, এবং ইমরান খান এক টেবিলে বসলে ক্ষতি কি? Give peace a try. #I do not know all 57 Muslim countries, but I know 1 for sure where I grew up and lived for 30 years, and still I go there occasionally... Minorities there are getting their full rights + plus more... what they are asking now is illegal ... asking for 100% command and control where they are only 10% of the population...
You cannot show any Hindu country in the world where minorities are getting any better privileges than the minorities of Bangladesh...
You cannot show any Christian/Western country in the world where minorities are getting any better privileges than the minorities of Bangladesh...
You cannot show any Buddhist country in the world where minorities are getting any better privileges than the minorities of Bangladesh...
You probably could not manage a good job in Dubai/UAE/ME... Full of Indian Hindus... they stay there(in Muslim countries), earn big money, and say bad things about Muslims... that's how good your cohorts are including you... you take everything and betray...
Your final hit is the same: Hate Muslims...
Question: Can you cite me names of family members who left Bangladesh being tortured (with Village name, Thana and District) and Month/Year?
To view this discussion on the web visit https://groups.google.com/d/msgid/pfc-friends/2013919476.6216724.1584327810515%40mail.yahoo.com.
To view this discussion on the web visit https://groups.google.com/d/msgid/pfc-friends/BY5PR10MB374637F872BEA4CC19443C9BC3F90%40BY5PR10MB3746.namprd10.prod.outlook.com.
To view this discussion on the web visit https://groups.google.com/d/msgid/pfc-friends/BY5PR10MB374637F872BEA4CC19443C9BC3F90%40BY5PR10MB3746.namprd10.prod.outlook.com.
|
|
গুহা বাবুর লেখাটি পুরো প্ড়িনি, মাঝপথে গুিয়ে ধৈর্য হারিয়ে ফেলেছি। যতটুকু পড়েছি, তাতে আমি আলীম ভাইয়ের সাথে সম্পূর্ণ একমত।মোদী-আর.এস.এস (RSS) র চমচাগিরিির সীম ছাড়িয়ে গেছে। মনে হচছে, গুহাবাবু তাদেরই মুখপাত্র।
"পাকিস্তান এর পুরো সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে খেদিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশ অর্ধেক খেদিয়েছে।" --স গু।
গাঁজাখোরী আর কাকে বলে। পাকিস্তানে ৩৫ লক্ষ হিন্দু লোকের বাস, তার মধ্যে একজন মহিলা সহ দুজন সংসদে। যতটুকু জানি তারা ভালই আছে। তারা ভারতে এসে ৭০ শতাংশ দলিত ও দরিদ্রদের মধ্যে সামিল হতে যাবে কেন?
আর বাংলাদেশ ? আলীম ভাইয়ের মত আমারও প্রস্ন ঃ Can you cite me names of family members who left Bangladesh being tortured (with Village name, Thana and District) and Month/Year?
এই প্রশ্নটি আমি আগেও তাকে এবনং তার প্রিয় সাহাকে করেছিলাম। একখনও জবাবের অপেক্ষায়। গুহা বাবু আমার এলাকার লোক। সেখানে কোন হিন্দু অততাচার বা হিন্দু তাড়ানো হয়েছে তার নজির আমার শত্তরারধ বয়েসে দেখিনি, শুনিওনি। আমার তখনকার কট্টর পাকিস্তান পন্তথি মাওলানা পিতার একখানা কবিতার শেষাংশ দেখুন।
মুসলিম হিন্দু ভুলে যাব মোরা মৈত্রী মোদের ধ্যান,
আজাদিী পেয়েছি স্বাধীন হয়েছি দিয়েছি দোহের প্রান ।মোর রাহমান তুমি দয়াবান ভেদাভেদ কিছু নাই।
|
|
গুহা বাবুর লেখাটি পুরো প্ড়িনি, মাঝপথে গুিয়ে ধৈর্য হারিয়ে ফেলেছি। যতটুকু পড়েছি, তাতে আমি আলীম ভাইয়ের সাথে সম্পূর্ণ একমত।মোদী-আর.এস.এস (RSS) র চমচাগিরিির সীম ছাড়িয়ে গেছে। মনে হচছে, গুহাবাবু তাদেরই মুখপাত্র।
"পাকিস্তান এর পুরো সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে খেদিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশ অর্ধেক খেদিয়েছে।" --স গু।
গাঁজাখোরী আর কাকে বলে। পাকিস্তানে ৩৫ লক্ষ হিন্দু লোকের বাস, তার মধ্যে একজন মহিলা সহ দুজন সংসদে। যতটুকু জানি তারা ভালই আছে। তারা ভারতে এসে ৭০ শতাংশ দলিত ও দরিদ্রদের মধ্যে সামিল হতে যাবে কেন?
আর বাংলাদেশ ? আলীম ভাইয়ের মত আমারও প্রস্ন ঃ Can you cite me names of family members who left Bangladesh being tortured (with Village name, Thana and District) and Month/Year?
এই প্রশ্নটি আমি আগেও তাকে এবনং তার প্রিয় সাহাকে করেছিলাম। একখনও জবাবের অপেক্ষায়। গুহা বাবু আমার এলাকার লোক। সেখানে কোন হিন্দু অততাচার বা হিন্দু তাড়ানো হয়েছে তার নজির আমার শত্তরারধ বয়েসে দেখিনি, শুনিওনি। আমার তখনকার কট্টর পাকিস্তান পন্তথি মাওলানা পিতার একখানা কবিতার শেষাংশ দেখুন।
মুসলিম হিন্দু ভুলে যাব মোরা মৈত্রী মোদের ধ্যান,
আজাদিী পেয়েছি স্বাধীন হয়েছি দিয়েছি দোহের প্রান ।মোর রাহমান তুমি দয়াবান ভেদাভেদ কিছু নাই।
Zoglul Husain (zog...@hotmail.co.uk)
আপনারা সকলে ডালকুত্তার পালের মত দলবদ্ধ হয়ে আমাকে গালাগালি করছেন । আপনাদের কুৎসিৎ নিন্দাগুলি ভিত্তিহীন -- হাজারবার করে বলেছি - আমি আওয়ামী লীগের কোন কর্মী নই । কিন্তু আপনারা সত্যের ধার ধারেন না । আপন মনের কালিমা মিশিয়ে অপবাদ দিয়ে যাচ্ছেন ।
কোনও মন্তব্য করিনি । কোথাও প্রমান নেই । আমি শুধু সযত্নে তুলে ধরেছি তার নিজস্ব ব্লগ <<আমি নাজমা মোস্তফার "মুজিববর্ষ না মোদিবর্ষ?" লেখাটা সম্পর্কে
বাপরে ! কি দারুন উত্তর-আধুনিক ! ইন্টারনেট- উইকিপিডিয়া দিগগজ ! ভিরমি খাওয়ার মতো . . .<< ইন্টারনেটে আপলোড করা একটি ডিবেইট আমার মনে একটি নাড়া সৃষ্টি করে। “ইসলাম ইজ নট এ পিসফুল রিলিজিয়ন” সেখানে আইয়ান হিরসি আলী নামের সোমালিয়ান এক ইসলাম ত্যাগী মহিলার অবস্থান অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের তসলিমার সাথে তুলনীয় হতে পারে। মিডিয়াতে সাহসী মেয়ের টাইটেল পাওয়া ধর্মত্যাগী এ মেয়ে, ধর্মের অনাচার খুলে দিতে বদ্ধপরিকর। অনেকেই ধর্ম জানতে তার দ্বারস্থ হচ্ছেন। কারণ সে দ্বার ভেঙ্গে বের হয়েছে, সবাই ধরে নিচ্ছেন সে সম্ভবত ধর্মের সব খবরই জানে ভাল। তাদের কাছে সে হচ্ছে এ সময়ের বড় ধর্মবেত্তা। সে যদি ধর্ম বুঝতে পারতো, তবে এ ধর্ম তাকে ত্যাগ করতে হতো না। ধর্ম তার জীবনে আমৃত্যু অষ্টেপৃষ্টে লেগে থাকতো। তার কথা শুনে মনে হলো ধর্ম জানতে তাকে আরো বহু বছর সাধনা করতে হবে হয়তো, যদিও সে ধৈর্য্য সে ধারণ করতে পুরোপুরিই ব্যর্থ হয়েছে বলেই হয়েছে ধর্মত্যাগী। >>
এ সব মিথ্যা প্রচারনা কেন মেনে নেবো ? এরা সমাজে অনর্থক ভেদাভেদ সৃষ্টি করছে ।বাংলাদেশ বহুভাষিক, বহুধার্মিক দেশ -- সেখানে কেবল একটা বিশেষ ধর্মের প্রতি ঘৃণা-বিদ্বেষ পোষণ করা,আর সেই ঘৃণা প্রচার করা অনৈতিক, অগণতান্ত্রিক, এবং অসাংবিধানিক কর্মকান্ড ।